পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল,
সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা
আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন
ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান,
মান-শান,
বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম
মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত
মুবারক
শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার
সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পরদা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
সাইয়্যিদুনা হযরত
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার
অতুলনীয় রূহানী কুওওয়ত ও অপ্রতিরোধ্য তাজদীদে তামাম দুনিয়া থেকে দুরাচার, অনাচার, বিদয়াত, কুফর, শিরকসহ ইসলাম
বিরোধী যাবতীয় অনুভব ও কার্যকলাপের মূলোৎপাটন ঘটবে। ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হবে বিধর্মী গোষ্ঠী। হাক্বীক্বী
ইসলামের বিজয় সূচিত হবে জগৎময়। বিশ্ব পরিসরে ক্বায়িম হবে ইনসাফ ও ইনসানিয়াত। পৃথিবীর সকল
বিপন্ন ও লক্ষ্যভ্রষ্ট জিন-ইনসানের জন্য তিনি বেমেছাল রূহানী কুওওয়ত ও বিস্ময়কর
রোবসম্পন্ন এক নূরাণী আলোকবর্তিকা। অন্যসব জাতি, ধর্ম, গোত্র ও বর্ণ নির্বিশেষে
সকল মানুষ ও জিন জাতির জন্য তিনি হবেন মনোনীত হাদিয়ে আ’যম। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন:
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا
لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا
অর্থ “যারা আমাকে পাওয়ার জন্য
কোশেশ করে, আমাকে পাওয়ার সকল রাস্তা
আমি তাদেরকে দেখিয়ে দিয়ে থাকি।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ বিশুদ্ধ আক্বীদায় ইখলাসের সঙ্গে কোশেশ
করে মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
রিযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করা যায়, কামিয়াবী লাভ করা যায়, ওলীআল্লাহ হওয়া যায়। কিন্তু কোনো
আমল করে কিংবা ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির
করে, অর্থাৎ প্রাণপণ কোশেশ করেও মুজাদ্দিদ
হওয়া যায় না। মুজাদ্দিদে আ’যম হওয়া যায় না। মুজাদ্দিদে আ’যম উনার আম্মাও হওয়া যায় না এবং পিতাও হওয়া যায় না।
বিষয় দু’টি, অর্থাৎ মুজাদ্দিদ হওয়া, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম হওয়া, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আম্মা আলাইহাস সালাম এবং
সম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম হওয়ার বিষয়টি আখাছছুল খাছভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক মনোনয়ন
উনার উপর নিরভরশীল। বিষয় দু’টি সৃষ্টির আদিকাল থেকেই নির্ধারিত। মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মুবারক তাৎপর্য ও
সীমাহীন বৈশিষ্ট্যের কারণে উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আলাইহাস সালাম এবং মহা
সম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনাদের মুবারক মনোনয়ন এবং উনাদের সীমাহীন মর্যাদার
বিষয়টিও মহান আল্লাহ পাক উনার সুমহান দান এবং ছাহিবে লাওলাক, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বণ্টন, উনার মুবারক হাদিয়া। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়া ও আখিরাতের
সৌভাগ্যলাভের জন্য পূর্ণাঙ্গরূপে শরীয়ত পালন এবং নূরে মুজাসসাম, রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণ ছাড়া
অন্য আর কোনো উপায়- উপলক্ষই মানুষের জন্য সৃষ্টি হয়নি। ইসলামী শরীয়ত উনার হাক্বীক্বী অনুসরণেরই
অপর নাম হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল। ইবাদত-বন্দেগী হচ্ছে সুন্নত সহযোগে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
যথার্থ অনুসরণের নাম। পবিত্র নামায, পবিত্র রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র যাকাতসহ ইবাদত-বন্দেগীর সকল শাখা-প্রশাখা কেবল তখনই মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া
তায়ালা উনার নিকট ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়, যখন সেসব সম্পাদনে ইখলাছ ও মুহব্বতের সঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মুবারক নির্দেশ, অর্থাৎ উনার মুবারক সুন্নত
উনার অনুকরণ ও অনুসরণ করা হয়। অন্যথায় জাহিরী ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির, মুরাক্বাবা-মাশাহাদা ইত্যাদি শুধুই বিড়ম্বনা, অবাধ্যতা ও নাফরমানী ছাড়া আর কিছুই নয়। নাউযুবিল্লাহ!
(চলবে)
আবা-২২১
0 Comments:
Post a Comment