মিলাদ শরীফের হাদীস  শরীফ উনার বিরুধীতাকারী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের  মিথ্যাচারের জবাব

    Image result for কিতাব
  1. মিলাদ শরীফের হাদীস  শরীফ উনার বিরুধীতাকারী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের  মিথ্যাচারের জবাব 


ভাত রান্না হয়েছে কিনা এটা বুঝতে পাতিলের সবগুলো ভাত টিপে দেখতে হয় না। দুই একটা ভাত টিপলেই পুরা পাতিলের খবর জানা যায়। ইসলাম ধ্বংস করতে ইহুদী-নাসারাদের বিভ্রান্তি বাংলাদেশে প্রচারকারী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরে পতিলের খবর জানতেও তার সবকিছু গবেষনা করার দরকার নাই। ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরোধীতা করতে গিয়ে সে যে নিকৃষ্ট মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহন করেছে তা দেখে ইবলিসও লজ্জা পাবে। 

এই ইহুদী-নাসারাদের এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইতে লিখেছে - // ‘‘ইবন আববাস বলেন, একদিন তিনি নিজ বাড়িতে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর জন্মের ঘটনাবলি বর্ণনা করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আগমন করেন এবং বলেন: তোমাদের জন্য আমার শাফাআত পাওনা হলো।’’ (জালিয়াত লক্ষ্য করে নি যে, ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। তিনি কি ৫/৬ বৎসর বয়সে ছেলেমেয়েদের হাদীস শুনাচ্ছিলেন!)///
তথ্যসূত্র- http://www.hadithbd.com/showqa.php?b=37&s=393


পাঠক লক্ষ্য করুন, ওহাবী আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বয়স নাকি ৮ বছরে কম ছিলো। মাদ্রসায় পড়ুয়া আলিম শ্রেনীর ছাত্র অথবা জেনারেল শিক্ষিত ইন্টারনেট সম্পের্কে নূন্যতম ধারনা সম্পন্ন লোকের পক্ষেও জাহাঙ্গীরে জালিয়াতি ধরা সহজ। 


হাদীস শরীফের রাবীদের পরিচিতি নিয়ে লিখিত ‘আসমাউর রেজাল’ খুলে দেখুন, সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে ‘ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিযরতের ৩ বছর আগে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু জন্মগ্রহন করেন। ’ অথাৎ নবীজীর বেছাল শরীফের সময় ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স হয় ১১+৩= ১৪ বছর। অর্থাৎ ১১ হিজরী হচ্ছে বিছাল গ্রহন আর তিন বছর যোগ করে হয় ১৪ বছর।
ইন্টারনেটে উইকিপিডিয়তে সার্চ করে দেখেন সেখানেও পাবেন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফের সময় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স ছিলো ১৪ বছর। উইকিপিডিয়তে আছে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর জন্ম ৬১৯ সালে। সূতরাং (৫৭০+৬৩) = ৬৩৩। এখন এই ৬৩৩ সাল থেকে ৬১৯ সাল বিয়োগ করুন (৬৩৩-৬১৯)= ১৪ বছর।


তথ্যসূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Abd_Allah_ibn_Abbas
অথচ মুনাফিক, ইহুদী নাছারাদের টাকার পরিচালিত এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর লিখেছে // ইবন আববাসের বয়স ৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ইন্তেকাল হয়। //
তাহলে সহজেই বোঝা যচ্ছে ইহুদী এজেন্ট আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর মীলাদুন্নবী অস্বীকার করার জন্য চরম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ১৪ বছর বয়সী একজন ছাহাবীর বয়স ইচ্ছাকৃতভাবে অর্ধেক কমিয়ে ৮ বছরের কম বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। 


লেখার শুরুতেই যেটা বললাম, পাতিলের ভাত সব টিপতে হয় না। সূতরাং আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের লেখায় হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বয়স হের ফের করার হাতে নাতে চুরির প্রমান দ্বারাই বোঝা যায় তার লেখায় সবগুলো কথাই চুরি এবং মিথ্যাচারে পরিপূর্ন । সূতরাং তার ঈদে মীলাদুন্নবী সম্পের্কে আপত্তি মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-২১
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-২১

অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সায়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি এবং উনার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশেষ সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলী আল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুস্তাহিদ,সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আযম আলাইহিস আলাম তিনি অনন্তকালব্যাপী সময়ের জন্য পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল জারী করেছেন তারপরেও বছর ঘুরে যেহেতু শাহরুল আযম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাস আসেন তাই সেই মাসের বিশেষ তারিখ পবিত্র ১২ শরীফ উনার সম্মানার্থে আয়োজিত হয় দিন-রাত ব্যাপী বিশেষ মাহফিল এবং পবিত্র ১২ ই শরীফ উনার সম্মানার্থে প্রকাশিত বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে বিশেষ পরিবেশনা " রুইয়াতিল আয়াদ" আর শাহরুল আযম পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় ৬৩ দিন বিশেষ মাহফিল উনার। আবার অনন্তকালব্যাপী সময়ের জন্য জারিকৃত পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ মাহফিল এবং ৬৩ দিন ব্যাপী বিশেষ মাহফিল উনার প্রস্তুতি ও নিয়ামত মুবারক উনাকে ধারণ করার লক্ষ্যে আয়োজিত হয় প্রতি সপ্তাহের বিশেষ দিন অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল ইসনাইনীল আযীম শরীফে (সোমবার শরীফ) বিশেষ মাজলিশ। সুবহানাল্লাহ।
এই বিশেষ দিনে অর্থাৎ সম্মানিত লাইলাতুল ইসনাইনীল আযীম শরীফে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সাপ্তাহিক কার্যক্রমের রিপোর্ট পেশ করা হয়। যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং প্রতিটি রিপোর্ট দেখার পর সেই বিষয়ে মুবারক নসীহত শরীফ ও নির্দেশনা মুবারক দান করেন। সুবহানাল্লাহ। সপ্তাহের অন্যান্য দিনে আনজুমান ভিত্তিক কার্যক্রম থাকলেও এই দিনে বিশেষ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া প্রতিদিনই তাবারুকের ব্যবস্থা থাকলেও এই বিশেষ দিন উনাকে সম্মান করে কিছুটা ব্যাতিক্রম তাবারুকের আয়োজন করা হয়। সুবহানাল্লাহ। এ যাবত এই বিশেষ রাতে যে সকল বিষয়ের রিপোর্ট নেয়া হচ্ছে উদাহরণ হিসেবে সেখান থেকে কয়েকটি উল্লেখ করা হল।
১) দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার অন- লাইন ভার্সন ও বিভিন্ন ওয়েব সাইটের কার্যক্রম
২) সারা দেশে সিলসিলাভুক্ত হাফিজ সাহেবগণের সাপ্তাহিক পবিত্র কুরআন শরীফ খতমের রিপোর্ট
৪) গবেষকগণের বিভিন্ন রেসালা লেখার অগ্রগতি
৫) "বিজ্ঞান মুসলমান উনাদের অবদান" ও কে এম টি ঘড়ি নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতির রিপোর্ট
৬) জরীপ বিভাগের নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তৈরি করা রিপোর্ট
৭) ভয়েস আল হিকমাহর কার্যক্রমের অগ্রগতি
৮) সারা দেশে মসজিদ -মাদরাসা তৈরির বিভিন্ন উদ্যোগের অগ্রগতির আলোচনা
৯) চাঁদ দেখা কমিটি "মাজলিসু রুইয়াতিল হিলাল" এর কার্যক্রমের রিপোর্ট
১০) মানচিত্র ও কম্পাস নিয়ে কার্যক্রমের রিপোর্ট
১১) সংবাদসংস্থা বিষয়ক কার্যক্রমের রিপোর্ট
১২) যাকাত, দান বাক্স-হাদিয়া বাক্স কার্যক্রমের রিপোর্ট ইত্যাদি।
সুন্নতী খাবার শুকনা গোশত
Related image৩. শুকনো গোশত

লাহুম মুছলাহ/লুহুমুল জাফফাহ/লাহমুন ক্বদীদ/ লাহমাতুন ফা্আসিদাহ  :
আরবীতে ..... শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে শুকনা গােশত। অর্থাৎ কাচা
গোশতকে রোদে শুকানোর পর গাস্তের ভেতরে থাকা পানি সম্পূর্ণরূপে
শুকানাের পর (যাকে ইংরেজিতে Dehydration বলে) গােশতের যে অবস্থাটি তৈরী।
হয় তাকে লাহমুন মুছলা বা শুকনা গোশত বলা হয়।
 এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে


حضرت ثوبان رضی الله تعالى عنه قال ضځی رسول صلى الله عليه وسلم ثم
قال يا ويا رضى الله تعالى عنه أطلة لنا لحم هذه الشاة. قال فما زلت أطعمه
منها حتى قدمنا المدينة.

অর্থ: “হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি কুরবানী মুবারক করলেন। অতঃপর ইরশাদ মুবারক করলেন, হে হযরত
সাওবান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! এই বকরীর গোশত আমাদের জন্য শুকিয়ে
আনুন। হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি পবিত্র
মদীনা শরীফ উনার মধ্যে পৌঁছা পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে এই গােশত পেশ করা
হতে ক্ষান্ত হয়নি। (আবু দাউদ শরীফ : কিতাবুত দোয়া হ্যা : হাদীস শরীফ নং ২৮১৪)।                 ১৯

শুকনা গােশত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরাে বর্ণিত

عن حضرت انس رضی الله تعالى عنه قال رأيت النبي صلى الله عليه وسلم أتي
مرقة فيها داء قديد فرآینه يت الداء يأكلها.

অর্থ : “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে কিছু শুরুয়া হাজির করা হল, যাতে কদু ও
শুকনো গোশত ছিল। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদু বেছে বেছে খাচ্ছিলেন।” (বুখারী শরীফ :
কিতাবুত ক্বিয়ামাহ : হাদীস শরীফ নং ৫৪৩৭)
শুকনা গােশত তৈরীর প্রক্রিয়া ;
১. গোশত চিকন করে দড়ি আকৃতিতে অথবা পাতলা বিস্কুট আকৃতিতে।
কাটতে হবে।
২. হলুদ গুঁড়ার পেস্ট গোশতে মাখিয়ে নিতে হবে।
৩. দড়ির আকৃতিতে কাটা গোশতের এক প্রান্তে অথবা বিস্কুট আকৃতিতে কাটা।

গোশতের মাঝখানে ধাতব তার বা চিকন লোহা দিয়ে ছিদ্র করতে হবে।
৪. নিরাপদ স্থানে রোদে শুকাতে হবে।

সংরক্ষণ পদ্ধতি : বায়ুরোধী কাচের বোতল বা কোটায় শক্তভাবে মুখ
আটকিয়ে রাখতে হবে। ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা।
হলে শুকনো গোশত ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
 রান্নার প্রণালী : প্রথমে শুকনো গোশত ১৫-২০ মিনিট চুলায় জাল দিয়ে পানি।
ছেলে স্বাভাবিক গোশতের মতে রান্না করতে হবে।                                                                        ২০
উপকারিতা : ১.খুবই সুস্বাদু ২. ক্যালসিয়ামের উৎস ৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ৪. চর্বিহীন ।
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-২০
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-২০

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল অনন্তকালব্যাপী জারি এবং উনার কার্যক্রম

পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি হয়েছে অনন্তকাল সময়ের জন্য; কিন্তু তারপরেও পবিত্র সাইয়িদুশ শুহূর পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস যেহেতু সমস্ত মাসের মাঝে শ্রেষ্ঠ, তাই এই মাসের জন্য চাই আলাদা কিছু কার্যক্রম। আর তাই এই অনন্তকালব্যাপী মাহফিল উনার শান মুবারককে প্রস্ফুটিত করার লক্ষ্যেই ১৫ শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি জারি করেন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আলাদাভাবে ৬৩ দিন বিশেষ মাহফিল। এই ৬৩ দিনের ব্যাখ্যা খুবই সহজ। যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৬৩ বছর বয়স মুবারক পর্যন্ত এই দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ নিয়ে অবস্থান মুবারক করেছিলেন, তাই সেই মুবারক সংখ্যার দিকে লক্ষ্য রেখেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হচ্ছে ৬৩ দিনব্যাপী বিশেষ মাহফিল। এই ৬৩ দিনে বিশেষ মাহফিল শুরুর প্রথম ৩০ দিন বিশেষ প্রতিযোগিতার মাহফিল, পরের ৩০ দিন বিশেষ আলোচনা (বিশেষ ওয়াজ) মাহফিল এবং শেষ ৩ দিন বিশেষ সামা মাহফিল হিসেবে। 

৩০ দিন বিশেষ প্রতিযোগিতা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এক অভিনব পদ্ধতিতে। মূলত, সব বয়সের অর্থাৎ শিশু-কিশোর-ছাত্র (কিশোর ও যবুক বয়সের যারা) যুবক-বয়স্ক সকলের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়। আবার ভালো ফলাফলের ঘোষণা বয়স ভিত্তিকই দেয়া হয়ে থাকে। এখানে ভালো করা বা খারাপ করার বিষয়টি মুখ্য থাকে না, বরং অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ‘ফাল ইয়াফরাহু’ বা খুশি প্রকাশের বিষয়টিই থাকে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এই প্রতিযোগিতাকে উপলক্ষ করে মানুষ বিভিন্ন বিষয়, যেমন- তিলোয়াতে কালামে পাক, জানাযার নামায, খুতবা, মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ, শাজরা শরীফ ইত্যাদি শিখে থাকেন এবং শিখে আমল করে নিয়ামত লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। সুবহানাল্লাহ! 

৩০ দিনব্যাপী বিশেষ আলোচনা (বিশেষ ওয়াজ) মাহফিলে থাকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। আলোচনার বিষয় নির্বাচন করাটা হচ্ছে যামানার সুমহান ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহি সালাম উনার গভীর হিকমতপূর্ণ এক নিদর্শন। মানুষের যে বিষয়গুলো জানা ঈমানী দায়িত্ব, যে বিষয়গুলো নিয়ে বাতিল ফিরকাগুলো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ঈমান হরণ করে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার যে বিষয়গুলো নিয়ে কাফির-নাস্তিকরা মনগড়া লেখালেখি করে মানুষকে কাফির বানায়, সে রকম অনেক উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে সাজানো হয় ৩০ দিনব্যাপী বিশেষ আলোচনা মাহফিল। সম্মানিত শরীয়ত উনার বিভিন্ন শাখার আলোচনা থেকে শুরু করে থাকে সমসাময়িক বিষয় পর্যন্ত। এখানে একেকজন বক্তা বা আলোচক (ওয়ায়িজ) হাজার হাজার কিতাব ঘেটে, গবেষণা করে, ফিকির করে উনাদের আলোচনায় উপস্থাপন করেন। সুবহানাল্লাহ!

দীর্ঘ ৬০ দিনব্যাপী বিশেষ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা পর্বের পর সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণে হিজরী ১৫ শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বিশেষভাবে সামা শরীফ মাহফিল আয়োজন করেন। উল্লেখ্য, গান-বাজনা শোনা, লেখা, পাঠ করা হারাম; কিন্তু হামদ শরীফ, না’ত শরীফ ও ক্বছীদা শরীফ শোনা খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! মানুষের অন্তর থেকে গানের প্রতি মুহব্বত দূর করার লক্ষ্যে এবং ক্বাছীদা শরীফ শোনা-লেখা-পাঠ করা-আয়োজন করার আগ্রহ সৃষ্টি ইত্যাদিসহ আরো গভীর উদ্দেশ্য নিয়েই এই বিশেষ সামা শরীফ মাহফিল আয়োজন। সুবহানাল্লাহ!
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১৯
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি-১৯
অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সায়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি এবং উনার কার্যক্রম।
যামানার যিনি সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী সময়ের জন্য যে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ'ইয়্যাদ শরীফ মাহফিল জারী করলেন তা কি কেবল আক্ষরিক অর্থে মাহফিল পালন অনুষ্ঠান ? মোটেও তা নয় । পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন অনুষ্ঠান অর্থ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সঙ্গে নিবিড় নিসবত হাসিল করার এক অনুপম যোগাযোগ মাধ্যম। অথবা বলা যায় পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন অনুষ্ঠান অর্থ হচ্ছে এক মুহূর্তের জন্যও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার পবিত্র স্মরণ থেকে আত্মবিস্মৃত না হবার এক নিয়ামত প্রাপ্ত পথ। পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন অনুষ্ঠান অর্থ হচ্ছে অন্তরে, অনুভবে, চিন্তায়, চেতনায়, বক্ষে, মস্তিস্কে কেবল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক উনাকে ধারণ করা। সুবহানাল্লাহ। 

পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে " মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হযরত ফিরিশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ , হূযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ তথা দরুদ শরীফ পাঠ করেন হে মুমিনগ, আপনারাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ তথা পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করুন এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করুন পেশ করার মত"। 

এখান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অনুসরনে পবিত্র দরুদ শরীফ এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করে যাচ্ছেন সকল হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদীয়াল্লাহু আমহুম, হযরত আউলিয়া কিরাম আলাইহিমুস সালাম উনারা। কিন্তু উনাদের মর্যাদা ও নৈকট্য অনুসারে এই দরুদ শরীফ পাঠ ও সালাম পেশের মাঝে ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে অভ্যস্ত করানোর লক্ষ্যে যুগে যুগে আউলিয়া কিরাম আলাইহিমুস সালাম মানুষকে বিশেষ তালীম তালকিন দিয়েছেন উনাদের যার যার অবস্থান থেকে উনাদের যোগ্যতা অনুযায়ী। ১৫ শতকের সম্মানিত মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি সাধারণ মানুষকে এই নিয়ামত হাছিলের লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে তালীম দিয়েছেন । মানুষ যেন কোনভাবেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার স্মরণ থেকে বিচ্যুত না হন সে কারণে তিনি বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতির প্রচলন ঘটিয়েছেন যার কিছু নীচে বর্ণনা করা হল। 

১) সারা বছর পবিত্র সুন্নতি জামে মাসজিদে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ মাহফিল চালু করেছেন। কিন্তু পবিত্র সাইয়্যদুশ শহুর উনার সম্মানার্থে এবং পবিত্র ১২ই শরীফ উনার সম্মানার্থে জারী করেছেন ৬৩ দিন বিশেষ মাহফিল।
২) পর্যায়ক্রমে সকল জেলার মানুষ যেন এই মুবারক মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে কারণে জারী করেছেন মাহফিলে হাজির হবার বিশেষ তরতীব।
৩) পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যারা এই মুবারক অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবেনা তাদের জন্য চালু করেছেন "ভয়েস আল হিকমাহ"। ঘরে বসেই উনারা এই মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে পারেন সুবহানাল্লাহ।
৪) কেউ যদি প্রতিদিন ঘরে কিছু আলোচনা করে মিলাদ শরীফ পাঠ করে ঘরের খাবার তারারুক হিসেবে গ্রহন করেন এতেও তিনি পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ পালন করার নিয়ামত লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ।
৫) যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুস্তাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি নির্মাণ করেছেন "পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ ফটক"। রাস্তায় চলতে ফিরতে মানুষের স্মরণ হবে এই বিশেষ দিন মুবারকের অর্থাৎ স্মরণ হবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হূযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার। সুবহানাল্লাহ।
৬) পবিত্র ১২ই শরীফ উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হয় পোস্টার, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিল, ব্যানার ইত্যাদি। দেশব্যাপী তা ছড়িয়ে দেয়া হয়।
৭) সম্মানিত সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষে প্রকাশ করা হয় নানা দ্রব্য সামগ্রী যেখানে পবিত্র "সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ" "১২ই শরীফ"ইত্তাদি লেখা হয়ে থাকে ফলে তা ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে মানুষ পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করার নিয়ামত হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ।
৮) পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে প্রকাশ করা হয় বিশেষ রেসালা সমূহ।
মুলত এরকম বিষয়ের শেষ নেই আর এখানে যাও যৎকিঞ্চিত আলোচনা করা হল সেই প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত আলোচনার দাবী রাখে যা আমরা উপযুক্ত স্থানে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। তবে এক কথায় বলতে গেলে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে যত রকমের কার্যক্রম গ্রহন করা হয় তা সকল কিছুই হয়ে থাকে পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে। সুবহানাল্লাহ।
৯) পবিত্র ১২ই শরীফ সম্মানার্থে অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আদাদ শরীফ সম্মানার্থে প্রতি মাসে পালিত হয় কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ পাঠ উনার অনুষ্ঠান এবং শহর প্রদক্ষিণ। সুবহানাল্লাহ।