পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ
আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ
অভ্যস্ততা
পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم من قرأ القران وعمل بما فيه البس والداه تاجا يوم القيامة ضوئه احسن من ضوء
الشمس فما ظنكم بالذى عمل بهذا.
অর্থ: নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন:
“যে ব্যক্তি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ পাঠ করলেন এবং তদনুযায়ী আমল করলেন, উনার পিতা-মাতাকে
মহান আল্লাহ পাক তিনি হাশরের দিন সূর্যের চেয়েও অধিক দীপ্তিমান নূর মুবারক উনার টুপী
মুবারক হাদিয়া করবেন। এ প্রেক্ষিতে যিনি স্বয়ং পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ পাঠকারী ও আমলকারী
উনাকে কী পরিমাণ ফযীলতদান করা হবে? অর্থাৎ, উনাকে যে
অতুলনীয় ফযীলতদান করা হবে,
তার পরিমাণ কেবল মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি
এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারাই সম্যকরূপে অবহিত।” সুবহানাল্লাহ!
উপরে বর্ণিত
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্মানুযায়ী সহজেই অনুমেয় যে, যামানার ইমাম
ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ,
খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে
মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল
ইসলাম, সুলত্বানুন নাছীর,
সুলত্বানুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ, সুলত্বানুল
আরিফীন, ইমামুল আইম্মাহ,
ক্বইয়্যূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল
আউয়াল, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, জামিউল আলক্বাব, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস
সালাম উনার মহা-সম্মানিতা আম্মাজান ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি কতোটুকু সম্মান ও মর্যাদার অধিকারিণী! যদিও আপন শান-মান, মর্যাদা ও
মাক্বাম উনাদের বদৌলতেই তিনি যাবতীয় নিয়ামতের ধারক ও বাহক। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছে
কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
ان اوليائى تحت قبائى لا يعرفهم
غيرى الا اوليائى
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমার
মাহবূব ওলীগণ আমার কুদরতী জুব্বাহ মুবারক উনার মধ্যে অবস্থান করেন। উনাদের শান-মান, মর্যাদা-মাক্বাম
হাক্বীক্বীভাবে একমাত্র আমি এবং আমার আখাছছুল খাছ ওলীগণ ছাড়া অন্য কারো সমঝ ও উপলব্ধিতে
নেই।” সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত পবিত্র
হাদীছ শরীফ থেকে সুস্পষ্টভাবে দু’টি বিষয় প্রতিভাত
হয়। ১. আমলকারীর আমলের কারণে আমলকারীর পিতা-মাতা ফযীলতপ্রাপ্ত হবেন। ২. আমলকারী তিনি
নিজেও বেমেছাল মর্যাদার অধিকারী হবেন। এ প্রেক্ষিতে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, উম্মু সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদিল আ’যম, জাদ্দাতু খলীফাতিল উমাম আলাইহিস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে
উম্মু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ,
ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, মালিকায়ে জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস
সালাম উনার সীমাহীন শান-মান ও মর্যাদা-মাক্বামের বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। সুবহানাল্লাহ!
(চলবে)
আবা-২৫২
0 Comments:
Post a Comment