ثم هبط بهما العرج وقد أبطأ عليهم بعض ظهرهم، فحمل رسول الله صلى الله عليه وسلم رجل من أسلم يقال لهأوس بن حجر على جمل يقال له ابن الرداء إلى المدينة وبعث معه غلاما يقال له مسعود بن هنيدة، خرج بهما دليلهما من العرج فسلك بها ثنية العائر عن يمين ركوبة – ويقال ثنية الغائر فيما قال حضرت ابن هشام رحمة الله عليه – حتى هبط بهما بطن ريم، ثم قدم بهما. قباء على بنى عمرو بن عوف لاثنتى عشرة ليلة خلت من شهر ربيع الاول يوم الاثنين حين اشتد الضحاء وكادت الشمس تعتدل.
এরপর উনাদেরকে নিয়ে নেমে আসেন আল আরজ
অঞ্চলে। এরপর একটি উট পিছনে পড়ে গেলে আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি যাকে বলা হয় আওস
ইবনে হাজার, তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার উটে সাওয়ার করান। এ উটকে বলা হতো ইবনুর
রিদা। এ উট সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র মদীনা
শরীফ পর্যন্ত বহন করলেন। আওস ইবনে হাজার উনার উটের সঙ্গে একজন খাদিমও দেন। যার নাম
ছিলো মাসউদ ইবনে হুনায়দা। এরপর উনাদেরকে নিয়ে বের হন উনাদের পথ প্রদর্শক আল আরাজ
থেকে রাকুবার দক্ষিণে ছানিয়ে আল গাইর-এর পথে অগ্রসর হন। হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে এ স্থানটিকে বলা হয় আল গাইর (الغائر) সেখান থেকে উনাদেরকে নিয়ে নেমে আসেন রীম
প্রান্তরে। সেখান থেকে উনাদেরকে নিয়ে অগ্রসর হন। কুবায় পৌঁছে। সেখান থেকে বনূ আমর
ইবনে আওফ উনার পল্লীতে তিনি অবস্থান করেন। সেই তারিখটি ছিলো ইয়াওমুল ইছনাইনিল
আযীমি বা পবিত্র সোমবার শরীফ উনার ১২ তারিখ। সূর্য তখন প্রখর কিরণ দিচ্ছিলো এবং
তখন ছিলো প্রায় দুপুরের কাছাকাছি সময়।
আরো বর্ণিত রয়েছে,
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج من مكة يوم الاثنين، ودخل المدينة يوم الاثنين. والظاهر أن بين خروجه عليه السلام من مكة ودخوله المدينة خمسة عشر يوما لانه أقام بغار نور ثلاثة أيام، ثم سلك طريق الساحل وهى أبعد من الطريق الجادة واجتاز فى مروره على أم معبد بنت كعب من بنى كعب بن خزاعة، قال حضرت ابن هشام رحمة الله عليه. اسمها عاتكة بنت خلف بن معبد بن ربيعة بن أصرم. وقال حضرت الاموى رحمة الله عليه هى عاتكة بنت تبيع حليف بنى منقذ بن ربيعة بن اصرم بن صنبيس بن حرام بن خيسة بن كعب بن عمرو، ولهذه المرأة من الولد معبد ونضرة وحنيدة بنو أبى معبد، واسمه أكتم بن عبد العزى بن معبد بن ربيعة بن أصرم ابن صنبيس، وقصتها مشهورة مروية من طرق يشد بعضها بعضا.
অর্থ: গ্রন্থকার হযরত ইবনে কাসীর
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার
সূত্রে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার থেকে ইয়াওমুল
ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ হিজরতের জন্যে বের হন এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার
মধ্যে প্রবেশ করেন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা পবিত্র সোমবার শরীফ। বলাবাহুল্য, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ
থেকে বের হয়ে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করার মধ্যখানে ১৫ দিন অতিবাহিত
হয়েছিলো। কারণ তিনি ছাওর গুহা মুবারকে অবস্থান করেন তিন দিন। এরপর উপকূলীয় পথ ধরে
চলেন। এ পথ সচরাচর চলাচলের পথ থেকে অনেক দীর্ঘ। এ পথ অতিক্রম কালে পথিমধ্য তিনি
বনু কা’ব ইবনে খুযায়ার উম্মু মা’বাদ বিনতে কা’ব উনার নিকট দিয়ে যান।
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
বলেন, মহিলাটির নাম আতকাই বিনতে খালফ ইনে মা’বাদ ইবনে রাবীয়া ইবনে আসরাম। আর উমুবী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি হলেন বনী মুনকিয ইবনে
রাবীয়া ইবনে আসরাম ইবনে সামবীস ইবনে হারাম ইবনে খায়সা ইবনে কা’ব ইবনে আমর গোত্রের
আতিকা বিনতে তাবী’। উনার সন্তানের মধ্যে ছিলেন মা’বাদ, নাদ্বরা এবং ইবনে মা’বাদ ইবনে রাবীয়া ইবনে আসরাম ইবনে সামবীস। উনার ওয়াকেয়া
প্রসিদ্ধ এবং বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত, যার একটি অপরটিকে শক্তিশালী
করে।
وهذه قصة أم معبد الخزاعية، قال حضرت يونس رحمة الله عليه عن حضرت ابن اسحاق رحمة الله عليه فنزل رسول الله صلى الله عليه وسلم بخيمة أم معبد واسمها عاتكة بنت خلف بن معبد بن ربيعة بن أصرم فارادوا القرى فقالت والله ما عندنا طعام ولا لنا منحة ولا لنا شاة إلا حائل، فدعا رسول الله صلى الله عليه وسلم ببعض غنمها فمسح ضرعها بيده ودعا الله وحلب فى العس حتى أرغى وقال اشربى ياأم معبد فقالت اشرب فانت أحق به فرده عليها فشربت،
আর এই ওয়াকীয়া হলো উম্মু মা’বাদ আল
খুযাইয়ার ওয়াকীয়া। হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে হযরত ইউনুস
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এরপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মে মা’বাদের তা’বুতে তাশরীফ গ্রহণ করেন। উনারা
মেহমানদারীর অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে মহিলাটি বলেন, আমার নিকট কোনো খাবার নেই, নেই কোনো দুধের বকরী; এ অল্প বয়সী ছাগলগুলো ছাড়া। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাকে একটা মেষ আনার জন্য বললেন, মেষ হাযির করা হলে তিনি ওলানে হাত বুলালেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করলেন এবং একটি বড় পাত্রে দুধ দোহন করলেন।
এমনকি দুধে ফেনা দেখা দিলো এবং তিনি বললেন, হে উম্মু মা’বাদ, আপনি পান করুন। উম্মু মা’বাদ বললেন না, বরং আপনিই পান করুন। আপনি তো
পান করার বেশি হক্বদার। তিনি উম্মু মা’বাদকে তা ফিরিয়ে দিলে তিনি তা পান করলেন।
ثم دعا بحائل أخرى ففعل مثل ذلك بها فشربه، ثم دعا بجائل أخرى ففعل بها مثل ذلك فسقى دليله، ثم دعا بحائل أخرى ففعل بها مثل ذلك فسقى عامرا، ثم تروح. وطلبت قريش رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى بلغوا أم معبد فسألوا عنه فقالوا أرأيت حضرت محمدا صلى الله عليه وسلم من حليته كذا كذا؟ فوصفوه لها. فقالت ما أدرى ما تقولون، قدمنا فتى حالب الحائل. قالت قريش فذاك الذى نريد. فقلما لبث أن جاء زوجها أبو معبد يسوق أعنزا عجافا يتساوكن هزلى لا نقى بهن مخهن قليل فلما رأى اللبن عجب وقال من أين هذا اللبن يا أم معبد ولا حلوبة فى البيت والشاء عازب؟ فقالت لا والله إنه مربنا رجل مبارك كان من حديثه كيت وكيت. فقال صفيه لى فوالله إنى لا راه صاحب قريش الذى تطلب.
এরপর একটি অল্পবয়সী ছাগী তলব করে আনান এবং
সেটিকেও এরকম করেন এবং তার দুধ পান করেন। এরপর অপর একটি অল্প বয়সী বকরী তলব করে
সেটিকেও এরূপ করে তার দুধ দোহন করে পথ প্রদর্শককে পান করান। পরে আরো একটি অল্প
বয়সী ছাগী তলব করান এবং সেটিকে এরূপ করেন তার দুধ আমিরকে পান করান। তারপর তিনি
সেখান থেকে প্রস্থান করেন। ওদিকে কুরাইশ কাফির মুশরিকরা উম্মু মা’বাদের নিকট
পৌঁছে তাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ
করে। তারা বলে আপনি কি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছেন? উনার এই হুলিয়া। তারা উম্মু মা’বাদের নিকট উনার পরিচয় পেশ করেন। উম্মু মা’বাদ
বললেন, তোমরা কি বলছো কিছুই তো বুঝতে পারছি না। আমাদের নিকট এক যুবক এসেছিলেন, তিনি অল্প বয়সী বকরীর দুধ দোহন করেছেন। কুরাইশ কাফির মুশরিকরা বললো আমরা তো
উনাকেই খুঁজছি।
অন্য বর্ণনায় এসেছে,
فقالت رأيت رجلا ظاهر الوضاءة حسن الخلق مليح الوجه لم تعبه نجلة. ولم تزربه صعلة. قسيم وسيم فى عينيه دعج، وفى اشفاره وطف، وفى صوته صحل. أحول أكحل أزج أقرن فى عنقه سطع وفى لحيته كثاثة. اذا صمت فعليه الوقار، وإذا تكلم سما وعلاه البهاء، حلو المنطق فصل لانزر ولا هذر
অর্থ : অল্পক্ষন পরেই মহিলাটির স্বামী আবূ
মা’বাদ দুর্বল কৃশ, শক্তি সামর্থ্যহীন মেষগুলো
তাড়া করতে করতে ফিরে আসেন। এসব মেষে মজ্জা খুবই সামান্যই ছিলো। দুধ দেখে স্বামী
অবাক হয় এবং জিজ্ঞাসা করেন হে উম্মু মা’বাদ! এ দুধ মুবারক কোত্থেকে এলো? দুধ দেয়ার মতো বকরী তো ঘরে একটাও নেই। যে বকরীগুলো আছে সেগুলোতো নেহায়েত অল্প
বয়সী। উম্মু মা’বাদ বললেন, না মহান আল্লাহ পাক উনার
ক্বসম! আমাদের নিকট দিয়ে এক মুবারক (বরকমতয় ও পূর্ণবান) ব্যক্তি অতিক্রম করেছেন।
উনার কথা মুবারক আর ইরশাদ বা বচন মুবারক এমন এমন ছিলো। উনার স্বামী বললেন, সেই মুবারক বরকমতয় ব্যক্তি উনার পরিচয় আমার নিকট পেশ করুন। উনার মুবারক বর্ণনা
দিন। আমার ধারণা তিনিই সেই ব্যক্তি, কুরাইশ কাফির, মুশরিককরা যাঁকে খুঁজছে। তখন মহিলাটি বললেন, আমি এমন ব্যক্তিকে দেখেছি, যাঁর চেহার মুবারক উজ্জ্বল
নূরানীময় গৌরবর্ণ, সর্বত্তোম চরিত্র বা আখলাক
মুবারক, লাবন্যময় মুখ মুবারক।
মাথার টাক বা ক্ষুদ্র মাথা উনাকে
ত্রুটিপূর্ণ করেনি, তিনি উজ্জ্বল নূরানীময়
গৌরবর্ণ চিত্তহীরী ব্যক্তিত্ব, উনার চক্ষু মুবারক দু’খানা
ডাগর কালো। চক্ষু মুবারক উনার পলক দীর্ঘ ও ঘন, কণ্ঠস্বর মুবারক গাম্ভীর্য ও ভারিক্কীপনা, সুউজ্জ্বল সুর্মামাখা চোখ মুবারক। পাতলা ভুরু মানানসই ঘাড় মুবারক খাড়া সোজা
মানানসই, দাড়ি মুবারক ঘন কৃষ্ণ, না অতি দীর্ঘ না অতি খাটো, যখন তিনি চুপ থাকেন তখন উনাকে গাম্ভীর্যময় নিয়ে, যখন তিনি কথা বলেন, তখন কণ্ঠস্বর মুবারক হয় ভরাট
মিষ্টিভাষী, থেমে থেমে কথা মুবারক বলেন, বেশি কথাও বলেন না, আবার প্রয়োজনের চাইতে কম কথাও
বলেন না।
كأن منطقه خر زات نظم ينحدرن، أبهى الناس وأجمله من بعيد، وأحسنه من قريب. ربعة لا تنساه عين من طول، ولا تقتحمه عين من قصر غصن بين غصنين فهو أنضر الثلاثة منظرا، وأحسنهم قدا له رفقاء يحفون به إن قال استمعوا لقوله، وإن أمر تبادروا لأمره. محفود محشود لا عابس ولا معتد فقال – يعنى بعلها – هذا والله صاحب قريش الذى تطلب، ولو صادفته لالتمست أن أصحبه، ولا جهدن إن وجدت إلى ذلك سبيلا، قال وأصبح صوت بمكة عال بين السماء والارض يسمعونه ولا يرون من يقول وهو يقول :
উনার কথা মুবারক যেনো ছড়ানো মুক্তমালা, দূর থেকে সুদর্শন ও চিত্তহারী, আর নিকট থেকে দেখলে আরো উজ্জল
নূরময়, আরো সুন্দরতম, মধ্যম অবয়ব, দীর্ঘ আকৃতি মুবারক নয়, যা দেখতে খারাপ দেখায়, আর এমন খাটোও নন, যা দৃষ্টিতে তুচ্ছ ঠেকে, দুটি শাখার মধ্যস্থলে একটি শাখা, যা তিনটি শাখার মধ্যে সবচেয়ে
নযরকাড়া, দৈহিক আকৃতিতে কায়িনাতের বা গোটা মাখলুক-এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। উনার কিছু
ছাহাবী বা সঙ্গী সাথী রয়েছেন যাঁরা সর্বদা উনাকে পরিবেষ্টন করে থাকেন। তিনি কথা
মুবারক বললে উনারা গভীর মনোনিবেশ সহকারে শুনেন। তিনি নির্দেশ মুবারক দান করলে তা
পালন করার জন্য উনারা ছুটে যান। সকলেই উনার খিদমতের জন্য এগিয়ে আসেন এবং সবাই উনার
চারি পার্শ্ব মুবারকে সমবেত থাকেন। তিনি কম কথাও বলেন না আবার বেশি কথাও না।
মহিলাটির ভাষায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এরকম।
সুবহানাল্লাহ!
তখন মহিলাটি উনার স্বামীকে বললেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! এই তো সেই ব্যক্তি যাঁকে কুরাইশ কাফির মুশরিকরা
খুঁজছে। উনার সঙ্গে আমার সাক্ষাত হলে আমাকে উনার সঙ্গী করার জন্য আবেদন জানাতাম। এ
জন্য কোনো পথ পেলে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা চালাবো। আবূ মা’বাদ আল খুজাঈ বলেন, এরপর পবিত্র মক্কা ভূমি থেকে উচ্চ কণ্ঠে বুলন্দ আওয়াজ উত্থিত হয়। আসমান যমীনে
এ আওয়াজ ভেসে আসে। সকলে এ আওয়াজ শুনতে পায়, কিন্তু কোথা থেকে আওয়াজ আসছে
আর কে আওয়াজ দিচ্ছে কেউ তা জানে না। কেউ উনাকে দেখতে পাচ্ছে না। আওয়াজদাতা বলছিলেন,
جزى الله رب الناس خير جزائه – رقيقين حلا خيمتى أم معبد
মানুষের পালনকর্তা মহান আল্লাহ পাক তিনি
সর্বোত্তম প্রতিদান দিন সেই সঙ্গীদয় উনাদেরকে, যাঁরা অবস্থান নিয়েছিলেন উম্মু মা’বাদ উনার ঘরে।
هما نزلا بالبر وارتحلا به – فافلح من أمسى رفيق حضرت محمد صلى الله عليه وسلم
উনারা দু’জন অবস্থান নেন সম্মান আর মর্যাদার
সঙ্গে এবং প্রস্থান করেন। যে ব্যক্তি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গী হয়েছেন। তিনি তো হয়েছেন সফলকামী।
فيال قصى ما زوى الله عنكم - به من فعال لا تجارى وسؤدد
সুতরাং হে কুসাই-এর বংশধরগণ! মহান আল্লাহ
পাক তিনি তোমাদেরকে কেমনতর কীর্তি আর কর্তৃত্ব থেকে বঞ্চিত করেছেন।
سلوا أختكم عن شاتها وإنائها – فانكم إن تسألوا الشاة تشهد
তোমরা জিজ্ঞেস করো তোমাদের বোনকে তার বকরী
তার ভা- সম্পর্কে। কারণ তোমরা যদি বকরীকে জিজ্ঞেস করো, তবে সেও সাক্ষ্য দেবে।
دعاها بشاة حائل فتحلبت – له بصريح ضرة الشاة مزبد
তিনি সে মহিলাকে একটি অল্পবয়সী বকরী দিতে
বলেন, আর তা উনাকে দুধ দেয় স্পষ্ট রূপে, বকরীর ওলানে ছিলো ফেনাযুক্ত
দুধ। সুবহানাল্লাহ!
فغادره رهنا لديها لحالب – يدر لها فى مصدر ثم مورد
তিনি তার নিকট দুধ দোহনকারীর জন্য
দুধভর্তি ওলান রেখে যান, যা সে নারীকে দুধ দেয় দিনের
শুরুতে আর শেষে (অর্থাৎ সকাল ও সন্ধ্যায়)।
قال وأصبح الناس – يعنى بمكة – وقد فقدوا نبيهم، فاخذوا على خيمتى أم معبد حتى لحقوا برسول الله صلى الله عليه وسلم قال وأجابه حسان بن نابت :
তিনি বলেন, পরদিন প্রত্যুষে লোকেরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে আর খুঁজে পেলো
না। তারা উম্মু মা’বাদ উনার বাড়ির পথ ধরে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয় (পবিত্র মদানী শরীফ)। আবূ
মা’বাদ আল খুযাঈ বলেন, উপরোক্ত কবিতার জবাবে হযরত
হাসসান ইবনে ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিচের কবিতা শরীফ রচনা করেন।
لقد خاب قوم زال عنهم نبيهم – وقدسر من يسرى اليهم ويغتدى
ব্যর্থ হয়েছে সে জাতি হিযরত করেছেন যাদের
নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর আনন্দিত হয়েছেন সে
ব্যক্তিগণ, যাঁরা সকাল-বিকাল ছুটে যান
উনার কাছে।
ترحل عن قوم فزالت عقولهم – وحل على قوم بنور مجدد
এমন এক জাতির নিকট থেকে তিনি প্রস্থান
করেছেন, যাদের জ্ঞানবুদ্ধি লোপ পেয়েছে। অপর এক জাতির নিকট অবস্থান নিয়েছেন নিত্য নতুন
নূর তথা আলো নিয়ে।
هداهم به بعد الضلالة ربهم – وأرشدهم من يتبع الحق يرشد
গুমরাহীর পর উনার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি
উনাদেরকে হিদায়েত দিয়েছেন, পথ-প্রদর্শন করেছেন। যে
সত্যের অনুসরণ করেন, তিনি হিদায়েত পান।
وهل يستوى ضلال قوم تسفهوا – عمى وهداة يهتدون بمهتد
জাতির গুমরাহ লোকেরা, যারা গ্রহণ করেছে নির্বুদ্ধিতা আর অন্ধত্ব, তারা কি সমান হতে পারে উনাদের, যাঁরা হিদায়েত লাভে ধন্য
হয়েছেন?
نبى يرى مالا يرى الناس حوله - ويتاو كتاب الله فى كل مشهد
তিনি এমন এক নবী, যিনি দেখেন উনার আশে পাশের লোকজন যা দেখে না এবং তিলাওয়াত করেন মহান আল্লাহ
পাক উনার কিতাব সকল স্থানে।
وإن قال فى يوم مقالة غائب – فتصديقها فى اليوم أوفى ضحى الغد
যে দিনই তিনি গায়েবের কথা বলেন, তবে তা সত্য প্রতিপন্ন হয় সেদিনই; অথবা পর দিন সকালে।
ليهن حضرت أبا بكر عليه السلام سعادة جده – بصحبته من يسعد الله يسعد
হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম
উনার জন্য মুবারক হোক উনার কোশেশের সৌভাগ্য সাথী লাভের কারণে; মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ভাগ্যবান করেন তিনিই হন ভাগ্যবান।
ويهن بنى كعب مسكان فتاتهم – ومقعدها للمسلمين بمرصد
বনূ কা’বকে মুবারকবাদ যে, উনাদের বংশে মহিলাটি রয়েছেন এবং মুসলমান উনাদেরকে উনার ঘর মুবারকে আশ্রয় দেন
বিশ্রামের জন্য। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে বলা
হয়, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ
উনার দিকে কিছুটা সামনে অগ্রসর হলে হযরত সুরাকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
মতো হযরত বুরাইদা আসলাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ৭০ জন অশ্বারোহীসহ
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্ধানে বের হন, যাতে করে কুরাইশ কাফিরদের নিকট থেকে একশত উট পুরস্কার পাওয়া যায়। যখন হযরত
বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটবর্তী হলেন তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কে? হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আমি বুরাইদা। সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছিদ্দীক্বে
আকবর আলাইহিস সালাম উনার দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন,
يا حضرت ابا بكر عليه السلام برد امرنا و صلح
“হে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম
আমার কাজ শীতল ও সঠিক হয়েছে।”
এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কোন গোত্রের? হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আমি আসলাম গোত্রের।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছিদ্দীক্বে
আকবর আলাইহিস সালাম উনার দিকে তাকিয়ে বললেন, سلمنا আমরা নিরাপদ।” এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি আসলাম গোত্রের কোন শাখার? হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বললেন, বনী সাহমের। তিনি বললেন, خرج سهمك ‘আপনার অংশ বেরিয়ে এসেছে’
অর্থাৎ পবিত্র ইসলাম উনার মধ্যে আপনার অংশ রয়েছে।
হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
তিনি বললেন, আপনি কে? তিনি বললেন,
انا حضرت محمد بن عبد الله رسول الله صلى الله عليه و سلم
“আমি হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার
পুত্র সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহান আল্লাহ পাক
উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
তিনি বললেন,
اشهد ان لا اله الا الله وان محمدا عبده و رسوله صلى الله عليه و سلم
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পুরনূর
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ও রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণ করলেন এবং ওই ৭০ জন ব্যক্তি যাঁরা হযরত
বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার উনার সঙ্গী ছিলেন সবাই মুসলমান হলেন।
সুবহানাল্লাহ!
হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
তিনি আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া
হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে
প্রবেশকালে আপনার সামনে একটি পতাকা রাখতে ইচ্ছা করছি। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং পাগড়ী মুবারক খুললেন এবং বর্শার মাথায়
বেঁধে হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দিলেন। যে সময় সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ
উনার মধ্যে তাশরীফ নিলেন তখন হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পতাকা
মুবারক হাতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে ছিলেন। (দালাইল, আল ইস্তিয়াব, সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১ম খ- ৩৬৪ ও ৩৬৫ পৃষ্ঠা)
قال حضرت الامام احمد رحمة الله عليه حدثنا حضرت عبد الله بن مصعب بن عبد الله رحمة الله عليه - هو حضرت الزبيرى رضى الله تعالى عنه- حدثنى أبى عن حضرت فائد رضى الله تعالى عنه مولى عبادل قال خرجت مع حضرت ابراهيم بن عبد الرحمن بن سعد رضى الله تعالى عنه حتى إذا كنا بالعرج أنى حضرت ابن سعد رضى الله تعالى عنه - و حضرت سعد رضى الله تعالى عنه هو الذى دل رسول الله صلى الله عليه وسلم على طريق ركوبة- فقال حضرت ابراهيم رحمة الله عليه أخبرنى ماحدثك أبوك؟ قال بان حضرت سعد رضى الله تعالى عنه حدثنى أبى أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أناهم ومعه حضرت أبوبكرعليه السلام- وكانت لابى بكرعليه السلام عندنا بنت مسترضعة- وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم أراد الاختصار فى الطريق إلى المدينة،
অর্থ: হযরত ইমাম আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে মুছয়াব ইবনে আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি হযরত যুবাইর
রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, আমার পিতা তিনি হযরত আবাদিল-এর আযাদকৃত গোলাম হযরত ফায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণনা করে বলেন, হযরত ইবরাহীম ইবনে আব্দুর
রহমান ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গে আমি বের হলাম। আমরা যখন আল আরাজ
নামক স্থানে পৌঁছি, তখন হযরত ইবনে সা’দ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উপস্থিত হলেন, এবং হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘রাকুবা’ নামক স্থানের পথ প্রদর্শন করেছেন।
তখন হযরত ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আপনার পিতা আপনাকে যে পবিত্র হাদীছ শরীফ মুবারক বলেছেন, আপনি আমাকে সে পবিত্র হাদীছ শরীফখানা বলুন। নিশ্চয়ই তখন হযরত ইবনে সা’দ
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমার পিতা আমাকে বলেছেন
নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার নিকট আগমন
করেন আর উনার সঙ্গে ছিলেন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম। আর আমাদের নিকট
হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার একটি দুগ্ধপোষ্য কন্যা ছিলেন আর
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ
উনার দিকে যাওয়ার সংক্ষিপ্ত রাস্তা মুবারক তালাশ করছিলেন।
0 Comments:
Post a Comment