হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-১

 হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-১

عَنْ أَنَسٍ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ انْهَزَمَ النَّاسُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبُوْ طَلْحَةَ بَيْنَ يَدَيْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُجَوِّبٌ بِهِ عَلَيْهِ بِحَجَفَةٍ لَهُ وَكَانَ أَبُوْ طَلْحَةَ رَجُلًا رَامِيًا شَدِيْدَ الْقِدِّ يَكْسِرُ يَوْمَئِذٍ قَوْسَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا وَكَانَ الرَّجُلُ يَمُرُّ مَعَهُ الْجَعْبَةُ مِنْ النَّبْلِ فَيَقُوْلُ انْشُرْهَا لِأَبِيْ طَلْحَةَ فَأَشْرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَنْظُرُ إِلَى الْقَوْمِ فَيَقُوْلُ أَبُوْ طَلْحَةَ يَا نَبِيَّ اللهِ بِأَبِيْ أَنْتَ وَأُمِّيْ لَا تُشْرِفْ يُصِيْبُكَ سَهْمٌ مِنْ سِهَامِ الْقَوْمِ نَحْرِيْ دُوْنَ نَحْرِكَ
হযরত আনাস ইবন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, ওহুদ যুদ্ধের এক সময়ে হযরত সহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন যুদ্ধ করতে করতে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে আলাদা হয়ে পড়েছিলেন। তখন হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ঢাল হাতে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে প্রাচীরের মত দৃঢ় হয়ে দাঁড়ালেন। হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু সুদক্ষ তীরন্দাজ ছিলেন। এক নাগাড়ে তীর ছুঁড়তে থাকায় তাঁর হাতে ঐদিন দু’ বা তিনটি ধনুক ভেঙ্গে যায়। ঐ সময় তীর ভর্তি তীরাধার নিয়ে যে কেউ উনার নিকট দিয়ে যেতো হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকেই বলতেন, তোমরা তীরগুলি হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর জন্য রেখে দাও। এক সময় হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথা উঁচু করে শত্রুদের অবস্থা দেখতে চাইলে হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহ পাকের নবী! আমার মাতা পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আপনি মাথা উঁচু করবেন না। হয়ত শত্রুদের নিক্ষিপ্ত তীর এসে আপনার শরীর মুবারকে লাগতে পারে। আমার বক্ষ আপনার বক্ষের সামনে ঢাল হিসেবে রয়েছে। (অর্থাৎ, আমি আপনাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছি যদি শত্রুদের কোনো তীর এসে যায়ও তাহলে আমার শরীরে আগে বিদ্ধ হবে। আপনার শরীর মুবারকে স্পর্শ করবে না।)
(বুখারী শরীফ- কিতাবু মানাকিবুল আনছার- বাবু মানাকিবে আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু- হাদীছ ৩৮১১ )

0 Comments: