ঈদ মুবারক! ঈদ
মুবারক!! ঈদ মুবারক!!!
সুমহান পুত ও
পবিত্র ১৯ শে রবিউছ ছানী শরীফ
ঈদে বিলাদতে ,
ঈদে বিলাদতে উম্মুল
মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব
আলাইহাস সালাম।
উনার নুরুদ দরাজাত
মুবারকে জানাই লক্ষ কোটি বেশুমার ছলাত ও সালাম ।
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক
সাইয়্যিদাতুন
নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন
নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মুল মু’মিনীন
আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক।
সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার
সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এক নজরে উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-
সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক: সইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল হাকাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ও পবিত্র লক্বব মুবারক: উম্মুল মু’মিনীন, আহলু
বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আত্ব ত্বাহিরাহ, আত্ব
ত্বইয়্যিবাহ্, মালিকাতুল
জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত, যাতুল হিজরাতাইন এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!
যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত জাহ্শ ইবনে রিআব আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ বিনতে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহাস সালাম।
সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত বংশ মুবারক: বনূ আসাদ।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক
প্রকাশের ২০ বছর পূর্বে ১৯শে রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘য়াহ্ শরীফ।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত
স্থান মুবারক: সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা
শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত অবস্থান মুবারক: সম্মানিত ও
পবিত্র মক্কা শরীফ, সম্মানিত ও
পবিত্র হাবশাহ শরীফ এবং সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত হিজরত মুবারক: দুইবার। প্রথবার
সম্মানিত ও পবিত্র হাবশাহ শরীফ। দ্বিতীবার সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ।
সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন
নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে ‘আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ: ৫ম হিজরী শরীফ উনার
৮ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতু ইছনাইনিল
‘আযীম শরীফ)। সুবহানাল্লাহ!
‘আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়
দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক: ৩৭ বছর ৬ মাস ১৯ দিন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম
মুবারক দেয়া: ৫বছর ৪ মাস ৪ দিন।
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: ২০ হিজরী শরীফ উনার ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ)। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান
মুবারক: সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ।
সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক: ৫২ বছর ২ মাস ৪ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: সম্মানিত জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক-১
যিনি
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلنَّبِـىُّ
اَوْلـٰى
بِالْمُؤْمِنِيْنَ
مِنْ اَنْفُسِهِمْ
وَاَزْوَاجُهۤٗ
اُمَّهٰتُهُمْ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয়, উনাদের মহাসম্মানিত পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এবং উনার মহাসম্মানিতা ‘আযওয়াজুম মুত্বহহারাত’ (হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম) উনারা হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিতা মাতা
আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত
ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনারা ছিলেন মোট ১৩ জন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত
খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেয়ার মুবারক ধারাবাহিকক্রম অনুযায়ী
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
তিনি হচ্ছেন ‘আস সাবি‘য়াহ্ তথা সপ্তম’। এ জন্য উনাকে ‘উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম’ বলা হয়।
তিনি সকলের মাঝে ‘উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম’ হিসেবে পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মাহবূব হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিনী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার
সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! উনাকে সম্মানিত
মুহব্বত মুবারক করা, উনার সম্মানিত
তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, সম্মানিত
ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া
সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম
কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
জানাও সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম
কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম:
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত জাহ্শ ইবনে রিআব
আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন বনূ আসাদ গোত্রের একজন
অনুসরণীয়-অনুকরণীয় সম্মানিত বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত ফুফা উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবাহনাল্লাহ! উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুঝার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তিনি হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম।
সুবহানাল্লাহ! । সুবাহনাল্লাহ! সকলেই উনাকে বেমেছাল সম্মান-ইজ্জত ও তা’যীম-তাকরীম
মুবারক করতো। সুবহানাল্লাহ! উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার দিক
থেকে ১০ম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত
হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার ৯ম পূর্বপুরুষ হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত আসাদ ইবনে
খুযাইমাহ্ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত আসাদ ইবনে
খুযাইমাহ্ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র ‘বনূ আসাদ’ গোত্রের
মহাসম্মানিত প্রথম পুরুষ। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক
অনুযায়ী উনার সম্মানিত বংশ বা গোত্র মুবারক উনার নামকরণ মুবারক করা হয় ‘বনূ আসাদ’
গোত্র হিসেবে। সুবহানাল্লাহ! এজন্য উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্্ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে ‘আল আসাদিয়্যাহ্’ বলা হয়।
সুবাহনাল্লাহ! যেমন- কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اُم
الْـمُوْمِنيْنَ
سيدتنا حَضْرَتْ
زَيْنَبَ
بِنْتَ
جَحْشِ
بْنِ رِئَابٍ
الْأَسَدِيّةَ
عليها
السلام
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্্্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহ্শ
ইবনে রিআব আল আসাদিয়্যাহ আলাইহাস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (আর রওদ্বুল উন্ফ ৪/৪২৮)
মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম:
উম্মুল মু’মিনীন উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিতা মাতা হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্
বিনতে আব্দুল মুত্ত্বালিব ইবনে হাশিম আলাইহিমুস সালাম, যিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আপন ফুফু। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আপন ফুফাতো বোন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَأُمُّهَا
أُمَيْمَةُ
بِنْتِ
عَبْدِ
الْمُطَّلِبِ
بْنِ هَاشِمِ
عَمَّةُ
رَسُولِ
اللهِ
صَلَّى
اللهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
অর্থ: “আর উনার মহাসম্মানিতা মাতা হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ বিনতে
আব্দুল মুত্ত্বালিব ইবনে হাশিম আলাইহিমুস সালাম, যিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আপন ফুফু। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে হিশাম, আর রওদ্বুল উন্ফ, সুবুলুল
হুদা ওয়ার রশাদ, আনসাবুল আশরাফ, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্, ‘উয়ূনুল আছার, আল মুখতাছারুল কাবীর, ইবনে
সা’দ, তারীখুল ইসলাম ইত্যাদী)
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক-২
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত ইখ্ওয়ান ভাইগণ এবং সম্মানিতা আখাওয়াত বা বোনগণ:
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনারা ছিলেন তিন (৩) ভাই এবং তিন (৩) বোন।। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত ভাইগণ
উনারা হচ্ছেন-
১. বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি সম্মানিত উহুদ উনার জিহাদে সম্মানিত
শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! কাফিরেরা উনার অঙ্গ-প্রতঙ্গ
মুবারক কেটে সম্মানিত জিসিম মুবারক ক্ষতবিক্ষত করে। উনাকে এবং উনার সম্মানিত মামা
সাইয়্যিদুশ শুহাদা’ সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ্ আলাইহিস সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদের
উভয়কে একই রওযা শরীফ-এ দাফন মুবারক করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
২. বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ আহমদ ইবনে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু। তিনি হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার মেয়ে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফারি‘য়াহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে শাদী মুবারক করেন।
সুবহানাল্লাহ!
৩. ‘উবাইদুল্লাহ ইবনে জাহ্শ। সে প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণ করলেও পরবির্তে মুরতাদ
হয়ে যায়।
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত বোনগণ উনারা হচ্ছেন-
১. উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম
২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামনাহ্ ইবনে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। প্রথমে
উনার শাদী মুবারক হয় হযরত মুছ‘আব ইবনে ‘উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার
সাথে। উনার সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার শাদী মুবারক হয় হযরত
ত্বলহাহ্ ইবনে ‘উবাইদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে।
সুবহানাল্লাহ।
৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহা। তিনি ছিলেন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ‘আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার
আহলিয়া। সুবহানাল্লাহ!
(যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ১/২৫১, শারহুয যারক্বানী ৪/৪৯৩, উস্দুল গবাহ্ ২/৮৮, ইস্তি‘য়াব
৩/৮৭৮)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
পৃথিবীর কোনো কিতাবে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান
মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত তারীখ মুবারক উল্লেখ নেই। এটা মুসলমানদের জন্য
অত্যন্ত আফসোসের বিষয় যে, মুসলমানরা
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত
তারীখ মুবারক সংরক্ষণ করতে পারেনি। না‘ঊযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, আহলু বাইতি
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস
সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন একমাত্র যিনি খলিক্ব মালিক রব
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত
জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী
সকলের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানিত নি‘য়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
সাথে আখাছ্ছুল খাছভাবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে
উনার রয়েছেন বেমেছাল হাক্বীক্বী দায়িমী তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক এবং যিয়ারত
মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
যার কারণে একমাত্র উনার পক্ষেই সম্ভব
হয়েছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, আখাছ্ছুল খাছভাবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনাদের মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত তারীখ মুবারকসমূহ এবং
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারকসমূহ প্রকাশ করা। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস
সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে
সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশের ২০ বছর পূর্বে ১৯শে রবী‘উছ ছানী
শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘য়াহ্ শরীফ বনূ আসাদ গোত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময়
বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَكَانَ
اسْمُهَا
بُرَّةُ
فَسَمَّاهَا
رَسُول
اللَّهِ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
زَيْنَبَ
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক ছিলেন ‘সাইয়্যিদাতুনা
হযরত র্বুরাহ্ আলাইহাস সালাম’। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক রাখেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব
আলাইহাস সালাম’।” সুবহানাল্লাহ! (‘উয়ূনুল আছার ১/২০৮, তাহ্যীবুল আসমা’ ২/৩৪৪)
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক-৩
সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল
হাকাম আলাইহাস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
زينب
بنت جحش
بن رئاب
الأسدية،
تكَنّٰى
أم الحكم،
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম উনাকে ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল হাকাম আলাইহাস সালাম’ সম্মানিত ও
পবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন করা হতো।” সুবহানাল্লাহ! (তাহ্যীবুল আসমা’ ২/৩৪৪, উস্দুল গবাহ্ ৭/১২৬)
এই সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন- অত্যন্ত
তীক্ষ্ম সমঝ, সীমাহীন
সম্মানিত ইলম ও হিকমত মুবারক উনাদের অধিকারী, মালিক। সুবাহনাল্লাহ!
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি ছিলেন অত্যন্ত তীক্ষ্ম সমঝ, সীমাহীন ইলম ও হিকমত মুবারক উনাদের অধিকারী, মালিক। এ কারণে উনাকে সবাইকে ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল
হাকাম আলাইহাস সালাম’ এই সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন করতো।
প্রকৃতপক্ষে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম উনার কোন আওলাদ আলাইহিস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম ছিলেন না।
উনার সম্মানিত ও পবিত্র লক্বব মুবারক:
উম্মুল মু’মিনীন, আহলু
বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আত্ব ত্বাহিরাহ, আত্ব ত্বইয়্যিবাহ্, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, যাতুল হিজরাতাঈন, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত শৈশবকাল মুবারক
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত শৈশবকাল মুবারক উনার মহাসম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস
সালাম উনাদের সাথে এবং উনার সম্মানিত ভাই-বোন উনাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
মক্কা শরীফ-এ অতিবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ:
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ
করেন এবং সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ্! এই সম্পর্কে আল্লামা
হযরত ইবনে আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘উসদুল গ¦বাহ্
শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
وكانت
قديمة
الإسلام،
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ
করেন।” সুবাহানাল্লাহ! (উস্দুল গবাহ্ ৭/১২৬)
হাবশায় সম্মানিত হিজরত মুবারক:
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি উনার তিন ভাই ও দুই বোনসহ হাবশায় দুই বার হিজরত মুবারক করেন।
সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اسلم
قبل دخول
رسول الله
صلى الله
عليه وسلم
دار الأرقم،
وهاجر
الهجرتين
إلى أرض
الحبشة
هو وأخواه
أبو أحمد،
وعبيد
الله،
وأختهم
زينب بنت
جحش، زوج
النبي
صلى الله
عليه وسلم
وأم حبيبة
وحمنة
بنات جحش،
فأما عبيد
الله فإنه
تنصر بالحبشة
ومات ومات
بالحبشة
نصرانيًا..
অর্থ: “নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘দারুল আরক্বামে’ তাশরীফ মুবারক
গ্রহণ করার পূর্বেই সাইয়্যিদুনা হযরত ‘আব্দুল্লাহ ইবনে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি, উনার ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ আহমাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু তিনি, ‘উবাইদুল্লাহ এবং
উনাদের মহাসম্মানিত বোন উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ বিনতে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা
তিনি ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামনাহ্ বিনতে
জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি অর্থাৎ উনারা হাবশায় দুই বার সম্মানিত
হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! ‘উবাইদুল্লাহ সেখানে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ এবং
খ্রিষ্টান অবস্থায় সেখানে মারা যায়।”
না‘ঊযুবিল্লাহ! (উস্দুল গ¦বাহ্ ফী মা’রিফাতিছ ছাহাবাহ্ লিইবনে আছীর ২/৮৯, তাহ্যীবুল আসমা লিন নববী ১/২৬২)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি হাবশা থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ
করেন। তারপর তিনি সেখান থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ সম্মানিত হিজরত
মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! আল্লামা ইবনে কাছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
كانت
زينب بنت
جحش رضي
الله عنها
من المهاجرات
الاول
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সর্বপ্রথম হিজরতকারী মহিলাগণ উনাদের মধ্যে অন্যতম।”
সুবহানাল্লাহ! (বিদায়া-নিহায়া ৪/১৬৯)
প্রথম শাদী মুবারক
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার প্রথম শাদী মুবারক হয় সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে। সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে প্রায় এক বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। তারপর উনাদের
উভয়ের মাঝে জুদায়ী ঘটে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ:
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার থেকে জুদা হয়ে
গেলে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম উনার
সাথে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ সম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ! সময়টি ছিলো ৫ম হিজরী
শরীফ উনার ৮ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল
‘আযীম শরীফ রাত)। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩৭ বছর ৬ মাস ১৯ দিন।
সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত জবান মুবারক-এ উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত প্রশংসা মুবারক:
ইফকরে ঘটনার সময় মুনাফিক্বরা যখন
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার
প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়, তখন নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে এ বিষয়ে সুওয়াল করেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহুম উনারা প্রত্যেকেই অনেক শক্ত জবাব দেন এবং বলেন, এটা মুনাফিক্বদের কাট্টা একটা মিথ্যা অপবাদ। না‘ঊযুবিল্লাহ!
উনাদের মধ্যে কেউ কেউ মুনাফিক্ব সর্দার উবাই ইবনে সুলূকে হত্যা করা জন্য আরজী পেশ
করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল
মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তিনিও অনেক শক্ত
জবাব দেন এবং বলেন যে,
والله
ما علمت
إلا خيرا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে ভালো ব্যতীত আর
কিছুই জানিনা।” সুবহানাল্লাহ! (ইমতা‘উল আসমা’ ১/২১৪, ‘উয়ূনুল আছার ২/৯০, দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ লিলবাইহাক্বী ৪/৭২, বিদায়া-নিহায়া ৪/১৬৯ ইত্যাদী)
অর্থাৎ মুনাফিক্বরা যেটা ছড়িয়েছে এটা কাট্টা একটা মিথ্যা অপবাদ।
না‘ঊযুবিল্লাহ!
আল্লামা ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
وقد
وصفت عائشة
زينب بالوصف
الجميل
في قصة
الإفك
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস
সালাম উনার ‘ইফক’-এর ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি উনার অনেক উত্তম প্রশংসা
মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইছাবাহ্ ৭/৬৬৭)
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক-৪
হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত জবান মুবারক-এ উম্মুল
মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত প্রশংসা মুবারক:
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম
তিনি বলেন,
وَلَمْ
أَرَ امْرَأَةً
قَطُّ
خَيْرًا
فِي الدِّينِ
مِنْ زَيْنَبَ.
وَأَتْقَى
لِلَّهِ
وَأَصْدَقَ
حَدِيثًا،
وَأَوْصَلَ
لِلرَّحِمِ،
وَأَعْظَمَ
صَدَقَةً،
وَأَشَدَّ
ابْتِذَالًا
لِنَفْسِهَا
فِي الْعَمَلِ
الَّذِي
تَصَدَّقُ
بِهِ،
وَتَقَرَّبُ
بِهِ إِلَى
اللهِ
تَعَالَى
অর্থ: “আমি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম
উনার চেয়ে অধিক দ্বীনদার, অধিক
পরহেযগার, অধিক সত্যভাষী, অধিক উদার, অধিক দানশীল, সৎকর্মশীল এবং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত
রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের লক্ষ্যে বেশি তৎপর কাউকে দেখিনি।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, নাসায়ী শরীফ, আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্ববারনী ৯/৮৮)
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম
তিনি আরো বলেন,
ما
رأيت امرأة
قط، خيرا
في الدين
من زينب
অর্থ: “আমি উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম উনার চেয়ে অধিক দ্বীনদার কোনো মহিলা দেখিনি।” সুবহানাল্লাহ! (উস্দুল
গবাহ্ ৬/১২৭, সিয়ারু আ’লামিন
নুবালা’ ৩/৪৭৪)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
عَائِشَةَ
قَالَتْ:
يَرْحَمُ
اللَّهُ
زَيْنَبَ
بِنْتَ
جَحْشٍ
لَقَدْ
نَالَتْ
فِي هَذِهِ
الدُّنْيَا
الشَّرَفَ
الَّذِي
لا يَبْلُغُهُ
شَرَفٌ.
إِنَّ
اللَّهَ
زَوَّجَهَا
نَبِيَّهُ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
فِي الدُّنْيَا
وَنَطَقَ
بِهِ الْقُرْآنُ.
وَإِنَّ
رَسُولَ
اللَّهِ
قَالَ
لَنَا
وَنَحْنُ
حَوْلَهُ:
أَسْرَعُكُنَّ
بِي لُحُوقًا
أَطْوَلُكُنَّ
بَاعًا.
فَبَشَّرَهَا
رَسُولُ
اللَّهِ
بِسُرْعَةِ
لُحُوقِهَا
بِهِ.
অর্থ: “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অবিরত
ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করছেন! অবশ্যই নি:সন্দেহে তিনি কায়িনাতের বুকে
এমন বেমেছাল সীমাহীন সম্মান-ইজ্জত ও মর্যাদা-র্মতবা মুবারক হাছিল করেছেন, যেটা আর কেউ হাছিল করতে পারেনি। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং যিনি
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার মহাসম্মানিত নবী, মাহবূব হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে ম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ (শাদী মুবারক) দিয়েছেন এবং তিনি উনার
বেমেছাল সীমাহীন সম্মান-ইজ্জত ও মর্যাদা-র্মতবা মুবারক সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আলোচনা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর একদা হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত ছিলাম, তখন তিনি আমাদেরকে উদ্দেশ্যে করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, আপনাদের মধ্যে যাঁর সম্মানিত ও পবিত্র হাত মুবারক লম্বা, তিনি সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবেন। সুবহানাল্লাহ! এই
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনাকে দ্রুত উনার সাথে মিলিত হওয়ার সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন।”
সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/৮৫)
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার সম্পর্কে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস
সালাম তিনি বলেন,
وَكَانَتِ
امْرَأَةً
صَالِحَةً
صَوَّامَةً
قَوَّامَةً.
অর্থ: “তিনি ছিলেন অত্যন্ত নেককার, অধিক রোযা পালনকারিণী, অনেক
বেশি নামায আদায়কারিণী।” (ইবনে সা’দ ৮/৮২)
ইবনে আসাকির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘তারীখে দিমাশক্ব’ উনার মধ্যে উল্লেখ
করেন,
قالت
أم سلمة
وكانت
لرسول
الله صلى
الله عليه
وسلم معجبة
وكان يستكثر
منها وكانت
امرأة
صالحة
صوامة
قوامة
صناعا
تصدق بذلك
كله على
المساكين
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি
বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অত্যন্ত প্রিয় এবং নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেশি বেশি উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত
মুবারক, সম্মানিত প্রশংসা মুবারক
করতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন অত্যন্ত
নেককার, অধিক রোযা পালনকারিণী, অনেক বেশি নামায আদায়কারিণী এবং হাতের কাজে অত্যন্ত
পারদর্শী। তিনি নিজ হাত মুবারক-এ কাজ করে উপার্জিত সমস্ত অর্থ ফক্বীর-মিসকীনদেরকে
দান করে দিতেন।” সুবহানাল্লাহ! (দারীখে দিমাশক্ব ৩/২১২)
দানশীলতা-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
عَائِشَةَ
، قَالَتْ
: قَالَ
رَسُولُ
اللَّهِ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
: أَسْرَعُكُنَّ
بِي لُحُوقًا
أَطْوَلُكُنَّ
يَدًا
، قَالَتْ
: فَكُنَّ
يَتَطَاوَلْنَ
أَيُّهُنَّ
أَطْوَلُ
يَدًا
، قَالَتْ
: فَكَانَ
أَطْوَلَنَا
يَدًا
زَيْنَبُ لأَنَّهَا
كَانَتْ
تَعْمَلُ
بِيَدِهَا
وَتَتَصَدَّقُ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস
সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আপনাদের মধ্যে যাঁর সম্মানিত ও পবিত্র হাত মুবারক লম্বা
তিনি সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনারা পরস্পর হাত মুবারক মেপে দেখতেন যে, কার হাত মুবারক সবচেয়ে লম্বা। আমাদের মধ্যে লম্বা হাত
মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন, উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি। কেননা, তিনি নিজ হাত
মুবারক-এ কাজ করে, সেই অর্থ দান
করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ্ ইবনে হিব্বান ৮/১০৮)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় উম্মুল মু’মিনীন আছ
ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
فكنا
إذا اجتمعنا
في بيت
إحدانا
بعد وفاة
رسول اللَّه
صلّى اللَّه
عليه وسلّم
نمدّ أيدينا
في الجدار
نتطاول،
فلم نزل
نفعل ذلك
حتى توفيت
زينب بنت
جحش، وكانت
امرأة
قصيرة،
ولم تكن
بأطولنا،
فعرفنا
حينئذ
أنّ النبيّ
صلّى اللَّه
عليه وسلّم
إنما أراد
طول اليد
بالصدقة،
وكانت
زينب امرأة
صناع اليدين،
فكانت
تدبغ وتخرز
وتتصدق
به في
سبيل.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস
সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উম্মাহাতুল
মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম আমরা সবাই যখন আমাদের কোনো একজনের মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ একত্রিত হতাম, তখন আমরা সকলে আমাদের হাত মুবারক লম্বা করে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে মেপে দেখতাম
যে, আমাদের মধ্যে কার হাত মুবারক
সবচেয়ে লম্বা। উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের
পূর্ব পর্যন্ত আমরা এ রকম করতাম। তিনি তত বেশি লম্বা ছিলেন না এবং উনার সম্মানিত
হাত মুবারকও আমাদের সকলের চেয়ে বেশি লম্বা ছিলো না। যখন তিনি মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক করলেন, তখন আমরা বুঝতে পারলাম যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
হাতের প্রশস্ততা (আত্বওয়ালু ইয়াদান) দ্বারা দান-ছদক্বাহ বুঝিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
তিনি হাতের কাজে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তিনি দাবাগাত এবং সেলাই কাজ করে, অর্জিত সমস্ত অর্থ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে
দিতেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইছাবাহ্ ৮/১৫৪)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
مَا
تَرَكَتْ
زَيْنَبُ
بِنْتُ
جَحْشٍ
دِرْهَمًا
وَلَا
دِينَارًا
كَانَتْ
تَصَدَّقُ
بِكُلِّ
مَا قَدَرَتْ
عَلَيْهِ
وَكَانَتْ
مَأْوَى
الْمَسَاكِينِ
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম তিনি যায়নাব বিনত জাহশ দিরহাম-দীনের কিছুই রেখে যাননি। কারণ উনার
সম্মানিত হাত মুবারক-এ যা কিছু আসতো সমস্ত কিছুই দান করে দিতেন। তিনি ছিলেন
ফক্বীর-মিসকীনদের আশ্রয়স্থল।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১৪)
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল ‘আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক-৫
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
كان
عطاء زينب
بنت جحش
اثني عشر
ألفا لم
تأخذه
إلا عاما
واحدا،
فجعلت
تقول: اللَّهمّ
لا يدركني
هذا المال
من قابل
فإنه فتنة،
ثم قسمته
في أهل
رحمها
وفي أهل
الحاجة،
فبلغ عمر،
فقال: هذه
امرأة
يراد بها
خير، فوقف
عليها،
وأرسل
بالسلام،
وقال: بلغني
ما فرقت.
فأرسل
بألف درهم
تستبقيها،
فسلكت
به ذلك
المسلك.
অর্থ: “দ্বিতীয় খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার জন্য বাৎসরিক ১২ হাজার দিরহাম ভাতা নির্ধারণ করেন। কিন্তু তিনি কখনও
তা গ্রহণ করেননি। তবে একবার তিনি তা গ্রহণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোআ করেন,
اللَّهمّ
لا يدركني
هذا المال
من قابل
فإنه فتنة،
অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান
আল্লাহ পাক! আগামীতে এই সম্পদ যেন আমাকে আর না পায়। এই সম্পদ হচ্ছে মানুষের জন্য
পরীক্ষা।”
তারপর তিনি দিরহামগুলো আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-মিসকীনদের মাঝে বণ্টন করে দেন।
সুবহানাল্লাহ! এ সংবাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পৌঁছলে, তিনি বলেন,
هذه
امرأة
يراد بها
خير،
অর্থ: তিনি এমন একজন সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যে, উনার থেকে শুধু খায়ের-বরকতই আশা করা যায়। সুবহানাল্লাহ!
তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ও
পবিত্র হুজরা শরীফ উনার নিকট গিয়ে উনার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সালাম পেশ করেন। তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন, আপনি যে, সমস্ত সম্পদ বণ্টন করে দিয়েছেন, সে সংবাদ আমার কাছে পৌঁছেছে। তারপর তিনি উনার খরচের জন্য উনার সম্মানিত খিদমত
মুবারক-এ এক হাজার দিরহাম পাঠান। তিনি সেগুলিও পূর্বের ন্যায় দান করে দেন।”
সুবহানাল্লাহ! (শরহুয যারক্বানী ৪/৪১৫, ইবনে সা’দ)
তিনি ছিলেন অত্যন্ত নরম দিল মুবারক উনার অধিকারী:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
أن
رسول الله
- صلى الله
عليه وسلم
قال لعمر
بن الخطاب إن
زينب بنت
جحش أواهة
"
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম
আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্যে করে ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত নরম দিল মুবারক উনার অধিকারী।”
সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/২০৩)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عن
ميمونة
بنت الحارث
أن رسول
الله صلى
الله عليه
وسلم قال
إنها أواهة
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম
(সাইয়্যিদাতুনা হযরত মাইমূনাহ্ বিনতে হারিছ আলাইহাস সালাম) তিনি বর্ণনা করেন। নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
তিনি অত্যন্ত নরম দিল মুবারক উনার অধিকারী।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার
রশাদ ১১/২০৩)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস
সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ২০ হিজরী শরীফ উনার
২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার যমীনে ৫২ বছর ২ মাস ৪ দিন
সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত গোসল মুবারক:
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা নিজে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত গোসল মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত কাফন মুবারক
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি নিজের সম্মানিত কাফন
মুবারক উনার ব্যবস্থা নিজেই করে যান। আর তিনি উনার আপনজনদের বলে যান, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক
প্রকাশের পর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত কাফন মুবারক উনার কাপড় পাঠাতে পারেন, যদি তিনি সম্মানিত কাফন মুবারক উনার কাপড় পাঠান, তাহলে দুইটির যেকোন একটি গরীব-মিসকীনদেরকে দান করে দিবেন।
সুবহানাল্লাহ!
দেখা গেলো যে, সত্যিই উম্মুল মু’মিনীন
আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার সম্মানিত কাফন
মুবারক সম্পন্ন করার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি
পাঁচখানা কাপড় মুবারক পাঠান। তারপর তা দিয়ে উনার সম্মানিত কাফন মুবারক সম্পন্ন করা
হয়। আর উনার রেখে যাওয়া কাপড় মুবারক গরীব-মিসকীনদেরকে দান করে দেয়া হয়।
সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত জানাযা উনার নামায মুবারক:
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জানাযা উনার নামায মুবারক পড়ান। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখা:
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখার জন্য হযরত মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জাহ্শ
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি,
হযরত উসামা ইবনে যায়েদ
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আহমদ ইবনে জাহ্শ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং
মুহম্মদ ইবনে ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা তিনি অর্থাৎ উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ-এ নামেন।
সুবহানাল্লাহ! উনারা প্রত্যেকেই ছিলেন উনার নিকট আত্মীয় উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ
অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ-১
প্রথম শাদী মুবারক
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার প্রথম শাদী মুবারক হয় সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে। স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার নিকট এই শাদী মুবারক উনার প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। মূলত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নির্দেশ
মুবারক উনার কারণে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি এই সম্মানিত শাদী মুবারক-এ সম্মতি প্রকাশ করেন। উনার
পরিবারের কেউ কেউ ‘কুফূর’ বিষয়টি ফিকির করেছিলেন যে, উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি কুরাইশ গোত্রের এবং তিনি হচ্ছেন সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আপন ফুফাতো বোন। আর যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি কুরাইশ নন। তাহলে
কিভাবে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
উনার শাদী মুবারক হতে পারে। তখন স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে বিষয়টি ফায়ছালা মুবারক করে দেন যে,
وَمَا
كَانَ
لِمُؤْمِنٍ
وَلَا
مُؤْمِنَةٍ
إِذَا
قَضَى
اللَّهُ
وَرَسُولُهُ
أَمْرًا
أَنْ يَكُونَ
لَهُمُ
الْخِيَرَةُ
مِنْ أَمْرِهِمْ
وَمَنْ
يَعْصِ
اللَّهَ
وَرَسُولَهُ
فَقَدْ
ضَلَّ
ضَلَالًا
مُبِينًا
অর্থ: “কোনো মু’মিন পুরুষ-মহিলা কারো জন্য কস্মিনকালেও জায়েয হবে না যে, যখন যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার
সম্মানিত রসূল, মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কোনো
বিষয়ে সম্মানিত ফায়ছালা মুবারক দেন, এ বিষয়ে কোনো মত পেশ করা। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত
রসূল, মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের
ফায়ছালাকৃত বিষয় কোনো পেশ করবে, সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে নিমজ্জিত হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা
আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
তারপর যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান
আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সম্মানিত নির্দেশ
মুবারক অনুযায়ী উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু উনার শাদী মুবারক অনুষ্ঠিত হয়।
শাদী মুবারক হওয়ার পর এক বছর সময় অতিবাহিত হয়। এর মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত
যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার থেকে জুদা হয়ে যাওয়ার
জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরজী পেশ করেন। কিন্তু নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে জুদা হতে নিষেধ করেন।
সুবহানাল্লাহ! যে বিষয়টা স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এভাবে বর্ণনা করেছেন যে,
وَإِذْ
تَقُولُ
لِلَّذِي
أَنْعَمَ
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَأَنْعَمْتَ
عَلَيْهِ
أَمْسِكْ
عَلَيْكَ
زَوْجَكَ
وَاتَّقِ
اللَّهَ
অর্থ: “আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন
এবং আপনিও যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক
হাদিয়া করেছেন, উনাকে যখন আপনি
বলছিলেন যে, আপনার সম্মানিত
আহলিয়াহ্ উনাকে আপনার নিকট রেখে দিন (আপনি উনার থেকে জুদা হওয়া থেকে বিরত থাকুন)
এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র
সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
শেষ পর্যন্ত উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সাইয়্যিদুনা
হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের
মাঝে জুদায়ী ঘটে। যার কারণে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে আলাদা হয়ে যান।
মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক:
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার
থেকে আলাদা হয়ে যান এবং উনার সম্মানিত
ইদ্দত মুবারক পূর্ণ হয়। তখন স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি
উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন, উম্মুল মু’মিনীন
আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে
‘আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার মাধ্যমে
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব দেন।
সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই আরশে ‘আযীম মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ সম্পন্ন করলেন:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
أَنَسٍ
قَالَ
لَمَّا
انْقَضَتْ
عِدَّةُ
زَيْنَبَ
قَالَ
رَسُولُ
اللَّهِ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
لِزَيْدٍ
فَاذْكُرْهَا
عَلَيَّ
قَالَ
فَانْطَلَقَ
زَيْدٌ
حَتَّى
أَتَاهَا
وَهِيَ
تُخَمِّرُ
عَجِينَهَا
قَالَ
فَلَمَّا
رَأَيْتُهَا
عَظُمَتْ
فِي صَدْرِي
حَتَّى
مَا أَسْتَطِيعُ
أَنْ أَنْظُرَ
إِلَيْهَا
أَنَّ
رَسُولَ
اللَّهِ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
ذَكَرَهَا
فَوَلَّيْتُهَا
ظَهْرِي
وَنَكَصْتُ
عَلَى
عَقِبِي
فَقُلْتُ
يَا زَيْنَبُ
أَبْشِرِي،
أَرْسَلَ
رَسُولُ
اللَّهِ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
يَذْكُرُكِ
قَالَتْ
مَا أَنَا
بِصَانِعَةٍ
شَيْئًا
حَتَّى
أُوَامِرَ
رَبِّي
فَقَامَتْ
إِلَى
مَسْجِدِهَا
وَنَزَلَ
الْقُرْآنُ
وَجَاءَ
رَسُولُ
اللَّهِ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
فَدَخَلَ
عَلَيْهَا
بِغَيْرِ
إِذْنٍ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ইদ্দত মুবারক শেষ হলো, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে বললেন যে, আপনি যান, আমার পক্ষ থেকে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার নিকট
সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক পেশ করুন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি রওয়ানা হয়ে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার নিকট উপস্থিত হন। তিনি
যেয়ে দেখেন যে, উম্মুল মু’মিনীন
আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ময়দা বা
আটার খামির বানাচ্ছেন। হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, যখন আমি উনাকে দেখলাম, তখন উনাকে দেখার সাথে সাথে আমার অন্তরে উনার প্রতি এতো বড়
ধরনের সম্মান বোধ সৃষ্টি হয় যে, আমি উনার দিকে তাকানোর বা উনার প্রতি
দৃষ্টি দেয়ার হিম্মত হারিয়ে ফেলি। কারণ, (মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী) স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব
মুবারক পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তাই আমি উনার দিকে পিঠ দিয়ে পিছনের দিকে ফিরে এসে
বলি, হে উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম! আপনি সম্মানিত
সুসংবাদ মুবারক গ্রহণ করুন! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
আপনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার পয়গাম
পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ উনার সাথে পরামর্শ
না করে কোনো কাজ করি না। সুবহানাল্লাহ! এটা বলে তিনি সম্মানিত নামাযের স্থানের
দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়ালে সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয় {যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেন,
فَلَمَّا
قَضَى
زَيْدٌ
مِنْهَا
وَطَرًا
زَوَّجْنَاكَهَا
অর্থ: “অত:পর হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন উম্মুল মু’মিনীন
আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সাথে
সম্পর্ক ছিন্ন করলো, তখন আমি উনাকে
আপনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করে
দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র
আয়াত শরীফ ৩৭)} এবং নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক
রেখে অনুমতি ছাড়াই উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ও
পবিত্র হুজরা শরীফ প্রবেশ করে উনার নিকট উপস্থিত হন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ ৩/১৯৫, মুসনাদে আবূ ইয়া’লা ৬/৭৭, আস সুনানুল কুবরা লিলবাইহাক্বী ৭/৫৬, মুস্তাখরাজে আবী ‘আওয়ানাহ্ ৫/৭৮, আস সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৫/৫২ ইত্যাদী)
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَإِذْ
تَقُولُ
لِلَّذِي
أَنْعَمَ
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَأَنْعَمْتَ
عَلَيْهِ
أَمْسِكْ
عَلَيْكَ
زَوْجَكَ
وَاتَّقِ
اللَّهَ
وَتُخْفِي
فِي نَفْسِكَ
مَا اللَّهُ
مُبْدِيهِ
وَتَخْشَى
النَّاسَ
وَاللَّهُ
أَحَقُّ
أَنْ تَخْشَاهُ
فَلَمَّا
قَضَى
زَيْدٌ
مِنْهَا
وَطَرًا
زَوَّجْنَاكَهَا
لِكَيْ
لَا يَكُونَ
عَلَى
الْمُؤْمِنِينَ
حَرَجٌ
فِي أَزْوَاجِ
أَدْعِيَائِهِمْ
إِذَا
قَضَوْا
مِنْهُنَّ
وَطَرًا
وَكَانَ
أَمْرُ
اللَّهِ
مَفْعُولًا
অর্থ: “আর স্মরণ করুন ঐ সময়ের কথা, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং আপনিও
যাঁকে সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া
করেছেন, উনাকে যখন আপনি বলছিলেন যে, আপনার সম্মানিত আহলিয়াহ্ উনাকে আপনার নিকট রেখে দিন (আপনি
উনার থেকে জুদা হওয়া থেকে বিরত থাকুন) এবং এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করুন।
আর আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অন্তর মুবারক-এ অর্থাৎ আপনার ইলম মুবারক-এ যা
পুশীদা ছিলো, মহান আল্লাহ পাক
তিনি সম্মানিত ও পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
আপনি মানুষদেরকে বাঁচিয়েছেন। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই অধিক
হক্বদার উনাকে ভয় করা হোক। সুবহানাল্লাহ! অত:পর হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু তিনি যখন উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম উনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন, তখন আমি উনাকে আপনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ
শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! যাতে করে মু’মিন উনাদের
পালকপুত্ররা উনাদের আহলিয়াহ্ উনাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে, সে সকল আহলিয়াহ্ উনাদেরকে বিবাহ করার ব্যাপারে মু’মিন
উনাদের কোনো অসুবিধা না থাকে। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দশ মুবারক
বাস্তবায়িত হয়েই থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহ্যাব শরীফ :
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়, ৫ম হিজরী
শরীফ উনার ৮ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল
‘আযীম শরীফ রাত)। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩৭ বছর ৬ মাস ১৯ দিন।
সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ-২
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
فَكَانَتْ
زَيْنَبُ
تَفْخَرُ
عَلَى
أَزْوَاجِ
النَّبِيِّ
صَلَّى
اللهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
تَقُولُ
زَوَّجَكُنَّ
أَهَالِيكُنَّ،
وَزَوَّجَنِي
اللَّهُ
تَعَالَى
مِنْ فَوْقِ
سَبْعِ
سَمَوَاتٍ
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান
আলাইহাস সালাম তিনি অন্যান্য সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনার উপর
ফখর করে বলতেন, আপনাদের সবাইকে
আপনাদের অভিভাকগণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ
করেছেন, আর আমাকে স্বয়ং যিনি খালিক্ব
মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সপ্ত আসমানের উপর থেকে (মহাসম্মানিত আরশে আযীম
মুবারক) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করেছেন।”
সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
عَائِشَةَ
قَالَتْ
يَرْحَمُ
اللَّهُ
زَيْنَبَ
بِنْتَ
جَحْشٍ
لَقَدْ
نَالَتْ
فِي هَذِهِ
الدُّنْيَا
الشَّرَفَ
الَّذِي
لا يَبْلُغُهُ
شَرَفٌ.
إِنَّ
اللَّهَ
زَوَّجَهَا
نَبِيَّهُ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
অর্থ: “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস
সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অবিরত
ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করছেন! অবশ্যই নি:সন্দেহে তিনি কায়িনাতের বুকে
এমন বেমেছাল সীমাহীন সম্মান-ইজ্জত ও মর্যাদা-র্মতবা মুবারক হাছিল করেছেন, যেটা আর কেউ হাছিল করতে পারেনি। সুবহানাল্লাহ! স্বয়ং যিনি
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার মহাসম্মানিত নবী, মাহবূব হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ (শাদী মুবারক) দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
(ইবনে সা’দ ৮/৮৫)
হযরত ইমাম আল্লামা শামসুদ্দীন যাবাহী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত
কিতাব ‘সিয়ারু আ’লামিন নুবুলাতে’ বলেন,
فزوجها
الله تعالى
بنبيه
بنص كتابه،
بلا ولي
ولا شاهد.
فكانت
تفخر بذلك
على أمهات
المؤمنين،
وتقول:
زوجكن
أهاليكن،
وزوجني
الله من
فوق عرشه.
অর্থ: “স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ উনার দ্বারা কোনো ওলী (অভিভাবক) ও সাক্ষী ছাড়া
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস
সালাম উনার মহাসম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি এ বিষয়ে
অন্যান্য সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপর ফখর করে বলতেন, আপনাদের সবাইকে আপনাদের অভিভাকগণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ দিয়েছেন, আর আমাকে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত
আরশে আযীম মুবারক উনার থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে আযীম
শরীফ-দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ২/২১১)
সম্মানিত ওলীমা মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ
أَنَسَ
بْنَ مَالِكٍ
رَضِيَ
اللَّهُ
عَنْهُ،
قَالَ
نَزَلَتْ
آيَةُ
الحِجَابِ
فِي زَيْنَبَ
بِنْتِ
جَحْشٍ،
وَأَطْعَمَ
عَلَيْهَا
يَوْمَئِذٍ
خُبْزًا
وَلَحْمًا،
وَكَانَتْ
تَفْخَرُ
عَلَى
نِسَاءِ
النَّبِيِّ
صَلَّى
اللهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ،
وَكَانَتْ
تَقُولُ:
إِنَّ
اللَّهَ
أَنْكَحَنِي
فِي السَّمَاءِ
"
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীম শরীফ উনার দিন পর্দার
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক উপলক্ষে সেদিন রুটি ও গোশত মুবারক খাওয়ান।
সুবহানাল্লাহ! তিনি অন্যান্য সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের
উপর ফখর করে বলতেন, আমাকে স্বয়ং
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানে (উনার মহাসম্মানিত আরশে আযীম
মুবারক উনার উপর) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
পড়িয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, ইবনে সা’দ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
أَنَسٍ
قَالَ:
أَوْلَمَ
رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
إِذْ بَنَى
بِزَيْنَبَ
فَأَشْبَعَ
الْمُسْلِمِينَ
خُبْزًا
وَلَحْمًا
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন
আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সময় যখন সম্মানিত ওলীমা মুবারক
করেন, তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত মুবারক খাওয়ান।”
সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/৮৬)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
أَنَسٍ
قَالَ:
مَا أَوْلَمَ
رَسُولُ
اللَّهِ
صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
عَلَى
شَيْءٍ
مِنْ نِسَائِهِ
مَا أَوْلَمَ
عَلَى
زَيْنَبَ.
أَوْلَمَ
بِشَاةٍ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য কোন উম্মুল
মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক করেননি, যেভাবে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক করেছেন। তিনি উম্মুল
মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত ওলীমা করেন ছাগলের গোশত মুবারক দিয়ে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, শরহুস সুন্নাহ
শরীফ ইত্যাদী)
পর্দার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল:
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার দিন পর্দার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল
হয়। অর্থাৎ ৫ম হিজরী শরীফ উনার ৮ই যিলক্বদ শরীফ সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ
পর্দার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয় তথা পর্দা ফরয করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ
أَنَسَ
بْنَ مَالِكٍ
رَضِيَ
اللَّهُ
عَنْهُ،
قَالَ
نَزَلَتْ
آيَةُ
الحِجَابِ
فِي زَيْنَبَ
بِنْتِ
جَحْشٍ،
وَأَطْعَمَ
عَلَيْهَا
يَوْمَئِذٍ
خُبْزًا
وَلَحْمًا،
وَكَانَتْ
تَفْخَرُ
عَلَى
نِسَاءِ
النَّبِيِّ
صَلَّى
اللهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ،
وَكَانَتْ
تَقُولُ:
إِنَّ
اللَّهَ
أَنْكَحَنِي
فِي السَّمَاءِ
"
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীম শরীফ উনার দিন পর্দার
সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম
উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক উপলক্ষে সেদিন রুটি ও গোশত মুবারক খাওয়ান। সুবহানাল্লাহ!
তিনি অন্যান্য সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপর ফখর করে
বলতেন, আমাকে স্বয়ং যিনি খালিক্ব
মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানে (উনার মহাসম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার
উপর) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ সম্পন্ন করেছেন ।”
সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, ইবনে সা’দ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পর্দার সম্মানিত
ও পবিত্র আয়াত শরীফ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন,
يَاأَيُّهَا
الَّذِينَ
آمَنُوا
لَا تَدْخُلُوا
بُيُوتَ
النَّبِيِّ
إِلَّا
أَنْ يُؤْذَنَ
لَكُمْ
إِلَى
طَعَامٍ
غَيْرَ
نَاظِرِينَ
إِنَاهُ
وَلَكِنْ
إِذَا
دُعِيتُمْ
فَادْخُلُوا
فَإِذَا
طَعِمْتُمْ
فَانْتَشِرُوا
وَلَا
مُسْتَأْنِسِينَ
لِحَدِيثٍ
إِنَّ
ذَلِكُمْ
كَانَ
يُؤْذِي
النَّبِيَّ
فَيَسْتَحْيِي
مِنْكُمْ
وَاللَّهُ
لَا يَسْتَحْيِي
مِنَ الْحَقِّ
وَإِذَا
سَأَلْتُمُوهُنَّ
مَتَاعًا
فَاسْأَلُوهُنَّ
مِنْ وَرَاءِ
حِجَابٍ
ذَلِكُمْ
أَطْهَرُ
لِقُلُوبِكُمْ
وَقُلُوبِهِنَّ
وَمَا
كَانَ
لَكُمْ
اَنْ تُؤْذُوْا
رَسُوْلَ
اللهِ
وَلَاۤ
اَنْ تَنْكِحُوْاۤ
اَزْوَاجَهٗ
مِنْۢ
بَعْدِهٖۤ
اَبَدًا
اِنَّ
ذٰلِكُمْ
كَانَ
عِنْدَ
اللهِ
عَظِيْمًا.
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! আপনারা আমার মহাববূব হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা
শরীফ-এ অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করবে না। আপনাদেরকে যখন খাবারের জন্য ডাকা হবে খাদ্য প্রস্তুত
হওয়ার পূর্বে, অপেক্ষা না করে
আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ
প্রবেশ করবে না। বরং যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে, তখনই তোমরা প্রবেশ করবেন। তারপর যখন আপনাদের খাদ্য খাওয়া শেষ হয়ে যাবে, আপনারা চলে আসবেন অর্থাৎ সেখান থেকে বের হয়ে পড়বেন। আপনারা
সেখানে কথা-বার্তায়, আলোচনায় মশগুল
থাকবেন না। নিশ্চয়ই আপনাদের এই সমস্ত আচরণ আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়। তিনি উনার
সেই কষ্টের কথা আপনাদের কাছে বলতে সংকোচ বোধ করেন। অর্থাৎ বলেন না, আপনাদের কষ্ট হয় কিনা সেজন্য। আর যিনি খালিক্ব মালিক রব
মহান আল্লাহ পাক তিনি সত্য বলতে কখনও লজ্জিত হননা বা সংকোচ বোধ করেন না। আপনারা
যখন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের কাছ থেকে কিছু চাবেন, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাবেন। এটা আপনাদের অন্তরের জন্য
পবিত্রতার কারণ হবে। এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের জন্য
ইহা শরাফত ও মর্যাদা উনার বহিঃপ্রকাশ। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার
সম্মানিত রসূল, উনার মাহবূব
হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়া জায়িয নেই এবং উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার মহাসম্মানিতা
আযওয়াজুম মুত্বহ্হারাত (হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদেরকে
বিবাহ করা তোমাদের জন্য কস্মিনকালেও জায়িয নেই। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট
এটা অনেক বড় অপরাধ।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত
শরীফ ৫৩)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শানে নুযূল সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ
করেন, তখন সম্মানিত ওলীমা মুাবরক
করেন। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
أَنَسٍ
قَالَ:
أَوْلَمَ
رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ
عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ
إِذْ بَنَى
بِزَيْنَبَ
فَأَشْبَعَ
الْمُسْلِمِينَ
خُبْزًا
وَلَحْمًا
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন
আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়াল ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সময় যখন সম্মানিত ওলীমা মুবারক
করেন, তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত মুবারক খাওয়ান।”
সুবহানাল্লাহ!
যখন সেই ওলীমার দাওয়াত দেয়া হয়েছিলো, সকলেই এসেছিলেন ও দাওয়াত খেয়েছিলেন। দাওয়াত খাওয়ার পর অনেকে
চলে গেলেন আর কেউ কেউ বসে রইলেন। হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
তিনি বর্ণনা করেন, কিছু লোক চলে
গেলেও সে আলোচনা চলতে লাগলো। উনাদের মধ্যে হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা তিনিও একজন ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সকলেই চলে গেলেন। তিনজন রয়ে গেলেন। নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ অবস্থা দেখে অন্যান্য হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাক্ষাতে গেলেন, সালাম-কালাম বিনিময় করলেন, সকলেই নতুন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে
জানতে চাইলেন অর্থাৎ আলোচনা করলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
এ সমস্ত দেখা-সাক্ষাত করে আলোচনা শেষ করে এসেও দেখতে পেলেন তখনও তিনজন ছাহাবী
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা বসে রয়েছেন। উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি সবাইকে পিছন দিয়ে ভিতরের দিকে মুখ করে বসেছিলেন। এ
অবস্থা দেখে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন
আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ প্রবেশ করেন। এরপর পর্দা ফরয করে উপরোক্ত সম্মানিত ও
পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ
দ্বারা মুনাফিক্বদের চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বালের জাওয়াব:
যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু
ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ
সম্পন্ন হলো। কিন্তু মুনাফিক্বরা নানা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে থাকলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা বলতে থাকলো যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ছেলের
আহলিয়াহ্ উনাকে নিসবতে ‘আযীম শরীফ করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ পিতার জন্য
পুত্র-বধূকে বিবাহ করা উনার আনীত সম্মানিত শরীয়াত মুবারক উনার মধ্যেই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মুনাফিক্বদের এ সকল চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বালের জাওয়াব দিয়ে নাযিল করেন,
مَا
كَانَ
مُـحَمَّدٌ
اَبَا اَحَدٍ
مِّـنْ
رِّجَـالِـكُـمْ
وَلٰكِنْ
رَّسُوْلَ
اللهِ
وَخَاتَـمَ
النَّـبِـيّٖـنَ
ؕ وَكَانَ
اللهُ
بِـكُـلِّ
شَيْءٍ
عَلِيمًا
অর্থ: “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন
নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের কোন পুরুষের
(প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির) পিতা নন; বরং তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল এবং সর্বশেষ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক বিষয়েই জানেন।”
সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ ৪০)
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস
সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৫ বছর ৪ মাস ৪ দিন সম্মানিত খিদমত
মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment