সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৭১

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ অনুযায়ী আমলের কারণে উনাদের মর্যাদা-মাক্বাম কতো সীমাহীন উচ্চতায়, তা কায়িনাতবাসীর অবোধ্য। সুবহানাল্লাহ! বিশুদ্ধ আক্বীদা ও মুহব্বতে সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করাই হলো ইবাদত-বন্দেগী। এর ব্যত্যয়ে হালাকী ছাড়া জ্বীন-ইনসানের আর কিছুই পাওনা নেই। নাউযুবিল্লাহ!

আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনারা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি সম্মানিত শরীয়ত হাক্বীক্বীভাবে পালনে ইস্তিকামত ছিলেন। এ কারণেই উনারা কায়িনাতবাসীকে হাদিয়া করতে পেরেছেন আন নি’মাতুল উজমা আলাল আলাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কাবা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দা-বান্দীকে দুআ’ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। এই মর্মে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থ: “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদেরকে দান করুন দুনিয়াবী ও আখিরাতের কল্যাণ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করুন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২০১)

পবিত্র এ আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী অর্থ হলো, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তিনি সম্মানিত সুন্নত মুবারক এবং সম্মানিত শরীয়ত পালন করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রিযামন্দি ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করেন, তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে সার্বিক কল্যাণ লাভ করেন এবং সীমাহীন শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মাক্বাম হাছিল করেন। উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ!

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সম্মানিত সুন্নত মুবারক ইত্তিবা করার কারণেই ইহকালীন ও পরকালীন চূড়ান্ত  কামিয়াবীর শীর্ষতম মাক্বামে উপনীত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৮১

0 Comments: