মুবারক নুবুওওয়াতের একাদশতম বছরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জাহিরীভাবে (সকলের অবগতিতে) মহান আল্লাহ পাক উনার বরকতময় দীদার মুবারক লাভে ধন্য হন। হাক্বীক্বীভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুরু থেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক-এ মশগুল ছিলেন, বর্তমানে আছেন এবং অনন্তকাল ধরে থাকবেন। এটাই বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য অভিমত। আর প্রসিদ্ধতম অভিমত হচ্ছে, ২৭শে রজব তথা ২৬শে রজব দিবাগত রাত্রে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা রোজ সোমবার পবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছিল।
পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক রাতে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত অতঃপর বরকতময় দীদার মুবারক আরশে আযীমে লাভের জন্য ভ্রমণ করেছেন। যা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। তাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ অস্বীকারকারীরা কাফির। এছাড়া আসমানসমূহের ভ্রমণ ও নৈকট্যের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছা তাও কুরআন শরীফ ও নির্ভরযোগ্য, বিশুদ্ধ এবং প্রসিদ্ধ অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত, যেগুলো হাদীছ মুতাওয়াতির অন্তর্গত। আম ফতওয়া মতে, মি’রাজ শরীফ অস্বীকারকারী পথভ্রষ্ট ও গুমরাহ। আর খাছ ফতওয়া মতে, এরা কাফিরের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র মি’রাজ শরীফ জাগ্রত অবস্থায় সশরীর মুবারকে সংঘটিত হয়েছে। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের ইমাম, মুজতাহিদ, মু’তাক্বিদ ও মুকাল্লিদগণ উনাদের আক্বীদা বা দৃঢ় বিশ্বাস। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবীগণও এতে দৃঢ় বিশ্বাসী। সুস্পষ্ট ও সন্দেহাতীত অর্থ সম্বলিত কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ থেকে এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।
হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার বুরাক মুবারক নিয়ে হাযির হওয়া, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চূড়ান্ত তা’যীম, তাকরীম, সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শনপূর্বক আরোহণ করে নিয়ে যাওয়া, ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ শরীফ-এর মধ্যে বিশ্বকুল সাইয়্যিদ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমামতি করা, অতঃপর সেখান থেকে আসমানসমূহের ভ্রমণের প্রতি মনোনিবেশ করা, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার প্রত্যেক আসমানের দরজা খোলানো, প্রত্যেক আসমানের উপর সেখানে অবস্থানরত উচ্চ মর্যাদাশীল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দীদার দেয়া, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা এবং উনার শুভাগমনের জন্য মুবারকবাদ জানানো, এক আসমান থেকে অপর আসমানের দিকে ভ্রমণ করা, সেখানকার অত্যাশ্চর্যজনক নিদর্শনাদিকে ছোহবত দেয়া, জাহিরীভাবে সমস্ত নৈকট্য প্রাপ্তদের ওই চূড়ান্ত গন্তব্য স্থান সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছা, যেখান থেকে সম্মুখে অগ্রসর হওয়া কোনো নৈকট্যধন্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও অবকাশ নেই, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার সেখানেই আপন অপারগতার জন্য ক্ষমা চেয়ে থেকে যাওয়া, অতঃপর বিশেষ নৈকট্যের স্থানে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উন্নতির বহিঃপ্রকাশ ঘটা ও উচ্চতম নৈকট্যে পৌঁছার আনুষ্ঠানিকতা জাহির হওয়া, যেখানে কোনো সৃষ্টির কল্পনা, ধারণা ও চিন্তা ভাবনা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না, সেখানে করুণা ও দয়ার অবতরণ স্থল হওয়া এবং মহান আল্লাহ পাক উনার পুরস্কারাদি ও জাহিরীভাবে বিশেষ গুণাবলী লাভ করে ধন্য হওয়া এবং ছুরতান আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব এবং তদাপেক্ষা উত্তম জগতের ইলমসমূহ লাভ করা, জান্নাত ও জাহান্নাম পরিভ্রমণ করা, মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বীভাবে দীদার লাভ, অতঃপর আপন স্থানে পুনরায় তাশরীফ নিয়ে আসা, উক্ত ঘটনার খবর দেয়া, কাফিরদের এই ঘটনার উপর হৈ চৈ করা, বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এর ইমারতের অবস্থা ও সিরিয়া গমনকারী কাফিলাসমূহের অবস্থাদি সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসিত হওয়ার পর বর্ণনা করা, কাফিলাগুলোর যে অবস্থা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বর্ণনা করেছেন ফিরে আসার পর সেগুলোর সত্যতা প্রমাণিত হওয়া ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত এবং অসংখ্য হাদীছ শরীফ উক্ত সব বিষয়ের বিবরণ ও সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনায় পরিপূর্ণ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ সূরা বনী ইসরাইল-এর ১ম আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “পূত-পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা উনি, যিনি স্বীয় বান্দা তথা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রাত্রির একাংশে মসজিদুল হারাম তথা বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে মসজিদুল আক্বছা বা বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন যার চারপাশে আমি পর্যাপ্ত রহমত, বরকত, ছাকীনা দান করেছি; যাতে আমি উনাকে আমার কুদরতের কিছু নিদর্শন (জাহিরীভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে) দেখিয়ে দেই। বিশেষ করে আমার সাক্ষাৎ দিয়ে দেয়ার জন্য। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।”
উপরোক্ত আয়াত শরীফ-এ ‘আসরা’ শব্দটি ‘ইসরাউ’ ধাতু থেকে উদ্ভূত। এর আভিধানিক অর্থ রাত্রে ভ্রমণ করা। এরপর ‘লাইলান’ শব্দটি স্পষ্টত এ অর্থ ফুটিয়ে তুলেছে। শব্দটি ‘নাকিরাহ’ ব্যবহার করে এ দিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, সমগ্র ঘটনা সম্পূর্ণ রাত্রিতে নয়, বরং রাত্রির একটা সামান্য অংশ ব্যয়িত হয়েছে। আয়াতে উল্লিখিত মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আক্বছা পর্যন্ত সফরকে “ইসরা” বলা হয় এবং সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার লাভ করা পর্যন্ত সফরকে “মি’রাজ” বলা হয়। ইসরা ও মি’রাজ উভয়টাই কুরআন শরীফ-এর অকাট্য আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়াও মি’রাজ শরীফ সূরা নজমে উল্লিখিত রয়েছে এবং অনেক মুতাওয়াতির হাদীছ শরীফ দ্বারাও প্রমাণিত। সম্মান, মর্যাদা, ফাযায়িল, ফযীলত-এর স্তরে ‘বি-আব্দিহি’ শব্দটি একটি বিশেষ প্রেমময়তার, মুহব্বতের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। কেননা, আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং কাউকে “আমার বান্দা” বললে এর চাইতে বড় সম্মান কারো জন্য আর হতে পারে না।
ইসরা ও মি’রাজ শরীফ-এর সমগ্র সফর যে শুধু আত্মিক ছিল না, বরং সশরীর মুবারক-এ অর্থাৎ দৈহিক ছিল একথা কুরআন শরীফ-এর বক্তব্য এবং অসংখ্য মুতাওয়াতির হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। আলোচ্য আয়াত শরীফ-এর প্রথম ‘সুবহানা’ শব্দের মধ্যে এ দিকেই ইঙ্গিত রয়েছে। কেননা এ শব্দটি আশ্চর্যজনক ও মহান বিষয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। মি’রাজ শরীফ যদি শুধু আত্মিক অর্থাৎ স্বপ্ন জগতে সংঘটিত হত, তবে তাতে আশ্চর্যের বিষয় কি আছে? স্বপ্নে তো প্রত্যেক মুসলমান বরং প্রত্যেক মানুষ দেখতে পারে যে, সে আকাশে উঠেছে, অবিশ্বাস্য অনেক কাজ করেছে। ‘সুবহানা’ শব্দ দ্বারা এদিকেই দ্বিতীয় ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ শুধু আত্মাকে ‘আব্দুন’ বলে না; বরং আত্মা ও দেহ উভয়ের সমষ্টিকে ‘আব্দুন’ বলা হয়। তাছাড়া হযরত ইমাম সারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে ৩৩ থেকে ৩৪ বার মি’রাজ শরীফ করেছেন। এর মধ্যে একবার সশরীরে আর বাকিবার হয়েছে স্বপ্নের মাধ্যমে তথা রূহানীভাবে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মি’রাজ শরীফ-এর ঘটনা হযরত উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার নিকট বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বলেছিলেন: আপনি দয়া করে কারো কাছে একথা প্রকাশ করবেন না; প্রকাশ করলে কাফিররা আপনার প্রতি আরও বেশি মিথ্যারোপ করবে। ব্যাপারটি যদি নিছক স্বপ্নই হতো, তবে মিথ্যারোপ করার কি কারণ ছিল? এর দ্বারা স্পষ্টভাবেই পরিস্ফুটিত হয় মি’রাজ শরীফ সশরীরেই সংঘটিত হয়েছিল। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের বিশুদ্ধ আক্বীদা।
পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কিত সূরা বনী ইসরাইল-এর প্রথম আয়াত শরীফ-এ ‘লাইলান’ শব্দ দ্বারা রাতের সময়কে বুঝানো হয়েছে। যার সুস্পষ্টতা আমরা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ দ্বারা অনুধাবন করতে পারি। হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ রয়েছে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মি’রাজ শরীফ থেকে ফিরে এসে শায়িত বিছানা মুবারকের গরম অনুভব করেছিলেন। মি’রাজ শরীফ-এ যাওয়ার পূর্বেকার ওযু করা পানি মুবারক মি’রাজ শরীফ থেকে এসে গড়িয়ে যেতে দেখেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ এ সময়ে কুল কায়িনাতের সমস্ত মাখলূক্বাতকে দীদার দিয়ে ধন্য করেছিলেন। যার সময় ছিল দীর্ঘ ২৭ বছর। সুবহানাল্লাহ! বদ আক্বীদা, বদ মাযহাবের নাদান, মূর্খ, অথর্ব লোকেরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মু’জিযা শরীফ-এর অন্তর্ভুক্ত অতি অল্প সময়ে ২৭ বছর অতিবাহিত করাকে অস্বীকার করে থাকে। অথচ তাদের এই অস্বীকার করা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতে মূর্খ ও কাফির হওয়ার সাক্ষর বহন করে।
কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার রঙে রঞ্জিত হও।” আর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক উনার ছিফত, গুণ ছামাদ বা বেনিয়াজ, অমুখাপেক্ষী লক্বব ধারণ করে পৃথিবীর সময় থেকে বেনিয়াজ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তারই বাস্তবতা বিশ্ববাসীকে পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার যেমন স্থান, কাল, পাত্রের প্রয়োজন হয় না, তেমনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও স্থান, কাল ও পাত্রের প্রয়োজন হয় না। আর এই বিষয়টিই পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সময় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহতাজ হবে এটাইতো স্বাভাবিক। কেননা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার নূর মুবারককে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আমার নূর মুবারক থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।” অত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নূর থেকেই মূলত সময়ের সৃষ্টি হয়েছে। তাই সময়কে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুখাপেক্ষী হওয়াটাই স্বাভাবিক। অর্থাৎ সময় হলো আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহতাজ। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সময়ের মুহতাজ নন। এটাই হচ্ছে বিশুদ্ধ আক্বীদা। আর এর উপর বিশ্বাস রাখাই প্রতিটি মু’মিন মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
0 Comments:
Post a Comment