পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর
রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-উনার
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা
আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা
আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা
আলাইহাস সালাম-
উনার সীমাহীন
ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান,
মান-শান,
বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম
মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-
মুবারক শৈশব ও
কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত
মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
পরিপূর্ণরূপে
পরিবারিক ইসলামী আবহে শরয়ী পর্দা পালনের অভ্যস্ততায় তাসাউফ নির্ভর ইলম-এর
প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনে সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার
সময় এগিয়ে চলে নিরবধি। উনার মুবারক অবয়বে অনুক্ষণ ফুটে থাকে গভীর প্রজ্ঞা, দৃঢ় প্রত্যয়, ধৈর্য, গাম্ভীর্য ও মনীষার মুবারক চিহ্ন। লক্ষ্যপানে উপনীত হতে
ক্রমান্বয়ে উনার মুবারক কিশোরী বয়স পেরিয়ে যেতে থাকে। ইলমে লাদুন্নীর পুঞ্জীভূত
সম্ভারে তিনি অনন্যা। মুহব্বত ও মা’রিফাতের অতলান্ত দরিয়ায় তিনি অবগাহন করেন অনুক্ষণ। সূক্ষ্মদর্শীদের
জানা যে, সমঝ, মুহব্বত, ইলম ও আমল হলো
কামিয়াবির মূল ভিত্তি। ইলম ও মুহব্বত পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত হলেও বিষয় দু’টি একীভূত নয়। মূলত একটি অপরটির অনুষঙ্গ।
ইলমে
লাদুন্নীর প্রাপ্তিযোগ ছাড়া কষ্টার্জিত ইলম মূলত অসার। মুহব্বত- ইলমে লাদুন্নীর
সঙ্গে প্রচ্ছন্নভাবে মিশে থাকে। ইলম পথ দেখায় এবং আমলে নিয়োজিত হতে উদ্বুদ্ধ করে। তাক্বওয়া, তাসাউফ ও মুহব্বতবিহীন ইলমের মাধ্যমে সম্পাদিত আমল
অন্তঃসারশূন্য। তাই আল্লাহভীতি ও মুহব্বতের সংযোগ ব্যতীত নিছক ইলম মহিলাদেরকে
শরয়ী পর্দা পালনে উদ্বুদ্ধ করে না। তাই দেখা যায়, মুসলমান মহিলারা আজ স্বল্প বসনা। মুহব্বত হলো, একজন মুসলমানের ইহকাল ও পরকালের চিরস্থায়ী কামিয়াবির মূল
নিয়ামত। এই মুহব্বতই মানুষের সঙ্গে কবরে যায় এবং এই মুহব্বতই মানুষের
চিরসঙ্গী হয়ে থাকে।
একজন
মুসলমানের ঈমান, আক্বীদা, আমল, ইখলাছ উনার
মূল এবং একমাত্র লক্ষ্যই হলো আপন শায়খ
উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
অকৃত্রিমভাবে মুহব্বত করার জন্য এবং উনার সঙ্গে দায়িমী তায়াল্লাকু-নিসবত স্থাপনের
জন্য নিজের ভিতরে যোগ্যতা পয়দা করা। এ যোগ্যতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কোন আমলই শুদ্ধ হয় না। শরয়ী পর্দা
পালন করাও সম্ভব হয় না। অবশ্য পারিবারিক ইসলামী আবহ এক্ষেত্রে অনুকূল ভূমিকা পালন করে
থাকে। সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি
উনার মুবারক বিলাদত শরীফ সূত্রে এবং পারিবারিক আবহে সে আনুকূল্য পেয়েছেন পুরোটাই। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে
মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার
সুন্নত ও শরয়ী পর্দা মুবারক পালনের নিষ্ঠা, উনার বুযর্গী, শান-মান, ইযযত, ঐতিহ্য, শরাফত, কারামত, মাক্বামত কোন্
স্তরের, তা’ নির্ধারণ করতে যাওয়াটাই চরম বেয়াদবী ও ধৃষ্টতার নামান্তর। কারণ তিনি না
হলে কায়িনাতবাসী সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম, আল মানছূর, ছানিয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত শাহযাদা হুযূর
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে পেতোনা। আর উনাদেরকে না পেলে, উনাদের মুবারক শুভাগমন না ঘটলে দুনিয়ার সকল জ্বীন-ইনসান
অজ্ঞতার তিমিরে, কুফরীর অন্ধকারে ডুবে
থাকতো।
সাইয়্যিদাতুনা
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার বুযুর্গী, সম্মান, ফাযায়িল, ফযীলত সম্পর্কে অনুধাবন করা এবং সেসব আলোচনা করা আমাদের
সাধ্যাতীত। কারণ তিনি নিজেই নিজের তুলনা। দু’ একটি বিষয়ের সামান্য আলোকপাতই উনার বুযর্গী, সম্মান, কামিয়াবী ও
মাক্বাম উপলব্ধির জন্য যথেষ্ট বলে আমরা মনে করি। যেমন:-
v তিনি আওলাদুর রসূল। তিনি ওলীয়ে মাদারজাদ। সুবহানাল্লাহ।
v তিনি নিজেই শীর্ষতম মাক্বামের ওলীআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
v উনার বুযুর্গ পূর্ব পুরুষের মধ্যে অনেকেই ছিলেন আখাছছুল
খাছ ওলীআল্লাহ এবং কেউ ছিলেন মুজাদ্দিদ। সুবহানাল্লাহ!
v তিনি সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার অন্তরঙ্গ সঙ্গী আওলাদুর রসূল, ওলীয়ে মাদারজাদ, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী
আলাইহিস সালাম উনার অধস্তন সন্তান। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২১৯
0 Comments:
Post a Comment