ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্
ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত
দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিস সালাম-উনার স্মরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
আজমীর শরীফ-এ চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,
কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ
মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ
স্থাপন/অনুপম কারামত-উনার বহিঃপ্রকাশ
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুস্তাজাবুদ্
দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ,
ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখ্রুল আওলিয়া, ছূফীয়ে
বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব,
গরীবে নেওয়াজ, কুতুবুয্যামান, আওলাদে
রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার
মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম-উনার কামিয়াবীর অত্যুঙ্গঁ সোপান, অর্থাৎ উনাদের
অভ্যন্তরীণ কারামত (মাক্বাম ও সম্মান) মানুষের উপলব্ধির সীমাহীন ঊর্ধ্বে বিধায়
আল্লাহ পাক-উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় উনাদের বাহ্যিক কারামত প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন।
সে লক্ষ্যেই দলীলে কা’বায়ে মাকসূদ,
হুব্বুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, শাফিউল উমাম, রউফুর
রহীম, হাবীবুল্লাহ্,
নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার
সদয় নির্দেশিত পন্থায় বেমেছাল বুযুর্গীর আধিকারী পিতা পুত্র, উভয়ের
অগণিত কারামতের মধ্যে “পাগড়ী মুবারক”
হাদিয়া প্রদানের মতো একটি অনন্য বাহ্যিক কারামত প্রকাশিত
হয়েছে।
আওয়াজে
দুআ’ কবুলের স্বীকৃতি
মাহবুব ওলীগণের সব দুআ’ ও মনোবাঞ্ছাই আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, মাশুকে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবুল করে থাকেন। কবুল হওয়ার বিষয়টি উনাদেরকে জানিয়েও দিয়ে থাকেন। উনাদের ইচ্ছা অনুক্ষণ আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছার সঙ্গে মিলিত থাকায় আরজু পূরণে কোন ব্যত্যয় ঘটে না। সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণের নিজস্ব কোন মত ও পথ না থাকায় দুআ’ কবুলের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হয়। আপন উদ্দেশ্য ও ইচ্ছা বাস্তবায়নে আল্লাহ পাক এবং রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী এবং ক্ষমতা প্রয়োগে বেপরোয়া। আল্লাহ পাক-উনার উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় নৈকট্যধন্য ওলীগণও আপন স্বভাবে স্বাধীন ও বেপরোয়া। আল্লাহ পাক-উনার ইচ্ছার প্রতি পরিপূর্ণরূপে সমর্পিত থাকায় একান্ত স্বাধীন ও বেপরোয়া হওয়া সত্ত্বেও ওলীআল্লাহগণ “হিম্মতহীন”। স্বতন্ত্র কোন ইচ্ছা পোষণ না করে আল্লাহ পাক-উনার নিয়ন্ত্রণে আপন স্বভাবে স্বাধীন থাকাই “হিম্মতহীন” হওয়ার মূল তাৎপর্য। অর্থাৎ, ওলীআল্লাহণের নিজস্ব কোন মত ও পথ না থাকা। এমন স্বাধীন ও বেপরোয়া মাহবুব ওলীগণের কোন মনোবাঞ্ছাই অপূর্ণ থাকে না। আপন মত ও পথ বিসর্জন দেয়াই উনাদের আরজু পূরণের নিগূঢ় বিষয়।
এ প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য
একটি ঘটনা এখানে উল্লেখযোগ্য। একজন ময্যুব মুরীদ উনার শায়খের কাছে জানতে চাইলেন: “হুযূর!
আপনি কেমন আছেন?”
শায়খের জাওয়াব: “ভালো আছি”। পুনরায়
মুরীদের জিজ্ঞাসা: “ভালো আছেন জানলাম,
কিন্তু কতোটুকু ভালো হুযূর?” শায়খ জানালেন: “অত্যন্ত
ভালো আছি। আমার ভালো থাকার সীমা-পরিসীমা নেই। কারণ, আমি যা’ চাই তাই
হয়, যা’ চাইনা তা’ হয় না। জগৎ-সংসার,
এমনকি সমুদয় আলমের যাবতীয় বিষয়কর্ম আমার ইচ্ছাতেই সম্পাদিত
হয়।” (চলবে)
আবা-১৮৩
0 Comments:
Post a Comment