ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল
আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল,
আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার স্বরণে-
একজন কুতুবুয্ যামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
খাজিনাতুর রহমত, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনারসদয়
অনুমতিতে দেশে ফেরা নির্দেশ পালনে তৎপর হয়ে দেশে ফেরার আয়োজন শুরু। সময় বয়ে চলছে নিরন্তর।
সব কিছুই যেনো খুব স্বাভাবিক। ব্যথাতুর আশিক হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছূর
রহমান আলাইহিস সালাম উানাকে দেখে জানার উপায় নেই রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনারসঙ্গে উনারঅবিরাম নৈকট্য ও সংযোগের কী
নতুন মাত্রা শুরু হয়েছে! বুঝবার উপায় নেই বিরহ যাতনায় উনারবুকের অভ্যন্তরে অতলান্ত
যন্ত্রনার কতো অথৈ পারাবার!
গন্তব্য
অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন বিরহ-বিধুর পথিক। পথে কতো দেশ, জনপদ, পাহাড়, সাগর, নদী,
বৃক্ষরাজি, আকাশ, মাটি ক্রমেই পেছনে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু মন পড়ে রয়েছে মূল গন্তব্য মদীনা
শরীফে, পবিত্র রওযা মুবারক সান্নিধ্যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-উনারপবিত্র কদম মুবারকে। যাত্রাপথে ক্রমান্বয়ে সব কিছুই দৃষ্টি সীমার আড়ালে
গেলেও সঙ্গে রয়েছেন রহমাতুল্লিল আলামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বুকের অভ্যন্তরে, দৃষ্টির গভীরে এবং অনুভূতির নিবিড়তায় তিনি বহন করে চলছেন নিগূঢ় নৈকট্য-সংযোগের
অগণিত স্মৃতিরাশি এবং মহামিলনের অমিয় নির্যাস।
আপন নিবাসেই মানুষের সুখ, তা
যেমনই হোক। পথ দীর্ঘ অথবা ছোট, পথ শেষেই আশ্রয়-ঠিকানা। তবু গৃহবাসে কেউ পায় অনাবিল
প্রশান্তি, কেউ পায় দুঃখ। গন্তব্য-বসতি পথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। তাই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়
ক্লান্ত পথিক আপন নিবাসকে কেন্দ্র করে মধুর স্বপ্ন রচনায় মগ্ন থাকে। জীবন এতো ছোট যে,
সব পথই শেষ হয়ে যায়। অবশেষে এক সময় মৃত্যৃ এসে ঘুমন্ত মানুষের অবিনশ্বর জাগরণ ঘটায়।
মানুষের স্বপ্নসাধ ভেঙ্গে যায়। সমাপ্তি ঘটে জাগতিক কোলাহল ও সকল লেনদেনের। আখিরাতে
বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সঞ্চিত দেনা-পাওনার হিসাব কড়ায় গন্ডায় মেটাতে হয়।
দীর্ঘ
পথ যাত্রায় এমন ভাবনা ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত,
লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, ফখরুল আউলিয়া, আওলাদূর রসূল, হযরতুল আল্লামা, সাইয়্যিদ
মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার মনকে আচ্ছন্ন করেনি। নশ্বর দুনিয়ার আবিলতা,
আখিরাতের দুর্ভাবনা অথবা ইত্মিনানও (প্রশান্তি) উনারঅনুভূতিকে একটুও আলোড়িত করেনি।
জীবন-মরণ, ইহকাল-পরকাল, চাওয়া-পাওয়া, স্বদেশ-বিদেশ, আশা-নিরাশা, আপন-পর এখন একাকার।
পথ-শ্রান্তির অনুভূতি নেই। পবিত্র মদীনা শরীফ কেন্দ্রীক নিগূঢ় মনোনিবেশের তীব্রতায়
আপন অস্তিত্বই এখন অসাড়।
বিরহ-কাতর
পথিক কুতুবুয্ যামান, আফযালুল ইবাদ, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা, সাইয়্যিদ মুহম্মদ
মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম-উনার বুকে এখন পবিত্র কা’বা শরীফের ছবি। দৃষ্টির গভীরে
ছহিবে তাত্মাইন্নিল কুলুব, ছহিবুল মদীনাহ, ছহিবুল মক্কাহ, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনারমুবারক অবস্থান। প্রিয়তম আওলাদ, আশিকে
রসূল, ওলীয়ে মাদারজাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনারঅন্তর জুড়ে মাশুকে মাওলা, ছহিবু লাওলাক,
হাবীবে আ’যম, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনারমুবারক পরশ। অনির্বচনীয় সান্নিধ্য-সংযোগের
মুবারক স্পর্শে আপন অস্তিত্ব বিলোপের মধুরতম আবেশে তিনি এখন মহামিলনের পারাপারে নিমজ্জিত।
নিদ্রায়
তো বটেই, জাগ্রত অবস্থাও খাজিনাতুর রহমত, ছহিবুল কাওছার, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনারসঙ্গে যাঁর সার্বক্ষণিক সান্নিধ্য-সংযোগ, উনারআবার না পাবার
দুঃখ কোথায়? তবু পবিত্র মদীনা শরীফের অবিরাম আকর্ষণ এবং ছহিবুল মদীনাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সবকিছু পেয়েও আরো পাবার অব্যক্ত বেদনা গন্তব্য পথে অনুক্ষণ
উনারভাব ও ভাবনাকে ছুঁয়ে যায়। (অসমাপ্ত)
আবা-১৩১
0 Comments:
Post a Comment