পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম
উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ
আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ
অভ্যস্ততা
উনারই সম্মানিতা আম্মাজান, ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে
হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম,
ছিদ্দীক্বায়ে কুবরা, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ
ওয়াল কারামত, কুতুবুল আলম,
মাহবূবায়ে ইলাহী, উম্মুল খইর, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসাইল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা
হযরত সাইয়্যিদাহ দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী)
তিনি যে শরয়ী পর্দা পালন ও সুন্নত পালনে দায়িমীভাবে অভ্যস্ত ছিলেন, তা নতুন করে
বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা।
মহান আল্লাহ
পাক সুবহানাহূ ওয়া তা‘য়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
উনার মধ্যে এবং রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পর্দাপালনের
মুবারক নির্দেশনাদান করেছেন। শরয়ী পর্দাপালন
করা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ফরয। পর্দা প্রথা
ইসলাম উনার এক বিশেষ অবদান। পর্দা নারীর
ভূষণ। একমাত্র ইসলাম ছাড়া তথাকথিত অন্য কোন
ধর্মেই পর্দাপালনের সুন্দর ব্যবস্থা নেই। বেপর্দা নারীরা
বুঝতেই চায়না গঠন বিন্যাস,
মানসিকতা, মন ও মননের পার্থক্য, তুলনামুলক শারীরিক কাঠামো ইত্যাদি
নানাবিধ কারণে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বৈপরীত্য রয়েছে। এই বৈপরীত্য সৃষ্টি করেই মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পুরুষ ও নারীর
মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
পর্দাহীনতার
জন্য দায়ী ও দোষী মূলতঃ পুরুষ ও নারীর হীনম্মন্যতা। হীনম্মন্য নারীরা নিজেই তাদের অবস্থা সম্পর্কে
সচেতন নয়। তাই তারা ইহকাল ও পরকালে দুর্গতির
শিকার। ইসলাম ধর্মপালনে অনীহ পুরুষরা নারীকে
যেভাবে দেখতে চায়,
হীনম্মন্য ও অজ্ঞ নারীরা সেভাবেই নিজেদের উপস্থাপন করে। এক্ষেত্রে বেগানা নারীরা বেগানা পুরুষের হাতের খেলনা। ইসলাম ধর্মপালনে মুসলমান পুরুষ ও মহিলাদের যতো সমস্যা ও সঙ্কট, তার মূলে
রয়েছে পর্দাহীনতা ও ছবি। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, প্রগতিবাদী, মানবতাবাদী
এবং ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘সূ’রা এখন বলে যে, এতো পর্দার
দরকার নেই। ছবি তুললে ইসলাম অবমাননা হয় না। নাউযুবিল্লাহ! কাফির-মুশরিকদের শেখানো বুলি কপচিয়ে বেপর্দা উলামায়ে
‘সূ’রা বলে যে, মহিলাদেরকে
পুরুষের সমান অধিকার দেয়া প্রয়োজন। নাউযুবিল্লাহ!
যে আলিম সমাজ
দ্বারা মানুষ শরয়ী পর্দা ও সুন্নত পালনে অভ্যস্ত হওয়ার কথা, ছবি তোলা
ও আঁকা বন্ধ হওয়ার কথা,
সে আলিমরাই আলিম নামের কলঙ্ক। তারা উলামায়ে ‘সূ’। তারা নিজেরা
ছবি তোলে, বেপর্দা হয়। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ
শরীফ পড়লেও বিষয়গুলো তাদের সমঝ ও আমলে আসেনি। যে কারণে তারা বেপর্দা মহিলাদের সাথে মিটিং-মিছিল করে, আলাপ-আলোচনা
করে, ইফতার মাহফিল করে,
উঠা-বসা করে। নাউযুবিল্লাহ!
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ অনুধাবন
ও পালনে তারা সমর্থ ও অভ্যস্ত হয়নি। অনেক কারণের
মধ্যে এর মূল কারণ হলো,
এসব তারা তাদের মুরুব্বী, ওস্তাদ, পূর্বপুরুষের
কাছ থেকে শেখেনি। এটিই তো নিয়ম যে পূর্বপুরুষ, মুরুব্বী, ওস্তাদ এদের
অভ্যাস, রীতি-নীতি, আমল, আখলাক্ব, তর্জ-তরীক্বা অনুবর্তীদের অন্তরে অঙ্কিত হয়। বিশেষতঃ মা-বাবা উনাদের থেকে উৎসারিত রীতি-নীতি, অভ্যাস, আমল, তর্জ-তরীক্বা
সন্তানের অন্তরে স্থায়ীভাবে অঙ্কুরিত হয়। ফলে সন্তানরা
তীক্ষ্ম সমঝ-এর অধিকারী হয়ে মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধ পালনে জীবনব্যাপী তৎপর
ও অভ্যস্ত থাকে।
সুন্নত পালন
ও শরয়ী পর্দাপালনসহ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা
ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ-এ বর্ণিত সকল আদেশ-নিষেধ হুবহু প্রতিপালনের হাক্বীক্বী নমুনা
লক্ষ্য করা যায় ঢাকা রাজারবাগ পাক দরবার শরীফস্থ ইমামুল উমাম, মুজাদ্দিদে
মাদারজাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস
সালাম উনার আহাল ও ইয়াল শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে। সুবহানাল্লাহ! শরয়ী পর্দা ও সুন্নত পালনে কুলকায়িনাতে উনাদের কোন তুলনা নেই। উনারা বেমেছাল। (চলবে)
আবা-২২৩
0 Comments:
Post a Comment