১. ছারীদ (ثَرِيْدٌ)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রকার খাদ্য সামগ্রীর
উপর ছারীদের প্রাধান্য দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ
اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ فَضْلُ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْـقَةِ
عَلَيْهَا السَّلَامُ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيْدِ عَلٰى سَائِرِ
الطَّعَامِ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সকল নারীর উপর উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার
মর্যাদা মুবারক এমন, যেমন সর্বপ্রকার খাদ্য
সামগ্রীর উপর ছারীদের মর্যাদা।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ: কিতাবুত
ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৫৪২৮, মুসলিম শরীফ: হাদীছ শরীফ নং
৬১৯৩, নাসায়ী শরীফ: হাদীছ শরীফ
নং ৩৯৪৭)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুই প্রকার ছারীদ গ্রহণ
করেছেন বলে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন- ১. রুটির ছারীদ ও ২.
হাইসের ছারীদ।
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ
اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ اَحَبُّ الطَّعَامِ
اِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّرِيْدَ مِنَ
الْـخُبْزِ وَالثَّرِيْدَ مِنَ الْـحَيْسِ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে রুটির ছারীদ এবং হাইসের
ছারীদ ছিল অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুত
ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৩৭৮৩)
প্রস্তুত প্রণালী: ছারীদ
তৈরীর বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। ১টি পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:
উপকরণ: ১. তেহারি সাইজ গরুর গোশত (২৫০গ্রাম)
২.
তেল (১৫০ গ্রাম) ৩.
আদা (১০০ গ্রাম)
৪.
রসুন (১০০ গ্রাম) ৫.
পেঁয়াজ (২৫০ গ্রাম)
৬.
মিষ্টি কুমড়া (১ কেজি) ৭.
এলাচ (৭টি)
৮.
দারুচিনি (১৫ গ্রাম) ৯.
তেজপাতা (৫ পিছ)
১০.
হলুদ (১০ গ্রাম) ১১.
মরিচ (৫ গ্রাম)
১২.
ধনিয়া (১৫ গ্রাম)
তৈরীর পদ্ধতি: একটি পাত্রে গোশত দিয়ে তেল দিন। আদা, রসুন, পেঁয়াজ, এলাচ বাটার সাথে দারুচিনি, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, তেজপাতা, লবণ দিতে হবে। কিছুক্ষণ অল্প আগুনে গোশত জাল দিতে হবে। এরপরে ভালোভাবে কসিয়ে
নিতে হবে। গোশত হয়ে গেলে পর্যাপ্ত পানি ও সেদ্ধ করা মিষ্টি কুমড়ার মন্ড দিয়ে ৩০
মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ভাসমান তেল উঠিয়ে নিতে হবে। শুরুয়াটি পাতলা হবে।
এরপর রুটিকে অনেকগুলো টুকরা করে খাবার পাত্রে নিয়ে তাতে শুরুয়া ঢেলে দিলেই তৈরী
হয় সুন্নতী খাবার ছারীদ।
গোশত হচ্ছে খাদ্যের
সাইয়্যিদ বা সর্দার।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اَبِـىْ الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ
رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُ طَعَامِ اَهْلِ
الدُّنْـيَا وَاَهْلِ الْـجَنَّةِ اللَّحْمُ.
অর্থ: “হযরত আবূ দারদা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, দুনিয়াবাসী ও জান্নাতবাসীদের খাদ্যের মধ্যে গোশতই হলো সাইয়্যিদ।”
সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাজাহ শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৩৩০৫)
২(১) কাঁধের গোশত (لَـحْمُ الْكَتِفِ) লাহমুল
কাতিফ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গোশতের মধ্যে কাঁধের গোশতকে উত্তম
বলেছেন এবং খাসী বা বকরীর কাঁধের গোশতই সর্বাধিক পছন্দ করতেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْيَكُنْ يُـعْجِبُهٗ فِي
الشَّاةِ اِلَّا الْكَتِفَ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বকরীর
কাঁধের গোশতই সর্বাধিক পছন্দ করতেন।” (আখলাকুন নবী)
২(২) পিঠের গোশত (لَـحْمُ الظَّهْرِ) লাহমুয
যাহর্: এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ يُـحَدِّثُ
ابْنَ الزُّبَيْرِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ وَقَدْ نَـحَرَ لَـهُمْ جَزُوْرًا
اَوْ بَعِيْرًا اَنَّهٗ سَـمِعَ
رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَالْقَوْمُ يُـلْقُوْنَ
لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّحْمَ يَـقُوْلُ اَطْيَبُ
اللَّحْمِ لَـحْمُ الظَّهْرِ.
অর্থ: “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে
জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে তিনি হযরত ইবনে যুবায়ির রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন- তিনি উনাদের জন্য একটি মেষ অথবা উট যবেহ
করেছিলেন। নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিনি ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছেন, যখন
লোকেরা উনার জন্য গোশত ঢালছিলেন, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করতেছিলেন, গোশতের
মধ্যে অপেক্ষাকৃত উত্তম হচ্ছে পিঠের গোশত।” (ইবনে মাজাহ শরীফ: কিতাবুত
ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৩৩০৮)
২(৩) বাহুর গোশত (لَـحْمُ الذِّرَاعِ) লাহমুয
যিরা’: এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ اُتِـيَ
النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَحْمٍ فَـرُفِعَ اِلَيْهِ
الذِّرَاعُ وَكَانَتْ تُـعْجِبُهٗ فَـنَهَسَ مِنْـهَا
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য গোশত
আনা হল এবং উনাকে বাহুর গোশত পরিবেশন করা হল। তিনি এটা পছন্দ করেছেন। তিনি তা
নূরুল্লাহ মুবারক (দাঁত মুবারক) দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে চিবিয়ে খেলেন।” (তিরমিযী
শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ১৮৩৭, ইবনে মাজাহ শরীফ: হাদীছ শরীফ নং ৩৩০৭)
অন্য বর্ণনায় বর্ণিত
রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّـدِّيْـقَةِ عَلَيْهَا
السَّلَامُ قَالَتْ مَا كَانَ الذِّرَاعُ اَحَبَّ اللَّحْمِ اِلٰى رَسُوْلِ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلٰكِنْ كَانَ لَا يَـجِدُ اللَّحْمَ اِلَّا
غِبًّا فَكَانَ يُعَجَّلُ اِلَيْهِ لِاَنَّهٗ
اَعْجَلُهَا نُضْجًا.
অর্থ: “হযরত উম্মুল
মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে বাহুর গোশত অন্য সব অংশের গোশতের
চেয়ে বেশী প্রিয় ছিল তা নয়, বরং প্রকৃত ব্যাপার এই যে, অনেক
দিনের ব্যবধানে তিনি গোশত খেতেন। এজন্যই উনাকে বাহুর গোশত পরিবেশন করা হতো। কেননা
বাহুর গোশত তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয় এবং গলে যায়।” (তিরমিযী শরীফ: কিতাবুত
ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ১৮৩৮)
২(৪) ভূনা গোশত (لَـحْمٌ مَشْوِىٌّ) লাহমুন
মাশ্উয়ী: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ভূনা গোশতও গ্রহণ করেছেন।
اِنَّ
حَضْرَتْ اُمَّ الْمُؤْمِنِيْنَ السَادِسَةَ اُمَّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ
اَخْبَـرَتْهُ اَنَّـهَا قَـرَّبَتْ اِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ جَنْـبًا مَشْوِيًّا فَاَكَلَ مِنْهُ ثُـمَّ قَامَ اِلَى الصَّلَاةِ
وَمَا تَـوَضَّاَ
অর্থ: “হযরত উম্মুল
মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে তিনি (ছাগলের) পাঁজরের
ভুনা গোশত পেশ করলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা হতে খেলেন, তারপর
নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন কিন্তু (পুনরায়) ওযূ করেননি।” (তিরমিযী শরীফ: কিতাবুত
ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ১৮২৯)
২(৫) নেহারী (اَلْكُرَاعُ) আল
কুরা’: এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ عَبْدِ الرَّحْـمٰنِ بْنِ عَابِسٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ
اَبِيْهِ قَالَ سَأَلْتُ حَضْرَتْ اُمَّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةَ
الصِّـدِّيْـقَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ عَنْ لُـحُوْمِ الْاَضَاحِيِّ؟ قَالَتْ
كُنَّا نَـخْبَاُ الْكُرَاعَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
شَهْرًا ثُـمَّ يَأْكُلُهٗ
অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান
ইবনে আবিস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত, উনার পিতা বলেন, উম্মুল
মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে কুরবানীর গোশত সম্বন্ধে
জিজ্ঞাসা করলাম। উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি
বললেন, আমরা এক মাস পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করার জন্য কুরবানীর
পশুর পা তুলে রাখতাম। এরপর তিনি তা খেতেন।” (নাসায়ী শরীফ: কিতাবুদ দহি‘য়্যা:
হাদীছ শরীফ নং ৪৪৩৩)
নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেসব প্রাণীর গোশত গ্রহণ করেছেন সেসব
কতিপয় প্রাণীর গোশতের বিবরণ:
২(৬) উটের গোশত (لَـحْمُ الْبَعِيْرِ اَوِ
لَـحْمُ الْبُدْنَةِ) লাহমুল বা‘য়ীর বা লাহমুল বুদনাহ্: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
ثُـمَّ
انْصَرَفَ اِلَى الْمَنْحَرِ فَـنَحَرَ ثَلاَثًا وَّسِتِّيْنَ بِيَدِهٖ
ثُـمَّ اَعْطٰى عَلِيًّا فَـنَحَرَ مَا غَبَـرَ وَاَشْرَكَهٗ
فِىْ هَدْيِهٖ ثُـمَّ اَمَرَ مِنْ كُلِّ بُدْنَةٍ
بِبَضْعَةٍ فَجُعِلَتْ فِىْ قِدْرٍ فَطُبِخَتْ فَاَكَلَا مِنْ لَـحْمِهَا
وَشَرِبَا مِنْ مَّرَقِهَا.
অর্থ: “অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরবানী উনার স্থানে এসে নিজ হাত
মুবারকে (১০০টি উটের মধ্য থেকে) ৬৩টি উট নহর করেন আর হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ
আলাইহিস সালাম উনাকে বাকী (৩৭টি) উট নহর করার দায়িত্ব দেন এবং উনাকে উনার
কুরবানীর মধ্যে শরীক করে নেন। অতঃপর প্রত্যেকটি উট থেকে এক টুকরা করে গোশত পাতিলে
একত্রিত করে রান্না করতে বলেন। অতঃপর উনারা উভয়েই উক্ত গোশত থেকে আহার করেন এবং
সুরুয়া পান করেন।” (মুসলিম শরীফ: কিতাবুল হজ্জ: হাদীছ শরীফ নং ২৮৪০)
২(৭) বকরীর গোশত (لَـحْمُ الشَّاةِ) লাহমুশ
শাত্: এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ اُمَيَّةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ اَخْبَـرَهٗ
اَنَّهٗ
رَاَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـحْتَـزُّ مِنْ كَتِفِ شَاةٍ
فِىْ يَدِهٖ
فَدُعِيَ اِلَى الصَّلَاةِ فَاَلْقَاهَا وَالسِّكِّيْنَ الَّتِيْ يَـحْتَـزُّ
بِـهَا ثُـمَّ قَامَ فَصَلّٰى وَلَـمْ يَـتَـوَضَّأْ.
অর্থ: “হযরত ‘আমর ইবনে উমাইয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিনি নিজ হাত মুবারক-এ বকরীর কাঁধের গোশ্ত থেকে কেটে
খেতে দেখেছেন। তারপর নামাযের সময় হলে তিনি তা রেখে দিলেন এবং ছুরিটিও (রেখে
দিলেন) যা দিয়ে তিনি কেটে খাচ্ছিলেন। তারপর উঠলেন এবং নামায আদায় করলেন। তিনি
(নতুন) ওযূ করলেন না।” (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৫৪০৮)
২(৮) মুরগীর গোশত (لَـحْمُ الدَّجَاجَةِ) লাহমুদ
দাজাজাহ্: বর্ণিত
রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اَبِـىْ مُوْسٰى رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ رَاَيْتُ رَسُوْلَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ لَـحْمَ دَجَاجٍ
অর্থ: “হযরত আবূ মূসা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি মোরগের গোশত গ্রহণ করতে দেখেছি।” (তিরমিযী
শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ১৮২৭)
২(৯) হুবারা নামক পাখির গোশত (لَـحْمُ الْـحُبَارٰى) লাহমুল
হুবারা: বর্ণিত
রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اِبْـرَاهِيْمَ بْنِ عُمَرَ بْنِ سَفِيْـنَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ
عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ قَالَ اَكَلْتُ مَعَ رَسُوْلِ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـحْمَ حُبَارٰى
অর্থ: “হযরত ইবরাহীম ইবনে
‘উমর ইবনে সাফীনাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি (তিনি বুরাইদ ইবনে ‘উমর ইবনে সাফীনাহ নামেও
পরিচিত) উনার থেকে পর্যায়ক্রমে উনার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি
নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হুবারার গোশত খেয়েছি।” (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুত
ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৩৭৯৭, তিরমিযী শরীফ:
কিতাবুত ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ১৮২৮)
২(১০) খরগোশের গোশত (لَـحْمُ الْاَرْنَبِ) লাহমুল
আঝনাব্: বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ اَنْـفَجْنَا
اَرْنَـبًا بـِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَوْا عَلَيْهَا حَتّٰى لَغِبُـوْا
فَسَعَيْتُ عَلَيْهَا حَتّٰى اَخَذْتُـهَا فَجِئْتُ بِـهَا اِلٰى اَبِـىْ طَلْحَةَ
فَـبَـعَثَ اِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَرِكَيْهَا اَوْ
فَخِذَيْهَا فَـقَبِلَهٗ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে
মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাররুয
যাহরান নামক স্থানে আমাদের পাশ দিয়ে একটি খরগোশ লাফিয়ে চলে গেল। দৃশ্য দেখে
আমাদের সঙ্গীরা খরগোশটিকে ধাওয়া করেন, কিন্তু উনারা সেটিকে
পাকড়াও করতে না পেরে ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। তবে আমি ধাওয়া করে এর
নাগাল পাই এবং ধরে হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে নিয়ে
আসি। (তিনি খরগোশটি জবাই করে) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে আমাকে দিয়ে ঊরু অথবা
পেছনের অংশ পাঠান। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেগুলো গ্রহণ করেন।” (বুখারী শরীফ:
কিতাবুয যাবীহা ওয়াছ ছাইদ: হাদীছ শরীফ নং ৫৪৮৯)
গোশত খাওয়ার উপকারিতা:
১. গোশত শরীরের শক্তি
বৃদ্ধি করে। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَضْرَتِ الزُّهْرِيُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ
اَكْلُ اللَّحْمِ يَزيْدُ سَبْعِيْنَ قُـوَّةً
অর্থ: “ইমাম হযরত যুহরী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, গোশত ভক্ষণ দেহে ৭০ গুণ শক্তি বৃদ্ধি
করে। সুবহানাল্লাহ! (যাদুল মা’য়াদ ফি হাদয়ি খাইরিল ই’বাদ ৪র্থ খণ্ড ৩৪০ পৃষ্ঠা)
২. গোশত চোখের দৃষ্টিশক্তি
বৃদ্ধি করে। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَضْرَتْ مُـحَمَّدُ بْنُ وَاسِعٍ رَحْمَةُ
اللهِ عَلَيْهِ الَلَّحْمُ يَزِيْدُ فِي الْبَصَرِ
অর্থ: “মুহম্মদ ইবনে
ওয়াসি’ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, গোশত চোখের দৃষ্টিশক্তি
বৃদ্ধি করে। সুবহানাল্লাহ! (যাদুল মা’য়াদ ফি হাদয়ি খাইরিল ই’বাদ ৪র্থ খণ্ড ৩৪০
পৃষ্ঠা)
৩. গোশত শরীরের রং ফর্সা
করে।
৪. পেটের ক্ষুধা নিবারণ
করে।
৫. আকৃতি
সুন্দর করে।
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ عَلِيِّ بْنِ اِبِـيْ طَالِبِ عَلَيْهِ السَّلَامُ كُلُوا اللَّحْمَ
فَاِنَّهٗ
يُصَفِّيُ اللَّوْنَ وَيُـخْمِصُ الْبَطْنَ وَيُـحَسِّنُ الْـخَلْقَ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা
গোশত খাও। কেননা গোশত শরীরের রং ফর্সা করে, পেটের ক্ষুধা নিবারণ করে
এবং আকৃতি সুন্দর করে।” (যাদুল মা’য়াদ ফি
হাদয়ি খাইরিল ই’বাদ ৪র্থ খণ্ড ৩৪০ পৃষ্ঠা; তিব্বে নববী লি ইবনে ক্বাইয়্যিম ১ম খণ্ড ২৭৬ পৃষ্ঠা)
অন্য বর্ণনায় বর্ণিত
রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ
تَـرَكَهٗ
اَرْبَعِيْنَ لَيْلَةً سَاءَ خُلُقُهٗ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে
ব্যক্তি ৪০ রাত গোশত খাওয়া পরিত্যাগ করবে সে ব্যক্তির চরিত্র মন্দ হয়ে পড়বে।” (যাদুল
মা’য়াদ ফি হাদয়ি খাইরিল ই’বাদ ৪র্থ খণ্ড ৩৪০ পৃষ্ঠা; তিব্বে নববী লি ইবনে ক্বাইয়্যিম ১ম খণ্ড ২৭৬ পৃষ্ঠা)
অন্যত্র বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ
حَضْرَتْ ناَفِعٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ كَانَ حَضْرَتِ
ابْنُ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ اِذَا كَانَ رَمَضَانُ لَـمْ
يَـفُتْهُ اللَّحْمَ وَاِذَا سَافَـرَ لَـمْ يَفِتْهُ اللَّحْمَ
অর্থ: “হযরত ইমাম নাফে
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র রমাদ্বান শরীফে এবং সফরেও গোশত পরিত্যাগ
করেননি।” সুবহানাল্লাহ! (যাদুল মা’য়াদ ফি হাদয়ি খাইরিল ই’বাদ ৪র্থ খণ্ড ৩৪০ পৃষ্ঠা; তিব্বে নববী লি ইবনে ক্বাইয়্যিম ১ম খণ্ড ২৭৬ পৃষ্ঠা)
(لَـحْمٌ
قَدِيْدٌ/اَللُّحُوْمُ
الْـجَافَّةُ/لَـحْمٌ
مُصْلَحٌ/لَـحْمَةٌ
فَاَسِدَة)
লাহমুম্ মুছলাহ/লুহূমুল
জাফ্ফাহ/লাহমুন ক্বদীদ/ লা‘হমাতুন ফাআসিদাহ
আরবীতে لَـحْمٌ
مُصْلَح শব্দের বাংলা অর্থ
হচ্ছে শুকনা গোশত। অর্থাৎ কাঁচা গোশতকে রোদে শুকানোর পর গোশতের ভেতরে থাকা পানি
সম্পূর্ণরূপে শুকানোর পর (যাকে ইংরেজিতে Dehydration বলে)
গোশতের যে অবস্থাটি তৈরী হয় তাকে লাহমুন মুছলাহ বা শুকনা গোশত বলা হয়।
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ ثَـوْبَانَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ ضَحّٰى رَسُوْلُ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُـمَّ قَالَ يَا ثَـوْبَانُ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى
عَنْهُ اَصْلِحْ لَـنَا لَـحْمَ هٰذِهِ الشَّاةِ. قَالَ فَمَا زِلْتُ اُطْعِمُه
مِنْـهَا حَتّٰى قَدِمْنَا الْمَدِيْـنَةَ.
অর্থ: “হযরত ছাওবান
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরবানী
মুবারক করলেন। অতঃপর ইরশাদ মুবারক করলেন, হে হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু! এই বকরীর গোশত আমাদের জন্য শুকিয়ে আনুন। হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু তিনি বলেন, আমি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে পৌঁছা পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে এই গোশত পেশ করা হতে
ক্ষান্ত হয়নি।” (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুত দ্বয়িহ্যা:
হাদীছ শরীফ নং ২৮১৪)
শুকনা গোশত সম্পর্কে পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ
حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ رَاَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُتِـيَ بِـمَرَقَةٍ فِيْـهَا دُبَّاءٌ
وَقَدِيْدٌ
فَـرَاَيْـتُه يَـتَـتَـبَّعُ الدُّبَّاءَ يَأْكُلُهَا.
অর্থ: “হযরত আনাস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে কিছু শুরুয়া হাজির করা হল, যাতে
কদু ও শুকনো গোশ্ত ছিল। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কদু বেছে বেছে খাচ্ছিলেন।” (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৫৪৩৭)
শুকনা গোশত তৈরীর
প্রক্রিয়া:
১. গোশত চিকন করে দড়ির
আকৃতিতে অথবা পাতলা বিস্কিট আকৃতিতে কাটতে হবে।
২. হলুদগুড়ার পেষ্ট গোশতে
মাখিয়ে নিতে হবে।
৩. দড়ির আকৃতিতে কাটা
গোশতের একপ্রান্তে অথবা বিস্কিট আকৃতির কাটা গোশতের মাঝখানে ধাতব তার বা চিকন লোহা
দিয়ে ছিদ্র করতে হবে।
৪. নিরাপদ স্থানে রোদে
শুকাতে হবে।
সংরক্ষণ পদ্ধতি: বায়ুরোধক কাঁচের বোতল বা কৌটায় শক্তভাবে মুখ আটকিয়ে রাখতে হবে। ঠান্ডা ও
শুষ্কস্থানে রাখতে হবে। ফ্রীজে সংরক্ষণ করা হলে শুকনা গোশত ১ বছর পর্যন্ত ভালো
থাকে।
রান্নার প্রণালী: প্রথমে শুকনা গোশত ১৫-২০ মিনিট চুলায় জাল দিয়ে পানি ছেকে স্বাভাবিক গোশতের মতোই
রান্না করতে হবে।
উপকারিতা: ১. খুবই সুস্বাদু, ২. ক্যালসিয়ামের উৎস, ৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ, ৪. চর্বিহীন।
0 Comments:
Post a Comment