সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক

 

সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক

 সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং জাদ্দাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমা বিনতে আমর আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা ছিলেন ওই যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ লক্ষ্যস্থল, উনার সর্বাধিক মাহবূব ও মাহবূবাহ। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ যামানায় সমস্ত মানুষকে রিযিক দিয়েছেন, বৃষ্টি দিয়েছেন, সাহায্য করেছেন, যাবতীয় নিয়ামতরাজি দ্বারা ধন্য করেছেন এবং জিন-ইনসান ও তামাম কায়িনাতবাসীকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করেছেন। সারা পৃথিবী, সারা কায়িনাত সেই সময় উনাদের সম্মানার্থে টিকে ছিলো। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَن حضرت ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ مَا خَلَتِ الْأَرْضُ مِنْ بَعْدِ نُوحٍ مِنْ سَبْعَةٍ يَدْفَعُ اللَّهُ بِهِمْ عَنْ أَهْلِ الْأَرْضِ

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার পর থেকে সবসময়ই দুনিয়ার যমীনে মহান আল্লাহ পাক উনার সাতজন খাছ মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক ছিলেন। উনাদের উছীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি তামাম পৃথিবীবাসী, সমগ্র কায়িনাতবাসীকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করেছেন।” (মাসালিকুল হুনাফা, আল হাওই)

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, 

قَالَ سيدنا حضرت امام الاول عليه السلام (سيدنا حضرت عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عليه السلام) لَمْ يَزَلْ عَلَى وَجْهِ الدَّهْرِ فِي الْأَرْضِ سَبْعَةٌ مُسْلِمُونَ فَصَاعِدًا فَلَوْلَا ذَلِكَ هَلَكَتِ الْأَرْضُ وَمَنْ عَلَيْهَا

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সবসময়ে দুনিয়ার যমীনে সাতজন বা তার চেয়েও বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ অনুগত মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক ছিলেন। যদি তা না হতো সারা পৃথিবী ও তার মাঝে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো।” (মাসালিকুল হুনাফা, আল হাওই)

কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে, 

لَمْ يَزَلْ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ سَبْعَةٌ مُسْلِمُونَ فَصَاعِدًا لَوْلَا ذَلِكَ لَأُهْلِكَتِ الْأَرْضُ وَمَنْ عَلَيْهَا.

অর্থ: “দুনিয়ার যমীন কখনই সাতজন বা তার চেয়ে অধিক মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ মুসলিম তথা অনুগত মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের থেকে খালি ছিলো না। যদি থাকতো তাহলে সারা পৃথিবী, সারা কায়িনাতসহ সকল সৃষ্টি জীব নিশ্চহ্ন হয়ে যেতো।” সুবহানাল্লাহ! (মাসালিকুল হুনাফা, আল হাওই)

কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,

مَا خَلَتِ الْأَرْضُ بَعْدَ نُوحٍ مِنَ اثْنَيْ عَشَرَ فَصَاعِدًا يَدْفَعُ اللَّهُ بِهِمْ عَنْ أَهْلِ الْأَرْضِ

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার পর থেকে কখনই দুনিয়ার যমীন ১২ জন বা তার চেয়ে বেশি আখাচ্ছুল খাছ বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের থেকে খালি ছিলো না। মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই সকল ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের মাধ্যমে পৃথিবীবাসীকে, কায়িনাতবাসীকে রক্ষা করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাসালিকুল হুনাফা, আল হাওই)

আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,

لَا يَزَالُ فِيْكُمْ سَبْعَةٌ بِـهِمْ تُنْصَرُوْنَ وَبـِهِمْ تُـمْطَرُوْنَ وَبِـهِمْ تُرْزَقُوْنَ حَتَّى يَأْتِـىَ اَمْرُ اللهِ.

অর্থ: “সব সময় তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ সাতজন মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক উনারা অবস্থান মুবারক করবেন। তোমরা উনাদের উসীলায় সাহায্য পাবে, বৃষ্টি পাবে এবং রিযিক্ব পাবে। আর তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।”সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর ১/৬৭০, মু’জাম ইবনে মুক্বরি ১/১৬২, মুছান্নাফে আব্দির রাজ্জাক্ব )

সুতরাংসাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঐ যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ লক্ষ্যস্থল ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, তিনি হচ্ছেন সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! কেননা তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত দাদাজন আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!


0 Comments: