পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1umo8c6MnYMfK07E3v5CvZ7RMmdfA3FIF
৪র্থ
হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
অর্থাৎ
মাথা ব্যতীত যেমন (মানুষকে) চেনা যায় না, তেমনি আহলু বাইত ও আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত, তায়াল্লুক, নিসবত মুবারক
ব্যতীত কাউকে মু’মিন-মুসলমানরূপে সনাক্ত করা যায় না। একইভাবে অন্ধ ব্যক্তির যেমন
বিপদ ও হালাকী বা ক্ষতিগ্রস্ততা অবশ্যম্ভাবী, তেমনি হযরত আহলু বাইত এবং আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত, তায়াল্লুক, নিসবতহীন
ব্যক্তির হালাকী বা ক্ষতিগ্রস্ততা অবশ্যম্ভাবী।
‘যখায়িরুল উক্ববা’ নামক কিতাবের ১৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন-
اَنَا
وَاَهْلُ بَيْتِى
شَجَرَةٌ فِي
الْجَنَّةِ، وَأَغْصَانَهَا
فِي الدُّنْيَا
فَمَنْ تَمَسَّكَ
بِنَا اتَّخَذَ
إِلَى رَبِّهِ
سَبِيلاً.
অর্থ: “আমি এবং আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত উনার মধ্যে অবস্থিত একটি গাছ মুবারক। আর
ওই গাছের শাখা-প্রশাখা দুনিয়াতে রয়েছে। যাঁরা আমাদের সাথে তায়াল্লুক-নিসবত, (সম্পর্ক) মুহব্বত রাখলেন, উনারা উনাদের মহান রব আল্লাহ পাক উনার নিকট পৌঁছার পথ সুগম করলেন।”
সুবহানাল্লাহ!
‘তাযকিরাতুল হুফ্ফায’ নামক কিতাবে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ
صَنَعَ إِلَى
أَحَدٍ مِنْ
أَهْلِ بَيْتِي
يَداً كَافَأْتُهُ
عَنْهُ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ.
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের কারো খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দিবেন আমি নিজে উনার পক্ষ থেকে
উনার প্রতিদান দিবো।” সুবহানাল্লাহ! (যখায়িরুল উক্ববা)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩২)
৪র্থ হিজরী
পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ হিজরত
মুবারক: মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা
শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন, তখন বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা প্রত্যেকেই
সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ অবস্থান মুবারক করতে থাকেন।
আওলাদুর রসূল, মুত্বাহহির, মুত্বাহহার, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু
রসূলিল্লাহ, আস সাফফাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র
মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করার প্রায় এক থেকে দেড় মাস পর সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আন নূরুর রাবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম
তিনি,
উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আছ ছালিছাহ
আলাইহাস সালাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ (সাওদা)
আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা এক সাথে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত
হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, এই সম্মানিত কাফেলা মুবারক-এ বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত
আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনিও ছিলেন। অর্থাৎ
তিনিও উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সাথে সম্মানিত ও পবিত্র
মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩৩)
৪র্থ
হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
মহাসম্মানিত
আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক
প্রকাশ: সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস
সালাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ হিজরত মুবারক করার পর প্রায় এক বছর
কয়েক মাস দুনিয়ার যমীন-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। দ্বিতীয় হিজরী সনের
সম্মানিত শা’বান মাসের শুরুর দিকে উনার গুটি বসন্ত হয়। তখন থেকে তিনি সম্মানিত
মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেই যুগের যাহিরী সকল চিকিৎসাই উনাকে করা হয়েছিলো। কিন্তু কোন পরিবর্তন ঘটেনি; বরং ধীরে ধীরে মারীদ্বী শান মুবারক বেশি আকারে প্রকাশ পেতে
থাকে। এই দিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে সম্মানিত
বদরের জিহাদে যাওয়ার প্রস্তুতি মুবারক গ্রহণ করছেন। এমতাবস্থায় যখন বিনতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক খুব বেশি আকারে প্রকাশ পেয়ে যায়, তখন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে
বলেন,
আপনাকে সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ যেতে হবে না। আপনি
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক
উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফেই অবস্থান মুবারক করুন
এবং উনার যথাযথ সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিন। উনার সাথে তিনি হযরত
উসামা বিন যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেও একই কারণে সম্মানিত ও পবিত্র
মদীনা শরীফ-এ অবস্থান মুবারক করার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩৪)
৪র্থ
হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
এই
সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
خَلَفَ
النَّبِـىُّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ حَضْرَتْ
عُثْمَانَ عَلَيْهِ
السَّلَامُ وَحَضْرَتْ
اُسَامَةَ بْنَ
زَيْدٍ رَضِىَ
اللهُ تَعَالـٰى
عَنْهُ عَلـٰى
حَضْرَتْ رُقَيَّةَ
عَلَيْهَا السَّلَامُ
فِـىْ مَرَضِهَا
وَخَرَجَ اِلـٰى
بَدْرٍ وَّهِىَ
وَجِعَةٌ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত
মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম
উনাকে এবং হযরত উসামা বিন যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে
সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ রেখে সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার উদ্দেশ্যে বের
হন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত মারীদ্বী শান
মুবারক বেশি আকারে প্রকাশ পায়।”
সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক সংঘটিত হয় ১৭
রমাদ্বান শরীফ আর সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন ১৮ই রমাদ্বান শরীফ
ইয়াওমুস সাব্ত শরীফ। তখন
দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২১ বছর ৫ মাস ১৫ দিন। বানাতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন
নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময়
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! যখন বিনতু রসূল্লিাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার
সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৪ বছর। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩৫)
৪র্থ
হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ মুবারক-এ
অবস্থান মুবারক: সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর তিনি উনার মহাসম্মানিত নানাজান নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ বেমেছাল আদর-যতœ ও মুহব্বত মুবারক-এ লালিত-পালিত হতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার
সম্মানিত দৌহিত্র সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে
বেমেছাল মুহব্বত মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ এবং
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
فَبَلَغَ
سِتَّ سِنِينَ
فَنَقَرَهُ دِيكٌ
فِي عَيْنَيْهِ
فَمَاتَ
অর্থ: “তিনি যখন ছয় বছর বয়স মুবারক-এ উপনীত হন, তখন উনার সম্মানিত দু’চোখ মুবারক-এ একটি মোরগ ঠোকর দেয়।
ফলশ্রুতিতে তিনি উনার সম্মানিত চোখ মুবারক উনার মধ্যে প্রচ- আঘাত মুবারক গ্রহণ করে
সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর এই সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক
প্রকাশ করা অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ
করেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩৬)
৪র্থ
হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
তিনি কোন
হিজরীতে বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, এই সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে। তবে মশহূর বর্ণনা হচ্ছে,
قَالَ
حَضْرَتْ ابْنُ
جَرِيرٍ رَحْمَةُ
اللهِ عَلَيْهِ
وَفِي جُمَادَى
الْأُولَى مِنْ
هَذِهِ السَّنَةِ)
سنة أربع(
مَاتَ عَبْدُ
اللَّهِ بْنُ
عُثْمَانَ بْنِ
عَفَّانَ عَلَيْهِ
السَّلَامُ.
অর্থ: “হযরত ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
বলেন,
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম
তিনি ৪র্থ হিজরী সনের জুমাদাল ঊলা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (বিদায়াহ-নিহায়াহ)
তবে তিনি জুমাদাল ঊলা শরীফ মাসের কত তারিখে এই
বিষয়ে কিতাবে কোন নির্ভযোগ্য বর্ণনা নেই। এই বিষয়ে সর্বকালের সর্বযুগের
সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, আওলাদুর রসূল, মুত্বাহহির, মুত্বাহহার, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আস সাফফাহ
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি
সর্বোত্তম ফায়ছালা মুবারক দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি
২২ শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া’ শরীফ দুনিয়াবী হিসেবে প্রায় ৬ বৎসর বয়স মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩৭)
৪র্থ
হিজরী পবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ উনার ২২ তারিখ সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যূন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সম্মানিত
জানাযা নামায পড়া এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে রাখা: কিতাবে
বর্ণিত রয়েছে,
فَصَلَّى
عَلَيْهِ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ وَنَزَلَ
فِي حُفْرَتِهِ
وَالِدُهُ عُثْمَانُ
بْنُ عَفَّانَ
عليه السلام.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত জানাযা উনার নামায মুবারক পড়ান এবং উনার সম্মানিত
আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র রওজা শরীফ-এ অবতরণ করেন অর্থাৎ উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওজা শরীফ
উনার মধ্যে রাখেন।” সুবহানাল্লাহ!
অপর
বর্ণনায় রয়েছে,
وَدَخَلَ
رَسُولُ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَبْرَهُ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবেন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র রওজা শরীফ উনার ভিতর প্রবেশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওজা শরীফ সম্মানিত
জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَدفنَهُ
أَبُوه بِالْبَقِيْعِ
অর্থ: “উনার সম্মানিত পিতা উনাকে সম্মানিত
জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ-এ সম্মানিত দাফন মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে
যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ
আলাইহাস সালাম উনার আর কোনো সম্মানিত আওলাদ বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেননি।
সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, আওলাদুর রসূল, মুত্বাহহির, মুত্বাহহার, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু
রসূলিল্লাহ, আস সাফফাহ সাইয়্যিদুনা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি সিবতু রসূলিল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন
নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক জানার, বুঝার, উপলব্ধি করার, উনার আলোচনা মুবারক করার, উনার হাক্বীক্বী তায়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, মা’রিফাত-মুহব্বত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
করার এবং হাক্বীক্বীভাবে উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার
তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩৮)
‘সম্মানিত গাযওয়াতু যাতির রিক্বা’ উনার জিহাদ মুবারক:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বানূ নাযীরের বহিস্কারের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত রবীউছ ছানী শরীফ মাসে ও
সম্মানিত জুমাদাল উলা শরীফ মাস উনার প্রথম কায়েক দিন পবিত্র মদীনা শরীফে অবস্থান
মুবারক করেন। এরপর তিনি নাজ্দ এলাকায় বানূ মুহারিব, বানূ ছা’ছাবা ও গাতফানের শাখা গোত্র বানূ ছা’লাবার বিরুদ্ধে সম্মানিত অভিযান
মুবারক পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি আবূ যার গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে
পবিত্র মদীনা শরীফের প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন। কারোও মতে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন
নূরাইন আলাইহিস সালাম উনাকে প্রতিনিধির দায়িত্বে রেখে যান। হযরত ইবনে হিশাম
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও এরূপ বর্ণনা করেছেন।
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
حَتَّى
نَزَلَ نَخْلًا،
وَهِيَ غَزْوَةُ
ذَاتِ الرِّقَاعِ.
অর্থ: ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নাখলা নামক স্থানে পৌঁছে সেখানেই অবস্থান
মুবারক গ্রহণ করেন। আর ইহাই সম্মানিত যাতুর রিক্বা’ উনার মহাসম্মানিত গাযওয়াহ
(জিহাদ) বলে।’ সুবহানাল্লাহ! (ফাতুহুল বারী, শরহুল ক্বুসত্বলানী, সীরাতুন নাবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, উয়ূনুল আছার)
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এ সম্মানিত জিহাদকে যাতুর রিক্বা’ বলার কারণ হচ্ছে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা
উনাদের সম্মানিত পতাকা মুবারকগুলোকে রিক্বা’ অর্থাৎ তালি মুবারক লাগিয়েছিলেন। কেউ
কেউ বলেন,
যাতুর রিক্বা’ তথাকার এক প্রকার বৃক্ষের নাম। সে নামেই এ
সম্মানিত জিহাদের নামকরণ হয়েছে, যাতুর রিক্বা’র
গাযওয়া। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৩৯)
‘সম্মানিত গাযওয়াতু যাতির রিক্বা’ উনার জিহাদ মুবারক:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ أَبِي
مُوسَى رَضِيَ
اللهُ تَعَالَى
عَنْهُ قَالَ
خَرَجْنَا مَعَ
النَّبِيِّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فِي
غَزَاةٍ (غَزْوَةٍ)
وَنَحْنُ سِتَّةُ
نَفَرٍ بَيْنَنَا
بَعِيرٌ نَعْتَقِبُهُ
فَنَقِبَتْ أَقْدَامُنَا
وَنَقِبَتْ قَدَ
مَايَ وَسَقَطَتْ
أَظْفَارِي وَكُنَّا
نَلُفُّ عَلَى
أَرْجُلِنَا الْخِرَقَ
فَسُمِّيَتْ غَزْوَةَ
ذَاتِ الرِّقَاعِ
لِمَا كُنَّا
نَعْصِبُ (نُعَصِّبُ)
مِنَ الْخِرَقِ
عَلَى أَرْجُلِنَا.
অর্থ: “হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “কোন এক সম্মানিত জিহাদ মুবারকে আমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে রওনা হলাম। আমরা ছিলাম ছয় জনের এক
কাফিলা। আমাদের একটি মাত্র উট ছিল। পর্যায়ক্রমে এক এক করে আমরা তার পিঠে আরোহন
করলাম। (হাঁটতে হাঁটতে) আমাদের পা ফেটে গেল। আমার পা দু’টিও ফেটে গেল এবং খসে গেল
নখগুলো। এ কারণে আমরা আমাদের পায়ে কাপড়ের পট্টি বাঁধলাম। এ জন্য এ সম্মানিত
জিহাদকে ‘যাতুর রিক্বা’ (পট্টিওয়ালা) জিহাদ বলা হয়। কেননা, এ সম্মানিত জিহাদে আমরা আমাদের কাপড়ের টুকরা দিয়ে পটি
বেঁধেছিলাম।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, ফায়দ্বুল বারী, হায়াতুছ ছাহাবা)
উল্লেখ্য যে, হযরত আবূ মূসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উক্ত ঘটনা বর্ণনা
করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এ ঘটনা মুবারক বর্ণনা করাকে পছন্দ করতেন না। তিনি
বলেন,
আমি এভাবে বর্ণনা করাকে ভালো মনে করি না। তিনি পছন্দ করতেন
না এ কারণে যে, উনার আমল প্রকাশ হয়ে যায় কি না।
সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৪০)
‘সম্মানিত গাযওয়াতু যাতির রিক্বা’ উনার জিহাদ মুবারক:
হযরত
ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
فَلَقِيَ
بِهَا جَمْعًا
عَظِيمًا مِنْ
غَطَفَانَ، فَتَقَارَبَ
النَّاسُ، وَلَمْ
يَكُنْ بَيْنَهُمْ
حَرْبٌ، وَقَدْ
خَافَ النَّاسُ
بَعْضُهُمْ بَعْضًا،
حَتَّى صَلَّى
رَسُولُ اللَّهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
بِالنَّاسِ صَلَاةَ
الْخَوْفِ، ثُمَّ
انْصَرَفَ بِالنَّاسِ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ স্থানে গাতফান গোত্রের এক বিশাল বাহিনীর
সম্মুখীন হন। উভয় পক্ষ পরস্পরের কাছাকাছি এগিয়ে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত আর জিহাদ
সংঘটিত হয়নি। কাফির মুশরিকরা খুবই শংকিত ছিলো। এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে পবিত্র
‘ছলাতুল খাওফ’ অর্থাৎ ভীতি অবস্থার ছলাত আদায় করেন (তথা তা’লীম মুবারক দিলেন)।
সুবহানাল্লাহ! অবশেষে তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম
উনাদেরকে নিয়ে প্রস্থান করেন।” (ফাতুহুর রব্বানী, সীরাতুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, আর রওদ্বুল উনুফ)
পবিত্র ছলাতুল খাওফ:
হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
থেকে বর্ণিত। তিনি ‘পবিত্র ছলাতুল খাওফ’ সম্পর্কে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদল হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে পবিত্র দু’রাকয়াত নামায
আদার করে,
পবিত্র সালাম মুবারক ফিরান। তখন অন্য একদল ছিলেন শত্রুর
মুখোমুখী। এরপর উনারা চলে আসলেন এবং তিনি উনাদেরকে নিয়ে আবার দু’রাকয়াত নামায
মুবারক আদায় করে পবিত্র সালাম মুবারক ফিরালেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম!
0 Comments:
Post a Comment