সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহে উমরী মুবারক-পর্ব-১৬

 

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-

হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম

উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা

উনার যাওজুল মুকাররাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদুর রসূল, ফখরুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ছাহিবে ইসমে আযম, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নূরানীগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার শরীফ থানাধীন প্রভাকরদী শরীফস্থ বুযুর্গ পূর্বপুরুষ উনাদের মুবারক সন্নিধানে পারিবারিক মাযার শরীফ উনার মধ্যে শায়িত রয়েছেন। উনারই মুবারক সান্নিধ্যে শায়িত রয়েছেন উনার ছাহিবাতুল মুকাররামা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি ২৪ শাওয়াল, ১৪৩২ হিজরী শুক্রবার শরীফ যথারীতি উনার হাত-পা মুবারক উনার নখ মুবারক কেটেছেন। গোসল মুবারক করেছেন। নাস্তা খেয়েছেন। কিছুক্ষণ ঘুমিয়েছেন। যোহর, আছর ও মাগরীব নামায আদায় করেছেন। সবার জন্য দুআকরেছেন। আবার অল্প কিছু সময় ঘুমিয়েছেন। ঘুম থেকে জেগে অযূ করেছেন। অতঃপর তিনি দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন অবস্থায় শুক্রবার শরীফ দিবাগত রাত, অর্থাৎ ২৫ শাওয়াল ১৪৩২ হিজরী, ২৬ রবি১৩৭৯ শামসী সন, ০৯ আশ্বিন ১৪১৮ ফসলী সন, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১ ঈসায়ী সন, ইওয়ামুস সাবতি, অর্থাৎ শুক্রবার শরীফ দিবাগত রাত ১০:৫৫ মিনিটে তিনি ঢাকা রাজারবাগস্থ আপন নিবাসে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার দীদারে গমন করেন। সুবহানাল্লাহ!

রাত শেষে দিনের বেলায় উনাকে আখাছছুল খাছ পর্দায় রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে প্রভাকরদী শরীফ নিয়ে যাওয়া হয়। দরবার শরীফ থেকে অনেক মানুষ প্রভাকরদী শরীফ যান। সেখানে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু উনার মুবারক লাশ দেখা তো দূরের কথা, উনার মুবারক কফিনও কেউ দেখতে পায়নি। উপরে-নিচে এবং চারদিকে খাছ পর্দা-আবৃত অবস্থায় উনাকে গাড়ী থেকে নামানো হয়।

ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদুর রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিাদাতুনা হযরত সাইয়্যিদা দাদী হুযূর ক্বিবলা কাবা আলাইহাস সালাম তিনি খাছ আওলাদে রসূল। এ কারণে তিনি আকরামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দাপালনের দায়িমী অভ্যস্ততা উনার মুবারক স্বভাব-সঞ্জাত। দৃষ্টান্ত স্বরূপ সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, বিদয়াতুম মির রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওয়ারিছাতুন নাবিয়্যী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছাহিবাতুল হুসনা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পর্দাপালনের বিষয় এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

লখতে জিগারে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক হায়াতে, মুবারক বিছাল শরীফে এবং মুবারক বিছাল শরীফ উনার পর যে হাক্বীক্বী পর্দাপালন করা হয়েছে, তা বর্ণনার ভাষা সৃষ্টি হয়নি। একজন মহিলার জন্য কোন বিষয়টি সর্বোত্তম”- এ মুবারক প্রশ্নের জাওয়াব আসাদুল্লাহিল গালিব, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে জেনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়েছেন। তা হলো: একজন মহিলার জন্য সর্বোত্তম বিষয় হলো, তাকে কোন বেগানা পুরুষ দেখবেনা এবং সে-ও কোন বেগানা পুরুষকে দেখবেনা।” (চলবে)

আবা-২২৬

0 Comments: