সুন্নতী খাবার শুকনা গোশত

Related image৩. শুকনো গোশত

লাহুম মুছলাহ/লুহুমুল জাফফাহ/লাহমুন ক্বদীদ/ লাহমাতুন ফা্আসিদাহ  :
আরবীতে ..... শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে শুকনা গােশত। অর্থাৎ কাচা
গোশতকে রোদে শুকানোর পর গাস্তের ভেতরে থাকা পানি সম্পূর্ণরূপে
শুকানাের পর (যাকে ইংরেজিতে Dehydration বলে) গােশতের যে অবস্থাটি তৈরী।
হয় তাকে লাহমুন মুছলা বা শুকনা গোশত বলা হয়।
 এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে


حضرت ثوبان رضی الله تعالى عنه قال ضځی رسول صلى الله عليه وسلم ثم
قال يا ويا رضى الله تعالى عنه أطلة لنا لحم هذه الشاة. قال فما زلت أطعمه
منها حتى قدمنا المدينة.

অর্থ: “হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি কুরবানী মুবারক করলেন। অতঃপর ইরশাদ মুবারক করলেন, হে হযরত
সাওবান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! এই বকরীর গোশত আমাদের জন্য শুকিয়ে
আনুন। হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি পবিত্র
মদীনা শরীফ উনার মধ্যে পৌঁছা পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে এই গােশত পেশ করা
হতে ক্ষান্ত হয়নি। (আবু দাউদ শরীফ : কিতাবুত দোয়া হ্যা : হাদীস শরীফ নং ২৮১৪)।                 ১৯

শুকনা গােশত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরাে বর্ণিত

عن حضرت انس رضی الله تعالى عنه قال رأيت النبي صلى الله عليه وسلم أتي
مرقة فيها داء قديد فرآینه يت الداء يأكلها.

অর্থ : “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে কিছু শুরুয়া হাজির করা হল, যাতে কদু ও
শুকনো গোশত ছিল। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদু বেছে বেছে খাচ্ছিলেন।” (বুখারী শরীফ :
কিতাবুত ক্বিয়ামাহ : হাদীস শরীফ নং ৫৪৩৭)
শুকনা গােশত তৈরীর প্রক্রিয়া ;
১. গোশত চিকন করে দড়ি আকৃতিতে অথবা পাতলা বিস্কুট আকৃতিতে।
কাটতে হবে।
২. হলুদ গুঁড়ার পেস্ট গোশতে মাখিয়ে নিতে হবে।
৩. দড়ির আকৃতিতে কাটা গোশতের এক প্রান্তে অথবা বিস্কুট আকৃতিতে কাটা।

গোশতের মাঝখানে ধাতব তার বা চিকন লোহা দিয়ে ছিদ্র করতে হবে।
৪. নিরাপদ স্থানে রোদে শুকাতে হবে।

সংরক্ষণ পদ্ধতি : বায়ুরোধী কাচের বোতল বা কোটায় শক্তভাবে মুখ
আটকিয়ে রাখতে হবে। ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা।
হলে শুকনো গোশত ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
 রান্নার প্রণালী : প্রথমে শুকনো গোশত ১৫-২০ মিনিট চুলায় জাল দিয়ে পানি।
ছেলে স্বাভাবিক গোশতের মতে রান্না করতে হবে।                                                                        ২০
উপকারিতা : ১.খুবই সুস্বাদু ২. ক্যালসিয়ামের উৎস ৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ৪. চর্বিহীন ।

0 Comments: