পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ,
মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর
রসূল, ইমাম রাজারবাগ
শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা
সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের-
হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম
উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত,
বুযূর্গী-সম্মান,
মান-শান,
বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম
মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-
মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক ও শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
পবিত্র বয়স মুবারক একশত বছরের কোঠায় উপনীত হলেও কখনো তিনি পবিত্র ফরজসহ সুন্নত, নফল ও মুস্তাহাব ইবাদত-বন্দেগী থেকে বিরত থাকেননি।
সুবহানাল্লাহ!
আজ কুল কায়িনাতব্যাপী সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার যে পরিব্যাপ্তি, তা’ ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা
কা’বা আলাইহাস সালাম এবং উনার যাওজুম মুকাররাম ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনাদেরই
সীমাহীন অবদান। সুবহানাল্লাহ!
আজ বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্ব পরিসরে সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার যে
প্রসার, প্রভাব ও প্রচার তা মহান আল্লাহ পাক
সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
পূর্ব নির্ধারিত। তবে তার মূল কারণ হলো, মহান আল্লাহ পাক উনারই উদ্দিষ্ট মুবারক ব্যবস্থাধীনে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, আন নি’মাতুল কুবরা
আলাল আলাম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনাকে কেন্দ্র করে উনার মহা সম্মানিত
আব্বা-আম্মাজান আলাইহিমাস সালাম উনাদের ক্লান্তিহীন দায়িমী আঞ্জামদান।
সুবহানাল্লাহ!
রউফুর রহীম, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন:
من كثر صلوته بالليل حسن وجهه بالنهار
অর্থ: “যে ব্যক্তি রাতে অধিক পরিমাণে সজাগ থেকে নামায-কালাম আদায়সহ
অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগীতে সময় অতিবাহিত করেন, দিনের বেলায় উনার চেহারা মুবারক নূরে দীপ্তিমান হওয়ার কারণে সৌন্দর্যমণ্ডিত
হয়ে উঠে।” ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি
সমগ্র জীবন মুবারকে দায়িমীভাবে যিকির-ফিকির, তাছবীহ-তাহলীল, ছলাত-কালামে মশগুল
থেকেছেন। এ কারণে তিনি কুদরতীভাবে পবিত্র নূরাণী দীপ্তিতে পরমতম সৌন্দর্যমণ্ডিত
ছিলেন। যদিও বাহ্যিকভাবেও তিনি পরম সৌন্দর্য মুবারকের অধিকারিণী ছিলেন। অবশ্য
আখাছছুল খাছভাবে শরয়ী পর্দা পালনের কারণে উনাকে কেউই কখনো দেখতে পারেনি।
সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার
কুদরতী সৌন্দর্য মুবারকের সঙ্গে বাহ্যিক সৌন্দর্য মুবারক একাকার হয়ে যাবার কারণে
তিনি অনন্য সৌন্দর্য-শান মুবারকের অধিকারিণী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল বাশার, সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাওওয়া
আলাইহাস সালাম উনার সঙ্গে সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম
উনার প্রথম মুবারক সাক্ষাতে তিনি (সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস
সালাম) বিস্মিত হয়েছিলেন। অবাক বিস্ময়ে তিনি মনে মনে ভেবেছিলেন, (উম্মুল বাশার, সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম) উনার চেয়ে অধিক সৌন্দর্যমণ্ডিত আরো
কেউ হতে পারেন কী?
মুবারক ভাবনার এমন পরম পর্যায়ে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি
কুদরতীভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মুখে
শাবিহাতু রসূলিল্লাহ, নূরুর রসূল, বিদ্বয়াতুম মির রসূল, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়্যিবা, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হাক্বীক্বী নূরাণী
শান মুবারক উদ্ভাসিত করেন। উনাকে দেখে সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ
আলাইহিস সালাম তিনি আরো অধিক পরিমাণে আশ্চর্যবোধ করেন। উনি কে এবং উনার সম্মানিত
আহাল কে হবেন, তা জানার জন্য মহান আল্লাহ
পাক সমীপে তিনি আরজু মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
আবা-২৫৭
0 Comments:
Post a Comment