মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট ১৩ জন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘আস সাবি‘আহ্ অর্থাৎ সপ্তম’। এ জন্য উনাকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম’ বলা হয়। তিনি সকলের মাঝে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম’ হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক জানাও সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত জাহ্শ ইবনে রিআব আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন বনূ আসাদ গোত্রের একজন অনুসরণীয়-অনুকরণীয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফুফা উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুঝার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! সকলেই উনাকে বেমেছাল সম্মান-ইয্যত ও তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতো। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা আলাইহিস সালাম উনার দিক থেকে ১১তম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার ১০ম পুরুষ হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত আসাদ ইবনে খুযাইমাহ্ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত আসাদ ইবনে খুযাইমাহ্ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র ‘বনূ আসাদ’ গোত্রের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রথম পুরুষ। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক অনুযায়ী উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশ বা গোত্র মুবারক উনার নামকরণ মুবারক করা হয় ‘বনূ আসাদ’ গোত্র হিসেবে। সুবহানাল্লাহ! এজন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে ‘আল আসাদিয়্যাহ্’ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! যেমন- কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ) اَلْاَسَدِيَّةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্্্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহ্শ ইবনে রিআব আল আসাদিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (আর রওদ্বুল উন্ফ ৪/৪২৮)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা হচ্ছেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ বিনতে আব্দুল মুত্ত্বালিব ইবনে হাশিম আলাইহিমুস সালাম। যিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আপন ফুফু আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আপন ফুফাতো বোন আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَاُمُّهَا سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمَيْمَةُ بِنْتُ عَـبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ عَمَّةُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “আর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহাস সালাম হচ্ছেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ আলাইহাস সালাম বিনতে আব্দুল মুত্ত্বালিব ইবনে হাশিম আলাইহিমুস সালাম। যিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আপন ফুফু আলাইহাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে হিশাম, আর রওদ্বুল উন্ফ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, আনসাবুল আশরাফ, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্, উয়ূনুল আছার, আল মুখতাছারুল কাবীর, ইবনে সা’দ, তারীখুল ইসলাম ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক-
১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ৬ জন ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরাঈশ বংশীয়। ১ জন ছিলেন বনূ আসাদ বংশীয়। ২ জন ছিলেন বনূ হিলাল বংশীয়। ২ জন ছিলেন বনূ নাযীর বংশীয়। বনূ নাযীর গোত্র ছিলেন পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার অনুসারী। ১ জন ছিলেন বনূ মুছ্ত্বলিক্ব বংশীয় এবং ১ জন ছিলেন মিশরের বনূ ক্বিব্ত্ব বংশীয়। বনূ মুছত্বলিক্ব এবং বনূ ক্বিব্ত্ব গোত্র ছিলেন পবিত্র ইন্জীল শরীফ উনার অনুসারী। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত জাহ্শ আলাইহিস সালাম। তিনি ছিলেন বনূ আসাদ গোত্রের। তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা আলাইহিস সালাম উনার দিক থেকে ১০ম পুরুষ হয়ে ১১তম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ইখ্ওয়ান বা ভাইগণ এবং সম্মানিতা আখাওয়াত বা বোনগণ:
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনিসহ উনারা ছিলেন ৩ ভাই এবং ৩ বোন। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত ভাইগণ উনারা হচ্ছেন-
১. বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি উহুদের সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! কাফিররা উনার অঙ্গ-প্রতঙ্গ মুবারক কেটে সম্মানিত জিসিম মুবারক ক্ষতবিক্ষত করে। উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মামাজান সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ্ আলাইহিস সালাম) উনাকে অর্থাৎ উনাদের উভয়কে একই সম্মানিত রওযা শরীফ-এ দাফন মুবারক করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
২. বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ আহমদ ইবনে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সুফিয়ান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা মেয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফারি‘আহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে শাদী মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
৩. উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহ্শ। সে প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণ করলেও পরবর্তিতে মুরতাদ হয়ে মারা যায়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনিসহ উনার সম্মানিত বোনগণ উনারা হচ্ছেন-
১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামনাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। সুবহানাল্লাহ! প্রথমে উনার শাদী মুবারক হয় হযরত মুছ‘আব ইবনে উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে। উনার সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার শাদী মুবারক হয় হযরত ত্বলহাহ্ ইবনে উবাইদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে। সুবহানাল্লাহ!
৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। তিনি ছিলেন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার আহলিয়া। সুবহানাল্লাহ!
(যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ১/২৫১, শারহুয যারক্বানী ৪/৪৯৩, উস্দুল গবাহ্ ২/৮৮, ইস্তি‘য়াব ৩/৮৭৮ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
পৃথিবীর কোনো কিতাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক উল্লেখ নেই। এটা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত আফসোসের বিষয় যে, মুসলমানরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সংরক্ষণ করতে পারেনি। না‘ঊযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন একমাত্র যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিয়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আখাছ্ছুল খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে উনার রয়েছেন বেমেছাল হাক্বীক্বী দায়িমী তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক এবং যিয়ারত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে একমাত্র উনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, আখাছ্ছুল খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারকসমূহ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার মহাসম্মানিত ও পবিত্র তারীখ মুবারকসমূহ প্রকাশ করা। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ উনার ২০ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ বনূ আসাদ গোত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক-
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَكَانَ اِسْـمُهَا سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ بَـرَّةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَسَمَّاهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ عَلَيْهَا السَّلَامُ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক ছিলেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ্ আলাইহাস সালাম’। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক রাখেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম’।” সুবহানাল্লাহ! (উয়ূনুল আছার ১/২০৮, তাহ্যীবুল আসমা’ ২/৩৪৪)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল হাকাম আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ) اَلْاَسَدِيَّةُ تُكَـنّٰـى سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ الْـحَكَمِ عَلَيْهَا السَّلَامُ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল হাকাম আলাইহাস সালাম’ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন মুবারক করা হতো।” সুবহানাল্লাহ! (তাহ্যীবুল আসমা’ ২/৩৪৪, উস্দুল গবাহ্ ৭/১২৬)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন- অত্যন্ত তীক্ষ্ম সমঝ, সীমাহীন সম্মানিত ইলিম ও হিকমত মুবারক উনাদের অধিকারী, মালিক। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন অত্যন্ত তীক্ষ্ম সমঝ, সীমাহীন ইলিম ও হিকমত মুবারক উনাদের অধিকারী, মালিক। এ কারণে উনাকে সবাই ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল হাকাম আলাইহাস সালাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার কোনো আওলাদ ছিলেন না।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় লক্বব মুবারক-
খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনাকে আহ্বান মুবারক করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম, ঠিক তেমনিভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসীম। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম হওয়ার কারণে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনার অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট এবং সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম হওয়ার কারণে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক রয়েছেন, সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শৈশবকাল মুবারক-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শৈশবকাল মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সাথে এবং উনার সম্মানিত ভাই-বোন উনাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অতিবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবত্রি ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘উসদুল গ¦বাহ্ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
وَكَانَتْ قَدِيْـمَةَ الْاِسْلَامِ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেন, মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (উস্দুল গবাহ্ ৭/১২৬)
হাবশায় মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি উনার তিন ভাই ও দুই বোনসহ হাবশায় দুই বার মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘দারুল আরক্বামে’ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করার পূর্বেই সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি, উনার ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ আহমাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, উবাইদুল্লাহ এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বোন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামনাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি অর্থাৎ উনারা হাবশায় দুই বার মহাসম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উবাইদুল্লাহ সেখানে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে এবং খ্রিষ্টান অবস্থায় মারা যায়।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (উস্দুল গ¦বাহ্ ২/৮৯, তাহ্যীবুল আসমা লিন নববী ১/২৬২)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হাবশা থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। তারপর তিনি সেখান থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে আল্লামা ইবনে কাছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সর্বপ্রথম হিজরতকারী মহিলাগণ উনাদের মধ্যে অন্যতম।” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৪/১৬৯)
মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
اِنَّ اللهَ اَوْحٰى اِلـٰى نَبِـيِّهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ زَيْدًا رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ سَيُطَـلِّـقُ اُمَّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةَ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ زَيْنَبَ بِـنْتِ جَحْشٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَاَنَّ اللهَ يُزَوِّجُهَا رَسُوْلَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সম্মানিত ওহী মুবারক করেছেন যে, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অতিশীঘ্রই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে তালাক্ব দিবেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি তালাক্ব প্রদানের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে আলাদা হয়ে যান এবং উনার সম্মানিত ইদ্দত মুবারক পূর্ণ হন। তখন স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই আরশে আযীম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন মুবারক করেন:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
অর্থ: “যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ইদ্দত মুবারক শেষ হলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে বললেন যে, আপনি গিয়ে আমার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক পেশ করুন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি রওয়ানা হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার নিকট উপস্থিত হন। তিনি যেয়ে দেখেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ময়দা বা আটার খামির বানাচ্ছেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, যখন আমি উনাকে দেখলাম, তখন উনাকে দেখার সাথে সাথে আমার অন্তরে উনার প্রতি এতো বড় ধরনের সম্মান বোধ সৃষ্টি হয় যে, আমি উনার দিকে তাকানোর বা উনার প্রতি দৃষ্টি দেয়ার হিম্মত হারিয়ে ফেলি। কারণ, (মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী) স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তাই আমি উনার দিকে পিঠ দিয়ে পিছনের দিকে ফিরে এসে বলি, হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম! আপনি সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক গ্রহণ করুন! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার পয়গাম মুবারক পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে পরামর্শ না করে কোনো কাজ করি না। সুবহানাল্লাহ! এটা বলে তিনি সম্মানিত নামাযের স্থানের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালে সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হন। {যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেন,
فَلَمَّا قَضٰى زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَـرًا زَوَّجْـنٰـكَـهَا
‘অতঃপর হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন, তখন আমি উনাকে আপনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করে দিলাম।’ সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)} তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক রেখে অনুমতি ছাড়াই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করে উনার নিকট উপস্থিত হন।” সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
অর্থ: “আর স্মরণ করুন ঐ সময়ের কথা, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং আপনিও যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন, উনাকে যখন আপনি বলছিলেন যে, আপনার সম্মানিত আহলিয়াহ্ উনাকে আপনার নিকট রেখে দিন (আপনি উনার থেকে জুদা হওয়া থেকে বিরত থাকুন) এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করুন। আর আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অন্তর মুবারক-এ অর্থাৎ আপনার ইলিম মুবারক-এ যা পুশীদা ছিলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আপনি মানুষদেরকে বাঁচিয়েছেন। যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই অধিক হক্বদার উনাকে ভয় করা হোক। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন, তখন আমি উনাকে আপনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ! যাতে করে মু’মিন উনাদের পালকপুত্ররা উনাদের আহলিয়াহ্ উনাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে, সে সকল আহলিয়াহ্ উনাদেরকে বিবাহ করার ব্যাপারে মু’মিন উনাদের কোনো অসুবিধা না থাকে। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দশ মুবারক বাস্তবায়িত হয়েই থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন ৫ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাতে)। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৩৭ বছর ৬ মাস ১৯ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি অন্যান্য সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপর ফখর করে বলতেন, আপনাদের সবাইকে আপনাদের অভিভাবকগণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করেছেন, আর আমাকে স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সপ্ত আসমানের উপর থেকে (সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক-এ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন
অর্থ: “যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অবিরত ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করছেন! অবশ্যই নি:সন্দেহে তিনি কায়িনাতের বুকে এমন বেমেছাল সীমাহীন সম্মান-ইয্যত ও মর্যাদা-মর্তবা মুবারক হাছিল করেছেন, যেটা আর কেউ হাছিল করতে পারেনি। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/৮৫)
হযরত ইমাম আল্লামা শামসুদ্দীন যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘সিয়ারু আ’লামিন নুবালা’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,
অর্থ: “স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ উনার দ্বারা কোনো ওলী (অভিভাবক) এবং সাক্ষী ছাড়া সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি এ বিষয়ে অন্যান্য সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপর ফখর করে বলতেন, আপনাদের সবাইকে আপনাদের অভিভাবকগণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ দিয়েছেন, আর আমাকে স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার উপর থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ২/২১১)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “হযরত আমর নাক্বেদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি সংবাদ পেয়েছি যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে যখন সুসংবাদ মুবারক শুনানো হলো যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন মুবারক করেছেন এবং এ বিষয়ে সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন, তখন তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার শুকুরগুজারীর জন্য নিজের উপর দুই মাস সম্মানিত রোযা রাখা আবশ্যক করে নেন। আর যিনি উনাকে এই সুসংবাদ মুবারক দিয়েছেন তিনি উনাকে উনার নিজের অলঙ্কার মুবারকসমূহ দান করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/১৯২)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার দিন পর্দার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক উপলক্ষে সেদিন রুটি ও গোশত মুবারক খাওয়ান। সুবহানাল্লাহ! তিনি অন্যান্য সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপর ফখর করে বলতেন, আমাকে স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানে (উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার উপর থেকে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, ইবনে সা’দ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সময় যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক করেন, তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত মুবারক খাওয়ান।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/৮৬)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক এমনভাবে করেননি, যেভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক করেছেন। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক করেন ছাগলের গোশত মুবারক দিয়ে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, শরহুস সুন্নাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
উনার সম্মানার্থেই পর্দার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হন:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার দিন পর্দার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হন। অর্থাৎ ৫ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই যিলক্বদ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) পর্দার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হন অর্থাৎ পর্দা ফরয করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ৫ বছর ৪ মাস ৪ দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার হিকমত মুবারক-
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারাই সবচেয়ে ভালো জানেন। সুবহানাল্লাহ! তবে কিতাবাদিতে স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়, সেখান থেকে নি¤েœ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো-
১) আরব দেশে পালক পুত্রকে ঔরসজাত পুত্রের সমান মনে করা হতো। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতে আযীম শরীফ উনার মাধ্যমে সেই ধারণা দূর করে দেয়া হয়। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
২)
অর্থ: “অতঃপর হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন, তখন আমি উনাকে আপনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ! যাতে করে মু’মিন-মুসলমান উনাদের পালকপুত্ররা উনাদের আহলিয়াহ্ উনাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে, সে সকল আহলিয়াহ্ উনাদেরকে বিবাহ করার ব্যাপারে মু’মিন-মুসলমান উনাদের কোনো অসুবিধা না থাকে। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক বাস্তবায়িত হয়েই থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
২) তৎকালীন আরবে কেনা গোলাম এবং স্বাধীন ব্যক্তির মধ্যে মর্যাদার যে পাহাড়সম ব্যবধান ছিল তা দূর করে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত হুকুম মুবারক প্রতিষ্ঠা করা হয় এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতে আযীম শরীফ উনার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যায়িদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বংশগতভাবে স্বাধীনই ছিলেন। উনার যখন সম্মানিত বয়স মুবারক অল্প, তখন কিছু দুষ্ট লোক (ছেলে ধরা) উনাকে চুরি করে নিয়ে এসে বাজারে গোলাম হিসেবে বিক্রি করে দেয়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
৩) এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতে আযীম শরীফ উনাকে কেন্দ্র করে সম্মানিত হিজাব অর্থাৎ পর্দার হুকুম নাযিল হন। অর্থাৎ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতে আযীম শরীফই ছিলেন সম্মানিত হিজাব অর্থাৎ পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার মূল উছীলাহ্ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
৪) এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতে আযীম শরীফ উনার বিষয়টি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে ফায়ছালা করা হয়। সবুহানাল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment