পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম,
আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা
সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে
কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী
হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ
অভ্যস্ততা
নূরাণীগঞ্জ জেলার আড়াই
হাজার থানাধীন প্রভাকরদী শরীফে জিসিম মুবারক বহনকারী গাড়ী পৌঁছলে চারদিক চাদর
দ্বারা আবৃত করে গাড়ী থেকে জিসিম মুবারক নামানো হয়। মাযার শরীফ উনার চারদিকে চাদর টাঙ্গিয়ে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে
রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার জিসিম
মুবারক ওলীয়ে মাদারযাদ,
আওলাদে রসূল, ফখরুল আউলিয়া, ছাহিবে
ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, লিসানুল হক্ব, মুসতাজাবুদ
দা’ওয়াত, ছাহিবে ইসমে আ’যম, আফাদ্বালুল ইবাদ,
গরীবে নেওয়াজ, সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা
হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার মুবারক
সন্নিধানে শায়িত করে উনার উপর মাটি বিছিয়ে দেয়া হয়। উনাকে বহনকারী মুবারক খাটিয়াও কেউ দেখতে পায়নি। সুবহানাল্লাহ!
খাছ শরয়ী পর্দাপালনের এমন
অনন্য নযীর পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে
মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনারা উনাদের লক্ষ্যস্থল মাহবূব-মাহবূবা ওলীআল্লাহ উনাদেরকে প্রত্যাশিত ও
অপ্রত্যাশিত সকল নিয়ামতদানে সমৃদ্ধ করে থাকেন। উনাদের মুবারক হায়াতে ও মুবারক বিছাল শরীফ উনার পরে সকল আরজু পূরণের অনুকূল
ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়ে উনাদেরকে কামিয়াবীর শীর্ষতম সোপানে উপনীত করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু
ওয়া তা’য়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক
ব্যতিরেকে মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদের কাম্য বিষয় আর কিছুই থাকেনা। দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় নাজ-নিয়ামতের মধ্যে এই মুবারক
সন্তুষ্টিই উনাদের মূল পাওয়া। দুনিয়া ও
আখিরাতের কোন নিয়ামত,
এমনকি জান্নাত পেয়েও লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহগণ উনারা উনাদের
লব্ধ মুহব্বত ও মা’রিফাত বিনিময় করতে সম্মত হননা। শারীরিক
ও মানসিক নিদারুণ কষ্ট এবং জাগতিক নানাবিধ যন্ত্রণাকাতরতার মাঝেও মাহবূব ওলীগণ
উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর
রহীম, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের মুবারক আদেশ-নির্দেশ পালনের সকল বিষয়কে সর্বোতভাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
একদা হযরত জুনাইদ বাগদাদী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিজ্ঞাসিত হলেন: “ আপনি কী মহান আল্লাহ পাক উনার
দীদারের আকাঙ্খী নন?”
তিনি জাওয়াব দিলেন: “এমন বিষয়ের আকাঙ্খা করে কি লাভ, যা হযরত
মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি প্রার্থনা করেও পাননি? কিন্তু
ছাহিবু কা’বা কাওসাইনী আও আদনা,
নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি না চেয়েই সব পেয়েছেন। বান্দা-বান্দির
আকাঙ্খার কী প্রয়োজন?”
মূলত যা প্রয়োজন তা হলো, ছাহিবে নিয়ামত উনাকে হাছিল করা। ছাহিবে নিয়ামত উনার তুলনায় অন্য সবকিছুই তুচ্ছ। বান্দা-বান্দি উপযুক্ত হলে এমনিতেই স্থায়ীভাবে পর্দা উঠে
যায় এবং সর্বক্ষণ মুবারক দীদারসহ আনুষঙ্গিক যাবতীয় নিয়ামত হাছিল হতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
এমন নিয়ামত হাছিলের
লক্ষ্যে প্রয়োজন হলো মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা
উনার ইচ্ছা ও আদেশ মুবারক উনার সঙ্গে আপন আপন ইচ্ছা ও মত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ইচ্ছা ও মত উনার সঙ্গে আপন
আপন ইচ্ছা ও মত পরিপূর্ণরূপে মিলিয়ে দেয়া। অর্থাৎ
খালিছভাবে নফসানিয়ত বিসর্জন দিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র
ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আজ্ঞাবহ হওয়া। এর বাস্তব নমুনা আমরা লক্ষ্য করি ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে
রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন, সাইয়্যিদাতুন
নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা
আলাইহাস সালাম উনার মুবারক জীবনে। সুবহানাল্লাহ
আবা-২২৮
0 Comments:
Post a Comment