সুওয়াল: ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বাক্য মুবারক বড় মাপের কোন আউলিয়া কিরাম উনাদের শানে ব্যবহারের দলীল কি শরীয়তে রয়েছে? জানতে বাসনা রাখি-


সুওয়াল: ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বাক্য মুবারক বড় মাপের কোন আউলিয়া কিরাম উনাদের শানে ব্যবহারের দলীল কি শরীয়তে রয়েছে? জানতে বাসনা রাখি-
জাওয়াব: #ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম " বাক্য মুবারক পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফ দ্বারাই " উম্মতের মাঝে উচু স্তরের ওলীআল্লাহ উনাদের শানে ব্যাবহার জায়েজ প্রমানিত হয়েছে। কাজেই যারা নাজায়েজ বলবে তারা অসংখ্য আয়াত শরীফ ও হাদীস শরীফ অস্বীকারকারী হিসাবে কাফির হবে।
#ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করা জায়িয এর দলীল পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফেই রয়েছে৷ এমনকি যারা 'বিরোধীতায়' কিছু কিতাবের দলীল দিতে চায়, তাদের জবাবও রয়েছে৷কুখ্যাত বদমায়েশরা, দুঃশ্চরিত্ররা যতই রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধাচারন করবে, ততই রাজারবাগ শরীফের শান মান বুলন্দ হবে প্রচার প্রসার হবে৷
স্বাভাবিকভাবে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বাক্য মুবারকখানা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু সকলের ঐকমত্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রেও ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয ও মুস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে আল্লামা হযরত ইমাম আবূ যাকারিয়া মুহিউদ্দীন ইয়াহ্ইয়া ইবনে শারফুন নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৬৭৬ হিজরী শরীফ) তিনি এবং আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে মুলক্বিন রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৮০৪ হিজরী শরীফ) তিনি অর্থাৎ উনারাসহ আরো অনেকেই স্বীয় কিতাবে ইজমা’ বর্ণনা করেছেন। উনারা বলেছেন,
اَجْـمَعُوْا عَلَى الصَّلـٰوةِ عَلـٰى نَبِيِّنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَذٰلِكَ اَجْـمَعَ مَنْ يُّعْتَدُّ بِهٖ عَلـٰى جَوَازِهَا وَاسْتِحْبَابِـهَا عَلـٰى سَائِرِ الْاَنْبِيَاءِ وَالْـمَلَائِكَةِ اِسْتِقْلَالًا.
অর্থ: “আমাদের নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত পাঠের ব্যাপারে অর্থাৎ উনাকে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলার বিষয়ে সকলে ইজমা করেছেন। অনুরূপভাবে এ বিষয়েও ইজমা করেছেন যে, সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রভাবে ছলাত পাঠ করা অর্থাৎ উনাদের সকলের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রভাবে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয ও মুস্তাহাব।” সুবহানাল্লাহ! (আল আযকার লিন নববী ১/১১৮, আল ই’লাম বিফাওয়াইদি উমদাতিল আহ্কাম ৩/৪৭৭, আল হাবাইক ফী আখবারিল মালাইক লিস সুয়ূত্বী ১/৮৪, বাহ্জাতুল মাহাফিল ২/৪১৬ ইত্যাদি)
আল্লামা হযরত ইমাম ত্বীবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ : ৭৪৩ হিজরী শরীফ) তিনি উল্লেখ করেন,
اَجْـمَعُوْا عَلَى الصَّلـٰوةِ عَلـٰى نَبِيِّنَا وَعَلـٰى سَائِرِ الْاَنْبِيَاءِ وَالْـمَلَائِكَةِ اِسْتِقْلَالًا.
অর্থ: “আমাদের নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি স্বতন্ত্রভাবে ছলাত পাঠ করা অর্থাৎ উনাদের সকলের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রভাবে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করার বিষয়ে সকলে ইজমা’ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (ফুতূহুল গইব ফিল কাশফি ‘আন ক্বিনাইর রইব লিত ত্বীবী ১২/৪৭৫)
এমনকি ওহাবীদের গুরু ইবনে ক্বইয়্যুম বলেছে,
وَقَدْ حَكٰى غَيْرُ وَاحِدِ ۣ الْاِجْـمَاعَ عَلـٰى اَنَّ الصَّلـٰوةَ عَلـٰى جَـمِيْعِ النَّبِيِّيْـنَ مَشْرُوْعَةٌ مِّنْهُمُ الشَّيْخُ مُـحْيِـىُ الدِّيْنِ النَّوَوِىُّ رَحِـمَهُ اللهُ وَغَيْرُهٗ.
অর্থ: “নিঃসন্দেহে এ বিষয়ে একাধিক ব্যক্তি ইজমা’ বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ছলাত পাঠ করা তথা উনাদের ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা শরীয়ত সম্মত। সুবহানাল্লাহ! (যারা ইজমা’ বর্ণনা করেছেন,) উনাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন হযরত শায়েখ মুহিউদ্দীন নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং আরো অনেকে।” সুবহানাল্লাহ! (জালাউল আফহাম ২৫৮)
যদি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রভাবে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয ও মুস্তাহাব হয়ে থাকে, তাহলে পবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে যে, স্বতন্ত্রভাবে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে জায়েয ও মুস্তাহাব তো অবশ্যই; এমনকি বিশেষ ফযীলত লাভের কারণ, এটা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ! কেননা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই পবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনার নিজের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন এবং ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমাদের সাথে কারো তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ!
অবশ্য যারা গোমরাহ্, পথভ্রষ্ট, মুনাফিক্ব ও উলামায়ে সূ’ তাদের পক্ষে এ বিষয়টি উপলব্ধি করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
বিশুদ্ধ ফতওয়া মতে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রেও ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয রয়েছে। এটা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত। কেউ যদি এটাকে নাজায়েয প্রমাণ করতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে দলীল পেশ করতে হবে।
‘তাফসীরে ইবনে কাছীর’ থেকে নিম্নোক্ত ইবারতখানা
وأما الصلاة على غير الأنبياء، فإن كانت على سبيل التبعية كما تقدم في الحديث: "اللهم، صل على محمد وآله وأزواجه وذريته"، فهذا جائز بالإجماع، وإنما وقع النزاع فيما إذا أفرد غير الأنبياء بالصلاة عليهم:
অর্র্থ: “(হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে ছলাত পাঠ তথা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করা যায় কি না- এ বিষয়ে হযরত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বক্তব্য হচ্ছে-) যদি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুগামী করে অন্যদের ক্ষেত্রে ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করা হয়, যেমন- পবিত্র হাদীছ শরীফখানা পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে,
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلِهِ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ
‘আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি ছলাত পাঠ করুন! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি, উনার পবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি, পবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি এবং উনার সম্মানিত বংশধর উনাদের প্রতি।’
তাহলে তা সকলের ইজমা’ মতে জায়েয। আর হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহারের বিষয়ে ইখতিলাফ রয়েছে।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৬/৪৭৭)
আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহ তিনি যেই মত গ্রহণ করেছেন এবং যেই মতের স্বপক্ষে দলীল পেশ করেছেন, আর তা হচ্ছে-
فقال قائلون: يجوز ذلك، واحتجوا بقوله: { هُوَ الَّذِي يُصَلِّي عَلَيْكُمْ وَمَلائِكَتُهُ } ، وبقوله { أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ } [البقرة: ১৫৭]، وبقوله تعالى { خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا (১) وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ } [التوبة: ১০৩]، وبحديث عبد الله بن أبي أوْفَى قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أتاه قوم بصدقتهم قال: "اللهم صل عليهم". وأتاه أبي بصدقته فقال: "اللهم صل على آل أبي أوفى". أخرجاه في الصحيحين. وبحديث جابر: أن امرأته قالت: يا رسول الله، صل عَلَيَّ وعلى زوجي. فقال: "صلى الله عليكِ وعلى زوجك" (২) .
অর্থ: “একদল ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয় রয়েছে। আর উনারা উনাদের মতের স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে নিম্নোক্ত দলীলসমূহ পেশ করেছেন-
(১)
هُوَ الَّذِي يُصَلِّي عَلَيْكُمْ وَمَلائِكَتُهُ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তোমাদের প্রতি ছলাত পাঠ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৩)
(২)
وَبِقَوْلِهِ أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ
অর্থ: “(মু’মিন ব্যক্তি) উনাদের প্রতি উনাদের রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ছলাত এবং রহমত।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৭)
(৩)
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ
অর্থ: “আপনি তাদের মাল-সম্পদ থেকে ছদ্ক্বাহ্ গ্রহণ করুন। আর এর মাধ্যমে আপনি তাদেরকে পবিত্র করুন এবং তাযকিয়াহ্ করুন। আর তাদের প্রতি ছলাত পাঠ করুন অর্থাৎ তাদের মাগফিরাত কামনা করুন, তাদের জন্য দো‘আ করুন। নিশ্চয়ই আপনার ছলাত পাঠ তাদের জন্য ইতমিনানের কারণ।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৩)
(৪)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা দলীল পেশ করেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,
: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أتاه قوم بصدقتهم قال: "اللهم صل عليهم". وأتاه أبي بصدقته فقال: "اللهم صل على آل أبي أوفى
অর্থ: “যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কোনো গোত্র উনাদের ছদ্ক্বাহ নিয়ে আসতেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করতেন, اللهم صل عليهم “আয় আল্লাহ পাক! আপনি উনাদের উপর ছলাত পেশ করুন।’ একবার আমার সম্মানিত পিতা তিনি ছদক্বাহ্ নিয়ে আসলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, اللهم صل على آل أبي أوفى ‘আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি হযরত আবূ আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এবং উনার পরিবারের উপর ছলাত পেশ করুন।’ অর্থাৎ উনাদের জন্য তিনি দো‘আ মুবারক করলেন। সুবহানাল্লাহ! এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
(৫)
তারপর হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা দলীল পেশ করেন-
أن امرأته قالت: يا رسول الله، صل عَلَيَّ وعلى زوجي. فقال: "صلى الله عليكِ وعلى زوجك
অর্থ: ‘একবার হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার আহলিয়াহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরজী পেশ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আপনি আমার প্রতি এবং আমার সম্মানিত আহাল উনার প্রতি অর্থাৎ আমাদের উভয়ের প্রতি ছলাত পাঠ করুন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার প্রতি এবং আপনার আহাল উনার প্রতি অর্থাৎ আপনাদের উভয়ের প্রতি ছলাত পেশ করুন। অর্থাৎ তিনি উনাদের উভয়ের জন্য সম্মানিত দো‘আ মুবারক করলেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৬/৪৭৮)
দেখুন! এখানে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার জায়েয হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে দলীল-আদিল্লাহ মুবারক দ্বারা ছাবিত করে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে আরো বহু অকাট্য দলীল-আদিল্লাহ্ মওজূদ রয়েছে। আমরা পরবর্তীতে তা উল্লেখ করবো। ইনশাআল্লাহ!
এ মতটাই আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গ্রহণ করেছেন এবং তিনি বলেছেন,
وهذا مسلك حسن.
অর্থ: “এটা একটি উত্তম পন্থা।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৬/৪৭৮)
আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেই মতের পক্ষে, সেই মতটি বাদ দিয়ে জুমহূর উলামায়ে কিরামের মতটি তুলে ধরেছে এবং তিনি যে স্পষ্টভাবে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহারের পক্ষ অবলম্বন করেছেন,

জুমহূর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই। উনাদের যুক্তি হচ্ছে-
لِأَنَّ هَذَا قَدْ صَارَ شِعَارًا لِلْأَنْبِيَاءِ إِذَا ذُكِرُوا فَلَا يَلْحَقُ بِهِمْ غَيْرُهُمْ
অর্থ: “কেননা এটা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শি‘য়ারে পরিণত হয়ে যায়। কাজেই উনাদের সাথে অন্য কারো সংযুক্ত করা যাবে না।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৬/৪৭৮)

আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জুমহূর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতটি এভাবে খ-ন করে দিয়েছেন যে,
وَحَمَلُوا مَا وَرَدَ فِي ذَلِكَ مِنَ الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ عَلَى الدُّعَاءِ لَهُمْ؛ وَلِهَذَا لَمْ يَثْبُتْ شِعَارًا لِآلِ أَبِي أَوْفَى، وَلَا لِجَابِرٍ وَامْرَأَتِهِ. وَهَذَا مَسْلَكٌ حَسَنٌ.
‘(যে সকল ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয বলেছেন,) উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয হওয়ার স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে যে সকল দলীলসমূহ বর্ণিত হয়েছে, সেখানে ছলাত দ্বারা দো‘আ অর্থ নিয়েছেন। আর (এ কারণে তা শিয়ার ছাবিত হয় না) এ কারণে হযরত আবূ আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার জন্য এবং হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এবং উনার আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার জন্য অর্থাৎ উনাদের জন্য যে ছলাত পাঠ করা হয়েছে, সেটি শি‘য়ার ছাবিত হয়নি। (অর্থাৎ ছলাত উনার অর্থ দো‘আ গ্রহণ করলে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদেরকে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বললে, এটা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শি‘য়ারে পরিণত হয় না। কাজেই এটা জায়েয রয়েছে।) সুবহানাল্লাহ! وَهَذَا مَسْلَكٌ حَسَنٌ. আর এটা একটি উত্তম পন্থা।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৬/৪৭৮)
জুমহূর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই। উনাদের যুক্তি হচ্ছে- ‘কেননা এটা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শি‘য়ারে পরিণত হয়ে যায়। কাজেই উনাদের সাথে অন্য কারো সংযুক্ত করা যাবে না।’
এখানে আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত জুমহূর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মতকে স্পষ্টভাবে খ-ন করে দিয়েছেন এভাবে যে, ‘হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয হওয়ার’ বিষয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে যে দলীলসমূহ পেশ করা হয়েছে, সেখানে ছলাত দ্বারা দো‘আ অর্থ নেয়া হয়েছে। আর এ কারণে এটা শি‘য়ার ছাবিত হয় না অর্থাৎ অন্যদেরকে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বললে, এটা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শি‘য়ারে পরিণত হয় না। তাহলে জুমহূর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের আপত্তি এখানে শেষ হয়ে গেলো। কাজেই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয। তারপর আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, وَهَذَا مَسْلَكٌ حَسَنٌ. আর এটা একটি উত্তম পন্থা। সুবহানাল্লাহ!
পাঠক! দেখুন, আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয হওয়ার পক্ষ নিয়েছেন।

আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন,
وَقَالَ آخَرُونَ لَا يَجُوزُ ذَلِكَ؛ لِأَنَّ الصَّلَاةَ عَلَى غَيْرِ الْأَنْبِيَاءِ قَدْ صَارَتْ مِنْ شِعَارِ أَهْلِ الْأَهْوَاءِ، يُصَلُّونَ عَلَى مَنْ يَعْتَقِدُونَ فِيهِمْ، فَلَا يُقْتَدَى بِهِمْ فِي ذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
অর্থ: “অপর একদল বলেছে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ করা তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই। কারণ এটা কুপ্রবৃত্তির অনুসারীদের নিদর্শনে পরিণত হয়। তারা তাদের শ্রদ্ধাভাজনদের প্রতি ছলাত পাঠ করে থাকে। তাই তাদেরকে অনুসরণ করা যাবে না। (এ বিষয়ে আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,) এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি অধিক ভালো জানেন।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর ৬/৪৭৮)
এখানে আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি وَاللَّهُ أَعْلَمُ ‘এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি অধিক ভালো জানেন।’ এ কথা বলে, এটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তারা যে মত পেশ করেছে- ‘হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই। কারণ এটা কুপ্রবৃত্তির অনুসারীদের নিদর্শনে পরিণত হয়। তারা তাদের শ্রদ্ধাভাজনদের প্রতি ছলাত পাঠ করে থাকে। তাই তাদেরকে অনুসরণ করা যাবে না।’এই মতটা আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গ্রহণ করেননি।
মূল কথা হলো, ‘তাফসীরে ইবনে কাছীরে ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৪৭৭ থেকে ৪৭৮ নং পৃষ্ঠায়’ আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করা জায়েয কিনা- এ বিষয়ে ৩টি মত উল্লেখ করেছেন-
(১) প্রথমে তিনি যে সকল ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ‘হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করা জায়েয বলেছেন’ উনাদের মত উল্লেখ করেছেন এবং উনাদের মতের স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে উনারা যে সকল দলীল-আদিল্লাহসমূহ পেশ করেছেন তা উল্লেখ করেছেন। মূলত, আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই এই মত গ্রহণ করেছেন।

(২) তারপর তিনি জুমহূর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মত উল্লেখ করেছেন। উনারা বলেছেন যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয নেই। উনাদের যুক্তি হচ্ছে- ‘কেননা এটা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শি‘য়ারে পরিণত হয়ে যায়। কাজেই উনাদের সাথে অন্য কারো সংযুক্ত করা যাবে না।’ আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জুমহূর উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের এই যুক্তি দলীল দ্বারা খ-ন করে দিয়েছেন এবং বলেছেন ‘যে সকল ইমাম-মুজতাহিদ উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয বলেছেন,) উনারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ছলাত পাঠ তথা ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয হওয়ার স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে যে সকল দলীলসমূহ বর্ণিত হয়েছে, সেখানে ছলাত দ্বারা দো‘আ অর্থ নিয়েছেন। যার কারণে এটা শিয়ার ছাবিত হয় না। আর এ কারণে হযরত আবূ আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এবং হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার এবং উনার আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার জন্য অর্থাৎ উনাদের জন্য যে ছলাত পাঠ করা হয়েছে, সেটি শি‘য়ার ছাবিত হয়নি। অর্থাৎ ছলাত উনার অর্থ দোআ গ্রহণ করলে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতিত অন্যদেরকে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বললে, এটা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শি‘য়ারে পরিণত হয় না। (কাজেই এটা জায়েয রয়েছে।) সুবহানাল্লাহ!
আর এটা হচ্ছে- উত্তম একটি পন্থা। সুবানাল্লাহ!
(৩) তৃতীয়ত তিনি অপর একটি দলের মত উল্লেখ করেছেন। তারপর তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ভালো জানেন।’

সুতরাং এখান থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়ে গেলো যে, আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার জায়েয হওয়ার পক্ষ নিয়েছেন। তিনি ‘হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা নাজায়েয বলেননি।
কাজেই, এই কিতাব দ্বারাই প্রমাণিত হলো যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রভাবে ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ ব্যবহার করা জায়েয। সুবহানাল্লাহ!

0 Comments: