পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1umo8c6MnYMfK07E3v5CvZ7RMmdfA3FIF
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহান আল্লাহ
পাক তিনি যতটুকু দিয়েছেন ততটুকু পাওয়া হয়েছে। তবে আমার একটা লিখিত দলীল মুবারক
প্রয়োজন ছিলো, যে লিখিত দলীল মুবারক উনার
প্রত্যাশা করেছিলাম আজকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি তা
লিখিত আকারে দিয়েছেন। এখন থেকে আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম আমি উনাদের গোলাম।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
কাজেই
আমি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করলে এই মুবারক কাগজখানা আমার কাফন মুবারক
উনার ভিতরে, আমার সিনা মুবারক উনার মধ্যে রেখে
দিবেন। এটা আমার ওছীয়ত। আমি ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ
পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কাছে আরজু করবো, দাবী করবো যে, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার যিনি লখতে যিগার, যিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি
লিখিত মুবারক দিয়েছেন। এখন থেকে আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম আমি উনাদের গোলাম।
সুবহানাল্লাহ!
কাজেই
আমার আমল যা কিছু রয়েছে কমপক্ষে এই দলীল মুবারক উনার খাতিরে আমাকে গোলাম হিসেবে
কবুল করা হোক। সুবহানাল্লাহ!
তিনি যখন
এটা ফায়ছালা মুবারক করলেন, সমস্ত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত তাবিয়ীনে কিরাম যারা উপস্থিত
ছিলেন উনারা লা-জাওয়াব হয়ে গেলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম
উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে কতটুকু
মুহব্বত করেছেন, তা’যীম-তাকরীম করেছেন তা দেখে এবং
শুনে বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হয়ে গেছে। যা ভাষায় প্রকাশ করা কখনো সম্ভব নয়।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯২)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস: পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপরোক্ত বর্ণনা
মুবারক থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা
যে,
সীমাহীন ফযীলত মুবারক, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক, বুযূর্গী ও
সম্মানের অধিকারী তা সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সাথে সাথে এটাও ফুটে উঠে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি
মুবারক ও রিযামন্দি হাছিল করতে হলে প্রত্যেক উম্মতের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি হুসনে
যন তথা সুধারণা পোষণ করা, উনাদেরকে
মুহব্বত মুবারক করা এবং উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম বা সম্মান-ইজ্জত মুবারক করা।
সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, আমার বংশ মুবারক
জারী থাকবে আমার মেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা
আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনার দুই ছেলে সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম
উনাদের উভয়েই ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাত উনার যুবকদের সাইয়্যিদ।
সুবহানাল্লাহ! উনাদের বংশদ্ভূূত সন্তানগণই সাইয়্যিদ বা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম নামে পরিচিত। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯৩)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ جَابِرٍ
رَضِيَ اللَّهُ
تَعَالَى عَنْهُ،
قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ
صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ"
إِنَّ اللَّهَ
عَزَّ وَجَلَّ
جَعَلَ ذُرِّيَّةَ
كُلِّ نَبِيٍّ
فِي صُلْبِهِ،
وَإِنَّ اللَّهَ
تَعَالَى جَعَلَ
ذُرِّيَّتِي فِي
صُلْبِ حَضْرَتْ
عَلِيِّ بن
أَبِي طَالِبٍ
عَلَيْهِ السَّلَامُ".
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক নবী
আলাইমুস সালাম উনাদের সন্তানদেরকে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের বংশধারায়
প্রেরণ করেছেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার সন্তানদেরকে সাইয়্যিদুনা হযরত
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার (অর্থাৎ উনার দুই ছেলে সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম
উনাদের) বংশধারায় প্রেরণ করছেন। সুবহানাল্লাহ! (ত্ববারী, জামিউল আহাদীছ, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছব মুবারক জারি
রয়েছে তথা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ
সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার দু’জন মহাসম্মানিত
আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ
ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ عُمَرَ
عَلَيْهِ السَّلَامُ
قَالَ سَمِعْتُ
رَسُولَ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
يَقُولُ ্রكُلُّ
بَنِي أُنْثَى
فَإِنَّ عَصَبَتَهُمْ
لِأَبِيهِمْ، مَا
خَلَا وَلَدَ
حَضْرَتْ فَاطِمَةَ
عَلَيْهَا السَّلَامُ
فَإِنِّي أَنَا
عَصَبَتَهُمْ وَأَنَا
أَبُوهُمْগ্ধ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস
সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রত্যেক নারীর সন্তানদের বংশধারা তাদের পিতার থেকে হয়।
সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সন্তানগণ এর থেকে
ভিন্ন। কেননা, আমার থেকেই উনাদের নছব বা বংশধারা
এবং আমিই উনাদের মহাসম্মানিত পিতা (অর্থাৎ মহাসম্মানিত নানাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯৪)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ أَبِي
هُرَيْرَةَ رَضِيَ
اللَّهُ تَعَالَى
عَنْهُ قَالَ
كُنَّا نُصَلِّي
مَعَ رَسُولِ
اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ
فَإِذَا سَجَدَ
وَثَبَ حَضْرَتْ
الْحَسَنُ عَلَيْهِ
السَّلَامُ وَ
حَضْرَتْ الْحُسَيْنُ
عَلَيْهِ السَّلَامُ
عَلَى ظَهْرِهِ
فَإِذَا رَفَعَ
رَأْسَهُ أَخَذَهُمَا
بِيَدِهِ مِنْ
خَلْفِهِ أَخْذًا
رَفِيقًا فَيَضَعُهُمَا
عَلَى الأَرْض
فَإِذَا عَادَ
عَادَا حَتَّى
قَضَى صَلاَتَهُ
أَقْعَدَهُمَا عَلَى
فَخِذَيْهِ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার পিছনে সম্মানিত ইশা উনার নামায আদায় করছিলাম। অতঃপর তিনি যখন সম্মানিত সিজদা
মুবারক-এ গেলেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী
মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
অর্থাৎ উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার নূরুল আত্বহার তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক উনার উপর উঠে বসলেন।
সুবহানাল্লাহ! যখন তিনি সম্মানিত সিজদা মুবারক থেকে নূরুল হুদা তথা মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র মাথা মুবারক উঠালেন, তখন উনাদের
দু’জনকে পেছন থেকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে ধরে যমীনে বসিয়ে দিলেন।
সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি আবার সম্মানিত সিজদা মুবারক-এ গেলে উনারা দু’জন পুনরায় উনার নুরুল
আত্বহার তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক-এ উঠে বসলেন। সম্মানিত নামায
মুবারক শেষ করা পর্যন্ত উনারা দু’জন এরূপ করে যাচ্ছিলেন। অতঃপর যখন নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত নামায মুবারক
শেষ করলেন, তখন উনাদের দু’জনকে উনার সম্মানিত
উরু মুবারক উনার উপর বসালেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ, কানযুল উম্মাল, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, যাখায়েরুল
‘উক্ববাহ,
আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ইত্যাদি)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯৫)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ أَنَسٍ
رَضِيَ اللهُ
تَعَالَى عَنْهُ
قَالَ كَانَ
رَسُولُ اللهِ
صلى الله
عليه وسلم
يَسْجُدُ فَيَجِيءُ
حَضْرَتْ الْحَسَنُ
عَلَيْهِ السَّلَامُ
وَ حَضْرَتْ
الْحُسَيْنُ عَلَيْهِ
السَّلَامُ فَيَرْكَبُ
عَلَى ظَهْرِهِ
فَيُطِيلُ السُّجُودَ
فَيُقَالُ يَا
نَبِيَّ الله
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَطَلْتَ السُّجُودَ
فَيَقُولُ ارْتَحَلَنِي
ابْنِي فَكَرِهْتُ
أَنْ أُعْجِلَهُ.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত সিজদা মুবারক-এ যেতেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ
ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ
উনারা এসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার নূরুল আত্বহার তথা মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র পিঠ মুবারক উনার উপর উঠে যেতেন। এ কারণে তিনি সম্মানিত সিজদা মুবারক লম্বা করতেন। ফলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলা হতো, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি কি সম্মানিত সিজদা মুবারক লম্বা
করলেন?
তখন তিনি জবাবে ইরশাদ মুবারক করতেন, আমার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমাস সালাম উনারা আমার নূরুল
আত্বহার তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক-এ আরোহন করেছেন, তাই আমি (সম্মানিত
সিজদা মুবারক থেকে) তাড়াতাড়ি উঠে যাওয়াটা পছন্দ করিনি।” সুবহানাল্লাহ!
(মুসনাদে আবী ইয়া’লা, মাজমাউয
যাওয়ায়িদ,
আল মাত্বালিবুল আলীয়াহ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯৬)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ جَابِرٍ
رَضِيَ اللهُ
تَعَالَى عَنْهُ
قَالَ دَخَلْتُ
عَلَى النَّبِيِّ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَهُوَ يَمْشِي
عَلَى أَرْبَعَةٍ
وَعَلَى ظَهْرِهِ
الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ
عليهما السلام
وَهُوَ يَقُولُ
نِعْمَ الْجَمَلُ
جَمَلُكُمَا وَنِعْمَ
الْعِدْلانِ أَنْتُمَا.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট উপস্থিত
হলাম,
দেখলাম, তিনি দুই হাঁটু
ও দুই নূরুল মাগফিরাহ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক উনাদের উপর ভর করে
চলছেন এবং উনার নূরুল আত্বহার তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক উনার উপর
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আরোহিত ছিলেন। তিনি বলতেছিলেন, আপনাদের উট মুবারক কতই না উত্তম! আর আপনারা কতই না উত্তম
আরোহী।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ)
শুধু তাই নয়, স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে খুশি মুবারক করার জন্য উনাদেরকে উনার নূরুল আত্বহার
তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক-এ নিয়ে দুই নূরুল মাগফিরাহ তথা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক ও দুই নূরুদ দারাজাহ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পা মুবারক-এ চলতেন। সুবহানাল্লাহ!
উনারা বলতেন, নানাজান, প্রত্যেকের ঘোড়ার তো
লাগাম রয়েছে, আমাদের ঘোড়ার
লাগাম কোথায়? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে উনার সম্মানিত নূরুল
ফাত্হ মুবারক (তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চুল মুবারক) দিতেন, উনারা সম্মানিত নূরুল ফাত্হ মুবারক (তথা মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র চুল মুবারক) ধরতেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা আরো বলতেন, নানাজান, প্রত্যেকের ঘোড়াতো
আওয়াজ করে থাকে, আমাদের ঘোড়তো আওয়াজ করে না। তখন
তিনি উনাদেরকে খুশি করার জন্য আওয়াজ মুবারক করতেন এবং উনাদেরকে নূরুল আত্বহার তথা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিঠ মুবারক-এ নিয়ে মহাসম্মানিত মসজিদে নববী শরীফ উনার
একপ্রান্ত মুবারক থেকে অপর প্রান্ত মুবারক-এ যেতেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯৭)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
এখন ফিকিরের
বিষয়- যেখনে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুদ দারাজাত তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
ক্বদম মুবারক উনার নূরুশ শরাফাত তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ধূলি-বালি মুবারক
নেয়ার জন্য বেকারার পেরেশান, সেখানে স্বয়ং
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে খুশি করার জন্য এরূপ করতেন, তাহলে উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত
জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা-
কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন,
قُل
لَّا اَسْأَلُكُمْ
عَلَيْهِ اَجْرًا
اِلَّا الْمَوَدَّةَ
فِى الْقُرْبٰى
অর্থ: হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের
নিকট কোন বিনিময় চাই না, অর্থাৎ বিনিময়
চাওয়াটা যেমন অস্বাভাবিক, তেমনিভাবে
উম্মতের পক্ষে বিনিময় দেয়াও কখনই সম্ভব নয় এবং বিনিময় দেয়ার চিন্তা-ফিকির করাটাও
কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তবে উম্মতকে যেহেতু নাজাত লাভ করতে হবে, সেজন্য তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, তারা যেনো আমার পবিত্রতম একান্ত আপনজন, অর্থাৎ পবিত্র আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস
সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করে তথা উনাদের মুহব্বত মুবারক-এ ও খিদমত মুবারক-এ নিজেদের
জান-মাল কুরবান করে দেয়। (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
অর্থাৎ সমস্ত জ্বিন-ইনসান তথা সমস্ত
কাফিনাতবাসীর জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যথাযতভাবে তা’যীম-তাকরীম মুবারক
করা,
উনার ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং উনাকে যথাযথভাবে মুহব্বত
মুবারক করা। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলের অন্তরকে মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারকে দ্বারা পূর্ণ
করে দিন। আমীন!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম,মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯৮)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
ইমামুল
হুমাম,
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক:
১। سَيِّدُ
شَبَابِ اَهْلِ
الْـجَنَّةِ (সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাতি) সম্মানিত জান্নাতী যুবকগণের
সাইয়্যিদ।
২। صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ سِبْطُ
رَسُوْلِ اللهِ (সিবতু রসূলিল্লাহি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত
দৌহিত্র।
৩। رَيْـحَنَةُ
رَسُوْلِ الله
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (রাইহানাতু রসূলিল্লাহি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
ফুল সাদৃশ্য।
৪।صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ اٰلُ
رَسُوْلِ اللهِ (আলু রসূলিল্লাহি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত
পরিবার।
৫। اَلْاِمَامُ
السَّيِّدُ (আল ইমামুস সাইয়্যিদু) শ্রেষ্ঠ ইমাম।
৬। اَهْلُ
بَيْتِ النَّبِـىِّ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (আহলু বাইতিন নাবিয়্যি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা তথা পরিবারের সদস্য।
৭। اَلْاِمَامُ
الْـهُمَامُ (আল ইমামুল হুমামু) শ্রেষ্ঠ ইমাম।
৮। اَلْاِمَامُ
الشَّرِيْفُ الْكَامِلُ (আল ইমামুশ শারীফুল কামিলু) শ্রেষ্ঠ সম্মানিত ইমাম।
৯। رَيْـحَنَةُ
رَسُوْلِ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
مِنَ الدُّنْيَا (রাইহানাতু রসূলিল্লাহি মিনাদ দুনইয়া) দুনিয়ায় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
ফুলস্বরূপ।
১০। رَيْـحَنَةُ
الدُّنْيَا (রাইহানাতুদ দুনইয়া) দুনিয়ার পুষ্প।
১১। اَبُوْ
عَبْدِ اللهِ (আবূ আব্দিল্লাহি) হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পিতা
(কুনিয়াত বা উপনাম)।
১২। اِبْنُ
اَمِيْرِ الْمُؤْمِنِيْنَ
عَلِىِّ بْنِ
اَبِـىْ طَالِبٍ (ইবনু আমীরিল মু’মিনীনা আলিয়্যিবনি আবী ত্বালিবিন) সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার পিতা আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত আলী
বিন আবী ত্বালিব আলাইহিস সালাম উনার পুত্র।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৯৯)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
১৩। اَلْقُرَيْشِىُّ (আল কুরাইশিয়্যু) কুরাইশী।
১৪। اَلْـهَاشِـمِىُّ (আল হাশিমিয়্যু) হাশিমী।
১৫। اَشْبَهُ
بِرَسُوْلِ اللهِ
مِنْ صَدْرِه
اِلٰـى قَدَمَيْهِ (আশবাহু বিরসূলিল্লাহি মিন ছদরিহী ইলা ক্বদামাইহি) সিনা মুবারক
থেকে পা মুবারক পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হুবহু
সাদৃশ্য মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
১৬। اَسْوَدُ
الرَّأْسِ (আসওয়াদুর র’সি) অধিক কালো চুল মুবারক বিশিষ্ট।
১৭। اَسْوَدُ
اللِّـحْيَةِ (আসওয়াদুল লিহইয়াতি) অধিক কালো দাড়ি মুবারক বিশিষ্ট।
১৮। اَلْمُطَهَّرُ (আল মুতাহহারু) অত্যাধিক পবিত্র।
১৯। اَحَبُّ
اَهْلِ الْاَرْضِ (আহাব্বু আহলিল আরদ্বি) যমীনবাসীদের নিকট অধিক প্রিয়।
২০। اَحَبُّ
اِلٰـى اَهْلِ
السَّمَاءِ (আহাব্বু ইলা আহলিস সামায়ি) আসমানবাসীদের নিকট অধিক প্রিয়।
২১। اَعْلَمُ
النَّاسِ (আ’লামুন নাসি) সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি।
২২। رَقَبَةٌ
مِّنْ بَنِـىْ
اِسْـمَاعِيْلَ (রক্বাবাতুম মিম বানী ইসমাইলা) বণী ইসমায়ীলের তত্ত্ববধায়ক।
২৩। صَاحِبُ
جَفْنَةٍ مِّنْ
فِتْيَانِ قُرَيْشٍ (ছাহিবু জাফনাতিম মিন ফিতইয়ানি কুরাইশিন) কুরাইশ যুবকদের চোখের
পাতা বা প্রিয়। সুবহানাল্লাহ!
২৪। صَائِرٌ
اِلَـى الْكُوْفَةِ (ছায়িরুন ইলাল কুফাতি) কুফায় ভ্রমণকারী।
২৫। خَيْرُ
النَّاسِ (খইরুন নাসি) সর্বোত্তম মানুষ।
২৬। مَـحْبُوْبُ
النَّبِـىِّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ (মাহবূবুন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
প্রিয় বা পছন্দীয়।
২৭। اَلشَّهِيْدُ (আশ শাহীদু) শাহাদত মুবারক বরণকারী।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৮০০)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
২৮। اٰلُ
مُـحَمَّدٍ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ (আলু মুহাম্মাদিন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত পরিবার।
২৯। صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ اِبْنُ
رَسُوْ اللهِ (ইবনু রসূলিল্লাহি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বংশধর।
৩০। صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ حَبِيْبُ
رَسُوْلِ اللهِ (হাবীবু রসূলিল্লাহি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত প্রিয়জন।
৩১। اَلسَّيِّدُ (আস সাইয়্যিদু) সাইয়্যিদ।
৩২। اَلْـجَمِيْلُ (আল জামীলু) সুদর্শন।
৩৩। اَلْعَاقِلُ (আল আক্বিলু) জ্ঞানী।
৩৪। اَلرَّزِيْنُ (আর রযীনু) ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন।
৩৫। اَلْـجَوَّادُ (আল জাওওয়াদু) অত্যাধিক দানশীল।
৩৬। اَلْمُمَدَّحُ (আল মুমাদ্দাহু) প্রশংসিত।
৩৭। اَلدَّيِّنُ (আদ দাইয়্যিনু) দ্বীনদার।
৩৮। اَلْوَرِعُ (আল ওয়ারিউ) পরহেযগার।
৩৯। اَلْمُحْتَشِمُ (আল মুহতাশিমু) মর্যাদা সম্পন্ন।
৪০। كَبِيْرُ
الْشَّأْنِ (কাবীরুশ শা’নি) অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন।
৪১। صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ خَاصَّةُ
رَسُوْلِ اللهِ (খাছছাতু রসূলিল্লাহি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
ঘনিষ্ঠ।
৪২। اَلْـحَجَّاجُ (আল হাজ্জাজু) অধিক হজ্জ সম্পাদনকারী।
৪৩। نِعْمَ
الْـجَمَلُ (নি’মাল জামালু) অত্যাধিক সুন্দর।
৪৪। صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ اِبْنُ
بِنْتِ النَّبِـىِّ (ইবনু বিনতিন নাবিয়্যি) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
কন্যা আলাইহাস সালাম উনার ছেলে।
৪৫। صَاحِبُ
التَّقْوٰى (ছাহিবুত তাক্বওয়া) তাক্বওয়া উনার অধিকারী।
0 Comments:
Post a Comment