বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, হাদীউল উমাম হযরত শাহ দামাদ ছানী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পিতা-মাতা উভয়ের দিক থেকে আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
- বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম, হাদীউল উমাম হযরত শাহ দামাদ ছানী ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম তিনি পিতা-মাতা উভয়ের দিক থেকে আওলাদুর রসূল আলাইহিস সালাম
-
- মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার হাক্বীক্বী আবাদের জন্য
যুগে যুগে লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ উনাদেরকে যমীনে পাঠিয়ে থাকেন। এমনি এক
অসাধারণ বুযূর্গ ব্যক্তিত্ব দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ আনেন। আর তিনি হলেন বাবুল
ইলম ওয়াল হিকাম, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হাদীউল
উমাম আলাইহিস সালাম। বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উভয়েই
সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ! বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের উভয়ের
মাধ্যমে ওলীয়ে মারাদাযাদ, আওলাদুর রসূল, হাদীউল উমাম
সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস
সালাম উনার মুবারক সম্পৃক্তি ঘটেছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম উনার সঙ্গে। সুবহানাল্লাহ! বুযূর্গ পূর্বপুরুষ উনারা
পবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসী। উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হযরত সাইয়্যিদ
মুহম্মদ আকবর শাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার কয়েকজন ছফর সঙ্গীসহ প্রায় তিনশ বছর পূর্বে ইসলাম প্রচারের
উদ্দেশ্যে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে প্রথমে ইয়েমেন আসেন। অতঃপর উনারা ইরাক ও
আফগানিস্তান আগমন করেন। নদীপথেও উনারা অনেক পথ অতিক্রম করেন। অবশেষে উনারা
আসেন চট্টগ্রামে। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকবর শাহ আলাইহিস
সালাম উনার বুযূর্গ পুত্রের নাম মুবারক আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ
পানাউল্লাহ শাহ আলাইহিস সালাম। আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ পানাউল্লাহ শাহ আলাইহিস
সালাম উনার অধস্তন বুযূর্গ পুরুষ আওলাদে রসূল
হাফিয সাইয়্যিদ মুহম্মদ আশরাফ আলী আলাইহিস সালাম। তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ায় নিবাস স্থাপন করেন।
সেখানে তিনি হিদায়েত ও নছীহতের কাজে ব্যাপৃত থাকেন। উনার বুযূর্গ সন্তান
আওলাদে রসূল হাফিয মৌলভী সাইয়্যিদ মুহম্মদ হাবীবুল্লাহ আলাইহিস
সালাম। উনার বুযূর্গ সন্তান
আওলাদে রসূল হাফিয মৌলভী সাইয়্যিদ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম আলাইহিস
সালাম। উনারই বুযূর্গ সন্তান
হলেন আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস
সালাম তিনি, যিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, হাদীউল উমাম হযরতুল
আল্লামা শাহদামাদ ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস
সালাম উনার সম্মানিত পিতা। সুবহানাল্লাহ!
- উনার বুযূর্গ পিতা তিনি ১৪১৯ হিজরী সনের ১৯ রমাদ্বান শরীফ, পবিত্র জুমুয়া শরীফ
বাদ ফজর পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। উনার মাযার শরীফ ফেনী জেলার
দাগনভূঁইয়ায় অবস্থিত। ওলীয়ে মাদরাযাদ, আওলাদে রসূল, হাদীউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরতুল
আল্লামা শাহদামাদ ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার
বুযূর্গ দাদাজান আওলাদে রসূল হাফিয সাইয়্যিদ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম আলাইহিস
সালাম তিনি ১৩৯২ হিজরী সনের ৩০ শা’বান শরীফ বিছাল শরীফ
গ্রহণ করেন। উনার সম্মানিতা মাতা ছিলেন যিন্দাপীর হিসেবে মশহুর আওলাদে রসূল
সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা মুহম্মদ ওলীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ
মেয়ে। সম্মানিতা দাদীজান আওলাদে রসূল হযরত আয়িশা খাতুন আলাইহাস সালাম।
বুযূর্গ আব্বাজান আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস
সালাম উনার বয়স মুবারক যখন তিন বছর, তখন দাদীজান আলাইহাস সালাম তিনি বিছাল
শরীফ গ্রহণ করেন। উনার বুযূর্গ নানাজান আওলাদে রসূল মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ
সিরাজুল ইসলাম আলাইহিস সালাম তিনি ১৪০৮ হিজরী সনের ৩০ যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল
ইছনাইনিল আযীমি বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। বুযূর্গ দাদাজান ও বুযূর্গ নানাজান
আলাইহিমাস সালাম উনারা ছিলেন সহোদর ভাই। বুযূর্গ নানীজান হযরত আবিদা খাতুন
আলাইহাস সালাম তিনি বাংলাদেশের সুপ্রসিদ্ধ পীর ছাহিব হযরত মাওলানা ইছহাক্ব
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দ্বিতীয়া আহলিয়া উনার বুযূর্গ বড় মেয়ে। হযরত মাওলানা
ইছহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন হযরত আব্দুল হক্ব মুহাজিরে মক্কী
রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত মাওলানা আব্দুর রব জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি
উনাদের প্রধান খলীফা।
- স্পষ্ট হয়েছে যে, ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, হাদীউল উমাম
সাইয়্যিদুনা হযরত শাহ দামাদ ছানী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ
পূর্বপুরুষ, উনার দাদা-দাদী, নানা-নানী আলাইহিমুস
সালাম, বিশেষতঃ উনার বুযূর্গ
পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা সকলেই আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম। উনারা
সকলেই খালিছ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী। সুবহানাল্লাহ!
-
-
-
- সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মুহব্বত মুবারক
জুযয়ে ঈমান
- যিনি খালিক্ব মালিক
রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব আলাইহিস
সালাম!) আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি
না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব
নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য
ফরয হচ্ছে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের গোলামী মুবারক উনার আনজাম দেয়া।” [পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩]
- আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে খাওয়া
পরার যে নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন সেজন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর
আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর
আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার
সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
- উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক
হচ্ছেন আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম মহান সদস্য।
সুবহানাল্লাহ!
- আর সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে মাল ও জান দিয়ে
মুহব্বত করা, উনার তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম উনাদেরই নির্দেশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
- পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ততক্ষণ
পর্যন্ত কোনো মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে পবিত্র ঈমান দাখিল হবে না
(হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না) যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক
উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য আমার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম বা
সম্মানিত বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত না করবে।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ)
- অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করা
ঈমান, মূলত তিনিই স্বয়ং
ঈমান। সুবহানাল্লাহ! শুধু এতটুকু নয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় ফদ্বল ও
রহমতস্বরূপ উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম অর্থাৎ উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে হাদিয়াস্বরূপ লাভ
করার কারণে খুশি প্রকাশের মাধ্যমে সর্বোত্তম আমল মুবারক করতে বলেছেন।
সুবহানাল্লাহ!
- অতএব, ঈদে বিলাদতে হযরত
হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম অর্থাৎ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনারই অন্তর্ভুক্ত।
সুবহানাল্লাহ!
- মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে
আ’যম আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস
সালাম এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আমাদের
সকলকে পবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ উপলক্ষে মাল ও জান দিয়ে হাক্বীক্বী খুশি
প্রকাশ করার তাওফীক দান করুন। আর খাছভাবে হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম
উনার মুহব্বত-মা’রিফাত, তায়াল্লুক,-নিসবত এবং আবাদুল
আবাদের গোলামী নছীব করুন। (আমীন)
- ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল
সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস
- যিনি
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম কালামুল্লাহ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “সাবধান! নিশ্চয়ই খালিক্ব
মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার যারা ওলী রয়েছেন উনাদের কোনো ভয় নেই, চিন্তা নেই, পেরেশানী নেই। উনারা
ঈমান এনেছেন এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করেছেন। উনাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে
সুসংবাদ রয়েছে। এটা উনাদের জন্য মহান সফলতা, পরম কামিয়াবী।” (সম্মানিত সূরা ইউনূস শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ : ৬২-৬৪)
- আর যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ওলীআল্লাহ উনাদেরকে মুহব্বত করো, কেননা উনারা হচ্ছেন
মক্ববুল। আর তোমরা উনাদের বিরোধিতা করো না কেননা উনারা সাহায্যপ্রাপ্ত।”
- এই সম্মানিত আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ উনাদের
পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন বাবুল ইলম ওয়াল হিকামাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে
হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল
উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল
খাছ ওলীআল্লাহ তো অবশ্যই; তার পাশাপাশি উনার অন্যতম আরো একখানা
মুবারক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম উনার আখাচ্ছুল খাছ আওলাদ, আওলাদে রসূল আলাইহিস
সালাম। বাবুল ইলম ওয়াল হিকামাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে
হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল
উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এই সম্মানিত আয়াত শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের
পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! তাই উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া
প্রত্যেকের জন্য ফরয-ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! বাবুল ইলম ওয়াল হিকামাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে
হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল
উমাম আলাইহিস সালাম উনার আরো একখানা অন্যতম আখাচ্ছুল খাছ বিশেষ খুছূছিয়াত
মুবারক হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন, যিনি সর্বকালের
সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আল জাব্বারিউল আউওয়াল
ওয়াল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, মামদূহ মুর্শিদ
ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস
সালাম উনার সম্মানিত শাহদামাদ আলাইহিস সালাম। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল
জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল
আলামীন, উম্মু আবীহা, আওলাদে রসূল
নিবরসাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার জাওজুম মুকাররাম। সুবহানাল্লাহ! আরেকদিকে তিনি হচ্ছেন
খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রফীকু রসূলিল্লাহ আলাইহিস
সালাম, খলীফায়ে ছালিছ
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম।
সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক কত বেমেছাল তা এখান থেকেই অতি সহজে অনুমেয়। সুমহান ৯ জুমাদাল ঊলা শরীফ
হচ্ছে উনারই আযীমুশ শান সুমহান বিলাদত শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
- তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে সর্বশক্তি
-সামর্থ দিয়ে উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ পালন করা, খুশি প্রকাশ করা এবং
এর মাধ্যম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম উনার, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা
ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এবং উনার
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি-রেযামন্দি
মুবারক লাভ করা।
- মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে কবূল করুন।
আমীন!
- সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, মুহব্বত করার, উনার সম্মানিত খিদমত
মুবারক উনার আনজাম দেয়ার এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করার বেমেছাল
ফাযায়িল-ফযীলত
- প্রথমে জেনে রাখান
আবশ্যক যে, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, কায়িম মাক্বামে
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল
সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার শান-মান, ফাযাইল-ফযীলত, খুছূছিয়াত মুবারক
বেমেছাল। যাঁরা উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে, মুহব্বত করবে, উনার সম্মানিত খিদমত
মুবারক উনার আনজাম দিবে এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করবে নূরে মুজাসসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম তিনি ক্বিয়ামতের দিনতো অবশ্যই; এমনকি দায়িমীভাবে ওই
সকল ব্যক্তিদের জন্য শাফায়াত করবেন। সুবহানাল্লাহ!
- এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
- عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرْبَعَةٌ اَنَا لَـهُمْ شَفِيْعٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْـمُكْرِمُ لِذُرِّيَتِىْ وَالْقَاضِىْ لَـهُمْ حَوَائِجَهُمْ وَالسَّاعِىْ لَـهُمْ فِىْ اُمُوْرِهِمْ عِنْدَ اضْطِرَارِهِمْ اِلَيْهِ وَالْمُحِبُّ لَـهُمْ بِقَلْبِهٖ وَلِسَانِهٖ
- অর্থ:-“হযরত আলী কাররামাল্লাহু
ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন
চার শ্রেণীর লোকদের সুপারিশ করবোÑ এক. যাঁরা আমার
সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মান করবে। দুই.
যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মালী তথা
আর্থিকভাবে খিদমত মুবারক উনার আনজাম দিবে। তিন. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত
আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জান দিয়ে তথা শরীরিকভাবে খিদমত
মুবারক উনার আনজাম দিবে। এবং চার. যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অন্তরে মুহব্বত করবে এবং জবানে উনাদের ছানা-ছিফত
মুবারক বর্ণনা করবে। সুবহানাল্লাহ! (জামিউল আহাদীছ ৪/২২৯, জামউল জাওয়ামি’, সুবুলুল হুদা ওয়ার
রশাদ ৭/১১, দায়লামী শরীফ)
- সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
- عَنْ حضرت عَلِيٍّ عليه السلام قَالَ قَالَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَفَاعَتِي لأمَّتِي مَنْ أحَبَّ أَهْلَ بَيْتِي وهم شيعتى.
- অর্থ:-“হযরত আলী কাররামাল্লাহু
ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার শাফায়াত ওই সকল
উম্মত উনাদের জন্য যাঁরা আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
উনাদরেকে মুহব্বত করে থাকেন। আর উনারা হচ্ছেন আমার খাছ উম্মত তথা অনুসারী।
সুবহানাল্লাহ!” (জামিউছ ছগীর ২/১৪, আল ফাতহুল কাবীর
২/১৬৯, জামিউল আহাদীছ ১৩/৪১৫, জামউল জাওয়ামি’, তারীখে বাগদাদ ২/১৪৬
ইত্যাদি)
- শুধু তাই নয়, যাঁরা মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ, কায়িম মাক্বামে
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, আওলাদে রসূল
সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল
করবে তাঁরা পরকালে চরম-পরম কামিয়াবী হাছিল করবে। এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
- عَنْ حَضْرَتْ جَرِيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْبَـجَـلِـىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ شَهِيْدًا اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ مَغْفُوْرًا لَّهٗ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ تَائِبًا اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ مُؤْمِنًا مُّسْتَكْمِلَ الْاِيْـمَانِ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَّرَهٗ مَلَكُ الْمَوْتِ بِالْـجَنَّةِ ثُـمَّ مُنْكَرٌ وَّنَكِيْرٌ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُزَفُّ اِلَـى الْـجَنَّةِ كَمَا تُزَفُّ الْعَرُوْسُ اِلـٰى بَيْتِ زَوْجِهَا اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَحَ اللهُ لَهٗ فِـىْ قَبْرِهٖ بَابَيْنِ اِلَـى الْـجَنَّةِ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ اللهُ قَبْرَهٗ مَزَارَ مَلَائِكَةِ الرَّحْـمَةِ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ عَلَى السُّنَّةِ وَالْـجَمَاعَةِ
- অর্থ: “হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ
বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত
মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি শহীদী মৃত্যু পাবেন। সুবহানাল্লাহ!
সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি ক্ষমাপ্রাপ্ত
হয়ে ইন্তেকাল করবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত হযরত আহলু
বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি তওবাকারীরূপে
ইন্তেকাল করবেন। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি পরিপূর্ণ
ঈমানদার মু’মিন হিসেবে ইন্তেকাল করবেন।
সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, উনাকে মালাকুল মউত আলাইহিস
সালাম তিনি এবং হযরত মুনকার ও নকীর আলাইহিমাস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত
মুবারক উনার সুসংবাদ মুবারক দিবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত
মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, উনাকে এমনভাবে সুসজ্জিত করে জান্নাতে
নেয়া হবে, যেমনভাবে কনেকে
সাজিয়ে তার স্বামীর ঘরে নেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত
মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির কবরে ঐ
ব্যক্তির জন্য সম্মানিত জান্নাত উনার দিকে দুটি দরজা মুবারক খুলে দিবেন।
সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি
উক্ত ব্যক্তি উনার কবরকে সম্মানিত রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাযার
শরীফ বা যিয়ারতগাহ বানাবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ
ইন্তেকাল করবেন, তিনি সম্মানিত আহলু
সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার উপর ইন্তেকাল করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে
কুরতুবী ১৬/২৩, তাফসীরে কবীর ২৭/৫৯৫, তাফসীরে হাক্কী ১৩/৭৯, তাফসীরে রূহুল বয়ান
৮/২৩৯, তাখরীজু আহাদীছুল
কাশ্শাফ ৩/২৩৮, নুজহাতুল মাজালিস
১/৩৬৫)
- “সাইয়্যিদুনা হাদিউল
উমাম আলাইহিস সালাম”
- ‘হাদিউল উমাম’ সম্মানিত লক্বব বা উপাধি মুবারক দু’ খানি মুবারক শব্দের সমন্বয়ে
প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। সুবহানাল্লাহ! উক্ত সম্মানিত উপাধি মুবারক
উনার মাধ্যমে যিনি পরিচিত হয়েছেন তিনি আমাদের অতি আপন, অতি কাছের, অতি ঘনিষ্ঠ, অতি প্রিয় ও পছন্দনীয়, মহা সম্মানিত, কুতুবুল আলম,আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত
শাহদামাদ ছানী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
- তিনি সম্মানিত আওলাদে রসূল আলাইহিস সালাম উনার অর্ন্তভুক্ত। উনাকে
মুহব্বত করা শুধু আমাদের জন্যেই নয়, সকল মু’মিন-মুসলমান, পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান প্রত্যেকের
জন্যেই ফরয এবং নাজাত ও কামিয়াবী হাছিলের উপায়।
- তাই তো তিনি সম্মানিত ‘হাদিউল উমাম’ উপাধি দ¦ারা ভূষিত হয়েছেন। হাদিউন অর্থ পথ
প্রর্দশক, পথ নির্দেশক। আর উমাম
আরবি উম্মত শব্দের বহুবচন। উম্মতদেরকে যিনি সঠিক পথ প্রদর্শন করেন অর্থাৎ
যিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পথের নির্দেশনা দেন, উনার পথে পরিচালিত
করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার
ও উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
মুবারক হাছিলে তা’লীম-তরবিয়ত দান করেন।
- কায়িনাত মাঝে উনারাই সর্বশ্রেষ্ঠ শাহদামাদ আলাইহিমাস সালাম।
সুবহানাল্লাহ!
- সৃষ্টি কায়িনাতের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত
আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ। এ প্রসঙ্গে
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
- إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
- অর্থ: (আমার
মহাসম্মানিত হাবীব আলাইহিস সালাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার মুবারক হাদিয়া
করেছি। (প্িবত্র সূরা কাওছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
- উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত কাওছার
মুবারক উনার ব্যাখ্যায়র্ ঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বলেন, কাওছার মুবারক উনার বহু অর্র্থের মধ্যে
দুটি অর্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- (এক) হাউজে কাওছার।
অর্থাৎ রোজ-কিয়ামতে পানির পিপাসায় মানুষ কাতর হয়ে পড়বে, সেখানে একমাত্র হাওজে
কাওছার মুবারক উনার পানি ব্যতীত কোন পানি থাকবে না। নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক আলাইহিস সালাম তিনি যাকে অনুমতি দিবেন তিনিই কেবল
হাওজে কাওছার মুবারক উনার পানি লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
- (দুই) খইরে কাছীর।
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত
ওজূদ পাক উনার সাথে নিসবতযুক্ত সমস্ত বিষয় সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম।
সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
- إِنَّ اللّٰهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهِمْ ثُمَّ جَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهِمْ فِرْقَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهِمْ قَبِيْلَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ بُيُوْتًا فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهِمْ بَيْتًا فَأَنَا خَيْرُهِمْ نَفْسًا وَخَيْرُهِمْ بَيْتًا
- অর্থ: নিশ্চয়ই মহান
আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মাখলূক সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে আমাকে সর্বশ্রেষ্ঠ বা
সর্বোত্তম শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। উক্ত শ্রেণীকে আবার দু’ভাগে (আরব ও আজম) বিভক্ত করেছেন। উনাদের মধ্যে আমাকে সর্বশ্রেষ্ঠ বা সর্বোত্তম
দলে (আরবের মধ্যে) অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অতঃপর সেই দলকে আবার বিভিন্ন গোত্রে
বিভক্ত করেছেন। উনাদের মধ্যে আমাকে সর্বশ্রেষ্ঠ বা সর্বোত্তম (কুরাইশ)
গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আবার সেই গোত্রকেও অনেক পরিবারে বিভক্ত করেছেন।
তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বা সর্বোত্তম (হাশিম) পরিবারে আমাকে অন্তর্ভুক্ত
করেছেন। সুতরাং ব্যক্তি হিসেবেও আমি সর্বশ্রেষ্ঠ বা সর্বোত্তম এবং পরিবার
হিসেবেও আমি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম। সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ,তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
- উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা দ্বারা
প্রতিভাত হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক আলাইহিস
সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিবার তথা মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনারাই সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম। সুবহানাল্লাহ!
- আর বর্তমান যামানায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন মুজাদ্দিদে আ'যম, নূরে মুর্কারম
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত আহলু
বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা।
- অতএব, উনাদেরই মহাসম্মানিত ও মনোনীত শাহদামাদ
আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন কায়িনাতের বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম
শাহদামাদ আলাইহিমাস সালাম। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী আলাইহিস
সালাম।
-
-
0 Comments:
Post a Comment