=================================================
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি নিজেই নিজের প্রশংসা মুবারক করেছেন। এবং এই বিষয়ে পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم جلس ناس من اصحاب رسول الله عليه وسلم فخرج حتى اذا دنا منهم سمعهم يتذاكرون قال بعضهم ان الله اتخذ ابراهيم خليل الله وقال اخر موسى عليه السلام كلمة تكليما وقال اخر فعيسى عليه السلام كلمة الله وروحه وقال اخر ادم اصطفاه الله فخرج عليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال سمعت كلامكم وعجبكم ان ابراهيم خليل الله وهو كذالك وموسى عليه السلام نجى الله وهو كذالك وعيسى عليه السلام كلمة الله وهو كذالك وادم اصطفاء الله وهو كذالك الا وانا حبيب الله ولافخر وانا حامل لواء الحمد يوم القيمة تحته ادم فمن دونه ولا فخر وانا اول شافع واول مشفع يوم القيمة ولافخر وانا اول من يحرك حلق الجنة فيفتح الله لى ويدخلنى ومعى فقراء المؤمنين ولافخر وانا اكرم الاولين والاخرين على الله ولافخر.
অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে বর্ণিত একদা কতিপয় ছাাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এক স্থানে বসে কিছু বিষয় আলোচনা করতে ছিলেন এমন সময় আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হুজরা শরীফ থেকে বের হয়ে উনাদের নিকটবর্তী হয়ে সে আলোচনা শুনতে পেলেন। উনাদের মধ্যে একজন আলোচনা করলেন যে মহান আল্লাহ পাক হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আরেকজন বললেন মহান আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার সাথে সরাসরী কথা বলেছেন। আরেকজন বললেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে কালিমাতুল্লাহ ও রুহুল্লাহ করেছেন। অন্য আরেকজন বললেন মহান আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে খাছ ভাবে (কুদরতী হাতে সৃষ্টি) মনোনীত করেছেন। এমন সময় আল্লাহ পাক উনার নবী সাইয়্যিদুল খালায়িক্ব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সামনে হাজির হয়ে বললেন, আমি আপনাদের কথা/আলোচনা ও পূর্ববর্তী নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের মর্যাদা বর্ণনা করে আশ্চর্য হওয়ার অবস্থা শ্রবন করেছি। আপনারা জেনে রাখেন, নিশ্চয়ই হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তিনি খলীলুল্লাহ ছিলেন এটা সত্য কথাই, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম নাজিউল্লাহ ছিলেন এটাও সত্য কথা, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রুহু ও কালিমা ছিলেন এটাও সত্য কথা। আর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ ভাবে মনোনীত করেছেন। এটাও সত্য কথা। তবে আপনারা সাবধান হয়ে যান (আমার ব্যাপারে আপনারা জেনে রাখ) আমি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব তাতে আমরা কোন ফখর নেই। একমাত্র আমার হাতেই কিয়ামতের দিন প্রশংসার পতাকা থাকবে যার অধীনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে সমস্ত নবী রসূল, সমস্ত কায়িনাত সেই পতাকা তলে আশ্রয় নিবেন তাতেও আমার কোন ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন আমিই সর্ব প্রথম সুপারিশ করব এবং আমার সুপারিশই সর্ব প্রথম কবুল করা হবে তাতেও আমার কোন ফখর নেই, আমিই ক্বিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম বেহেস্তের দরজায় নাড়া দিব। আমার জন্য সর্ব প্রথম বেহেস্ত খোলা হবে, আমি এবং আমর কিছু খাছ উম্মত সর্ব প্রথম বেহেস্তে প্রবেশ করব তাতেও আমার কোন ফখর নেই, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল কায়িনাতের মধ্যে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত তাতেও আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী – কিতাবুল মানাকিব হাদীস: ৩৬১৬ , দারেমী ৪৭, মিশকাত, কানযুল উম্মাল)
অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে বর্ণিত একদা কতিপয় ছাাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এক স্থানে বসে কিছু বিষয় আলোচনা করতে ছিলেন এমন সময় আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হুজরা শরীফ থেকে বের হয়ে উনাদের নিকটবর্তী হয়ে সে আলোচনা শুনতে পেলেন। উনাদের মধ্যে একজন আলোচনা করলেন যে মহান আল্লাহ পাক হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আরেকজন বললেন মহান আল্লাহ পাক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার সাথে সরাসরী কথা বলেছেন। আরেকজন বললেন, মহান আল্লাহ পাক হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে কালিমাতুল্লাহ ও রুহুল্লাহ করেছেন। অন্য আরেকজন বললেন মহান আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে খাছ ভাবে (কুদরতী হাতে সৃষ্টি) মনোনীত করেছেন। এমন সময় আল্লাহ পাক উনার নবী সাইয়্যিদুল খালায়িক্ব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সামনে হাজির হয়ে বললেন, আমি আপনাদের কথা/আলোচনা ও পূর্ববর্তী নবী রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের মর্যাদা বর্ণনা করে আশ্চর্য হওয়ার অবস্থা শ্রবন করেছি। আপনারা জেনে রাখেন, নিশ্চয়ই হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তিনি খলীলুল্লাহ ছিলেন এটা সত্য কথাই, হযরত মুসা আলাইহিস সালাম নাজিউল্লাহ ছিলেন এটাও সত্য কথা, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি আল্লাহ পাক উনার রুহু ও কালিমা ছিলেন এটাও সত্য কথা। আর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খাছ ভাবে মনোনীত করেছেন। এটাও সত্য কথা। তবে আপনারা সাবধান হয়ে যান (আমার ব্যাপারে আপনারা জেনে রাখ) আমি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব তাতে আমরা কোন ফখর নেই। একমাত্র আমার হাতেই কিয়ামতের দিন প্রশংসার পতাকা থাকবে যার অধীনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে সমস্ত নবী রসূল, সমস্ত কায়িনাত সেই পতাকা তলে আশ্রয় নিবেন তাতেও আমার কোন ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন আমিই সর্ব প্রথম সুপারিশ করব এবং আমার সুপারিশই সর্ব প্রথম কবুল করা হবে তাতেও আমার কোন ফখর নেই, আমিই ক্বিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম বেহেস্তের দরজায় নাড়া দিব। আমার জন্য সর্ব প্রথম বেহেস্ত খোলা হবে, আমি এবং আমর কিছু খাছ উম্মত সর্ব প্রথম বেহেস্তে প্রবেশ করব তাতেও আমার কোন ফখর নেই, সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল কায়িনাতের মধ্যে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত তাতেও আমার কোন ফখর নেই। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী – কিতাবুল মানাকিব হাদীস: ৩৬১৬ , দারেমী ৪৭, মিশকাত, কানযুল উম্মাল)
আলোচ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যম দিযে যে বিষয়গুলো প্রতিভাত হয়। যথা:-
১. হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ পূর্ববর্তী নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ-এর ফযীলত, মর্যাদা, মর্তবা, শান-শওকত নিয়ে আলোচনা করতেন। আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম তা সমর্থনও করলেন এমনকি তা নিষেধ না করে স্বয়ং নিজের প্রশংসা মুবারক উনাদেরকে জানিয়ে দিলেন।
২. পরবর্তীদের জন্য পূর্ববর্তীদের ছানা-ছিফত প্রশংসা মুবারক করা তথা উম্মতের জন্য উনাদের নবীর শানে মীলাদুন নবী করা সুন্নত।
৩. ক্ষেত্র বিশেষে নিজের প্রশংসা নিজে করাও সুন্নত।
৪. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনিই উনাকে মুহব্বত মুবারক করেন। সেই মুহব্বত মুবারকের কারনেই মহান আল্লাহ পাক সমগ্র কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে এসেছে- মহান আল্লাহ পাক বলেন,
كُنْتُ كَنْزَا مُخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْخَلْقَ لِاُعْرَفَ.
অর্থঃ- আমি গুপ্ত ছিলাম। তখন আমর মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশিত হই, তখনই আমি সৃষ্টি করলাম (আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে)। (আল মাকাসিদুল হাসানা ৮৩৮, কাশফূল খিফা/২০১৩, আসনাল মুত্বালিব/ ১১১০, তমীযুত তসীয়ূত তীব/১০৪৫, আসরারুল মারফুআ/৩৩৫, তানযিয়াতুশ শরীয়াহ ১/১৪৮, আদ্দুরারুল মুন্তাছিরা/৩৩০, আত্ তায্কিরা ফি আহাদীসিল মুশতাহিরা/১৩৬)
নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাবীবুল্লাহ হওয়ার কারণেই মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকের সাথে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারককে সংযুক্ত করে দিয়েছেন। উনার উসীলাতেই সমগ্র কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন, উনার মুবারক উসীলাতেই মহান বারে এলাহী সমগ্র মাখলুকাতকে রহমত বরকত সাকীনা দান করেছেন এমনকি স্বয়ং রব্বুল আলামীন উনার রুবুবিয়্যত মুবারক প্রকাশ করেন উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায়।
৫. সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম, সমস্ত ক্বায়িনাত, সমস্ত মাখলুকাত এককথায় মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত কিছুই ইহকাল ও পরকালে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধীন হবে।
৬. সর্ব প্রথম আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় খাছ খাছ উম্মতগণ সহ জান্নাতে প্রবেশ করবেন। সর্ব প্রথম তিনিই জান্নাত খোলার জন্য জান্নাতের দরজায় কড়া নাড়া দিবেন এবং উনার জন্যই উহা খোলা হবে। এর পূর্বে কোন মাখলুকাতই জান্নাত দেখতেও পারবেনা, তাতে প্রবেশও করতে পারবেনা।
৭. সৃষ্টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন আফদ্বালুল কায়িনাত, খইরু খলক্বিল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সকল মাখলুকাতই আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায় মর্যাদা লাভ করেছে। এমনকি কোন নবীকে নবুওয়াত দেয়া হয়নি কোন রসূলকে রিসালত দেয়া হয়নি। যতক্ষন পর্যন্ত সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বীকৃতি না দিয়েছেন। সুতরাং নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ উনাদের নুবূওয়াত ও রিসালত আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায়ই লাভ করেছেন।
১. হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ পূর্ববর্তী নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ-এর ফযীলত, মর্যাদা, মর্তবা, শান-শওকত নিয়ে আলোচনা করতেন। আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম তা সমর্থনও করলেন এমনকি তা নিষেধ না করে স্বয়ং নিজের প্রশংসা মুবারক উনাদেরকে জানিয়ে দিলেন।
২. পরবর্তীদের জন্য পূর্ববর্তীদের ছানা-ছিফত প্রশংসা মুবারক করা তথা উম্মতের জন্য উনাদের নবীর শানে মীলাদুন নবী করা সুন্নত।
৩. ক্ষেত্র বিশেষে নিজের প্রশংসা নিজে করাও সুন্নত।
৪. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনিই উনাকে মুহব্বত মুবারক করেন। সেই মুহব্বত মুবারকের কারনেই মহান আল্লাহ পাক সমগ্র কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে এসেছে- মহান আল্লাহ পাক বলেন,
كُنْتُ كَنْزَا مُخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْخَلْقَ لِاُعْرَفَ.
অর্থঃ- আমি গুপ্ত ছিলাম। তখন আমর মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশিত হই, তখনই আমি সৃষ্টি করলাম (আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে)। (আল মাকাসিদুল হাসানা ৮৩৮, কাশফূল খিফা/২০১৩, আসনাল মুত্বালিব/ ১১১০, তমীযুত তসীয়ূত তীব/১০৪৫, আসরারুল মারফুআ/৩৩৫, তানযিয়াতুশ শরীয়াহ ১/১৪৮, আদ্দুরারুল মুন্তাছিরা/৩৩০, আত্ তায্কিরা ফি আহাদীসিল মুশতাহিরা/১৩৬)
নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাবীবুল্লাহ হওয়ার কারণেই মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকের সাথে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারককে সংযুক্ত করে দিয়েছেন। উনার উসীলাতেই সমগ্র কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন, উনার মুবারক উসীলাতেই মহান বারে এলাহী সমগ্র মাখলুকাতকে রহমত বরকত সাকীনা দান করেছেন এমনকি স্বয়ং রব্বুল আলামীন উনার রুবুবিয়্যত মুবারক প্রকাশ করেন উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায়।
৫. সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম, সমস্ত ক্বায়িনাত, সমস্ত মাখলুকাত এককথায় মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত কিছুই ইহকাল ও পরকালে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধীন হবে।
৬. সর্ব প্রথম আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় খাছ খাছ উম্মতগণ সহ জান্নাতে প্রবেশ করবেন। সর্ব প্রথম তিনিই জান্নাত খোলার জন্য জান্নাতের দরজায় কড়া নাড়া দিবেন এবং উনার জন্যই উহা খোলা হবে। এর পূর্বে কোন মাখলুকাতই জান্নাত দেখতেও পারবেনা, তাতে প্রবেশও করতে পারবেনা।
৭. সৃষ্টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন আফদ্বালুল কায়িনাত, খইরু খলক্বিল্লাহ হযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সকল মাখলুকাতই আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায় মর্যাদা লাভ করেছে। এমনকি কোন নবীকে নবুওয়াত দেয়া হয়নি কোন রসূলকে রিসালত দেয়া হয়নি। যতক্ষন পর্যন্ত সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বীকৃতি না দিয়েছেন। সুতরাং নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম গণ উনাদের নুবূওয়াত ও রিসালত আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায়ই লাভ করেছেন।
আল্লাহ পাক উনার কালাম পবিত্র কুরআন শরীফ-্উনার প্রতিটি পারায়, প্রতিটি সূরায়, প্রতি আয়াত শরীফ-এ, প্রতি শব্দে, অক্ষরে, হরকতে ও নুক্তায় নুক্তায় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফযীলত, মর্যাদা, মর্তবা শান-শওকত বর্ণনা করা হয়েছে।
এক কথায় মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যত মর্যাদা-মর্তবা রয়েছে সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন নূরে মাজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তিনি শুধুমাত্র আল্লাহ পাক নন, এছাড়া আর যত মর্যাদা ও মর্তবা রয়েছে। সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
এক কথায় মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যত মর্যাদা-মর্তবা রয়েছে সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন নূরে মাজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তিনি শুধুমাত্র আল্লাহ পাক নন, এছাড়া আর যত মর্যাদা ও মর্তবা রয়েছে। সমস্ত মর্যাদা ও মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
যে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই উনার প্রশংসা মুবারক করেছেন, সেখানে আমরা উম্মত হয়ে যদি প্রসংসা করি ওহাবীদের গা জ্বালা করে কেন???