পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম,
আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা
সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে
কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী
পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
আখাছছুল
খাছভাবে যাঁরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সঙ্গে নিগূঢ় তায়াল্লুক-নিসবত স্থাপনের মাধ্যমে উনার এবং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল
আলামীন উনার রিযামন্দি-সন্তুষ্টি ও মুহব্বত-মা’রিফাতলাভে কামিয়াব হয়েছেন, উনারা
সমধিক মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন। উনাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও
বিশেষ নিসবত উনার কারণে সীমাহীন মর্যাদা ও সম্মানলাভে ধন্য হয়েছেন। উনাদের মর্যাদা
ও সম্মান এমন যে,
কুল কায়িনাতের যাবতীয় কার্যাদি নির্বাহে উনাদের মুবারক
উসীলাকে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে
মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনারা মুবারক মাধ্যম হিসেবে সাব্যস্ত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মানুষের
সম্মানিত ও মর্যাদাবান হওয়ার বিষয়টি নানাভাবেই হয়ে থাকে। যেমন ১. মহান আল্লাহ পাক
উনার এবং আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক বখ্শিশ, যা’ রিয়াযত-মাশাক্কাত
করে কখনোই হাছিল করা যায়না। ২. ব্যক্তিগত কোশেশ, রিয়াযত মাশাক্কাত ইত্যাদি।
মূল যা
বিষয় তা হলো, হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিলের মাধ্যমে অভীষ্ট গন্তব্যে উপনীত হওয়ার জন্য মহান
আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আখাছছুল
খাছ দয়া, দান ও ইহসান অত্যাবশ্যক।
মহান
আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত কেবল বান্দার যোগ্য অন্তরেই ঠাঁইলাভ করে। এই পরম নিয়ামত
পেলেই বান্দা সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়।
তাই
কামিয়াব-সমৃদ্ধ বিদগ্ধ কবি উনার মরমী ক্বাছীদায় বলেন:
داد حق را قابلیت شرط نیست
بلک شرط قابلیت داد اوست
অর্থ: “নাজ-নিয়ামত
কোনো যোগ্যতার মুখাপেক্ষী নয়। ছাহিবে নিয়ামত মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
উনার এবং রউফুর রহীম,
রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, অর্থাৎ উনারা উনাদের অপার করুণাময়
ইহসান-সমৃদ্ধ নিয়ামত হাদিয়া করলেই বান্দা যোগ্যতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।” সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে
মাদারযাদ, আওলাদে রসূল,
ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহাস সালাম তিনি যে বেমেছাল রিয়াযত-মাশাক্কাত, যিকির-ফিকির করেছেন এবং
দায়িমীভাবে সকল সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা করেছেন, তার
কোনোই তুলনা নেই। সুবহানাল্লাহ!
সর্বোপরি
আখাছছুল খাছ আওলাদে রসূল হিসেবে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা-সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
উনাদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে,
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম
হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের সঙ্গে নিগূঢ় তা’য়াল্লুক-নিসবতের কারণে তিনি সীমাহীন মর্যাদা ও মাক্বাম উনাদের অধিকারী হয়েছেন।
সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৫১
0 Comments:
Post a Comment