স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদে মিলাদুননবী পালন করেছেন ।

 

স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদে মিলাদুননবী পালন করেছেন ।

১. হযরত আবু কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনর্ণা করেন যে, " হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আপনি সোমবারের দিন কেন রোযা রাখেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করলেন ওই দিন আমার বিলাদত হয় ,এবং ওই দিন-ই আমার উপর ওহী নাযীল হয়"।


  • ১. সহী মুসলিম ,বুক ৬ , রোজা অধ্যায়, ভলি ৭, পৃ ৩২৩, হাদিস নং ২৮০৭
  • ২.সুনান আল কুবরা লইল বায়হাকী , ভলিউম ৪, পৃ ২৮৬ 
  • ৩. মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, ভলিউম ৪ , পৃ ২৯৬, হাদিস ৭৮৬৫
  • ৪.সুনান আবু দাউদ, ভলিউম ৭,পৃ ২৫৫, হাদিস ২৪২৮ 
২. এ ছাড়াও হাদিস হতে প্রমাণিত "স্বয়ং হুযুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  নিজের জন্মের খুশির উদ্দেশ্যে ছাগল যবাহ করেছিলেন"
  • ইমাম সুয়ুতী আল হাবিলুল ফাতোয়া ১ম খন্ড ১৯৬ পৃঃ,
  • হুস্নুল মাকাসিদ ফি আমালিল মোলিদ ৬৫ পৃঃ,
  • ইমাম নাব হানী হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন ২৩৭ পৃঃ)

সোমবার দিন রোযা রাখার হাদীছ শরীফ হতে কয়েকটি বিষয় বের হয়-
১. নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উদযাপন করেননি।
২. যেহেতু প্রতি সোমবার বিলাদত দিবস পালন করেছেন, সে হিসেবে-
* প্রতি সপ্তাহে ১ দিন,
* প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪ দিন,
* প্রতি বছরে কমপক্ষে ৫০ দিন,
৩. আরো সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু প্রতি সোমবার রোযা রেখেছেন, সেহেতু তিনি সর্বদা পরবর্তী সোমবারের জন্য অপেক্ষা করেছেন। অর্থাৎ তিনি সারাজীবনই উনার বিলাদত দিবস উদযাপন করেছেন।

0 Comments: