সুমহান পুত ও
পবিত্র ৩রা রবিউছ ছানী শরীফ
ঈদে বিলাদতে ,
উম্মু আবীহা
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম
উনার নুরুদ দরাজাত
মুবারকে জানাই লক্ষ কোটি বেশুমার ছলাত ও সালাম ।
আজ সুমহান পুত ও
পবিত্র ৩রা রবিউছ ছানী শরীফ
আজ সুমহান পুত ও
পবিত্র ৩রা রবিউছ ছানী শরীফ । আজকের এই
দিনে “বিনতুম
মিন বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ৩রা রবীউছ ছানী শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন”। উনি হচ্ছেন আহুলু
বাইত শরীফ উনাদের মধ্যে তৃতীয় স্তর মুবারকে ।
একমাত্র আহলু বাইত
শরীফ উনাদের মুহব্বতেই যিনি খ্বলিক ,মালিক রক আল্লাহ পাক তামাম কায়িনাত সৃষ্টি
করেছেনে । উনারা যদি কানিয়াত মাঝে তাশরিফ
মুবারক গ্রহণ না করতেন তাহলে আল্লাহ পাক কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন । আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা দুনিয়াতে
আসবেন বিধায় খ্বলিক মালিক রব আল্লাহ পাক কানিয়াত সৃষ্টি করছেন । আহলু
আহলু বাইত শরীফ উনাদের মধ্যে উজ্জল নক্ষত্র ও মধ্য মণি হচ্ছেন উম্মু আবীহা
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম। উনি কানিয়াত মাঝে
তাশরিফ মুবারক গ্রহণ করার পর তামাম কানিয়াত উনার সম্মানার্থে নতুন উদ্দোমে সাজ সাজ
রবে সেজে উঠেছিলেন । উনার জন্য ছলাত সালাম
পাঠ করছিলেন । সুবহানাল্লাহ ।
আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন ঈমান উনার মূল ।
মূলত উনারাই হচ্ছেন ঈমান । উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করাই হচ্ছে ঈমান ।
উনাদের গোলামীতে আনজাম দেওয়ায় হচ্ছে ঈমান । উনাদেরেকে তাাযীম তাকরীম করাই হচ্ছে
ঈমান । উনাদের শান মান মর্যাদা মর্তাবা প্রকাই করাই হচ্ছে । এক কথায় উনারা হচ্ছেন বেমেছোল । উনাদের যারা গোলাম কেরতে পারবে তারা নিঃসন্দেহে
নাযাত প্রাপ্ত হবেন । সুবহানাল্লাহ । আহলু বাইত শরীফ উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম উনি হচ্ছেন বেমেছাল শান মান মর্যাদা মর্তাবা উনার অধিকারী। আমাদের মতো নগন্য গোলামেদেরকে নাযাত দেওয়ার
জন্য উনি সারাটা জীবন সম্মানীত ইসলাম উনার খিদমত করেছেন । মূলত উনাদের এসবের কোনই
প্রয়োজন ছিলনা । তবুও উনারা যে রহমানুর রহমীম , রউফুর রহীম উনার গোলামদেরকে নিয়ামত
মুবারক দেওয়ার জন্য উনারা বিভিন্ন কাজের আঞ্জাম দিয়ে থাকেন ।
তাই কুলকায়িনাতের
সকলের জন্য ফরয , ওয়াজীব হচ্ছে সম্মানীত ৩ রা রবিউছ ছানী শরীফ উনার সম্মানার্থে সারা
কুলকায়িনাতে খুশি প্রকাশ করে মিলাদ শরীফ , ক্বিয়াম শরীফ , আলোচনা মজলিস উনার আযোজন
করা । উনার শান মান মর্যাদা মর্তবা ফুটিয়ে তোলা । উনাদের শান মান মর্যাদা মুবারক
আলোচনা করার মাধ্যমেই আমাদের জীবনের কামিয়াবী সম্ভব ।এবং আমরা সম্মানীত হয়ে যাব ।
তাই প্রতিটা দেশে
সরকারী ভাবে হযরত আহলূ বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বিশেষ করে বিনতুম মিন বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি
আহলিল জান্নাহ,
উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানার্থে কুলকায়িনাত ও দেশের সকল স্কুল , কলেজ , মাদ্রাসা ,
বিশ্ববিদ্যালয়ে উনার সম্মানীত জীবনি মুবারক সিলেবাসের অন্তভূক্ত করা । এবং এই দিনে বিশেষ মিলাদ মাহফিল ও তবাররুক উনার
আয়োজন করা । তাহলেই আমাদের জীবনে সর্বময় সাফল্য ও কামিয়াবী হাসিল হবে । আল্লাহ পাক আমাদরকে ক্ববুল করুন ।
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি
আহলিল জান্নাহ,
উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহে উমরী মুবারক
আলোচনা করা হলো -
কায়িনাতের বুকে
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এক অভূতপূর্ব বেমেছাল
মহাসম্মানিত তাজদীদী শান মুবারক প্রকাশ করেন “বিনতুম মিন বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি
আহলিল জান্নাহ,
উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি ৩রা রবীউছ ছানী শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান
মুবারক প্রকাশ করেন”
কায়িনাতের
বুকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম
মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ
ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি উনার এক অভূতপূর্ব বেমেছাল মহাসম্মানিত তাজদীদী শান মুবারক
প্রকাশ করেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি
আহলিল জান্নাহ,
উম্মু আবীহা, বিদ্ব‘আতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত
নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৭ বছর পূর্বে ৩রা রবীউছ ছানী শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করে সমস্ত
কায়িনাতবাসীকে ধন্য করেন। সুবহনাল্লাহ! দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে তখন নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স
মুবারক ছিলেন ৩৩ বছর। আর উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৪৮ বছর।” সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ৩৩ বছর, তখন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
(মুস্তাদরকে হাকিম)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালামউনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক
তিনি, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই সম্মানিত খুশি
মুবারক প্রকাশ করেছেন, সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ তথা
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“হে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী! অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান
আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার
ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াত দানকারী এবং খাছ
করে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য
সর্বশ্রেষ্ঠ রহমতস্বরূপ আমার যিনি মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! আমার মাহবূব হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, সম্মানিত ফযল মুবারক এবং সম্মানিত রহমত
মুবারক হিসেবে উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ
শরীফ’ তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ
পালন করে। এই সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ তথা সম্মানিত খুশি প্রকাশ করাটা, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ
পালন করাটা সবকিছু থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয়
করে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ইউনূস শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ:
৫৭-৫৮)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব
হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে মহাসম্মানিত
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা যেমন ফরয, তেমনিভাবে উনার মহাসম্মানিতা বানাত
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ
পালন করাও ফরযতো অবশ্যই; বরং ফরয উনার উপর ফরয। সুবহানাল্লাহ!
কেননা উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, মা’রেফাত-মুহব্বত মুবারক উনার মধ্যেই
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, মা’রেফাত-মুহব্বত মুবারক নিহিত রয়েছেন।
সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ
ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম
উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে
সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করাই হচ্ছে
সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত । সুবহানাল্লাহ ।
বিনতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক
আফদ্বলুন
নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন,
তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা
হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘আছ ছানিয়াহ তথা
দ্বিতীয়া।’ সুবহানাল্লাহ!
তিনি
শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি না এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি না; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত
মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এক নজরে উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক
তুলে ধরা হলো-
সম্মানিত
ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত
রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
কুনিয়াত মুবারক: উম্মু আব্দিল্লাহ
আলাইহাস সালাম।সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
লক্বব মুবারক: বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিদ্ব‘আতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,আফদ্বলুন নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন
নূরুছ ছানিয়াহ, উম্মু আবীহা, যাতুল হিজরতাইন এছাড়াও আরো অসংখ্য অগণিত। সুবহানাল্লাহ!
যেই
সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন:সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
আব্বাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিতা
আম্মাজান আলাইহাস সালাম: উম্মুল মু’মিনীন আল
ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
অনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াতী ও রিসালতী শান মুবারক প্রকাশের প্রায় ৭ বছর
পূর্বে ৩রা রবী‘উছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক:সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
অবস্থান মুবারক:সম্মানিত ও পবিত্র
মক্কা শরীফ (প্রায় ১৩ বছর), সম্মানিত
ও পবিত্র মদীনা শরীফ (প্রায় ১ বছর কয়েক মাস) এবং হাবশা (প্রায় ৭ বছর)।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ভাই-বোন আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম:মহাসম্মানিত চার ভাই আলাইহিমুস সালাম
এবং মহাসম্মানিতা চার বোন আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
বোন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে উনার সম্মানিত অবস্থান মুবারক: ছানিয়াহ তথা
দ্বিতীয়া। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ভাই-বোন আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে উনার সম্মানিত অবস্থান
মুবারক: পঞ্চম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
ঈমান মুবারক প্রকাশ: নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নুবুওওয়াতী ও
রিসালতী শান মুবারক প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে
বা হিসেবে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৭ বছর। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
যাওজুম মুকাররম আলাইহিস সালাম: আমীরুল
মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
যুন
নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন হওয়ার সময় উনার সম্মানিত
বয়স মুবারক: ১০ বছর।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
আওলাদ আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমাম ইবনে যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম (হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম।
সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
হিজরত মুবারক: দুইবার। প্রথমবার
হাবশায় এবং দ্বিতীয়বার সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার
একখানা বিশেষ লক্বব মুবারক হচ্ছেন যাতুল হিজরতাইন তথা সম্মানিত দুই হিজরত মুবারক
উনাদের মালিকাহ। সুবহানাল্লাহ!
হাবশায়
হিজরত মুবারক করার সময় উনার সম্মানিত বয়স মুবারক: ১১
বছর প্রায় সাড়ে ৩ মাস । সুবহানাল্লাহ!
হাবশায়
সম্মানিত অবস্থান মুবারক : প্রায় ৭ বছর।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: ২য়
হিজরী সনের ১৮ই রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুস সাবত শরীফ শেষ রাত্রে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক:সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার
সম্মানিত যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক: ২১
বছর ৫ মাস ১৫ দিন। সুবহানাল্লাহ!
রওযা
শরীফ: জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
বিনতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
সংক্ষিপ্ত
পরিচিতি মুবারক:
বিনতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক, তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিতা হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন
‘ছানিয়াহ তথা দ্বিতীয়া।’ সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আবনা আলাইহিমুস সালাম এবং
মহাসম্মানিতা হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন পঞ্চম।
সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম হচ্ছেনউম্মুল মু’মিনীন আল
ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান
আল্লাহ পাক তিনি না এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি না; এছাড়া
সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি।
সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
বিদ্ব‘আতুম
মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত
নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৭ বছর পূর্বে ৩রা রবী‘উছ ছানী
শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ সকালে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী
শান মুবারক প্রকাশ করে সমস্ত কায়িনাতবাসীকে ধন্য করেন। সুবহানাল্লাহ! দুনিয়াবী
দৃষ্টিতে বা হিসেবে তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩৩ বছর। আর উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা
সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৪৮ বছর।
সুবহানাল্লাহ!
এই
সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
وُلِدَتْ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ رُقَيَّةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِنْت ُرَسُوْل ِاللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَّثَلَاثِيْنَ مِنْ مَّوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ:
“দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ৩৩ বছর, তখন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম)
সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী
শান মুবারক প্রকাশে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মুল
মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনারা, হযরত নবী-রসূল
আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত
ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং সমস্ত কায়িনাত সকলেই সম্মানিত খুশি মুবারক
প্রকাশ করেছেন, সম্মানিত
‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ তথা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন।
সুবহানাল্লাহ!
মহান
আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يٰاَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّـِنْ رَّبّـِكُـمْ وَشِفَاءٌ لِّـمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لّـِلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ.
অর্থ:
“হে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী!
অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ
আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ
হিদায়াত দানকারী এবং খাছ করে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত
মুবারকস্বরূপ আমার যিনি মাহবূব হাবীব, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তাশরীফ মুবারক এনেছেন।
সুবহানাল্লাহ! আমার মাহবূব হাবীব, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত
জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী
সবাইকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক
তিনি যে, সম্মানিত ফযল
মুবারক এবং সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ তথা সম্মানিত
খুশি মুবারক প্রকাশ করে, মহাসম্মানিত
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। এই সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ তথা সম্মানিত
খুশি প্রকাশ করাটা, মহাসম্মানিত
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ!
(সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইউনূস শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
এই
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন
নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময়
বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা
যেমন ফরয, তেমনিভাবে উনার
মহাসম্মানিত বানাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল
আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাও ফরযতো অবশ্যই; বরং
ফরয উনার উপর ফরয। সুবহানাল্লাহ!
কেননা উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, মা’রিফাত-মুহব্বত মুবারক উনার মধ্যেই মহান আল্লাহ পাক উনার
এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত
রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, মা’রিফাত-মুহব্বত
মুবারক নিহিত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান
আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের
সবাইকে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’
তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করার, মহাসম্মানিত
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
সম্মানিত
কুনিয়াত মুবারক:
সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক হচ্ছে ‘উম্মু
আব্দিল্লাহ আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
লক্বব মুবারক
আফদ্বালুন
নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি না এবং নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি না; এছাড়া যত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন সমস্ত সম্মানিত
লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! বিনতু রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি ‘আলাল আলামীন,সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিদ্ব‘আতুম
মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুছ ছানিয়াহ, উম্মু আবীহা, মালিকাতুল
জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত
ইত্যাদি উনার বিশেষ বিশেষ সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
ছূরত মুবারক:
বিদ্ব‘য়াতুম
মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি ‘আলাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
ছিলেন বেমেছাল সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! উনার বেমেছাল
সৌন্দর্য মুবারক সম্পর্কে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
وَكَانَتْ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ رُقَيَّةُعَلَيْهَا السَّلَامُ ذَات جَمَالٍ رَائِعٍ
অর্থ:
“সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন অতি বিস্ময়কর
বেমেছাল সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারিণী।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা শরীফ ১/২১৫, ইবনে আসাকির)
কিতাবে
আরো বর্ণিত রয়েছে,
وَكَانَتْ مِنْ اَحْسَنِ الْبَشَرِ.
অর্থ:
“সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন মানুষের মাঝে
সর্বাধিক সৌন্দর্য মুবারক উনার অধিকারিণী।” সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
পবিত্রতা মুবারক:
মহান
আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْراً.
অর্থ:
“হে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক
তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো
পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে
পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও
পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
এই
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন
নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে
পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনার সম্মানিত স্পর্শ মুবারক-এ যা এসেছেন, তাও পবিত্র থেকে পবিত্রতম হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
শৈশবকাল মুবারক এবং সম্মানিত লালন-পালন মুবারক:
বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আব্বজান
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মুল
মু‘মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের
বেমেছাল সম্মানিত আদর-যতœ মুবারক-এ, মুবারক
তত্ত্বাবধানে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ সম্মানিত শৈশবকাল মুবারক অতিবাহিত
করেছেন এবং লালিত-পালিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
ইলম মুবারক:
নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا اَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِىْ
অর্থ:
“মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন দাতা আর আমি হচ্ছি বণ্টনকারী।” সুবহানাল্লাহ!
(বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মূলত, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবংউনার মাহবূব হাবীব,নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার
সম্মানিত ইলম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে উনার
সম্মানার্থেই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম
কায়িনাতবাসী সম্মানিত ইলম, আমল, ইখলাছ, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
মুবারকসহ সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক লাভ করেছে, করছে এবং অনন্তকাল ধরে লাভ করতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
আক্বদ মুবারক:
সম্মানিত
দ্বীন ইসলাম প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত আক্বদ মুবারক হয়েছিলো আবূ লাহাবের পুত্র উতবার সাথে এবং
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আক্বদ মুবারক হয়েছিলো
উতাইবার সাথে। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৭ বছরের কাছাকাছি আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ
ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৫ বছরের কাছাকাছি। এটি ছিল শুধু
একটি আনুষ্ঠানিক আক্বদ মুবারক। উনাদেরকে তাদের গৃহে যেতে হয়নি। সুবহানাল্লাহ! তার
আগেই সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ‘লাহাব শরীফ’ নাযিল হওয়ার পর আবূ লাহাব ও তার স্ত্রীর
কারণে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত
মুবারক থেকে উতবাহ মাহরূম হয়ে যায় অর্থাৎ সম্মানিত মুবারক খিদমত উনার আনজাম মুবারক
দেয়ার ব্যাপারে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়। আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ
আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক থেকে উতবাহ মাহরূম হয়ে যায় অর্থাৎ
সম্মানিত মুবারক খিদমত উনার আনজাম মুবারক দেয়ার ব্যাপারে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়।
নাঊযুবিল্লাহ!
সম্মানিত
ঈমান মুবারক প্রকাশ:
আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক
প্রকাশ পাওয়ার পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি তা সর্বপ্রথম উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা
আলাইহাস সালাম উনার নিকট প্রকাশ করেন। উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত
কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিই পুরুষ-মহিলা সকলের পূর্বে সর্বপ্রথম সম্মানিত ঈমান
মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সাথে সাথে উনার মহাসম্মানিতা আওলাদ
আলাইহিন্নাস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি
এবং আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আন নূরুর রাবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম
তিনি অর্থাৎ উনারাও সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর আন
নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আফযালু ওয়া খাইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অল্প সময়ের ব্যবধানে সংবাদ মুবারক পাওয়ার সাথে সাথে এসে
সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারাই পুরুষ-মহিলা সকলের মাঝে
সর্বপ্রথম সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
তাই
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সায়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস
সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উনারাই পুরুষ-মহিলা সকলের মাঝে সর্বপ্রথম সম্মানিত ঈমান
মুবারক প্রকাশ করেছেন। কাজেই ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ ঈমান আনবে এবং যত নেক আমল
করবে, সমস্ত ফযীলত উনাদের
সম্মানিত আমল নামা মুবারক-এ যেয়ে পৌঁছবে।” সুবহানাল্লাহ! যদিও উনারা কোন কিছুর
মুহতাজ নন, তারপরেও সাধারণভাবে
উনাদের সম্মানিত ফযীলত মুবারক বুঝার জন্য সহজ। সুবহানাল্লাহ!
আযীমুশ
শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ:
উতবা
যখন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ
ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া থেকে
মাহরূম হয়ে যায়, তখন মহান আল্লাহ
পাক তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক প্রেরণ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দেন যে, আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম! আমি (মহান আল্লাহ পাক) বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে হযরত যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ
সুসম্পন্ন করেছি। সুবহানাল্লাহ! আপনিও উনাদের সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ দুনিয়ার
যমীনে সুসম্পন্ন করুন। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনুষ্ঠানিকভাবে দুনিয়াতে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি
আ‘লাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ
সুসম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ১০ বছর আর
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩৭
বছর। সুবহানাল্লাহ!
বেমেছাল
মুহব্বতপূর্ণ সম্পর্ক মুবারক:
বিনতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাদের মাঝে
বেমেছাল মিল-মুহব্বত মুবারক বিদ্যমান ছিলো। আরবের লোকজন বলাবলি করতো এবং এই কথাটি
উপমায় পরিণত হয়েছিলো যে,
اَحْسَنُ زَوْجَيْنِ رَاٰهُمَا اِنْسَانٌ حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَزَوْجَهَا حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
অর্থ:
“মানুষের দেখা সম্মানিত দম্পতি মুবারক উনাদের মধ্যে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং
উনার মহাসম্মানিত যাওজুম মুকাররাম সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম
উনারা সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (ইছাবাহ ৭/৬৯৮, বিদায়া-নিহায়া ৭/২২৩, মুখতাছারু তারীখে দিমাশক্ব ৫/১৭৫ ইত্যাদি)
উম্মুল
মু‘মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি আ‘লাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
হাবশায় (আবিসিনিয়ায়) থাকা অবস্থায়ই উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত
কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক
প্রকাশ করেন। যার ফলশ্রুতিতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম
তিনি হাবশা থেকে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ ফিরে এসে উনার মহাসম্মানিতা
আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত চেহারা
মুবারক অবলোকন করতে পারেননি। তাহলে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
মুবারক হাছিলের জন্য কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা এখান থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
তাই
কায়িনাতবাসীর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, এখান
থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
মহান
আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
হাবশায়
সম্মানিত হিজরত মুবারক:
সাইয়্যিদুনা
হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাবশায় সম্মানিত হিজরত মুবারক করার
অনুমতি প্রার্থনা করেন, তখন
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন,
اُخْرُجْ بـِحَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ مَعَكَ
অর্থ:
“আপনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকেসহ হাবশায় সম্মানিত
হিজরত মুবারক করুন।” (মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৫০)
আনুষ্ঠানিকভাবে
সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার ৫ম বৎসরে সম্মানিত রজবুল
হারাম শরীফ মাসে উনারা হাবশার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দীর্ঘ এক মাস পর সম্মানিত
শা’বান মাসে উনারা হাবশায় যেয়ে পৌঁছেন। সুবাহানল্লাহ! উনারা সেখানে যেয়ে নিরাপদে
মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদাত-বন্দেগী করতে থাকেন এবং তা’লীম-তালক্বীন ও সম্মানিত
ছোহবত মুবারক দানের মাধ্যমে লোকদেরকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দিকে আহ্বান করতে
থাকেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের আহ্বানে বহু লোক ঈমান এনে মুসলমান হয়ে যান।
এভাবে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মুবারক পদচারণা, সম্মানিত তা’লীম-তালক্বীন ও সম্মানিত ছোহবত মুবারক উনার
মাধ্যমে হাবশার যমীনে তথা অনারবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলো ছড়িয়ে পড়ে।
সুবহানাল্লাহ! আর তার পাশাপাশি হাবশাসহ সমগ্র অনারব রহমত, বরকত, ছাকীনাহ
ও নিয়ামত মুবারক লাভে ধন্য হয়। সুবহানাল্লাহ!
মহান
আল্লাহ পাক উনার পথে সম্মানিত
হিজরতকারীসম্মানিত
প্রথম পরিবার:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারা যখন হাবশায়
(আবিসিনিয়ায়) সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মানিত খুছূছিয়াত মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক
করেন,
إِنَّهُمَا لاَوَّلُ مَنْ هَاجَرَ بَعْدَ لُوطٍ وَإِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِمَا الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ.
অর্থ:
“নিশ্চয়ই সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং হযরত যুন
নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারাই হচ্ছেন হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার
এবং হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাদের পর সর্বপ্রথম হিজরতকারী।”
সুবহানাল্লাহ!’(মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৫০)
মহাসম্মানিত
মু‘জিযা শরীফ উনার বহিঃপ্রকাশ:
কিতাবে
বর্ণিত রয়েছে,
وكانت ذات جمال رائع ذكر ابن قدامة أن نفرا من الحبشة كانوا ينظرون إليها، ويعجبون من جمالها فتأذت من ذلك فدعت عليهم فهلكوا جميعا.
অর্থ:
“সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন অতি বিস্ময়কর
বেমেছাল খুব ছূরত মুবারক উনার অধিকারিণী। হযরত ইমাম ইবনে কুদামাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, হাবশার
এক দল লোক উনার দিকে তাকাতো এবং উনার সম্মানিত ছূরত মুবারক-এ অভিভূত হয়ে বিস্ময়
প্রকাশ করতো। এতে তিনি খুব কষ্ট পেতেন। ফলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করেন এবং
তারা সকলেই ধ্বংস হয়ে যায়।” সুবহানাল্লাহ! (শারহুয যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব
৪/২৩৩)
প্রকৃতপক্ষে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্পূর্ণ জিন্দেগী
মুবারকখানাই সম্মানিত কুদরত মুবারক এবং সম্মানিত মু’জিযা শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
সুবহানাল্লাহ! তবে কেনো কোনো সময় উনার কোনো কোনো মহাসম্মানিত শান মুবারক প্রকাশ
পেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
ও পবিত্র মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন:
সুদীর্ঘ
প্রায় ৭ বছর হাবশায় সম্মানিত অবস্থান মুবারক করার পর উনাদের নিকট সংবাদ পৌঁছে যে, এখন সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার অবস্থা ভালো হয়েছে।
তখন উনারা সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু উনারা এসে
দেখলেন যে, সম্মানিত ও পবিত্র
মক্কা শরীফ-এ এখন পূর্বের চেয়েও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে।
সাইয়্যিদুনা
হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারসম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক:
দীর্ঘ
বছর পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এখন উনার
মহাসম্মানিত আব্বাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ সম্মানিত অবস্থান মুবারক করছেন।
এখন এখানে পূর্বের চেয়েও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে
সম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক সময় সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত
মুবারক করবেন। তাই তিনি সেখানকার পরিবেশ গুছানোর জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ হিজরত মুবারক করার জন্য
সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দেন। সম্মানিত নির্দেশ মুবারক পেয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন
নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি হিজরত মুবারক করে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ চলে
যান। সুবহানাল্লাহ! আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ সম্মানিত অবস্থান
মুবারক করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনারসম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত
হিজরত মুবারক:
মহান
আল্লাহ পাক উনার মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন
সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন, তখন বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনারা প্রত্যেকেই সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক
করছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে
আ’যম সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করার
প্রায় এক থেকে দেড় মাস পর উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ (সাওদা)
আলাইহাস সালাম তিনি, উম্মুল মু’মিনীন আছ
ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি, বানাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আন নূরুর
রাবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম তিনি, অর্থাৎ
উনারা এক সাথে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন।”
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আ‘লাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ হিজরত
মুবারক করার পর প্রায় এক বছর কয়েক মাস দুনিয়ার যমীন-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক
করেন। সুবহানাল্লাহ! দ্বিতীয় হিজরী সনের সম্মানিত শা’বান মাসের শুরুর দিকে উনার
গুটিবসন্ত হয়। তখন থেকে তিনি সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেই যুগের
যাহিরী সকল চিকিৎসাই উনাকে করা হয়েছিলো। কিন্তু কোনো পরিবর্তন ঘটেনি; বরং ধীরে ধীরে সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক বেশি আকারে
প্রকাশ পেতে থাকেন। এই দিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম
উনাদেরকে নিয়ে সম্মানিত বদরের জিহাদে যাওয়ার প্রস্তুতি মুবারক গ্রহণ করছেন।
এমতাবস্থায় যখন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক খুব বেশি
আকারে প্রকাশ পেয়ে যায়, তখন
তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে বলেন, আপনাকে সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ যেতে হবে না। আপনি
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক
উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফেই অবস্থান করুন এবং
উনার যথাযথ সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিন। উনার সাথে তিনি হযরত
উসামা বিন যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকেও একই কারণে সম্মানিত ও পবিত্র
মদীনা শরীফ-এ অবস্থান করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ! এই
সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
خَلَفَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ اُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَلـٰى حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فِـىْ مَرَضِهَا وَخَرَجَ اِلـٰى بَدْرٍ وَّهِىَ وَجِعَةٌ
অর্থ:
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিনতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য হযরত যুন
নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে এবং হযরত উসামা বিন যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ রেখে সম্মানিত বদর জিহাদ
মুবারক উনার উদ্দেশ্যে বের হন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক বেশি আকারে প্রকাশ পায়।”
উল্লেখ্য
যে, এখানে একটি বিষয়
স্পষ্ট যে, স্বয়ং নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার
মহাসম্মানিতা বানাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত উসামা বিন যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে সম্মানিত বদরের জিহাদে না নিয়ে সম্মানিত ও পবিত্র
মদীনা শরীফ-এ রেখে যান। তাহলে এখান থেকে এই বিষয়টিই সুস্পষ্ট যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই সম্মানিত বদরের জিহাদের চেয়ে উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার
মুবারক, মহাসম্মানিতা বানাত
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক
করার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ
ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল, সেটা সকলের চিন্তা-কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া সমস্ত
ইবাদাত-বন্দেগী থেকে; এমনকি
জিহাদ থেকেও শ্রেষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ! কত শ্রেষ্ঠ এটা জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী চিন্তা ও কল্পনা করে কখনোই মিলাতে পারবে
না। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত
বদর জিহাদ মুবারক সংঘটিত হয় ১৭ রমাদ্বান শরীফ আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ
ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন ১৮ই
রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুস সাব্ত শরীফ শেষ রাত্রে। সুবহানাল্লাহ! তখন উনার সম্মানিত
বয়স মুবারক ছিলেন ২১ বছর ৫ মাস ১৫ দিন। বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনিই
সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি নিজেই
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত কাফন মুবারক
পরান এবং উনাকে মহাসম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
فَجَاءَ حَضْرَتْ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ بَشِيْرًا ۢبِوَقْعَةِ بَدْرٍ وَّحَضْرَتْ عُثْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلـٰى قَبْرِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِنْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْفِنُهَا.
অর্থ:
“তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত যায়িদ ইবনে হারিছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি
এমতাবস্থায় সম্মানিত বদর জিহাদ বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে এসেছেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত কাফন মুবারক
সম্পন্ন করছেন তথা উনাকে মহাসম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখছেন।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অবিরত ধারায়
সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করা:
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুপস্থিতিতে
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আ‘লাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সংবাদ মুবারক
পাওয়ার সাথে সাথে অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করেন।
সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ যিয়ারত মুবারক করেন।
সুবহানাল্লাহ!
সেখানে
যেয়েও তিনি অজস্র ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
তখন হযরত মহিলা ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারাও কান্না মুবারক
করতে থাকেন। এ সময় সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনাদের
কান্না মুবারক বন্ধ করতে উদ্যত হন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বলেন, থামুন! উনারা তো কান্না মুবারক করছেন অন্তর মুবারক ও চোখ
মুবারক-এ। আর অন্তর এবং চোখ মুবারক থেকে যা বের হয়, তা সম্মানিত রহমত মুবারক উনার কারণ। আর হাত ও মুখ থেকে যে
ক্রিয়া প্রকাশ পায়, তা শয়তানের পক্ষ
থেকে হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
وَجَعَلَتْ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ تَبْكِىْ عَلـٰى شَفِيْرِ قَبْرِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ رُقَيَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَــمْسَحُ الدُّمُوْعَ عَنْ وَّجْهِهَا بِالْيَدِ اَوْ قَالَ بِالثَّوْبِ.
অর্থ:
“আর আন নূরুর রাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত রওযা শরীফ উনার কাছেই
সম্মানিত অবস্থান মুবারক করে সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করছিলেন। তখন
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত
মুবারক) অথবা রাবি বলেন, মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র নূরুত তাক্বওয়া মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পোশাক মুবারক) দিয়ে
আন নূরুর রাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত চেহারা
মুবারক থেকে সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক মুছে দিচ্ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ!
(মুসনাদে ত্বয়ালসী, মুসনাদে আহমদ, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ইত্যাদি)
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার
মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম
উনার জন্য বেমেছালভাবে সম্মানিত দোয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন,
اِلْـحَقِىْ بِسَلَفِنَا الْـخَيْرِ حَضْرَتْ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُوْنٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ
অর্থ:
“আপনি আমাদের পূর্বসূরি হযরত উছমান ইবনে মাজউন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার
সাথে মিলিত হোন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ, ত্ববরনী, আল
ইছাবাহ ইত্যাদি)
সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম
মুবারক দেয়ার কারণে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বদর
জিহাদ মুবারক-এ না যেয়েও সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ উপস্থিত থেকে জিহাদ মুবারক
করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ
উনার ফযীলত মুবারক উনার মধ্যে সমান অংশীদার হবেন। সুবহানাল্লাহ! এবং স্বয়ং নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা
হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত বদর জিহাদ উনার সম্মানিত গনীমত
মুবারক উনার মাল মুবারকও বণ্টন করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এরূপ দৃষ্টান্ত
কায়িনাতের বুকে দ্বিতীয় আর নেই। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে,
اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَ يَوْمَ بَدْرٍ لِّعُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَهْمَهٗ
অর্থ:
“নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ শেষে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার জন্য
সম্মানিত গণীমতের মাল মুবারক বণ্টন করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৫৩, যখায়েরুল উক্ববা)
সুতরাং
এখান থেকেই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম
মুবারক দেয়ার ফযীলত কতো বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ! যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক কত বেমেছাল, সেটা সমস্ত
জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী
সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
আওলাদ আলাইহিস সালাম:
পূর্বেই
আলোচনা করা হয়েছে যে, হাবশায়
(আবিসিনিয়ায়) সম্মানিত অবস্থান মুবারককালে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যিন নূরাইন
আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
করেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি
সেখানে কিছু সময় সম্মানিত অবস্থান মুবারক করার পর, উনার মহাসম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সাথে
সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ আগমন করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর সম্মানিত ও পবিত্র
মক্কা শরীফ-এ কিছু সময় সম্মানিত অবস্থান করার পর, তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন
নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ সম্মানিত
হিজরত মুবারক করেন। উনার সম্মানিত বয়স মুবারক যখন প্রায় ৩ বছর, তখন উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন
নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করেন। এরপর তিনি উনার মহাসম্মানিত নানাজান নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ
বেমেছাল আদর-যতœ ও মুহব্বত মুবারক-এ লালিত-পালিত হতে থাকেন। আর নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার
সম্মানিত দৌহিত্র সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে
বেমেছাল মুহব্বত মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি যখন ছয় বছর বয়স মুবারক-এ উপনীত
হন, তখন উনার সম্মানিত
চোখ মুবারক উনার মধ্যে একটি মোরগ ঠোকর দেয়। ফলশ্রুতিতে তিনি উনার সম্মানিত চোখ
মুবারক উনার মধ্যে প্রচ- আঘাত গ্রহণ করেন এবং সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ
করেন। আর এই সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করা অবস্থায় তিনি ৪র্থ হিজরী
সনের পবিত্র ২২ শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া’ শরীফ দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা
হিসেবে প্রায় ৬ বৎসর বয়স মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার প্রিয়
দৌহিত্র সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত
জানাযা মুবারক উনার সম্মানিত নামায মুবারক পড়ান এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে মহাসম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যিন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার আর কোনো সম্মানিত আওলাদ সম্মানিত বিলাদতী শান
মুবারক প্রকাশ করেননি।
0 Comments:
Post a Comment