পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে
কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী
পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
সুন্নত উনার ইত্তিবা
ব্যতীত নফসানিয়ত সহযোগে শরীয়ত উনার বিধি বিধান প্রতিপালনে বান্দা-বান্দীর যে কাজ
বা আমল সম্পাদিত হয়,
তা দেখতে ইবাদত মনে হলেও, তা ইবাদত নয়। বরং পরিণতিতে সে আমল বঞ্চনা ও চরম দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম
হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তায়াল্লুক-নিসবত স্থাপনের মাধ্যমে উনাদের
মুহব্বত-মা’রিফাত ও সন্তুষ্টিলাভে জাহির ও বাতিন আলোকিত হওয়াতো দূরের কথা, ইখলাছের
সঙ্গে সুন্নত অনুসরণে সম্পাদিত না হলে বন্দা-বান্দীর কোনো আমলই কবুল হয় না। এতে নফসের ইচ্ছা পূরণে এক ধরণের আত্মতৃপ্তি সাধিত হয় মাত্র।
মূল কথা, ইবাদত-বন্দেগী
হলো ইখলাছ ও মুহব্বতের সঙ্গে রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পরিপূর্ণরূপে
অনুসরণ ও অনুকরণ করা,
খালিছভাবে উনার ইত্তিবা করা। সমঝদার মানুষ উনাদের জানা যে, সুন্নতপালনই কামিয়াবী হাছিলের মূল কারণ। সুন্নত উনার অনুসরণ ব্যতীত ইলম, আমল, ইবাদত-বন্দেগী, আচার-অনুষ্ঠান, জীবন
নির্বাহ ইত্যাদি কোনো কিছুই যেখানে কবুল হয় না, সেখানে সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহ
উনাদের ক্রমবর্ধিষ্ণু মাক্বাম উত্তরণের ক্ষেত্রে সুন্নত অনুসরণ ও অনুকরণ কতো যে
অনিবার্য তা চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়! যিনি যতো বেশি সুন্নত উনার আমল করেন, তিনি ততো
বড় ওলীআল্লাহ, তিনি ততো বড় মুজাদ্দিদ।
যিনি ওলীআল্লাহ
হয়েছেন, তিনি সুন্নত অনুসরণ করেই ওলীআল্লাহ হয়েছেন। যিনি মুজাদ্দিদ,
তিনিও সুন্নত অনুসরণ করেই মুজাদ্দিদ। কোন আমল, উদ্যোগ বা কোশেশ-এর মাধ্যমে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম হওয়া যায় না। একইভাবে কোন প্রয়াস ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুজাদ্দিদও হওয়া
যায় না। সৃষ্টির আদিকালেই বিষয়টি
নির্ধারিত। মুজাদ্দিদ হওয়ার বিষয়টি মহান
আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার মহান দান এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বণ্টন, উনার
মুবারক হাদিয়া। সুবহানাল্লাহ! কোনো ইবাদত-বন্দেগী, আমল, উদ্যোগ ও
কোশেশ বহির্ভূত হওয়া সত্ত্বেও সুন্নতপালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা মুজাদ্দিদ হওয়ার
শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম শর্ত হিসেবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যুক্ত করে
রেখেছেন। অবশ্য সুন্নতপালনের এ যোগ্যতা ও
অভ্যস্ততা উনাদেরই মুবারক বখশিশ।
বিগত সকল
ওলীআল্লাহ ও মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের তুলনায় অধিক পরিমাণে, অর্থাৎ
সকল সুন্নত একনিষ্ঠভাবে পালনের দায়িমী অভ্যস্ততার জন্যই মুজাদ্দিদে মাদারজাদ, আওলাদুর
রসূল, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হয়েছেন পঞ্চদশ হিজরী শতকের
মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম। তিনি
হয়েছেন সমগ্র বিশ্বের মুসলিম মিল্লাতের মহা মর্যাদাবান একমাত্র ইমাম। হয়েছেন হিদায়েত ও নছীহতের উজ্জ্বল সূর্য। হয়েছেন আমানতের ক্বিবলা। ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ উনাদের কা’বা। মুহব্বত ও মা’রিফাত উনাদের প্রোজ্জ্বল নূর। তিনি
হয়েছেন মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তা’য়ালা এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে
মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের পক্ষে প্রকৃষ্ট দলীল। সুবহানাল্লাহ!
তাইতো
তামাম বিশ্ব পরিসরে উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদ মুবারক উনার এতো ব্যাপ্তি। তাইতো মুজাদ্দিদে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা ও
মাক্বাম এতো বুলন্দ,
এতো সীমাহীন উচ্চতায়। একই
কারণে তিনি হয়েছেন বিগত,
বর্তমান ও অনাগত সকল ইমাম, মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ
ও মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অবিচ্ছিন্ন মনযোগ ও আকর্ষণের মুবারক
ঠিকানা, উনাদের দায়িমী ক্বিবলা। সুবহানাল্লাহ!
(চলবে)
আবা-২২২
0 Comments:
Post a Comment