=================================================
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করলে অর্থাৎ ফালইয়াফরাহু তথা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য সর্বশ্রেষ্ট খুশী মুবারক প্রকাশ করলে কি পাওয়া যাবে।
এই বিষয়ে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ الطُّفَيْلِ بْنِ اُبَـىّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ يَا اَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللهَ اذْكُرُوا اللهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِـمَا فِيْهِ. قَالَ حَضْرَتْ اُبَـىٌّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ِاِنّـِيْ اُكْثِرُ الصَّلَاةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِـيْ فَقَالَ مَا شِئْتَ، قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ، قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ، قُلْتُ النّـِصْفَ، قَالَ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ، قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ، قَالَ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ، قُلْتُ اَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِـيْ كُلَّهَا، قَالَ اِذًا تُكْفٰى هَـمُّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ.
অর্থ : “হযরত তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বলেন, একদা রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক প্রদান করার জন্য দাঁড়ালেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, হে মানুষেরা! মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। ভূমিকম্প এসেছে, তার সাথে মহামারীও এসেছে, যেভাবে মৃত্যু আসার সেভাবে মৃত্যুও এসেছে। হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার জন্য ছলাত মুবারক, সালাম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক বেশি বেশি করতে চাই। কত সময় ধরে আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন। তাহলে চার ভাগের এক ভাগ (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টা) আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, তাহলে অর্ধেক সময় (২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা) আপনার আমি ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতটুকু সম্ভব আপনি করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ (২৪ ঘণ্টায় ১৬ ঘণ্টা) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু ইচ্ছা পারেন করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জিন্দেগীর সমস্ত সময় (২৪টা ঘণ্টাই) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক উনার মধ্যে ব্যয় করবো। সুবহানাল্লাহ!
এটা শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি খুশি হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, খুব উত্তম! আপনি যদি এটা করতে পারেন তাহলে আপনার জিন্দেগীর যত নেক মকছুদ সবগুলো পুরা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! এবং আপনার জিন্দেগীর যত গুনাহ-খাতা রয়েছে সব ক্ষমা করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবু ছিফাতিল ক্বিয়ামাতি ওয়া রিক্বাক্ব ওয়া ওয়ারা : হাদীছ শরীফ নং ২৪৫৭; আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২২১তম সংখ্যা ৯১ পৃষ্ঠা)
অর্থ : “হযরত তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বলেন, একদা রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক প্রদান করার জন্য দাঁড়ালেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, হে মানুষেরা! মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করুন। ভূমিকম্প এসেছে, তার সাথে মহামারীও এসেছে, যেভাবে মৃত্যু আসার সেভাবে মৃত্যুও এসেছে। হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার জন্য ছলাত মুবারক, সালাম মুবারক, ছানা-ছিফত মুবারক বেশি বেশি করতে চাই। কত সময় ধরে আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন। তাহলে চার ভাগের এক ভাগ (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় ৬ ঘণ্টা) আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু সম্ভব করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, তাহলে অর্ধেক সময় (২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা) আপনার আমি ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতটুকু সম্ভব আপনি করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ (২৪ ঘণ্টায় ১৬ ঘণ্টা) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে কি হবে? শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি যতটুকু ইচ্ছা পারেন করুন, তবে এর চাইতে আরো বৃদ্ধি করতে পারলে আরো উত্তম হবে। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমি আমার জিন্দেগীর সমস্ত সময় (২৪টা ঘণ্টাই) আমি আপনার ছানা-ছিফত মুবারক উনার মধ্যে ব্যয় করবো। সুবহানাল্লাহ!
এটা শুনে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি খুশি হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, খুব উত্তম! আপনি যদি এটা করতে পারেন তাহলে আপনার জিন্দেগীর যত নেক মকছুদ সবগুলো পুরা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ! এবং আপনার জিন্দেগীর যত গুনাহ-খাতা রয়েছে সব ক্ষমা করে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ : কিতাবু ছিফাতিল ক্বিয়ামাতি ওয়া রিক্বাক্ব ওয়া ওয়ারা : হাদীছ শরীফ নং ২৪৫৭; আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২২১তম সংখ্যা ৯১ পৃষ্ঠা)
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার দ্বারাই প্রমাণিত, সমস্ত নেক মাকসুদ পূর্ণ করা হবে এবং সমস্ত গুনাহ খতা মুছে ফেলা হবে’। সুবহানাল্লাহ!
যা চাইবো সব কিছুই পাওয়া যাবে। সুতরাং আমরা চাই
যা চাইবো সব কিছুই পাওয়া যাবে। সুতরাং আমরা চাই
১. মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে
২. হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে
৩. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।
২. হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে
৩. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।
0 Comments:
Post a Comment