পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার ভিত্তি
মুবারক স্থাপন
পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার স্থান মুবারক
মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত এবং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পছন্দনীয়। ‘তাবাকাতে ইবনে সা’দ’ গ্রন্থে
উল্লেখ রয়েছে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই দু’ ইয়াতীম
ছাহাবী হযরত সাহল ও হযরত সুহাইল
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনাদের থেকে ১০ দিনারের পরিবর্তে উক্ত সম্পত্তি
মুবারক ক্রয় করেন এবং হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি উক্ত অর্থ মুবারক
পরিশোধ করেন।
পবিত্র বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ উনাদের
মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ
উনার যমীন মুবারক-এ ছিলো খেজুর গাছ ও কবর এবং এ যমীনের অংশ মুবারক ছিলো নিচু। নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকক্রমে খেজুর গাছ কেটে ফেলে এবং
কবরের হাড় বের করে অন্যত্র পুঁতে রাখা হয়। সাথে সাথে জমির নি¤œাংশ ভরাট করে পবিত্র মসজিদুন
নববী শরীফ তৈরির উপযোগী করা হয়। নি¤œাংশে উপত্যকার পানি জমা হয়ে থাকতো। মাটি ভরাট করার পর তা সেরে যায়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুমা উনারা পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ তৈরির ১২ দিন পূর্ব পর্যন্ত অস্থায়ী ছাদ
মুবারক-এর নিচে নামায মুবারক আদায় করেন। (অফা-আল-অফা) অতঃপর পবিত্র মসজিদুন নববী
শরীফ তৈরির সময় আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
মসজিদুন নববী শরীফ উনার ছাদ মুবারক হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার
ছাদের অনুরূপ উচু করে তৈরি করো। তাতে কাঠ ও ছাদ থাকবে। হযরত মুসা কালীমুল্লাহ
আলাইহিস সালাম উনার মসজিদ উনার ছাদ সম্পর্কে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস
সালাম তিনি যখন উনার মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে দাঁড়াতেন তখন উনার মাথা মুবারক ছাদের
সাথে লাগতো।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় দু’বার পবিত্র
মসজিদুন নববী শরীফ নির্মাণ করা হয়। ১ম বার হচ্ছে ১ম হিজরী সনে অর্থাৎ ৬২২
খ্রিস্টাব্দে। তখন পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার আয়তন মুবারক ছিলো ৭০ী৬০ গজ।
অর্থাৎ ৮৫০.৫ বর্গমিটার এবং উচ্চতা ছিলো ৫ গজ। তিনি পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ
নির্মাণের জন্যে হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে নির্দেশ
প্রধান করেন। তিনি নিজেও ইট ও পাথর মুবারক বহন করেন এবং সাথে অন্যান্য হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারাও পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ
নির্মাণ কাজে হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে সহযোগিতা করেন।
উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মু সালামা
আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনারা যখন পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ নির্মাণ করেছিলেন তখন প্রত্যেকেই
উনারা একটি করে ইট মুবারক বহন করছিলেন, কিন্তু হযরত আম্মার ইবনে
ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বহন করছিলেন দুটি ইট মুবারক। একটি উনার
নিজের অপরটি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে।
তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার পৃষ্ঠ মুবারক-এ হাত মুবারক বুলিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন,
حضرت ابن سمية رضى الله تعالى عنه للناس اجر ولك اجران واخر زادك شربة من لبن وتقتلك الفئة الباغية
অর্থ: “হে হযরত ইবনে সুমাইয়া
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! অন্যান্যদের জন্য রয়েছে এক প্রতিদান আর আপনার জন্য
রয়েছে দুটি। আর আপনার শেষ খাবার হবে দুধ। একটি বিদ্রোহী দল আপনাকে শহীদ করবে।”
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে একটি পাথর
মুবারক দিয়ে পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার ভিত্তি স্থাপন করেন। পবিত্র মসজিদুন
নববী শরীফ উনার ভিত্তি পাথর দ্বারা, দেয়াল মুবারক ইট দ্বারা, চাল মুবারক খেজুর পাতা ও ইজখার (সুঘ্রানযুক্ত ঘাস) এবং খুঁটি খেজুর গাছ দিয়ে
নির্মাণ করা হয়। পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার স্থান মুবারকের খেজুর গাছ
মুবারকগুলো কেটে ক্বিবলা উনার দিকে খুঁটি দেয়া হয়। চাল মুবারকে কাদা মাটির প্রলেপ
দেয়া হয় যেনো ঠান্ডা লাগে। বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চাল মুবারক একদিকে
ঢালু করে দেয়া হয়।
হযরত আবূ ইয়ালা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
ছহীহ সনদে বর্ণনা করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মসজিদুন নববী শরীফ উনার ভিত্তি মুবারক
স্থাপন করেন তখন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি আসেন এবং একটি পাথর
মুবারক বসান। তারপর হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি আসেন এবং একটি পাথর
মুবারক স্থাপন করেন। এরপর হযরত উসমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসেন এবং একটি
পাথর মুবারক বসান। তারপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
هؤلاء الخلفاء من بعدى
“আমার পর উনারাই খলীফা হবেন।”
সুবহানাল্লাহ! পবিত্র মসজিদে কুবা উনার পর পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ হচ্ছে দ্বিতীয়
মসজিদ। একবার বৃষ্টিতে পবিত্র মসজিদুন নববী শরীফ উনার মেঝে মুবারক কর্দমাক্ত হয়ে
যায়। এই অবস্থায় নামায মুবারক পড়ায় সবার শরীর মুবারকে কাদা মুবারক লেগে যায়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কপাল মুবারক ও
দাঁড়ি মুবারকেও কাদা মুবারক লেগে যায়। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক অনুমতিতে পাথরের নূরী মেঝে মুবারকে
ঢেলে দেন।
“মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার ১৬৪ তম
বিশেষ সংখ্যার ১১২ ও ১১৩ পৃষ্ঠায়” উল্লেখ রয়েছে, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মসজিদে
নববী শরীফ উনার ভিত্তি মুবারক স্থাপন করেন চুন ও পাথর মুবারক মিশ্রিত করে। উক্ত
স্থানে উঁচু নিচু অংশ কেটে সমতল করা হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে নিয়ে পবিত্র মসজিদ উনার
দেয়াল মুবারক নির্মাণের জন্য মাটি কাদা করে ইট বানাচ্ছেন। তা রোদ্রে শুকিয়ে নিয়ে
দেয়াল গাঁথছেন সাথে পাথরও দিচ্ছেন। পবিত্র মসজিদ উনার ছাদ মুবারক তৈরীতে খেজুরের
ছাল মুবারক, পাতা মুবারক ব্যবহার করছেন।
স্তম্ভের জন্যে খেজুরের গাছ সংগ্রহ করেছেন। যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মসজিদুন্ নববী শরীফ উনার ভিত্তি
মুবারক স্থাপন করেন, তখন হযরত জিবরাইল আলাইহিস্
সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, পবিত্র মসজিদুন্ নববী শরীফ উনার ছাদ মুবারক হযরত মুসা আলাইহিস্ সালাম উনার ছাদ
মুবারক উনার ন্যায় উচ্চতা সাত গজ। পবিত্র মসজিদ উনার ছাদ মুবারক খেজুর ছাল মুবারক
ও পাতা মুবারক এবং মাটির কাদার সংমিশ্রনে তৈরী করা হয়। সপ্তম হিজরীতে পবিত্র
মসজিদুন্ নববী শরীফ উনার সংস্কার করা হয় ১০০ী১০০ হাত বা গজ।
পবিত্র মিম্বর শরীফ তৈরী করা হয়। দৈর্ঘ্য
ছিল ২ হাত, প্রস্থ ১ হাত, উচ্চতা দেড় হাত। প্রতি সিঁড়ি ১ বিঘত, তিন থাক বিশিষ্ট ছিল (ঝাউ
গাছের)। খেজুর গাছের লাঠি মুবারক ছিল যা হাত মুবারক-এ ভর করে খুৎবা মুবারক দেয়া
হত। সুবহানাল্লাহ!
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহ্ইস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক
সার্বিক জীবন মুবারক-এ সর্ব প্রকার সুন্নত উনার আমলে রঙ্গীন। সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ সারা
পৃথিবীর একমাত্র মুজাদ্দিদ যিনি উনার দরবার শরীফ রাজারবাগ ঢাকায় পবিত্র মসজিদুন্
নববী শরীফ উনার অনুরূপ সুন্নতী জামে মসজিদ মুবারক তৈরি করেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন
إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِن وَرَاء الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ
অর্থ: “আপনাকে যারা পবিত্র হুজরা শরীফ
সমূহ উনাদের বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে তাদের অধিকাংশই বুঝে না।” (পবিত্র সূরা
হুজুরাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ- ৪)
এখানে পবিত্র হুজরা শরীফ দ্বারা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ
(ঘর) মুবারকসমূহ উনাদের বুঝানো হয়েছে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে,
ما من بيتى ومنبرى روضة من رياض الجنة
অর্থ: “আমার পবিত্র হুজরা শরীফ ও পবিত্র
মিম্বর শরীফ উনাদের মাঝে বেহেশত উনার বাগানসমূহ থেকে একটি বাগান আছে।”
এখানে পবিত্র হুজরা শরীফ দ্বারা উম্মুল
মু’মিনীন হযরত আয়শা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ উনাকে বুঝানো
হয়েছে।
পবিত্র হুজরা শরীফ উনার উত্তরে ছিল হযরত
ফাতিমাতুয যাহরা বিনতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র
হুজরা শরীফ মুবারক। হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ মুবারক
ছিলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাহির হওয়ার পথে।
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ
উনার একটি জানালা মুবারক ছিলো, যা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা
আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ বরাবর ছিলো। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হুজরা শরীফ থেকে বের হওয়ার সময় উক্ত
জানালা মুবারক দিয়ে হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম ও হযরত হাসান আলাইহিস
সালাম এবং হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের খোঁজ-খবর নিতেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার
পবিত্র হুজরা শরীফ উনার উত্তর দিকে একটা রাস্তা মুবারক ছিল। এ রাস্তা মুবারক থেকে
পবিত্র হুজরা শরীফ পৌঁছার জন্য অপর একটি রাস্তা মুবারক ছিল। পবিত্র হুজরা শরীফ
উনার দক্ষিণে ছিল পথ এবং পথের পরই ছিল উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফছাহ বিনতে উমার বিন
খত্তাব আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ। হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস
সালাম ও হযরত হাফছাহ আলাইহাস সালাম উনাদের পবিত্র হুজরা শরীফদ্বয় এত কাছাকাছি ছিলো
যে, কোনো কোনো সময় পবিত্র হুজরা শরীফ উনার ভিতর থেকেই একে অপরের সাথে কথা মুবারক
বলতেন।
হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার
পবিত্র হুজরা শরীফ উনার পশ্চিমে ছিল পবিত্র মসজিদুন্ নববী শরীফ। ই’তিকাফের সময়
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাথা মুবারক উনার
চুল মুবারক পবিত্র হুজরা শরীফ থেকে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি
আঁচড়িয়ে দিতেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমনটি পবিত্র মসজিদুন্ নববী শরীফ উনার
দেয়াল কাঁচা ইট এবং ছাদ খেজুর গাছের কা- ও ডাল পাতা দিয়ে তৈরি, তেমনি করে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা
শরীফও ওই সমস্ত উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
পবিত্র হুজরা শরীফ উনার ছাদ মুবারক ছিলো
নিচু। হাত দিয়ে নাগাল পাওয়া যেতো। পবিত্র হুজরা শরীফ উনার দুটো দরজা মুবারক ছিলো।
একটি উত্তরমুখী অন্যটি দক্ষিণমুখী। যা একপাট বিশিষ্ট।
প্রথমদিকে মাত্র দুটো পবিত্র হুজরা শরীফ
ছিল। একটি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার এবং অন্যটি
হযরত সাওদাহ আলাইহাস সালাম উনার। পরবর্তীতে প্রত্যেক উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস
সালাম উনাদের জন্য একটি করে পবিত্র হুজরা শরীফ তৈরি করা হয়।
বর্ণিত আছে যে, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন আহ্লিয়া উনার
পবিত্র হুজরা শরীফ কুবা পল্লীর কাছে অবস্থিত ছিলো।”
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায়ের পর উনাকে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ-এই উনার পবিত্র রওজা শরীফ করা
হয়। ওই পবিত্র হুজরা শরীফ-এ অবস্থানকালেই তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
সুবহানাল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment