পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা
আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং
উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর
থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও
শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানা সত্ত্বেও উম্মত উনাদের ইবরত-নছীহতের
জন্য জানতে চান: “হে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম! আপনি কার কাছ থেকে এ মুবারক
জাওয়াব জেনেছেন?”
তিনি বলেন: “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া
হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছ
থেকে জেনেছি।” নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বলেন: “হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার কলিজা মুবারক উনার মুবারক টুকরা। (তিনি
আমার অন্তর মুবারক উনার কথাই বলেছেন)” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন, সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ,
ছাহিবাতুল হুসনা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস
সালাম উনার মুবারক ক্বওল শরীফ হলো: “মহিলারা শরয়ী পর্দাপালন করবেনা, এটি আমার
অপছন্দ। আরো বেশি অপছন্দ হলো: মহিলাদের গোসল, জানাযা ও কাফন-দাফনে খাছ
পর্দাপালন করা হবেনা।”
সুবহানাল্লাহ! পরকালে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার
পুলসিরাত পার হবার প্রাক্কালে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার পক্ষ
থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন: “তোমরা সকলেই তোমাদের দৃষ্টি অবনত
করো। হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি এখন পুলসিরাত পার হয়ে উনার মুবারক জান্নাতে
প্রবেশ করবেন।” এ ঘোষণার পর সকলেই তাদের দৃষ্টি অবনত করবে। হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার
সঙ্গে থাকবেন ৭০ হাজার হুর উনারা। হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নিমিষে পুলসিরাত
অতিক্রম করে উনার মুবারক জান্নাতে প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক বিছাল শরীফ উনার অব্যবহিত পূর্বে উম্মু
আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালমা আলাইহাস
সালাম উনাকে মুবারক অছিয়ত করেন: “হে আম্মাজান আলাইহাস সালাম! আমার বিছাল শরীফ উনার পর কাউকেই
যেনো সংবাদ দেয়া না হয়। আমার লাশ মুবারক কেউই যেনো দেখতে না পায়। অতি সংগোপনে যেনো
আমার কাফন-দাফন করা হয়।”
হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক বিছাল শরীফ উনার পর
উনার অছিয়ত মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা হয়। অতি সংগোপনে উনার কাফন-দাফন মুবারক
সম্পন্ন করা হয়। সুবহানাল্লাহ! মূলত ইন্তিকালের পর মহিলাদের গোসল, জানাযা ও
কাফন-দাফনে খাছ পর্দাপালন উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকেই শুরু
হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদুর রসূল, ক্বায়িম
মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস
সালাম উনার হাক্বীক্বী কায়িম মাক্বাম। তাই তিনিও হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার
অনুরূপ মুবারক বিছাল শরীফ অবধি হাক্বীক্বী শরয়ী পর্দাপালন করেছেন। একইভাবে মুবারক
বিছাল শরীফ উনার অব্যবহিত পূর্বে তিনি উপস্থিত সকলকে বলেন: “আমার
বিছাল শরীফ উনার পরে গোসল,
জানাযা, দাফন ও কাফন মুবারকে যেনো পরিপূর্ণরূপে পর্দাপালন করা হয়।
কেউই যেনো আমাকে দেখতে না পায়।” উনার মুবারক অছিয়ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়। লক্ষ্য করা
গেছে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার
মুজাদ্দিদে আ’যম সন্তান, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ,
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক তত্ত্বাবধানে প্রতি ধাপে ধাপে মুবারক অছিয়ত
পরিপূর্ণরূপে প্রতিপালিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২২৭
0 Comments:
Post a Comment