মুজাবুদ দা’ওয়াহ, শায়খুল বাত্বহা’, আবূ যাবীহিল্লাহ আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বদদোআ মুবারক উনার কারণে আবরাহা তার দলবলসহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া
কাট্টা কাফির নাক কাটা আবরাহা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ ধ্বংস করতে এসে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বদদোআ মুবারক উনার বদৌলতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দ্বারাও বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত তাওল্লুক-নিসবত মুবারক কত বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ। এই সম্পর্কে কিতাব-এ বর্ণিত রয়েছেন, তিনি আবরাহার বিরুদ্ধে এইভাবে সম্মানিত মুনাজাত মুবারক করেছিলেন-
اللهم ان المرء يمنع + رحله فامنع رحالك
وانصر على ال الصليب + وعابديه اليوم لك
لا يغلبن صليبهم + ومحالهم ابدا محالك
جروا جميع بلادهم + والفيل كى يسبوا عيالك
عمدوا حمال بليدهم + جهلا وما رقبوا جلالك
অর্থ: “আয় বারে এলাহী! নিশ্চয়ই বান্দা তার জায়গার হিফাযত করে, আর আপনি আপনার ঘর মুবারক হিফাযত করুন। ক্রুশের অধিকারী এবং ক্রুশের উপসনাকারীদের মুকাবিলায় আপনার অনুসারীদের সাহায্য করুন। ওদের ক্রুশ এবং ওদের প্রচেষ্টা আপনার ইচ্ছার উপর কখনো বিজয়ী হতে পারে না। সুবহানাল্লাহ! সৈন্য-সামন্ত ও হাতি নিয়ে আবরাহা এসেছে আপনার প্রতিবেশীদের গ্রেফতার করতে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আপনার সম্মানিত ঘর মুবারক ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে জিহালতীর কারণে তারা এ সংকল্প করেছে, না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা আপনার বড়ত্ব ও শক্তির প্রতি কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (দালাইলিনু নুুবুওওয়াহ, মাদারিযুন নবুওওয়াত, সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি)
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার সম্মানিত গিলাফ মুবারক ধরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উসীলা মুবারক দিয়ে সম্মানিত বদদোয়া মুবারক করলেন, আয় বারে ইলাহী! আমি তো সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার মালিক না, আপনি মালিক। আমাকে দেখা শুনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি দেখাশুনা করে রাখতে ছিলাম। এখন হঠাৎ করে আবরাহা এসেছে তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে, হাতি-ঘোড়া নিয়ে, অস্ত্রপাতি নিয়ে। আয় বারে এলাহী! আমাদের সেই প্রস্তুতি নেই তার মোকাবেলা করার। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বললেন, আমাদের প্রস্তুতি নেই আয় বারে এলাহী! কাজেই, আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার মালিক, আপনিই উনার হিফাযতকারী। আপনিই হিফাযত করুন। (আমীন) (আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মুকবুল মুনাজাত শরীফ থেকে সংগৃহিত)
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বদদোয়া মুবারক উনার বদৌলতে আবরাহা তার দলবলসহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
এই সকল বিষয় দ্বারা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফযীলত ও বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
وَإِن ابِىْ ذُو الْمَجْدِ وَالسُّؤْدَدِ الَّذِىْ .
يُشَارُ بِهِ مَا بَيْنَ نَشْزٍ إِلَى خَفْضِ
অর্থ: “আর নিশ্চয়ই আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক ও সম্মানিত কর্তৃত্ব মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত ইশারা-ইঙ্গিত মুবারক-এ, নির্দেশ মুবারক-এ পরিচালিত হয় উঁচু থেকে নিচু (সম্মানিত আরশে আযীম থেকে তাহ্তাছছারা পর্যন্ত) এতোদুভয়ের মাঝে (সারা কায়িনাতে) যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু। সুবহানাল্লাহ! (‘আল হাওই শরীফ ২/২২১, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২৫ পৃষ্ঠা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১/২৪৭, সুমতুন নুজূম ১/২৯৮ ইত্যাদি)
0 Comments:
Post a Comment