পবিত্র রজববুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ দিবাগত রাতটিই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত। এ রাত এক বেমেছাল মাহাত্ম্যপূর্ণ রাত। এ রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারকে গিয়েছিলেন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ এলেই উলামায়ে ‘সূ’ গং বলতে থাকে যে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতপার্থক্য আছে, তাই পালন করা উচিত নয়। এর জবাবে বলতে হয়, কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলে যদি তা পালন নিষিদ্ধ হয়, তাহলে উলামায়ে ‘সূ’রা মহান আল্লাহ পাক উনাকে একজন মানে কেন? কারণ হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেব-দেবী, আবার খ্রিস্টানদের ৩ জন সৃষ্টিকর্তা। সুতরাং মতপার্থক্য থাকলে মশহুর বা প্রসিদ্ধ মতটি গ্রহণ করতে হবে। মশহুর বা প্রসিদ্ধ মতে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছিলো পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ রাতে ইছনাইনীল আযীম শরীফ (সোমবার)-এ অর্থাৎ ২৬শে রজবুল হারাম শরীফ দিবাগত রাতে।
যেমন, বিশ্ববিখ্যাত সর্বজনমান্য মুহাদ্দিছ আরিফ বিল্লাহ আল্লামা হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ’ কিতাবের ৭৩ পৃষ্ঠায় বলেন, “জেনে রাখুন! নিশ্চয়ই আরব জাহানের দেশগুলোর লোকদের মধ্যে মশহূর বা প্রসিদ্ধ ছিলো যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছিলো পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ রাতেই।”
আবার এক শ্রেণীর উলামায়ে ‘সূ’রা বলে থাকে- “পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত ঘটনা বিশ্বাস করা ফরয এবং বাকী অংশ বিশ্বাস করা নফল।” তাদের এই কুফরীমূলক বক্তব্যের জবাবে বলতে হয়ে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ বলতে মূলত পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক উনাকেই বুঝানো হয়। আর পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত রাতের ভ্রমণকে ইসরা বলা হয়। পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামায হাদিয়া করেছেন; যা মুসলমানদের জন্য আদায় করা ফরয করা হয়েছে। তাহলে নামায সংশ্লিষ্ট সেই ঘটনা মুবারক বিশ্বাস করা কি করে নফল হতে পারে? মূলত, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার পুরো ঘটনা বিশ্বাস করাই ফরয। কারণ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার আংশিক বিশ্বাস করা নামায অস্বীকারের নামান্তর। আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পাঁচ রুকনের একটি রুকন অস্বীকারকারী মুসলমান থাকতে পারে না।
আবার আরেক শ্রেণীর উলামায়ে ‘সূ’ গং বলে থাকে যে- “পবিত্র মি’রাজ শরীফ স্বপ্নে মুবারক এ সংঘটিত হয়েছিল।” নাউযুবিল্লাহ। পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার সমগ্র ছফর যে শুধু আত্মিক ছিল না, বরং সশরীর মুবারক-এ অর্থাৎ দৈহিকভাবে ছিল- একথা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা বনী ইসরাইল শরীফ উনার ১নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রথমে ‘সুবহানা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এ শব্দটি আশ্চর্যজনক ও মহান বিষয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। পবিত্র মি’রাজ শরীফ যদি শুধু আত্মিক অর্থাৎ স্বপ্ন জগতে সংঘটিত হতো, তবে তাতে আশ্চর্যের বিষয় কি আছে? স্বপ্নে তো প্রত্যেক মুসলমান- বরং প্রত্যেক মানুষ দেখতে পারে যে, সে আকাশে উঠেছে, অবিশ্বাস্য অনেক কাজ করেছে। আবার উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ‘আব্দুন’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আত্মা ও দেহ উভয়ের সমষ্টিকে ‘আব্দুন’ বলা হয়।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার ঘটনা হযরত উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার নিকট বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বলেছিলেন: আপনি দয়া করে কারো কাছে একথা প্রকাশ করবেন না; প্রকাশ করলে কাফিররা আপনার প্রতি আরো বেশি মিথ্যারোপ করবে। ব্যাপারটি যদি নিছক স্বপ্নই হতো, তবে মিথ্যারোপ করার কি কারণ ছিল? এর দ্বারা স্পষ্টভাবেই পরিস্ফুটিত হয় পবিত্র মি’রাজ শরীফ সশরীরেই সংঘটিত হয়েছিল।
পবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটনের মাস ও তারিখ এলেই উলামায়ে ‘সূ’রা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সিনা মুবারক চাক প্রসঙ্গে কুফরী আক্বীদা প্রচার করতে থাকে। তারা বলে থাকে যে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাতে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সিনা মুবারক চাক করে শয়তানের অংশ বের করা হয়েছিল। নাঊযুবিল্লাহ! ওই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’দের কাছে প্রশ্ন- তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কেন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সূরা ইনশিরাহ উনার ১নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমি কি আপনার বক্ষ মুবারক উনাকে প্রশস্ত (চাক) করেনি?” যদি শয়তানের অংশই থাকতো (নাঊযুবিল্লাহ!), তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলতেন- “আমি কি আপনার ক্বলব মুবারক উনাকে প্রশস্ত (চাক) করিনি?”
মূলত, সিনা মুবারক চাক করা উনার সীমাহীন মর্যাদারই বহিঃপ্রকাশ।
আবূ দাউদ, নাসায়ী, মুসনদে আব্দুর রাযযাক ইত্যাদি কিতাবে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুশ শিফা (ইস্তিঞ্জা মুবারক), নূরুন নাজাত (রক্ত মুবারক) পান করার কারণে পানকারী ব্যক্তি জান্নাতী বলে সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিখ্যাত ফতওয়ার কিতাব ‘দুররুল মুখতার’-এ উল্লেখ আছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার সবকিছুই পবিত্র থেকে পবিত্রতম এবং সে সমস্ত নিয়ামত মুবারক যাঁর বা যাঁদের ভিতর প্রবেশ করেছে বা করবে উনার জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে কি করে এ কথা বলা যেতে পারে- ‘হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক থেকে নাপাকী বের করা হয়েছে?’ নাঊযুবিল্লাহ! একমাত্র কাট্টা কাফিরের পক্ষেই এ ধরনের কথা উচ্চারণ করা সম্ভব।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মি’রাজ শরীফ শেষ করে ফিরে আসার পরও ওযুর পানি গড়িয়ে পড়ছিল, দরজার কড়া নড়ছিল এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছানা মুবারক গরম ছিল।
এক শ্রেণীর তথাকথিত শিক্ষিত ও নামধারী মালানারা বলে থাকে যে- “যেহেতু পবিত্র মি’রাজ শরীফ ২৭ বছরব্যাপী সংঘটিত হয়েছিল; তাই মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হওয়ার সময় পৃথিবীর সময়কে স্থির করে দেয়া হয়েছিল।” এ বক্তব্যের মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সময়ের মুখাপেক্ষী। নাঊযুবিল্লাহ!
হযরত উযাইর আলাইহিস সালাম তিনি ১০০ বছর যাবৎ নিদ্রারত ছিলেন। এই সময়কালের মধ্যে উনার বাহন গাধাটি মরে পঁচে মাটির সাথে মিশে গেল। কিন্তু উনার খাদ্য মুবারক অক্ষত অবস্থায় রইলো। মুবারক নিদ্রা ভঙ্গের পর তিনি যখন নিজ এলাকায় ফিরে আসলেন, তখন দেখতে পেলেন উনার পুত্রের বয়স মুবারক ২০ থেকে ১২০ বছর। এক্ষেত্রে উলামায়ে ‘সূ’ গং কি জবাব দেবে? সময় যদি স্থিরই করতে হয়, তাহলে পুত্রের বয়স কিভাবে পিতার বয়সের চেয়ে বেশি হলো?
উল্লেখ্য যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার মুখাপেক্ষী এবং বাকি সবকিছুই উনার মুখাপেক্ষী।
আবার কোনো কোনো গুমরাহ ও কাফির লোকেরা পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করে বলে থাকে যে, “এত অল্প সময়ে কি করে সাত আসমান অতিক্রম করে পবিত্র আরশে আযীমে যাওয়া এবং জান্নাত ও জাহান্নাম পরিদর্শন করে যমীনে ফিরে আসা সম্ভব?” নাঊযুবিল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাদিম হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনিসহ সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা যেখানে চোখের পলকে আসমান থেকে যমীনে এবং যমীন থেকে আসমানে আসা-যাওয়া করেন; সেখানে উনার পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার ব্যাপারে কি করে সংশয় প্রকাশ করা যেতে পারে?
পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় দিনে রোযা রাখার সাথে সাথে পহেলা রজবুল হারাম শরীফ দিনের রোযা, পবিত্র লাইলাতর রগায়িব শরীফ উনার রোযা রাখা অসংখ্য ফযীলত ও নাজাতের কারণ। অথচ উলামায়ে ‘সূ’রা পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মধ্যে রোযা রাখার ব্যাপারে বিরোধিতা করে থাকে এবং বিদয়াত ফতওয়া দেয়। নাঊযুবিল্লাহ! তারা দলীল হিসেবে হযরত খারশাতা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত একটি হাদীছ শরীফ পেশ করে। গন্ডমূর্খ, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল হওয়ার কারণেই উলামায়ে ‘সূ’রা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সঠিক ব্যাখ্যা না জেনে কুফরীমূলক বক্তব্য পেশ করে। উক্ত পবিত্র হাদীছ উনার বর্ণনায় হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি যে ব্যক্তিকে বেত্রাঘাত করেছেন, সে জাহিলিয়াত যুগের রসম অনুযায়ী রজবিয়া রোযা রেখেছিল। তাই তিনি তার রোযা ভাঙ্গতে বাধ্য করেন।
পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে রোযা রাখার ব্যাপারে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে এবং মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে ২৭শে রজব তারিখের রোযা রাখার অসংখ্য ফাযায়িল-ফযীলতও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা প্রমাণিত।
এ প্রসঙ্গে সাইয়্যিদুল আউলিয়া বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব “গুন্ইয়াতুত তালিবীন” নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন। যেমন- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখে তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার দিনের বেলায় রোযা রাখবে তার আমলনামায় ৬০ মাসের রোযা রাখার ছওয়াব লেখা হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইতহাফ ৫ম খ- পৃষ্ঠা ২০৮, আল মা’য়ানী আনিল হামলিল ইসফার প্রথম খ- ৩৬৭ পৃষ্ঠা, গুনিয়াতুত তালিবীন, ক্বিসমুস ছায়ালিস ৩৩২ পৃষ্ঠা)
এ প্রসঙ্গে উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত আছে, “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারিসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বর্ণনা করেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মধ্যে এমন একটি দিন ও রাত আছে; ওই রাত্রে যে ব্যক্তি ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলায় রোযা রাখবে তার আমলনামায় ওই পরিমাণ ছওয়াব লেখা হবে- যে পরিমাণ ছওয়াব কোনো ব্যক্তি একশত বছর রাতে ইবাদত- বন্দেগী করলে এবং একশত বছর দিনের বেলায় রোযা রাখলে তার আমলনামায় যেরূপ ছওয়াব লেখা হয়। আর সেই মুবারক রাত ও দিনটিই হচ্ছে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত ও দিনটি।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করা এবং দিনের বেলা রোযা রাখা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত এবং অসংখ্য ফযীলত ও নাজাতের কারণ।
আবার অনেকে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার ঘটনাকে যবন, মেøচ্ছ, আইনস্টাইনের ঊ=সপ২ নামক সূত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার অপচেষ্টা চালায়। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযা শরীফ উনাদেরকে ইহানত করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!
তাই মুসলমানদের উচিত- পবিত্র মি’রাজ শরীফ সংক্রান্ত কুফরী আক্বীদাগুলো এবং মনগড়া ব্যাখ্যাগুলো পরিহার করে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের মতো বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করা।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তাওফীক দান করুন এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহসান করুন। আমীন।
0 Comments:
Post a Comment