রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১৬

রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১৬
বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মাদরাসা, মাসজিদ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা
বলা হয় "মহান আল্লাহ পাক হচ্ছেন বান্দার ধারণা অনুযায়ী" অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি মানুষের যত সুন্দর-বিশুদ্ধ-স্বচ্ছ বিশ্বাস থাকবে মহান আল্লাহ পাক সেই বান্দাকে সেভাবেই ধরা দেবেন। তাই যখন কোন নেক নিয়ত করার প্রয়োজন হয় তখন সরবোচ্চ নিয়তই করতে হয় আর এতে দেখা যায় মানুষ কোন নেক কাজ সম্পূর্ণ করতে না পারলেও কেবল নেক নিয়তের কারণে তিনি কাজটি সম্পূর্ণ হবার সকল সওয়াব পান, সুবহানাল্লাহ। কেউ যদি পবিত্র কুর‍য়ান শরীফ হেফজ করার নিয়ত করেন এবং তা শেষ না করেই ইন্তিকাল করেন তখন সেই ব্যাক্তিকে কবরে হাফেজ হিসেবেই তৈরি করে কিয়ামতের ময়দানে তোলা হবে। সুবহানাল্লাহ।
সারা বিশ্বে কোটি কোটি মাসজিদ মাদরাসা নির্মাণ করার পরিকল্পনা হচ্ছে সেই সরবোচ্চ, বিশুদ্ধ নিয়ত যার প্রতিদান কেবল মহান আল্লাহপাকই দান করতে থাকেন কারণ তিনি হচ্ছে সর্বোত্তম দাতা ও গণী।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন- المسجد بيت الله و المدرسة بيتى
অর্থ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সম্মানিত মসজিদ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর এবং সম্মানিত মাদরাসা হচ্ছেন- আমার ঘর।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন ,নূরে মুজাসসাম ,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ بَنى لِلّهِ مَسْجِدًا بَنى اللهُ لَه بَيْتًا فِيْ الْجَنَّةِ অর্থ : “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহপাক উনার জন্য মসজিদ তৈরী করবে মহান আল্লাহপাক তিনি সম্মানিত জান্নাতে তার জন্য বালাখানা তৈরি করবেন।” সুবহান্নাল্লাহ।“হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি- “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহপাক উনার জন্য পবিত্র মসজিদ তৈরী করবে, মহান আল্লাহপাক তিনি সম্মানিত জান্নাতে তার জন্য অনুরূপ (বালাখানা) তৈরি করবেন।” (মিশকাত শরীফ) সুবহান্নাল্লাহ।
ক্বিয়ামত পর্যন্ত পবিত্র মসজিদ ও পবিত্র মাদরাসায় যত নেক আমল হবে, সমস্ত নেক আমলের ছওয়াব তার আমলনামায় পৌছতেই থাকবে। অপরদিকে উক্ত পবিত্র মসজিদ-মাদরাসার মাধ্যমে যতো ইলমী খিদমত হবে, তার ছওয়াবও উক্ত মসজিদ মাদরাসা নির্মাণের অংশ গ্রহনকারীগণ ক্বিয়ামত পর্যন্ত পেতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ।

0 Comments: