অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সায়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি এবং উনার কার্যক্রম।
বছরব্যাপী তাবারুক বিতরণ/ বিশেষ দিনে বিশেষ তাবারুক
সকল ওলী আল্লাহগণই সম্মদশালী হয়ে থাকেন কারণ যেহেতু উনারা দুনিয়া তরক করে থাকেন ফলে দুনিয়া উনাদের পেছনে পেছনে ছোটে। তাহলে এই সহজ ফর্মুলা থেকে বোঝা যায় যিনি যত দুনিয়াকে পায়ে ঠেলবেন ততই দুনিয়া উনাদের কাছে ধরা দেবেন। সে কারণে দেখা যায় যারা আছাছুল খাস ওলী আল্লাহ উনারা অকাতরে ধন সম্পদ দান করতেন। সেই প্রক্রিয়া আজও আছে এবং থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। সম্পদ থাকলেই দান করা যায় খরচ করা যায়। না থাকলে খরচ বা দেবার প্রশ্নই আসে না।
পূর্বের অনেক ইমাম ও মুস্তাহিদ উনারা নিজের অর্থ খরচ করে উনার ছাত্রদের শেখাতেন এবং ভাতা দিতেন। অর্থাৎ তলিবে ইলম উনাদের ভরণ পোষণের দায়িত্বও ইমাম মুস্তাহিদ উনারাই গ্রহন করতেন। এ ছাড়াও আমরা জানি পূর্ববর্তী সকল মুজাদ্দিদ যেমন হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাদ্দিদে আল ফি সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের পবিত্র দরবার শরীফে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তবারুক খেতেন। তারপরেও বলা যায় সে সময়কার জীবন ব্যবস্থা বর্তমান সময়য়ের মত কঠিন ছিলনা। একটি হাদিস শরীফ থেকেই বিষয়টি উপলব্ধি করা যেতে পারে। হাদিস শরীফ উনার মাঝে রয়েছে "শেষ যামানায় সুন্নত পালন করতে দিনার-দিহরামের প্রয়োজন পড়বে"। অর্থ বেশ স্পষ্ট। সুন্নত পালন অর্থই হচ্ছে সম্মানিত শরীয়ত পালনের বিষয় অর্থাৎ শেষ যামানায় শরীয়ত পালন করতে অর্থের প্রয়োজন পড়বে । এখান থেকে আরও যে অর্থ গ্রহন করা যায় তা হচ্ছে শেষ যামানায় অর্থ ছাড়া দৈনন্দিন কার্যক্রমতো করা যাবেই না এমন কি আমল করতেও অর্থের দরকার পরবে।
তাহলে এই সময়ে যিনি প্রতিদিন তিন বেলা হাজার হাজার মানুষকে খাওয়াচ্ছেন, উনাদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব গ্রহন করছেন, মাসজিদ-মাদরাসা এতিম খানা চালাচ্ছেন তিনি যে কত গনী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে নিসবত-কুরবত প্রাপ্ত তা সাধারণের অনুভবের অনেক ঊর্ধ্বে। প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের আয়োজনের পাশাপাশি "বিশেষ আইয়ামুল্লাহ" বা আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন যুক্ত যে সকল দিন- রাত রয়েছে সেদিন বিশেষ ব্যবস্থায় পরিবেশন করা হয় বিশেষ খাবার। পোলাও, গরু-খাসীর রেজালা, মুরগীর রোস্ট, টিকিয়া, জরদা-ফিন্নী এসব হচ্ছে অতি পরিচিত কয়েকটি খাবার যা বিশেষ দিনগুলোতে পরিবেশন করা হয়। সারা বছরে এখন পর্যন্ত হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের কাছে কিতাবে প্রকাশিত দিনসমূহ সহ মোট ৭৪ দিন বিশেষ আইয়ামমুল্লাহ হিসেবে প্রকাশ করেছেন, যা সামনে আর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিশেষ দিন সমূহের মধ্যে যেদিন হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ উপস্থিত হয় সেদিন হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত আকিকা মুবারকের জন্য পশু যবেহ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। পবিত্র জুমুয়াবার এবং পবিত্র ইসনাইনীল আযীম শরীফে তিনি আলাদাভাবে আকিকা পালনারথে পশু যবেহ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। সুবহানাল্লাহ। কেবল এ বছর অর্থাৎ ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র ১২ শরীফ উনার সম্মানার্থে মানুষকে খাওয়ানোর জন্য কেনা হয় অর্ধ লক্ষ মুরগী; টাকার অঙ্কে আসে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার উপরে । কেবল ৬৩ দিন মাহফিল উনার মধ্যে যবেহ করা হয় ৬৩ টি খাসী এছাড়া কেবল ১২ই শরীফ উনার দিনে যবেহ করা হয় একটি বড় আকারের (এখানে বড় আকার বলতে সে সময়ে বাজারে পাওয়া সবচেয়ে বড় প্রানী) মহিষ, একটি বড় আকারের গরু, একটি বড় আকৃতির খাসী এছাড়া আলাদাভাবে ৯ টি খাসী ( মোট ১২ টি প্রানী) । সুবহানাল্লাহ। এখান থেকে সহজেই অনুমেয় কি ধরণের প্রস্তুতি চলে সারা বছর ধরে। প্রতি বছর ১০-১১- ১২ ই যিলহজ্জ শরীফে প্রায় ২৫০ টি গরু, ৪৫০ টি খাসী কুরবানী করা হয় এবং এ সকল গোশত সমূহ সংরক্ষণ করা হয় বৃহদাকারের ফ্রীজে। কেবল গোশত সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যেই বিদেশ থেকে কেনা হয়েছে ২৪ টন ধারণ ক্ষমতার বিশাল ফ্রিজ। এ ছাড়াও রয়েছে ৮ টন ধারণ ক্ষমতার আরও ৩ টি ফ্রিজ।
১৫ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সঙ্গে নিসবত মুবারক হাছিলের এক বিস্ময়কর অধ্যায় রচনা করেছেন , তিনি মহান আলাহপাক ও উনার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের মুহব্বতের এক নতুন দিগন্ত রচনা করেছেন যে দিগন্তদিয়ে কেবলই ১৫ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিত আহল পাক গণ উদ্ভাসিত। সুবহানাল্লাহ।
পূর্বের অনেক ইমাম ও মুস্তাহিদ উনারা নিজের অর্থ খরচ করে উনার ছাত্রদের শেখাতেন এবং ভাতা দিতেন। অর্থাৎ তলিবে ইলম উনাদের ভরণ পোষণের দায়িত্বও ইমাম মুস্তাহিদ উনারাই গ্রহন করতেন। এ ছাড়াও আমরা জানি পূর্ববর্তী সকল মুজাদ্দিদ যেমন হযরত বড় পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাদ্দিদে আল ফি সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের পবিত্র দরবার শরীফে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তবারুক খেতেন। তারপরেও বলা যায় সে সময়কার জীবন ব্যবস্থা বর্তমান সময়য়ের মত কঠিন ছিলনা। একটি হাদিস শরীফ থেকেই বিষয়টি উপলব্ধি করা যেতে পারে। হাদিস শরীফ উনার মাঝে রয়েছে "শেষ যামানায় সুন্নত পালন করতে দিনার-দিহরামের প্রয়োজন পড়বে"। অর্থ বেশ স্পষ্ট। সুন্নত পালন অর্থই হচ্ছে সম্মানিত শরীয়ত পালনের বিষয় অর্থাৎ শেষ যামানায় শরীয়ত পালন করতে অর্থের প্রয়োজন পড়বে । এখান থেকে আরও যে অর্থ গ্রহন করা যায় তা হচ্ছে শেষ যামানায় অর্থ ছাড়া দৈনন্দিন কার্যক্রমতো করা যাবেই না এমন কি আমল করতেও অর্থের দরকার পরবে।
তাহলে এই সময়ে যিনি প্রতিদিন তিন বেলা হাজার হাজার মানুষকে খাওয়াচ্ছেন, উনাদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব গ্রহন করছেন, মাসজিদ-মাদরাসা এতিম খানা চালাচ্ছেন তিনি যে কত গনী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে নিসবত-কুরবত প্রাপ্ত তা সাধারণের অনুভবের অনেক ঊর্ধ্বে। প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের আয়োজনের পাশাপাশি "বিশেষ আইয়ামুল্লাহ" বা আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন যুক্ত যে সকল দিন- রাত রয়েছে সেদিন বিশেষ ব্যবস্থায় পরিবেশন করা হয় বিশেষ খাবার। পোলাও, গরু-খাসীর রেজালা, মুরগীর রোস্ট, টিকিয়া, জরদা-ফিন্নী এসব হচ্ছে অতি পরিচিত কয়েকটি খাবার যা বিশেষ দিনগুলোতে পরিবেশন করা হয়। সারা বছরে এখন পর্যন্ত হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের কাছে কিতাবে প্রকাশিত দিনসমূহ সহ মোট ৭৪ দিন বিশেষ আইয়ামমুল্লাহ হিসেবে প্রকাশ করেছেন, যা সামনে আর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিশেষ দিন সমূহের মধ্যে যেদিন হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ উপস্থিত হয় সেদিন হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত আকিকা মুবারকের জন্য পশু যবেহ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। পবিত্র জুমুয়াবার এবং পবিত্র ইসনাইনীল আযীম শরীফে তিনি আলাদাভাবে আকিকা পালনারথে পশু যবেহ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। সুবহানাল্লাহ। কেবল এ বছর অর্থাৎ ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র ১২ শরীফ উনার সম্মানার্থে মানুষকে খাওয়ানোর জন্য কেনা হয় অর্ধ লক্ষ মুরগী; টাকার অঙ্কে আসে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার উপরে । কেবল ৬৩ দিন মাহফিল উনার মধ্যে যবেহ করা হয় ৬৩ টি খাসী এছাড়া কেবল ১২ই শরীফ উনার দিনে যবেহ করা হয় একটি বড় আকারের (এখানে বড় আকার বলতে সে সময়ে বাজারে পাওয়া সবচেয়ে বড় প্রানী) মহিষ, একটি বড় আকারের গরু, একটি বড় আকৃতির খাসী এছাড়া আলাদাভাবে ৯ টি খাসী ( মোট ১২ টি প্রানী) । সুবহানাল্লাহ। এখান থেকে সহজেই অনুমেয় কি ধরণের প্রস্তুতি চলে সারা বছর ধরে। প্রতি বছর ১০-১১- ১২ ই যিলহজ্জ শরীফে প্রায় ২৫০ টি গরু, ৪৫০ টি খাসী কুরবানী করা হয় এবং এ সকল গোশত সমূহ সংরক্ষণ করা হয় বৃহদাকারের ফ্রীজে। কেবল গোশত সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যেই বিদেশ থেকে কেনা হয়েছে ২৪ টন ধারণ ক্ষমতার বিশাল ফ্রিজ। এ ছাড়াও রয়েছে ৮ টন ধারণ ক্ষমতার আরও ৩ টি ফ্রিজ।
১৫ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সঙ্গে নিসবত মুবারক হাছিলের এক বিস্ময়কর অধ্যায় রচনা করেছেন , তিনি মহান আলাহপাক ও উনার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের মুহব্বতের এক নতুন দিগন্ত রচনা করেছেন যে দিগন্তদিয়ে কেবলই ১৫ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম এবং উনার সম্মানিত আহল পাক গণ উদ্ভাসিত। সুবহানাল্লাহ।
0 Comments:
Post a Comment