সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-৪৪

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি তিনি দায়িমীভাবে যাবতীয় সুন্নতপালনে অভ্যস্ত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি অন্যদেরকেও সম্মানিত সুন্নতপালনে অভ্যস্ত করে তুলেছেন। এজন্য মুবারক হায়াতে ত্বইয়্যিবাতে তিনি সীমাহীন শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম উনাদের অধিকারী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও তিনি তুলনাহীন শান-মান ও মর্যাদা মাক্বাম উনাদের অধিকারী হয়েছেন। মূলত তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছছুল খাছ নিছবত মুবারকেই সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান করবেন। সুবহানাল্লাহ!

মানুষের জীবনে সম্মানিত সুন্নত দুভাবে পালিত হয়ে থাকে। ১. ইচ্ছাকৃতভাবে সুন্নত পালন, যা মানুষের ইখতিয়ারভুক্ত। ২. যে সব সুন্নত ইখতিয়ার বহির্ভূত, অর্থাৎ সাধ্যাতীত সুন্নত, যা অন্য বিষয় বা অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে পালনের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়। অন্য ব্যক্তি বা বিষয়ের মাধ্যমে যে সব সম্মানিত সুন্নত প্রতিপালিত হয়, তাও আবার দুপ্রকার।

১.    নেককার-পরহেযগার-আল্লাহওয়ালা উনাদের নেক নিয়তপ্রসূত সাহায্য-সহযোগিতার কারণে সম্মানিত সুন্নত পালিত হওয়া। ২. সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিরোধিদের বিদ্বেষের কারণে সম্মানিত সুন্নত পালনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। সুবহানাল্লাহ!

সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদের পবিত্র জীবন মুবারকে আলোচ্য দুধরণের সুন্নত মুবারক উনাদের মুবারক সংযোগ ঘটে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাবতীয় সম্মানিত সুন্নত মুবারক হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত ও অনুসরণ-অনুকরণের মাধ্যমেই নিগূঢ় নৈকট্যধন্য সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ হওয়ার বিষয়টি শর্তযুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

কাফিররা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সার্বিক বিরোধিতা করছে। আর তিনি সেসব বিরোধিতায় পবিত্র কোমলান্তকরণময়তায় সীমাহীন ধৈর্যধারণ করেছেন। মুবারক ধৈর্যধারণের মাধ্যমে তিনি কায়িনাতবাসীকে সুখে:দুখে, আপদে-বিপদে এবং আনন্দ-বেদনায় ধৈর্য শিক্ষা ও উপকারিতাদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ইসলাম বিরোধিদের বিরোধিতা, নিন্দুকের নিন্দা এবং সমালোচকদের সমালোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে অসহনীয় জুলুম, নিযাতন ও কষ্টভোগ করা হচ্ছে খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবধি ইখতিয়ারভুক্ত সকল সম্মানিত সুন্নতপালনে দায়িমীভাবে অভ্যস্ত থাকা আখাছছুল খাছ ওলীআল্লাহ উনাদের মুবারক স্বভাব-সম্পৃক্ত। একই সঙ্গে নেককার-পরহেযগার, আল্লাহওয়ালা উনাদের সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালিত হওয়ার বিষয়টিও নৈকট্যধন্য ওলীআল্লাহ উনাদের মুবারক গুণ-বৈশিষ্ট্য। মাহবূব ওলীআল্লাহগণ উনারা উপরোক্ত দুপ্রকার সম্মানিত সুন্নত মুবারকেই বিভূষিত হয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)

আবা-২৫৪

0 Comments: