ودر محيط آورده كه پيغمبر صلى الله عليه وسلم بمسجد در آمد ونزديك ستون بنشست وصديق عليه السلام در برابر آ ، حضرت نشته بود بلال رضى الله عنه برخاست وباذان اشتغال فرمود جون كفت اشهد ان محمدا رسول الله ابو بكر عليه السلام هردوناهن ابهامين خودرا برهردو جشم خود نهاده كفت. قرة عينى بك يا رسول الله- دون بلال رضى الله عنه فارغ شد حضرت رسول الله صلى الله عليه وسلم فرموده كه يا ابا بكر هركه بكند جنين كه توكردى خداى بيامرزد كناهان جديد وقديم اورا اكر بعمد بوده باشد اكر بخطا
অর্থ: “মুহীত কিতাবে উল্লেখ আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে তাশরীফ এনে
একটি স্তম্ভের নিকট বসেছিলেন, উনার পাশে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনিও বসেছিলেন। এর মধ্যে
হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আযান শুরু করলেন, যখন
اشهد ان محمدا رسول الله.
(আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
উচ্চারণ করলেন তখন হযরত আবূ বরক ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি আপন
বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয়ের নখ মুবারক চুম্বন করে আপন দু’চোখের উপর রেখে বললেন,
قرة عينى بك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم.
(কুররাতু আইনী বিকা ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
অর্থ: “হে রসূল রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আমার চোখের মণি।”
হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আযান শেষ হওয়ার পর সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম! আপনি যা করেছেন, যে ব্যক্তি তদ্রƒপ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সমূদয় গুনাহ মাফ করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
এছাড়াও অনুসরণীয় ও বিশ্বখ্যাত বহু ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি
আলাইহিম উনাদের স্ব-স্ব কিতাবে আযানের মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলী
চুম্বন করে চোখে বুছা দেয়ার আমলকে মুস্তাহাব বলে ফতওয়া দিয়েছেন।”
আর পবিত্র আযানে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাম মুবারক শুনে
বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চুম্বন করে চোখে লাগানোর ফযীলত সম্পর্কে হযরতুল আল্লামা ইবনে
আবেদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,
كذا في كنز العباد حضرت قهستاني رحمة الله عليه ونحوه في الفتاوى الصوفية وفي كتاب الفردوس من قبل ظفري إبهامه عند سماع أشهد أن محمدا رسول الله في الأذان أنا قائده ومدخله في صفوف الجنة
অর্থ: “অনুরূপভাবে হযরত ইমাম কাহেসতানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘কানযুল ইবাদ’
এবং ‘ফতওয়ায়ে ছুফীয়া’ ও ‘কিতাবুল ফিরদাউসে’ আছে, যে ব্যক্তি পবিত্র আযানে اشهد ان محمدا رسول الله শুনে আপন বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখ চুম্বন করে, তার সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেছেন, আমি তার সঙ্গে থাকবো ও
পবিত্র বেহেশতে দাখিল করাবো।”
হযরতুল আল্লামা হাসান ইবনে আম্মার ইবনে আলী শরম্বালালী হানাফী রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি বলেন, “হযরত ইমাম
দায়লামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘ফিরদাউস’ কিতাবে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর
আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র মুবারক হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তিক মুয়াজ্জিনের اشهد ان محمدا رسول الله শুনে শাহাদত আঙ্গুল দুটির ভিতর দিক চুম্বন করে চোখে লাগায় এবং
أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا
عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم نَبِيًّا،
এই দোয়া পড়বে তার জন্য আমার শাফায়াত অবধারিত।
সুতরাং আযানে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) তথা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাম মুবারক
শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে লাগানো সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতেই সুন্নতে
ছাহাবা- যা আমলযোগ্য, জায়িয, মুস্তাহাব ও ফযীলত, বুযুর্গী এবং মর্যাদা লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
واذا ناديتم الى الصلوة اتخذوها هزوا ولعبا-
অর্থ: যখন তোমরা পবিত্র নামায উনার দিকে আহবান করো তারা (কাফির-মুশরিক
বেদ্বীন-বদদ্বীনরা) ইহাকে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ ও খেল-তামাশায় পরিণত করে। নাউযুবিল্লাহ!
অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র ছলাত বা নামায উনার প্রতি আহবান বলতে
পবিত্র আযান উনাকে বুঝানো হয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
عَنْ حضرت جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رضى الله تعالى عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِبِلاَلٍ
رضى الله تعالى عنه يَا حضرت بِلاَلُ رضى الله تعالى عنه إِذَا أَذَّنْتَ
فَتَرَسَّلْ فِى أَذَانِكَ وَإِذَا أَقَمْتَ فَاحْدُرْ وَاجْعَلْ بَيْنَ أَذَانِكَ وَإِقَامَتِكَ قَدْرَ مَا يَفْرُغُ الآكِلُ مِنْ أَكْلِهِ وَالشَّارِبُ مِنْ شُرْبِهِ وَالْمُعْتَصِرُ إِذَا دَخَلَ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ وَلاَ تَقُومُوا حَتَّى تَرَوْنِى
অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন, যখন আযান দিবেন ধীরে ধীরে (দীর্ঘ স্বরে) দিবেন এবং যখন
ইক্বামত বলবেন তখন তাড়াতাড়ি (একটু কম আওয়াজে) বলবেন এবং আপনার আযান এবং ইক্বামতের
মাঝে এতটুকু সময় রাখবেন যে, যাতে খাদ্য গ্রহণকারী তার খাবার থেকে, পানের হাজতী তার পান করা থেকে এবং ইস্তেঞ্জার হাজতী যখন তার
হাজত পূরণ করতে গিয়েছে তার হাজত থেকে অবসর গ্রহণ করে সরে এবং আপনারা নামায উনার
জন্য দাঁড়াবেন না যে পর্যন্ত না আমাকে দেখেন। (তিরমিযী শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো এসেছে,
عن حضرت زياد بن الحرث الصدائي رضى الله تعالى عنه قال : أمرني رسول الله صلى الله عليه و سلم أن أؤذن في صلاة الفجر فأذنت فأراد حضرت بلال رضى الله تعالى عنه أن يقيم فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم إن أخا صداء قد أذن ومن أذن فهو يقيم.
অর্থ: হযরত যিয়াদ ইবনে হারিছ ছুদায়ী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে নির্দেশ মুবারক করেছেন যে, পবিত্র আযান দাও পবিত্র ফজর নামায উনার। সুতরাং আমি পবিত্র
আযান দিলাম। অতপর হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র ইক্বামত দিতে
চাইলেন তখন আখিরী রসূল, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- হযরত ছুদায়ি রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি আযান দিয়েছেন আর যিনি পবিত্র আযান দিবেন তিনিই ইক্বামত দিবেন।
(সুনানে তিরমিযী শরীফ, সুনানে
আবু দাউদ, সুনানে ইবনে
মাযাহ শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
عن حضرت مالك رضى الله تعالى عنه أنه بلغه أن المؤذن جاء إلى حضرت عمر بن الخطاب عليه السلام يؤذنه لصلاة الصبح فوجده نائما فقال الصلاة خير من النوم فأمره حضرت عمر عليه السلام أن يجعلها في نداء الصبح
অর্থ: হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে এই
পবিত্র হাদীছ শরীফখানা পৌঁছেছে যে, জনৈক মুয়াজ্জিন তিনি হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনার নিকট আসলেন
উনাকে পবিত্র ফজর নামায উনার জন্য ঘুম থেকে জাগাতে তিনি উনাকে নিদ্রিত অবস্থায়
পেলেন। (ইহা দেখে) তিনি বললেন,
الصلوة
خير من
النوم “পবিত্র নামায নিদ্রা অপেক্ষা উত্তম,” তখন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে উক্ত
বাক্য মুবারক পবিত্র ফজর নামায উনার আযান উনার মধ্যে সংযোগ করতে বললেন। (মুয়াত্তা
শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো এসেছে,
عن عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ رحمة الله عليه، مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ أَمَرَ حضرت بِلاَلاً رضى الله تعالى عنه أَنْ يَجْعَلَ إِصْبَعَيْهِ
فِي أُذُنَيْهِ، وَقَالَ إِنَّهُ أَرْفَعُ لِصَوْتِكَ.
অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে সা’দ ইবনে আম্মার ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুয়াজ্জিন
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমার পিতা উনার পিতার মাধ্যমে উনার দাদা হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণনা করেন যে- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনাকে নির্দেশ মুবারক দিলেন: উনার দু’ অঙ্গুল উনার দু’কানের মধ্যে সংস্থাপন
করতে এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, ইহা আপনার স্বরকে উচ্চ করবে।” (সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حضرت جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رضى الله تعالى عنه أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেছেন কোনো ব্যক্তি যখন মুয়াজ্জিনের পবিত্র আযান শুনবে তখন পবিত্র
আযান উনার শেষে মুনাজাত করবে এবং বলবে-
اللَّهُمَّ
رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًان الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ
অর্থাৎ হে বারে ইলাহী মহান আল্লাহ পাক! আপনি পরিপূর্ণ আহ্বান ও সুপ্রতিষ্ঠিত পবিত্র
নামায উনার খালিক্ব মালিক রব। আপনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করুন
উসীলা ও সুমন্নত মর্যাদা-মর্তবা এবং উনাকে মাক্বামে মাহমূদা বা প্রসংশিত সুমন্নত
মাক্বাম হাদিয়া মুবারক করুন অর্থাৎ উনাকে তা আপনি হাদিয়া মুবারক করেছেন। তাই
ক্বিয়ামতের দিন উনার মুবারক উসীলায় আমাদের জন্য উনার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব করুন।”
(বুখারী শরীফ, সুনানে আবু দাউদ
শরীফ, সুনানে তিরমিযী শরীফ, সুনানে নাসায়ী শরীফ, সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, সুনানে আহমদ ইবনে হাম্বল শরীফ)
পবিত্র বায়হাক্বী শরীফসহ আরো অনেক গ্রন্থে- وعدته এর পর إِنَّكَ
لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَادَ এই বাক্য মুবারক সংযোগ রয়েছে যার অর্থ- “আপনি কখনো ভঙ্গ করেন না।” কেউ কেউ الفضيلة শব্দ মুবারক উনার পর الدرجة
الرفيعة বাড়ায়েছেন। কাজেই পবিত্র আযান উনার পূর্ণ দোয়া মুবারক হচ্ছে।
اللهم رب هذه الدعوة التامة والصلوة القائمة ات سيدنا محمد الوسيلة والفضيلة والدرجة الرفيعة وابعثه مقاما محمود ن الذى وعدته وارزقنا شفاعته يوم القيامة انك لاتخلف الميعاد
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো
ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُغِيرُ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ
وَكَانَ يَسْتَمِعُ الأَذَانَ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ فَسَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ. صلى الله عليه وسلم- عَلَى الْفِطْرَةِ. ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم. خَرَجْتَ مِنَ النَّارِ. فَنَظَرُوا فَإِذَا هُوَ رَاعِى مِعْزًى.
অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
শত্রুর উপর আক্রমণ চালাতেন যখন পবিত্র ফযর উনার সময় হয়ে যেতো তখন পবিত্র আযান
মুবারক শুনার জন্য তিনি কান মুবারক পেতে থাকতেন। যদি পবিত্র আযান শুনতেন তখন
আক্রমণ থেকে বিরত থাকতেন অন্যথায় আক্রমণ চালাতেন। একদা এক ব্যক্তিকে তিনি বলতে
শুনলেন; সে বলতেছে- ‘আল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবার,’ তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করলেন, আপনি সম্মানিত ইসলাম উনার
উপর রয়েছেন। অতপর সে বললো- ‘আশাহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করলেন, আপনি দোযখের আযাব থেকে বেঁচে
গেলেন। অতপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ তার দিকে তাকালেন
এবং দেখতে পেলেন সে একজন ছাগল পালক। (সহীহ মুসলীম শরীফ, আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী শরীফ)
অর্থাৎ পবিত্র আযান হলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতীক। এ কারণে হযরত ইমাম
মুজতাহিদ ও ফক্বীহগণ উনারা বলেন- পবিত্র আযান জামায়াতের জন্য সুন্নতে মুয়াক্বাদা
হলেও উহার গুরুত্ব অপরিসীম। কোনো
সম্পদায়ের সকলেই পবিত্র আযান উনাকে অস্বীকার করলে এর বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে
যতক্ষণ না তারা পবিত্র আযান ক্বায়িম করেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে
عَنْ حضرت أَبِى هُرَيْرَةَ
رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. الإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ اللَّهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّنِينَ.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেছেন, ইমাম হলেন (পবিত্র নামায
উনার) জামিন আর মুয়াজ্জিন হলেন আমানতদার। হে বারে ইলাহী! মহান আল্লাহ পাক আপনি
ইমামগণ উনাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং মুয়াজ্জিন উনাদেরকে ক্ষমা করে দিন।
(সুনানে আবু দাউদ শরীফ, সুনানে
তিরমিযী শরীফ, সুনানে ইবনে
মাযাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ
ইবনে হাম্বল শরীফ)
অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমাম উনাদের
দায়িত্ব ও কর্তব্যের গুরুত্ব বর্ণনা করছেন যে উনারা হলেন মুক্তাদি তথা নামাযের
জিম্মাদার। আর মুয়াজ্জিন উনাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, উনারা আমানতদার।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
عَنِ حضرت ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله تعالى عنه، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
مَنْ أَذَّنَ سَبْعَ سِنِيَنَ مُحْتَسِبًا كُتِبَ لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেছেন যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক উনার নিয়তে সাত বৎসর পবিত্র আযান দিবেন, তার জন্য
দোযখের আগুন হতে মুক্তি নির্ধারিত। (সুনানে তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে আল বয্যার শরীফ, সুনানে তিরমিযী শরীফ, শরহুস সুন্নাহ শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো
ইরশাদ মুবারক এসেছে,
عَنْ حضرت عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ يَعْجَبُ رَبُّكَ مِنْ رَاعِي غَنَمٍ فِي رَأْسِ شَظِيَّةِ
الْجَبَلِ يُؤَذِّنُ بِالصَّلاَةِ وَيُصَلِّي، فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي هَذَا يُؤَذِّنُ وَيُقِيمُ الصَّلاَةَ يَخَافُ مِنِّي، قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي وَأَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ
অর্থ: “হযরত উক্ববাহ ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন- আখিরী রসূল, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আপনার মহান রব তায়ালা তিনি খুশি হন সেই ছাগল পালকের উপর, যে একা পর্বতশিখরে দাঁড়িয়ে পবিত্র নামায উনার আযান দেন এবং
নামায আদায় করেন। তখন মহান আল্লাহ পাক আযযা ওয়া জাল্লা রব তায়ালা তিনি হযরত
ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বলেন, তোমরা এ বান্দাকে দেখ। তিনি আযান দেন এবং নামায ক্বায়িম করেন এবং আমাকে ভয়
করেন। (তোমরা সাক্ষী থাকো) আমি আমার বান্দাকে মাফ করে দিলাম এবং সম্মানিত বেহেশতে
দাখিল করলাম।” (সুনানে নসায়ী শরীফ, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী শরীফ)
অর্থাৎ বান্দা যেখানেই থাকবে যদিও বা সে একাকি হয় তবুও সে আযান দিয়ে ছলাত বা
নামায আদায় করবে।
আরো বর্ণিত রয়েছে,
عَنِ حضرت ابْنِ عُمَرَ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
ثَلاَثَةٌ عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. عَبْدٌ أَدَّى حَقَّ اللهِ تَعَالَى وَحَقَّ مَوَالِيهِ و رَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ بِهِ رَاضُونَ، وَرَجُلٌ يُؤَذِّنُ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ خَمْسَ صَلَوَاتٍ
অর্থ: “হযরত ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেছেন, তিন ব্যক্তি
ক্বিয়ামতের দিন মেশকের (কাস্তুরির) স্তুপের উপর অবস্থান করবেন। (১) যে গোলাম স্বীয়
রব মহান আল্লাহ পাক উনার হক্ব ঠিকমত আদায় করেন। (২) যে ব্যক্তি কোনো কাওমের ইমামতি
করেন আর তারা উনার উপর সন্তুষ্ট এবং (৩) যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত পবিত্র নামায উনার
জন্য প্রত্যেক দিন ও রাত্রে পবিত্র আযান দেন।” (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল শরীফ, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারানী শরীফ, মুছান্নাফে আব্দুর রায্যাক শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো এসেছে-
عَنْ حضرت أُمِّ سَلَمَةَ رضى الله تعالى عنها قَالَتْ عَلَّمَنِى
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقُولَ عِنْدَ أَذَانِ الْمَغْرِبِ. اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا إِقْبَالُ لَيْلِكَ وَإِدْبَارُ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتُ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْ لِى.
অর্থ: “হযরত উম্মে সালমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে শিক্ষা
দিয়েছেন- আমি যেন পবিত্র মাগরিব উনার পবিত্র আযান উনার সময় বলি:
اللَّهُمَّ
إِنَّ هَذَا إِقْبَالُ لَيْلِكَ وَإِدْبَارُ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتُ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْ لِى.
হে বারী ইলাহী মহান আল্লাহ পাক! ইহা আপনার রাত্রের আগমন, আপনার দিনের প্রস্থান এবং আপনার মুয়াজ্জিন উনাদের আযানের
সময়। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।” (সুনানে আবু দাউদ শরীফ, আদদুয়ায়ু লিত ত্ববারানী শরীফ, আল মুসতাদরিক)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. لاَ يُرَدُّ الدُّعَاءُ
بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, পবিত্র আযান ও ইক্বামত উনাদের মধ্যকার দোয়া (মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ
থেকে ফেরত দেয়া হয় না।” (সুনানে আবু দাউদ শরীফ, মুছনাদে আবু ইয়া’লা, আদ দাওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী)
অর্থাৎ পবিত্র আযান উনার পর হাত তুলে দোয়া করার বেমেছাল ফযীলত রয়েছে যা উক্ত
পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে বুঝতে পারলাম।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
عَنْ حضرت سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثِنْتَانِ
لاَ تُرَدَّانِ أَوْ قَلَّمَا تُرَدَّانِ الدُّعَاءُ عِنْدَ النِّدَاءِ وَعِنْدَ الْبَأْسِ حِينَ يُلْحِمُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا
অর্থ: “হযরত সাহল ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেছেন, (বান্দার)
দুই (সময়ের দোয়া ফিরায়ে দেয়া হয় না। অথবা (তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন) কমই ফিরায়ে
দেয়া হয় পবিত্র আযান উনার পূর্বের দোয়া এবং পবিত্র জিহাদ উনার সময়ের দোয়া যখন
পরস্পর পরস্পর কতল বা কাটাকাটি আরম্ভ হয়ে যায়।” (বুখারী শরীফ, সুনানে ইবনে আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে খুজাইমা, সুনানে বায়হাক্বী শরীফ)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رضى الله تعالى عنه أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم إِنَّ الْمُؤَذِّنِينَ
يَفْضُلُونَنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْ كَمَا يَقُولُونَ، فَإِذَا انْتَهَيْتَ فَسَلْ تُعْطَ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই এক
ব্যক্তি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই
মুয়াজ্জিন উনারা আমাদের চেয়ে অধিক ফযীলত লাভ করছেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করলেন তুমিও বলো, যেরূপ উনারা
(মুয়াজ্জিনগণ) বলে থাকেন অর্থাৎ মুয়াজ্জিন উনাদের পবিত্র আযান উনার জবাব দাও অতঃপর
যখন পবিত্র আযান শেষ হবে তখন হাত তুলে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রার্থনা করবে
তাতে তোমাকেও (ফযীলত) দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানে আবূ দাউদ শরীফ, সুনানুল বাইহাক্বী শরীফ, শরহুস সুন্নাহ শরীফ)
0 Comments:
Post a Comment