ওলীয়ে মাদারযাদ, কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় শান-মান এবং উনার অনন্য মানস প্রকৃতি
পবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা
শরীফ তারিখে যিনি তাশরীফ নিলেন তিনি তো আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস
সালাম। উনি একজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন মহাপুরুষ।
মুজাদ্দিদে আ‘যম আলাইহিস সালাম উনার দামাদ হতে পারে এমন যোগ্যতা চেয়ে
পাওয়া যায় না। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার দান। যেন আকাশের চাঁদ। মধ্যাকাশের সূর্যের
মতো দীপ্ত। আকাশের ধ্রুব তারা। গোলাপের কোমল পাপড়ী। মেশক আম্বরের সুঘ্রাণ। চাঁদের
স্নিগ্ধতা ঝরে উনার দানদান মুবারক। মনকাড়ানো টানাটানা কাজল কালো মানানসই চোখের
চাহনীতে অধীনস্থরা আত্মতৃপ্ত।
তিনি জগতের শোভা। ভোরের আভা। বাতিলের ধ্বংসকারী ভয়ঙ্কর
থাবা। আশিকের কা’বা। ভবিষ্যতের বাবা। সুবহানাল্লাহ!
৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ বরকতপূর্ণ একটি দিন
পবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা
মুবারক বলতে আমরা বুঝি এটি এক বরকতপূর্ণ ও আলোকোজ্জ্বল দিবস। যে দিবসে এই ধরা মাঝে
তাশরীফ আনেন হাদিউল উমাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম। তিনি হচ্ছেন বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার দামাদ-এ ছানী আলাইহিস
সালাম। তিনি নিবরাসাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত
শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত যাওজ তথা ইহ-পরকালীন জীবনসঙ্গী।
সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনাকে এতোসব বরকত উনার অধিকারী করেই তৈরি
করেছেন। এতো নির্ধারিত খোদায়ী ফায়ছালা ও মহান অবদান। উনার আগমনের সাথে পবিত্র ৯ই
জুমাদাল ঊলা শরীফ জড়িত বলেই পবিত্র ৯ই জুমাদাল শরীফ ঊলা ধন্য।
কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস
সালাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার ছোঁয়ায় শুধু পবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ নয়, বরং এই পৃথিবী হোক ধন্য। আমীন।
সুমহান ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ হাদিউল উমাম হযরত শাহদামাদে
ছানী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান পবিত্র মীলাদ শরীফ
মহান আল্লাহ পাক তিনি
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মাখলুকাতই তার
ছলাত তাসবীহ তথা ছলাত, সালাম, তাসবীহ-তাহলীল, ছানা-ছিফত পাঠের পদ্ধতি
সম্পর্কে যথার্থভাবে অবগত।(পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ -৪১)
অর্থাৎ কায়িনাতের প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার এবং উনার যাঁরা আওলাদে পাক আলাইহিমুস সালাম উনাদের পেয়ে খুশি প্রকাশার্থে
দায়িমীভাবে ছলাত-সালাম ও তসবীহ-তাহলীল, ছানা-ছিফত পাঠে মশগুল।
সুবহানল্লাহ!
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয়ই ছলিহীন বা
আল্লাহওয়ালা উনাদের আলোচনা করলে রহমত নাযিল হয়ে থাকে।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, ওলীয়ে কামিল, ছূফীয়ে কামিল ওয়াল বাতিন, সাইফুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার মাঝে পবিত্র
বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার যমীনে তাশরীফের কারণে এই মাস সম্মান লাভ
করেছে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই উনার সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস
উপলক্ষে খুশি প্রকাশার্থে বেশি বেশি উনার প্রতি ছলাত-সালাম ও ছানা-ছিফত পাঠ করা
উম্মাহর জন্য আবশ্যক যা বেশুমার রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ!
ঈদে বিলাদতে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস
সালাম
মুবারক হো ৯ জুমাদাল ঊলা! মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার
রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
এবং প্রাণের আক্বা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনারা দয়া করে
আমাদেরকে হাদিয়া করেছেন ঈদে বিলাদতে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস
সালাম পবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম
উনাদের আগমন কায়িনাতবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত উনার
যাঁরা মুহসিন বান্দা অর্থাৎ ওলী রয়েছেন উনাদের কাছেই রয়েছে।” আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার আওলাদ আলাইহিমুস
সালাম উনারা হচ্ছেন হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতির ন্যায়; যে বা যারা উহাতে আরোহণ করলো অর্থাৎ আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করলো তারা নাজাত পেলো।”
গওছুল আ’যম, বড়পীর হযরত আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার ক্বদম মুবারকের নিচে সমস্ত ওলীআল্লাহ
উনাদের গর্দান।’ এ কথা মুবারক শুনে হযরত বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি উনার মাযার শরীফ হতে বললেন, হে মহান আল্লাহ পাক!
বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেয়ে আর কেউ বড় আছে কী? মহান আল্লাহ পাক তিনি শুধু বললেন, হযরত বড়পীর আব্দুল ক্বাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আওলাদ। এ কথা শুনামাত্রই তিনি চুপ হয়ে গেলেন। অর্থাৎ সমস্ত মাক্বামাতের মূলই হচ্ছে হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিস
সালাম উনারা। আর এই রকম একজন অতি উঁচু মাক্বামের ওলীআল্লাহ হলেন আমাদের প্রাণের
আক্বা আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি।
সুবহানাল্লাহ!
এক কথায় আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস
সালাম উনাকে পাওয়ার কারণেই আমাদের জন্য আমাদের প্রাণপ্রিয় শায়েখ মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সন্তুষ্টি, রেযামন্দি, কামালত-বেলায়েত এবং ফয়েযে
ইত্তেহাদী হাছিল করার পথ সহজ হয়ে গেলো।
আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদেরকে উনার উসীলায় কবুল করুন।
আমীন।
আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম
তিনি বেমেছাল শানে মহিয়ান
বুলন্দ আরশী দুয়ার যায় খুলে, নূরে পুষ্প পাপড়িগুলো মৃদু বায়ুতে দুলছে, গোলাপ জুঁই, চামেলি, মেশক, আম্বরসহ লাখো সুগন্ধির
সমীরণ দখল করে নিলো সেই নূরানী দুয়ার। অসংখ্য গিলমানি হস্তে পুষ্পের খাঞ্চা। উনারা
দাঁড়িয়ে আছেন দুয়ার শরীফ উনার দু’পাশে বহুদূর পর্যন্ত। ইন্তেজার ইন্তেজার। শাহী
মহল থেকে কে বের হবেন? কোথায় যাবেন? উনার প্রস্থানের এতো আয়োজন? উনার সম্মানে মালায়িক মহলে পড়ে আলোড়ন। বর্তমান কঠিন জাহিলী
ভুবনে তিনি তাশরীফ আনবেন। জাহিলিয়াতের মূলোৎপাটন করবেন। সুস্থ সুন্দর ও
স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত করবেন ক্বওমে মু’মিন। সে সেই মহীয়ান খ্যাতিমান
সাইয়্যিদী নূর তিনি তাশরীফ আনবেন। তাই পৃথিবী নতুন করে আবারো সাজানো হচ্ছে। এক
পর্যায়ে সময় এলো ঘনিয়ে, গভীর ইন্তেজারে এবং ভাঙন
ধরবে। এক সুমহান কীর্তিময় নূরানী জন হলো প্রকাশ। পাক আরশী দুয়ারে লক্ষ পুষ্প পাপড়ি
ছিটানো হচ্ছে গিলমানি হস্তের পরশে হাজারো সুগন্ধি বুলানো হচ্ছে। পরিবেশিত হচ্ছে
মালায়িকী কণ্ঠে জযবাহী ক্বাছীদা শরীফ। পৃথিবী ও আসমান গেলো খুলে, ইস্তিকবাল ধ্বনি মুখরিত করে পুরো আসমান আর যমীন। মুবারক
আযীমুশ শান পদার্পণ হলো পৃথিবী ভূমে, তাকবীর আর তাকবীর মুবারক
হো ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল
উমাম আছছলাতু আস সালাম।
ওলীয়ে মাদারযাদ, কুতুবুল আলম, বাবুল ইলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত
হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় শান-মান এবং উনার অনন্য মানস প্রকৃতি
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং উনার
প্রিয়তম রসূল, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উনাদের উদিষ্ট ব্যবস্থায় জগৎ-সংসার পরিচালনা এবং বিশ্ব পরিসরে মনোনীত দ্বীন-ইসলাম উনার হাক্বীক্বী আবাদের জন্য কালে কালে, যুগে যুগে, সময়ে সময়ে লক্ষ্যস্থল হাদী, লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ উনাদেরকে যমীনে পাঠিয়ে থাকেন। জাগতিক
কোলাহল, প্রবল বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূল পরিবেশ-প্রতিবেশকে পেছনে ফেলে উনারা লক্ষ্যপানে
কেবলই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। উনাদের অনুপম ব্যক্তিত্ব, স্নিগ্ধ আচরণ, প্রগাঢ় প্রজ্ঞা, দুর্বার স্বাধীনতা, অতলান্ত মুহব্বত-মা’রিফাত, অনুসন্ধিৎসু মন ও মনন, ক্লান্তিহীন পথচলা, অনুক্ষণ কর্মপ্রবাহে সম্পৃক্ত থাকার গুণ-বৈশিষ্ট্য উনাদের
মুবারক স্বভাব-সঞ্জাত। বুযূর্গ পূর্বপুরুষ উনাদের থেকে উনাদের অধস্তন পুরুষ উনাদের
মধ্যে এসব গুণ-বৈশিষ্ট্য সঞ্চারিত হয়। অতুলনীয় কামিয়াবীর পীযূষধারায় উনাদের
নিয়ামত-সমৃদ্ধ যে মুবারক অবস্থান, উনাদের বুযূর্গ পূর্বপুরুষ
উনাদের পুঞ্জীভূত নিয়ামত সম্ভারই সেসবের উৎসমূল। কামিয়াবীর ক্রমধারায় এ
মুবারক প্রক্রিয়ার ব্যতিক্রম থাকলেও তার পরিমাণ নগণ্য।
মুবারক বুযূর্গ পূর্বপুরুষ উনাদের নিয়ামত-সমৃদ্ধ এমনি এক
অসাধারণ বুযূর্গ ব্যক্তিত্ব তিনি দুনিয়ায় তাশরীফ আনেন। আর তিনি হলেন-
ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিমাস সালাম, বাহরুল উলূম, কুতুবুল আলম, কুতুবুল ইরশাদ, বাবুল ইলম, মাহিউল বিদয়াত, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ছাহিবে কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম, ছহিবুত তাক্বওয়া, ছহিবুশ শুকুর, ছাহিবে হিলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম। সম্মানিত ‘সাইয়্যিদ’ পরিবারে উনার পবিত্র বিলাদত
শরীফ। বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উভয়েই সাইয়্যিদ অর্থাৎ উনারা আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের উভয়ের মাধ্যমে
ওলীয়ে মারাদাযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সম্পৃক্তি ঘটেছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সঙ্গে। সুবহানাল্লাহ! বুযূর্গ পূর্বপুরুষ উনারা পবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসী।
উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকবর শাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার
কয়েকজন ছফর সঙ্গীসহ প্রায় তিনশ বছর পূর্বে সম্মানিত ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে
পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে প্রথমে ইয়েমেন গমন করেন। অতঃপর উনারা ইরাক ও আফগানিস্তান
আগমন করেন। নদীপথেও উনারা অনেক পথ অতিক্রম করেন। অবশেষে
উনারা আসেন চট্টগ্রামে। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকবর শাহ
আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ পুত্রের নাম মুবারক আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
পানাউল্লাহ শাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল
আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ পানাউল্লাহ শাহ আলাইহিস সালাম উনার অধস্তন বুযূর্গ পুরুষ
আওলাদে রসূল হাফিয সাইয়্যিদ মুহম্মদ আশরাফ আলী আলাইহিস সালাম। তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ায় নিবাস স্থাপন
করেন। সেখানে তিনি হিদায়েত ও নছীহতের কাজে ব্যাপৃত থাকেন। উনার বুযূর্গ সন্তান
আওলাদে রসূল হাফিয মৌলভী সাইয়্যিদ মুহম্মদ হাবীবুল্লাহ আলাইহিস সালাম। উনার বুযূর্গ সন্তান আওলাদে রসূল হাফিয মৌলভী
সাইয়্যিদ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম আলাইহিস সালাম। উনারই বুযূর্গ সন্তান হলেন আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ
মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি, যিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম
উনার সম্মানিত পিতা। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ ঊর্ধ্বতন পুরুষ উনারা সকলেই খালিছ
আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী ছিলেন। উনার বুযূর্গ পিতা আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ
মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম এবং উনার বুযূর্গ মাতা আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাহ
মুবাশ্শিরা খাতুন আলাইহাস সালাম উনারা মুবারক বংশ গৌরব, শরাফত, আচার-আচরণ, বদান্যতা, কৌলীন্য, শরয়ী পর্দাপালন ও আমলে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। উনার বুযূর্গ পিতা
তিনি ১৪১৯ হিজরী সনের ১৯ রমাদ্বান শরীফ, পবিত্র জুমুয়া শরীফ বাদ
ফজর পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ। উনার মাযার শরীফ ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ায়
অবস্থিত। উনার বুযূর্গ আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি ১৩৬৯ হিজরী সনের ১৩ মুহররম
শরীফ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদরাযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত
হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ দাদাজান আওলাদে রসূল হাফিয সাইয়্যিদ
মুহম্মদ নূরুল ইসলাম আলাইহিস সালাম তিনি ১৩৯২ হিজরী সনের ৩০ শা’বান শরীফ বিছাল শরীফ গ্রহণ
করেন। উনার সম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন যিন্দাপীর হিসেবে মশহুর আওলাদে
রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা মুহম্মদ ওলীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ মেয়ে।
সম্মানিতা দাদীজান আওলাদে রসূল হযরত আয়িশা খাতুন আলাইহাস সালাম। বুযূর্গ আব্বাজান
আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বয়স মুবারক যখন
তিন বছর, তখন দাদীজান আলাইহাস সালাম
তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
উনার বুযূর্গ নানাজান আওলাদে রসূল মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ
সিরাজুল ইসলাম আলাইহিস সালাম তিনি ১৪০৮ হিজরী সনের ৩০ যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল
ইছনাইনিল আযীম পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। বুযূর্গ দাদাজান ও বুযূর্গ
নানাজান আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন সহোদর ভাই। বুযূর্গ নানীজান হযরত আবিদা খাতুন
আলাইহাস সালাম তিনি বাংলাদেশের সুপ্রসিদ্ধ পীর ছাহিব হযরত মাওলানা ইছহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দ্বিতীয়া আহলিয়া উনার বুযূর্গ বড় মেয়ে। হযরত মাওলানা
ইছহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন হযরত আব্দুল হক্ব মুহাজিরে মক্কী
রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত মাওলানা আব্দুর রব জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের
প্রধান খলীফা। সুবহানাল্লাহ!
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ
মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। বুযূর্গী, তাক্বওয়া, ব্যক্তিত্ব, মন ও মননে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তিনি ছিলেন একজন সিনিয়র
সরকারি কর্মকর্তা। চাকুরির সুবাদে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গমন করেছেন, থেকেছেন। বদলিসূত্রে তিনি ঢাকা জেলার সাভারেও ছিলেন বেশ
কিছুকাল। ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ায় উনার মূল নিবাস সত্ত্বেও তিনি সাভারে একখ- জমি
কিনে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেন। ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ার বাড়িটি বুযূর্গ পূর্বপুরুষ
উনাদের অনেকেরই আবাসস্থল। এখনো সেখানে কেউ কেউ বসবাস করেন। এতোক্ষণের আলোচনায়
স্পষ্ট হয়েছে যে, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, হাদিউল উমাম হযরত শাহদামাদ
ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ পূর্বপুরুষ, উনার দাদা-দাদী, নানা-নানী আলাইহিমুস সালাম, বিশেষতঃ উনার বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা
সকলেই আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম। উনারা সকলেই খালিছ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী। এমন
অতুলনীয় বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের মুবারক ঘরে ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ
১৪০১ হিজরী, ১৭ আশির ১৩৪৮ শামসী, ২ চৈত্র ১৩৮৭ ফসলী সন, ১৬ মার্চ ১৯৮১ সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) সূর্যোদয়ের অব্যবহিত
পর ঢাকা জেলার সাভারে মুবারক পৈত্রিক নিবাসে উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ সুসম্পন্ন হয়। সুবহানাল্লাহ! উনারা পাঁচ ভাই, এক বোন। উনাদের মধ্যে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল
উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কনিষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ!
বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সবিশেষ নেকদৃষ্টি, সযতœ লালন-পালন ও তত্ত্বাবধান, বিশুদ্ধ ঈমান-আক্বীদা, ইলম ও আমল উনাদের সুষ্ঠু প্রশিক্ষণলাভে তিনি সম্মানিত সাইয়্যিদ
পরিবার উনাদের পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আবহে বেড়ে উঠতে থাকেন। পবিত্র দ্বীন-ইসলাম উনার
শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য যাবতীয় ইলম ও প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণতাদানের লক্ষ্যে বুযূর্গ
পিতা তিনি উনাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেন। মুবারক বিলাদত শরীফ সূত্রেই
তিনি তীক্ষè মেধা ও মননের অধিকারী
ছিলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণীবিন্যাসকৃত সমস্ত পরীক্ষায় তিনি যথাযথ সাফল্যের
সাক্ষর রাখেন। সুবহানাল্লাহ!
বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের মুবারক মন, মনন, আদর্শ, ঐতিহ্য, বুযূর্গী, মুহব্বত-মা’রিফাত-সম্পৃক্ত সযতœ লালন-পালন প্রশিক্ষণ, তত্ত্বাবধান ও সুষ্ঠু পরিশীলনে সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার
পরিপুষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ আবহে ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম
উনার মুবারক মানসভূমিতে তাছাউফ চর্চার মাধ্যমে খালিছ ওলীআল্লাহ হওয়ার মজবুত ভিত
নির্মিত হয়। ক্রমান্বয়ে তিনি বাইয়াত হওয়ার গুরুত্ব ও অনিবার্যতা অনুভব করতে থাকেন।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মুবারক নির্দেশনায় মহান আল্লাহ পাক
সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য বাইয়াত হওয়া ফরয। এ মুবারক
লক্ষ্যে একজন লক্ষ্যস্থল শায়েখ উনার ক্বদম মুবারক-এ ঠাঁই পেতে তিনি উন্মুখ অন্তরে
অপেক্ষা করতে থাকেন।
অবশেষে ১৪২৬ হিজরী সনে তিনি মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, পঞ্চদশ হিজরী শতক উনার মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছহিবে সুলত্বানিন নাছীর, জব্বারিউল আউওয়াল, কউইয়্যুল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার
নিকট বাইয়াত হয়ে গন্তব্য মঞ্জিলে উপনীত হওয়ার পথ অবারিত করেন। নিয়মিত মুবারক ছোহবত
ইখতিয়ার করে এবং যিকির-ফিকির, মুরাক্বাবা-মুশাহাদা ও
ইবাদত-বন্দেগীতে নিবিষ্ট হয়ে তিনি কামিয়াবীর চূড়ান্ত সোপানে উপনীত হন। স্বল্পকালের
মধ্যে তিনি সমস্ত তরীক্বার ছবক সাফল্যের সঙ্গে সুসম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ!
মাহবুব ওলীআল্লাহ উনাদের নিসবাতুল আযীম মুবারক মহান আল্লাহ
পাক সুবহানাহূ তায়ালা এবং রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের মুবারক ইচ্ছা ও মনোনয়নে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সহজেই অনুমেয় যে, মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, জামিউল আলক্বাব, হুজ্জাতুল ইসলাম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার লখতে জিগার, উনার নূরে চশম, নিবরাসাতুল উমাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত
শাহযাদী ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাকে পাত্রস্থ করার জন্য বেমেছাল
মর্যাদা ও যোগ্যতাসম্পন্ন একজন ওলীআল্লাহ প্রয়োজন। সুবহানাল্লাহ! নিবরাসাতুল উমাম, ওলীয়ে মাদরাযাদ, আওলাদে রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত
শাহযাদী ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান
হলেন- সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল
আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, ইমামতুছ ছিদ্দীক্বা, বাহরুল উলূম, ছিদ্দীক্বায়ে কুবরা, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, উম্মুল খইর, রাহনুমায়ে দ্বীন, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল হাদীছ, মাহবূবায়ে ইলাহী, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহ আলাইহিস সালাম, আফদ্বালুন নিসা, ইমামাতুন নিসা, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরিদীন, উম্মুল খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম, ছাহিবাতুল মুকররামা লি মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, জাদ্দাতু হযরত শাহনাওয়াসী ক্বিবলাতাইন আলাইহিমাস সালাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি।
মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং ওলীয়ে
মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা
হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদেরই বেমেছাল মর্যাদা ও মাক্বাম সম্পন্না
নেক আওলাদ হলেন সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল
আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত
উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, ত্বাহিরা, ত্বইয়িবা, মাহবূবা, ফক্বীহা, মাশুক্বাহ, সাইয়্যিদাহ, আফক্বাহু নিসায়িল উম্মাতী, আলামুন নিসায়ী, আহাব্বুন নাসি ইলা আহলে
বাইতি, আফদ্বালু আলা সাইয়িরিম
ছিদ্দীক্বাত, আওসাউ ইলমান, ছাহিবাতু কামালাতিত্ তাক্বওয়া, ছাহিবাতু আজরিন আ’যীম, লাছতুন্নাকা আহাদিম মিনান নিসায়ি, উলুল আলবাবি, ওয়ারিসাতুন নাবিইয়ি, আল আমিরু বিল মা’রূফ, আন নাহিউ আনিল মুনকার, আল খাইরু, আস সিতরুর রফীউ, হাবীবাতু মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, লখতে জিগারে হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম, মাহবুবায়ে ইলাহী, উম্মু আবীহা, উম্মুল ওয়ারা, ছাহিবাতুল হুসনা, বাহরুল উলূম, মিছদাক্বে কুরআন ওয়াল
হাদীছ, ছাহিবাতুল ইলম ওয়াল হিকাম
ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহি আলাইহিস সালাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, নিবরাসাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা
কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি। নিসবাতুল
আযীম শরীফ উনার লক্ষ্যে উনার জন্য যে পাত্র দরকার, সে পাত্র উনার কতটুকু শান-মান, মর্যাদা, বুযূর্গী, মাক্বামাত প্রয়োজন, তা আমাদের আক্বল-সমঝ, উপলব্ধি ও অনুভূতির সীমাহীন ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
আর সে বুযূর্গ পাত্র তিনি হলেন- কুতুবুল আলম, কুতুবুল ইরশাদ, বাহরুল উলূম, বাবুল ইলম, মাহিউল বিদয়াত, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ছাহিবুল ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, ছাহিবুত তাক্বওয়া, ছাহিবুশ শুকুর, ছাহিবুল হিলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম। উনার মান-শান, সম্মান-ইযযত, ঐতিহ্য, বুযূর্গী, খুছুছিয়ত, মাক্বামাত উপলব্ধি ও বর্ণনার যোগ্যতা আমাদের নেই। অবশেষে
উনার শাদী মুবারক উনার দিন ধার্য হয়। ১৪৩৩ হিজরী সনের ২২ শাওওয়াল শরীফ পবিত্র
নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ তায়ালা উনার মুবারক নির্দেশে এবং
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদয়
উপস্থিতে এ মুবারক নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয় জান্নাতে। ওই মুবারক অনুষ্ঠানের
একই আদলে ঢাকা রাজারবাগ পাক দরবার শরীফস্থ সুন্নতী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত মাহফিলে
মুবারক তাশরীফ আনেন সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং সকল আউলিয়ায়ে কিরাম
রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। বিশেষতঃ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মুবারক উপস্থিতিতে পবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ উনার মাহফিল কামিয়াবী ও
মাক্ববুলিয়াতের চূড়ান্ত সোপানে উপনীত হন। সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি খুতবা
মুবারক পাঠ করেন এবং মক্ববুল দোয়া ও মুনাজাত করেন। সুবহানাল্লাহ!
শাদী মুবারক অনুষ্ঠানের পর ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ
ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি “শাহদামাদ ছানী” লক্বব মুবারক-এ বিভূষিত হন।
উনার যতো লক্বব মুবারক রয়েছে, সেসবের মধ্যে সর্বোচ্চ
মর্যাদার লক্বব হচ্ছে, “হযরত শাহদামাদে ছানী লি মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইসি সালাম।” সুবহানাল্লাহ! উনার ইলম, প্রজ্ঞা, তাক্বওয়া, তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত উনাদের পরিধি বেমেছাল।
মান-শান, বুযূর্গী, ইযযত, ঐতিহ্য ও মাক্বামের
উচ্চতায় তিনি অতুলনীয়। প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্ব, শৌর্য, বংশ কৌলীন্য, সূক্ষ্ম মনন, তীক্ষè মেধা, স্থিরতা, স্বল্পবাক, ধৈর্য, স্থৈর্য, আদব, শরাফত, আন্তরিকতা, অমায়িকতা, সাহসিকতা এবং যিকির-ফিকির
ও ইবাদত-বন্দেগীর নিবিষ্টতায় তিনি অনন্য। সর্বোপরি তিনি নিবরাসাতুল উমাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, উম্মু আবীহা, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত
শাহযাদী ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার যাওজুল মুহতারাম। এটি উনার
সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম মাক্বামাত এবং উনার সীমাহীন মর্যাদার পরিচায়ক।
সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় শান-মান, মর্যাদা ও মাক্বামাত প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। আমাদের
সে যোগ্যতাও নেই। মুবারক একখানা ঘটনা আলোচনা করলেই উনার শান-মান, বুযূর্গী ও মাক্বাম যে কতো উচ্চতায়, তা বুঝতে সহজ ও সম্ভব হবে। এ মুবারক ঘটনা উনার মুবারক
নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠানের আনুমানিক ছয় মাস পূর্বের। মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার
যবান মুবারক-এ আমরা শুনেছি। তিনি বলেন: “আমি স্বপ্নে দেখলাম- রহমতুল্লিল
আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অতি সুন্দর একটি আসন মুবারক-এ বসে রয়েছেন।
উনার মুবারক পাশে ঘেরাও করা মনোরম জায়গায় কয়েকটি আসন মুবারক রয়েছে। তিনি আমাকে এবং
আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ডেকে নিয়ে ওই আসন মুবারকগুলোয় বসালেন
এবং বললেন: ‘চিহ্নিত এ আসন মুবারকগুলো আপনাদের জন্যই নির্ধারিত। আপনারা আমার
আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।’ আমাদের সঙ্গে আওলাদে রসূল
সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনিও ছিলেন। আমাদের অদূরে বসে ছিলেন
হাদিউল উমাম হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি। নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন: আওলাদে রসূল
সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম। তিনি আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
অন্তর্ভুক্ত।’ আমাকে লক্ষ্য করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
আরো বললেন: ‘হে আমার প্রিয়তম আওলাদ! হে আমার ক্বায়িম-মাক্বাম! হে আমার আখাছছুল
খাছ নায়িব! হে আমার মনোনীত ও লক্ষ্যস্থল মুজাদ্দিদে আ’যম! আপনি আমার প্রিয় আওলাদ
আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে আপনাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত
করে নিন। আপনারা সকলেই আমার আওলাদ এবং আপনারা সকলেই আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত মুবারক ঘটনা অনুষ্ঠানের স্বল্প সময়ের ব্যবধানে
ভিন্ন এক মুবারক স্বপ্ন দেখেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা
আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি স্বপ্নে দেখেন, উত্তম পোশাকে পরিশোভিত হয়ে এবং একখানা কম্বল মুবারক গায়ে
জড়িয়ে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি রাজারবাগ পাক
দরবার শরীফস্থ মুবারক হুজরা শরীফ উনার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক দুটি স্বপ্ন বিবরণে বুঝতে কষ্ট হয় না যে, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মক্ববুলিয়াতের সোপান কতো সীমাহীন উচ্চতায়!
আরো বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, তিনিই সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উনাদের “দামাদ ছানী” হবেন। ওই দুটি স্বপ্ন মুবারকেই
তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক চেহারায় মাদানী নূর। অনুপম
ব্যক্তিত্বে, স্নিগ্ধ আচার-আচরণে, স্বল্পবাক ও গাম্ভীর্যপূর্ণ অমায়িকতায়, দায়িমভাবে সুন্নত পালনের অভ্যস্থতায় এবং অতুলনীয় চরিত্র
মাধুর্যে তিনি সুমহান। মুজাদ্দিদে মাদারযাদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং
উনার সম্মানিত আহাল ও ইয়াল শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! এ
মুবারক আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সীমাহীন সম্মানের
অধিকারী হয়েছেন ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার কর্তৃক
বিশ্বময় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় মজবুত ভিত রচনা এবং
তৎসংশ্লিষ্ট উনার অপ্রতিরোধ্য তাজদীদ বাস্তবায়নের আঞ্জামদানে নিরন্তর নিয়োজিত রয়েছেন
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। একই সঙ্গে এ মহান কাজে অনুক্ষণ নিয়োজিত
রয়েছেন, আমাদের আলোচ্য ওলীয়ে
মাদারযাদ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। এছাড়া দরবার শরীফ উনার যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ
ও জরুরী কাজ সুন্নতী তর্জ-তরীক্বায় পরিচালনা ও সমাধানের কাজে উনাদের সর্বক্ষণের
সম্পৃক্ততা। বিশাল কর্মকা- দেখাশুনা ও নির্বাহে উনাদের অনুক্ষণের ব্যস্ততা। শত
ব্যস্ততার মাঝেও প্রার্থীর প্রার্থনা পূরণে, বিভিন্ন অভিযোগ শ্রবণ ও তার সমাধানে, বিপন্ন মানুষের দুঃখ মোচনে, প্রজ্ঞাময় উপদেশদানের আন্তরিকতায় এবং মুবারক ব্যবহারে
কোমলান্তকরণময়তায় উনারা দু’জনেই ক্লান্তিহীন ও অনন্য। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, কুতুবুল আলম, কুতুবুল ইরশাদ, বাবুল ইলম, বাহরুল উলূম, মাহিউল বিদয়াত, ছাহিবে কাশফ ওয়াল কারামাত, ছাহিবুল ইলম ওয়াল হিকাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, ছাহিবুত তাক্বওয়া, ছাহিবুশ শুকুর, ছাহিবুল হিলম, হাদিয়ে ইলাহী, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা
হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সীমাহীন শান-মান, বুযূর্গী, সম্মান, মাক্বামাত সম্পর্কে আমরা অজ্ঞাত এবং একান্তই অনভিজ্ঞ। উনার
মুবারক ছানা-ছিফত করার ক্ষেত্রে বলায়, লিখায়, অনুভবে আমরা অযোগ্য ও অক্ষম। সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মুর্শিদ ক্বিবলা
কা’বা আলাইহিস সালাম এবং উনার
সম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিলের
লক্ষ্যেই আমাদের এ তুচ্ছ প্রয়াস। একান্ত দয়াবশতঃ কৃপা করে উনারা কবুল করলেই আমাদের
সব চাওয়া পাওয়ায় পরিণত হয়।
0 Comments:
Post a Comment