সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮১)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ও ইমাম, মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আখাছুল খাছ আহলু
বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, ইমামুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম
তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক প্রকাশের ১৪ বছর পূর্বে
২০শে শাওওয়াল শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা’ শরীফ বনূ হিলাল গোত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম!
উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক ছিলেন
‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ! আর উম্মুল
মাসাকীন (أُمُّ الْمَسَاكِيْنَ) উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন- গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা, নিঃস্ব-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদের
মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِىَ
أُمُّ الْمَسَاكِيْنَ
كُنِيَتْ بِذَلِكَ
فِى الْجَاهِلِيَّةِ
لِرَأفَتِهَا بِهِمْ
وَرَحْمَتِهَا وَإِحْسَانِهَا
إِلَيْهِمْ
অর্থ: “আর তিনি হচ্ছেন ‘উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস
সালাম’। সুবহানাল্লাহ! গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা, নিঃস্ব-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদের প্রতি উনার সীমাহীন ¯েœহ-মমতা, রহম-করুণা ও দয়া-ইহসান মুবারক উনাদের কারণে উনাকে জাহিলী
যুগেই এই সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন মুবারক করা হতো।”
সুবহানাল্লাহ! (আল মুখ্তাছরুল কাবীর ফী সীরাতির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ
أُمُّ الْمَسَاكِيْنِ
كَانَتْ تُسَمَّى
بِهِ فِي
الْجَاهِلِيَّةِ
অর্থ: “আর তিনি হচ্ছেন ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন
আলাইহাস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ! জাহিলী যুগেই উনাকে এই সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত
মুবারক-এ আহ্বান মুবারক করা হতো।” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮২)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
আল্লামা দিয়ার বাক্রী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘তারীখুল খমীস শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
وَكَانَتْ
تُسَمَّى فِى
الْجَاهِلِيَّةِ أُمُّ
الْمَسَاكِيِنَ لِلَيِّنِ
قَلْبِهَا
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
অন্তর মুবারক উনার সম্মানিত দয়া-অনুগ্রহ, মায়া-মমতা ও কোমলতা মুবারক উনার কারণে জাহিলী যুগ থেকেই উনাকে ‘হযরত উম্মুল
মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ আহ্বান করা হতো।”
সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খমীস শরীফ)
আল্লামা ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
বলেন,
وَكَانَتْ
تُسَمَّى فِي
الْجَاهِلِيَّةِ أُمُّ
الْمَسَاكِيْنَ،
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে জাহিলী যুগ থেকেই ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন
আলাইহাস সালাম’ বলে আহ্বান মুবারক করা হতো।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল উমাম ওয়াল
মুলক)
কিতাবে
আরো বর্ণিত রয়েছে,
وَكَانَتْ
تُسَمَّى فِي
الْجَاهِلِيَّةِ أُمُّ
الْمَسَاكِيْنَ لِبَرِّهَا
بِهِمْ وَإِطْعَامِهَا
لَهُمْ.
অর্থ: “গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা, নিঃস-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদের প্রতি অত্যধিক
দানশীলতা,
সদ্বব্যবহার এবং তাদেরকে অধিক পরিমাণে খাদ্য খাওয়ানোর কারণে
উনাকে জাহিলী যুগ থেকেই ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ বলে সম্বোধন মুবারক
করা হতো।” সুবহানাল্লাহ! (আল ক্বওলুল মুবীন ফী সীরতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
سَيِّدَتُنَا
حَضْرَتْ زَيْنَبُ
بِنْتُ خُزَيْمَةَ
عَلَيْهَا السَّلَامُ،
وَهِيَ أُمُّ
الْمَسَاكِينِ، سُمِّيَتْ
لِكَثْرَةِ إِطْعَامِهَا
الْمَسَاكِيْنَ،
অর্থ:
“উম্মুল মু‘মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল খমিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার পূতপবিত্র এবং
মহাসম্মানিত নাম মুবারক হলেন হযরত যয়নব বিনতে খুজাইমা আলাইহাস সালাম। তিনিই হচ্ছেন
‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ! গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা, নিঃস-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদের অধিক পরিমাণে
খাদ্য খাওয়ানোর কারণে উনাকে ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ বলে সম্বোধন
মুবারক করা হয়।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু‘জামুল কাবীর)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮৩)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
কিতাবে আরো
বর্ণিত রয়েছে,
تُعْرَفُ
بِأُمِّ الْمَسَاكِيْنَ
سُمِّيَتْ بِهَا
لِكَثْرَةِ إِطْعَامِهَا
الْمَسَاكِيْنَ
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু‘মিনীন আল
খামিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ হিসেবে পরিচিত
ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা নিঃস-অসহায়, সর্বহারা-দরিদ্রদেরকে
অধিক পরিমাণে খাদ্য খাওয়ানোর কারণে উনাকে ‘হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ এই
সম্মানিত ও পবিত্র কুনিয়াত মুবারক-এ সম্বোধন মুবারক করা হতো।” সুবহানাল্লাহ!
(মা’রিফাতুছ ছাহাবাহ)
উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত
উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি যে জাহিলী যুগ থেকে সকলের মাঝে ‘হযরত উম্মুল
মাসাকীন আলাইহাস সালাম’ কুনিয়াত মুবারক-এ সকলের মাঝে পরিচিত ছিলেন, এই বিষয়টি পৃথিবীর সমস্ত সীরাতগ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে।
সুবহানাল্লাহ! তাহলে উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল
মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত
জিন-ইনসান, তামাম কয়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও
কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত শৈশবকাল মুবারক: উম্মুল মু’মিনীন আল
খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত
শৈশবকাল মুবারক উনার মহাসম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সাথে অতিবাহিত
করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সহোদর কোনো ভাই-বোন ছিলেন কিনা, এ বিষয়ে কিতাবে কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না।
সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ: উম্মুল মু’মিনীন
আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন
ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে
‘আযীম শরীফ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার পর ৩য় হিজরী শরীফ উনার ২৬শে
যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে
গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উম্মুল মু’মিনীন আল খামিসাহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিলেন ৩০ বছর ২
মাস ৬ দিন। তিনি ৩ মাস ১ দিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত
মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮৪)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল
মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আসার
পূর্বে উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত শাদী মুবারক হওয়া সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ আলাইহাস
সালাম উনার প্রথম শাদী মুবারক হয় উনার আপন চাচাতো ভাই জাহ্ম ইবনে আমর ইবনে হারিছ
হিলালীর সাথে। তারপর উনার শাদী মুবারক হয়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচাতো ভাই হযরত ‘উবাইদাহ্
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু ইবনে হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিমাস সালাম
উনার সাথে। তিনি সম্মানিত বদর জিহাদে সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্
হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে গ্রহণ করেন।
সুবহানাল্লাহ! (আর রওদ্বুল উন্ফ)
আবার কেউ কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল
মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার প্রথম শাদী মুবারক হয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
চাচাতো ভাই তুফাইল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু ইবনে হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব
আলাইহিমাস সালাম উনার সাথে অথবা হযরত হুছাইন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু ইবনে
হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিমাস সালাম উনার সাথে। উনাদের থেকে জুদা হওয়ার
পর উনার দ্বিতীয় শাদী মুবারক হয় হযরত ‘উবাইদাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু ইবনে
হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিমাস সালাম উনার সাথে। তিনি বদর জিহাদে
সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম
উনাকে উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে ইসহাক্ব, বিদায়া-নিহায়াহ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮৫)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল
মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
আবার কেউ কেউ
বলেন,
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল
মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার প্রথম শাদী মুবারক হয় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে। তিনি সম্মানিত উহুদ জিহাদে সম্মানিত
শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তারপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম
উনাকে উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে গ্রহণ করেন। (মাওয়াহিবুল লাদুন নিয়্যাহ, শারহুয যারক্বানী, মুস্তাদরকে হাকিম ইত্যাদী)
স্মরণীয় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ‘উবাইদাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার অথবা
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত
শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে
সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।
সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আর রবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ইবনাতু আবীহা
(হযরত হাফছাহ) আলাইহাস সালাম উনার পর সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্
হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে গ্রহণ করেন।
সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
تَزَوَّجَ
بَعْدَ حَضْرَتْ
حَفْصَةَ زَيْنَبَ
بِنْتَ خُزَيْمَةَ
الْهِلَالِيَّةَ أُمَّ
الْمَسَاكِينِ عَلَيْهَا
السَّلَامُ،
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আর
রবি‘য়াহ্ হযরত ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার পর সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন
আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আল হিলালিয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮৬)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল
মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সম্মানিত ওলীমা মুবারক উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক
সম্পর্কে হযরত ইমাম যুবাইর ইবনে বাক্কার ইবনে আব্দুল্লাহ কুরাইশী আসাদী মাক্কী
রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ: ২৫৬ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত ‘আল
মুনতাখাবু মিন কিতাবি আযওয়াজিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার
মধ্যে বলেন,
وَأَوْلَمَ
عَلَيْهَا جَزُورًا
فَكَثُرَ الْمَسَاكِينُ
فَتَرَكَهُمُ النَّاس
وَالطَّعَام ثُمَّ
غَدَا النَّاسُ
عَلَى النَّبِيِّ
صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَقَدْ خَلا
لَهُمْ وَجْهُهُ
فَجَعَلَ الرَّجُلُ
يَأْتِي بِالْهَرِيسَةِ
فَلَمْ يَجْتَمِعْ
لَهُمْ إِلا
الْهَرَائِسُ فَدَعَا
النَّبِيُّ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ أَنْ
يُبَارِكَ لَهُمْ
فِيهَا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উট যবেহ করে সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন
আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক উনার মেহমানদারী মুবারক করেন।
সুবহানাল্লাহ! সেই সম্মানিত ওলীমা মুবারক-এ অসংখ্য ধনী, গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা’, নিঃস-অসহায় ও
দরিদ্র লোক উপস্থিত হন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা
ধনী,
গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা’, নিঃস-অসহায় ও
দরিদ্র সকলকে (প্রস্তুতকৃত সমস্ত) খাদ্য খাওয়ায়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত হন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের প্রতি মনোযোগী হন। তখন একজন হযরত ছাহাবী
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ‘হারীসাহ্’ নামক (গম চূর্ণ ও গোশত দ্বারা তৈরী)
এক প্রকার খাদ্য নিয়ে আসেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনাদের জন্য ‘হারীসাহ্’ নামক খাদ্য
ব্যতীত অন্য কোন খাদ্য মুবারক উপস্থিত ছিলো না। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
এই সম্মানিত খাদ্য মুবারক-এ বরকত দানের জন্য সম্মানিত দু‘আ মুবারক করেন। ”
সুবহানাল্লাহ! (আল মুনতাখাবু মিন কিতাবি আযওয়াজিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮৭)
২৭ শে সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন
আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
বিশ্বখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ, ছূফী, ফক্বীহ, আশেক্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শাইখুল ইসলাম হযরত ইমাম আল্লামা আবুল ফারাজ নূরুদ্দীন আলী
ইবনে ইবরাহীম ইবনে আহমদ ইবনে ‘আলী ইবনে ‘উমর হালাবী মিছরী ক্বাহিরী শাফিয়ী
রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ: ৯৭৫ হিজরী শরীফ- বিছাল শরীফ : ১০৪৪ হিজরী শরীফ)
তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ শরীফ’ উনার মধ্যে উম্মুল
মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত ওলীমা মুবারক সম্পর্কে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ
করেন। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা হচ্ছেন-
عَن
حَضْرَتْ أَنَسٍ
رَضِىَ اللهُ
تَعَالَى عَنْهُ
قَالَ كَانَ
النَّبِيُّ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ عَرُوسًا
بِزَيْنَبَ عَلَيْهَا
السَّلَامُ فَعَمَدَتْ
أُمِّي حَضْرَتْ
أُمُّ سُلَيْمٍ
رَضِىَ اللهُ
تَعَالَى عَنْهُا
إِلَى تَمْرٍ
وَسَمْنٍ وَأَقِطٍ
فَصَنَعَتْ حَيْسًا
فَجَعَلَتْهُ فِي
تَوْرٍ فَقَالَتْ
يَا حَضْرَتْ
أَنَسٍ رَضِىَ
اللهُ تَعَالَى
عَنْهُ اذْهَبْ
بِهَذَا إِلَى
رَسُولِ اللَّهِ
صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَقُلْ بَعَثَتْ
بِهَذَا إِلَيْكَ
أُمِّي وَهِيَ
تُقْرِئُكَ السَّلَامَ
وَتَقُولُ إِنَّ
هَذَا لَكَ
مِنَّا قَلِيلٌ
يَا رَسُولَ
الله صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ
فَذَهَبْتُ فَقُلْتُ
فَقَالَ ضَعْهُ
ثُمَّ قَالَ
اذْهَبْ فَادْعُ
لِي فُلَانًا
وَفُلَانًا وَفُلَانًا
رِجَالًا سَمَّاهُمْ
وَادْعُ مَنْ
لَقِيتَ فَدَعَوْتُ
مَنْ سَمَّى
وَمَنْ لَقِيتُ
فَرَجَعْتُ فَإِذَا
الْبَيْتُ غَاصٌّ
بِأَهْلِهِ قِيلَ
لِأَنَسٍ رَضِىَ
اللهُ تَعَالَى
عَنْهُ عَدَدَ
كُمْ كَانُوا؟
قَالَ زهاء
ثَلَاث مائَة.
فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ
صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَضَعَ يَدَهُ
عَلَى تِلْكَ
الْحَيْسَةِ وَتَكَلَّمَ
بِمَا شَاءَ
اللَّهُ ثُمَّ
جَعَلَ يَدْعُو
عَشَرَةً عَشَرَةً
يَأْكُلُونَ مِنْهُ
وَيَقُول لَهُم: ্রاذْكروا
اسْم الله
وليأكلْ كُلُّ
رَجُلٍ مِمَّا
يَلِيهِগ্ধ قَالَ فَأَكَلُوا
حَتَّى شَبِعُوا.
فَخَرَجَتْ طَائِفَةٌ
وَدَخَلَتْ طَائِفَةٌ
حَتَّى أَكَلُوا
كُلُّهُمْ قَالَ
لِي يَا
حَضْرَتْ أَنَسُ
رَضِىَ اللهُ
تَعَالَى عَنْهُ
ارْفَعْ. فَرَفَعْتُ
فَمَا أَدْرِي
حِينَ وَضَعْتُ
كَانَ أَكْثَرَ
أَمْ حِين
رفعت.
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যখন উম্মুল
মু‘মিনীন আল খ¦মিসাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মনিত ও
মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়, তখন (আমার সম্মানিতা আম্মাজান) হযরত উম্মু সুলাইম
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি গিয়ে খেজুর, মাখন/ঘি এবং পনির মিশ্রত করে ‘হাইস্’ নামক এক প্রকার খাবার তৈরী করে একটি
পিতলের পাত্রের মধ্যে (গামলার মতো মোটামমুটি একটি বড় পাত্রের মধ্যে) রাখেন। তারপর
বলেন,
হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি এই সম্মানিত
খাবার মুবারক নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ গিয়ে বলুন, এই সম্মানিত খাবার মুবারক আপনার জন্য আমার সম্মানিতা আম্মাজান তিনি পাঠিয়েছেন
এবং তিনি আপনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত সালাম মুবারক পেশ করেছেন। তখন
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেকের
নাম মুবারক উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন, আমার নিকট আপনি অমুক, অমুক,
অমুক এবং যাঁদের সাথে আপনার সাক্ষাৎ হয় উনাদেরকে ডেকে আনুন।
তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
যাঁদের নাম মুবারক উল্লেখ করেছেন এবং আমার সাথে যাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে উনাদেরকে
ডেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ ফিরে
আসলাম। হঠাৎ দেখলাম যে, সম্মানিত হুজরা
শরীফ এবং সম্মানিত হুজরা শরীফ উনার আশপাশ লোক দ্বারা পরিপূর্ণ। হযরত আনাস
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, উনাদের সংখ্যা কত ছিলেন। তিনি বলেন, উনারা ৩০০ জন ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু
তিনি বলেন,) অতঃপর আমি দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাহ্ মুবারক
(মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) সেই খাবারের পাত্রের মধ্যে রেখে মহান আল্লাহ
পাক উনার সম্মানিত ইরাদা বা ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী কিছু বাক্য মুবারক উচ্চারণ
করলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাবার খাওয়ার জন্য উনার নিকট ১০ জন ১০ জন করে লোক ডাকলেন
এবং উনাদেরকে বললেন, আপনারা
‘বিসমিল্লাহ শরীফ’ বলে প্রত্যেকেই পাত্রের নিজ নিজ দিক থেকে খাবার মুবারক গ্রহণ
করুন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনারা প্রত্যেকেই তৃপ্তি সহকারে খাদ্য মুবারক খেলেন।
সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, হে হযরত আনাস
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি ঢাকনা মুবারক তুলুন। অতঃপর আমি ঢাকনা মুবারক তুললাম। আমি জানি না যে, যখন পাত্র মুবারক-এ খাবার রাখা হয়েছিলো তখন বেশি খাবার
মুবারক ছিলো, না কি যখন ঢাকনা মুবারক তুললাম
তখন বেশি খাবার মুবারক ছিলো। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ পাত্র মুবারক-এ যখন খাবার
মুবারক রাখা হয়েছে তখন যে পরিমাণ খাবার মুবারক ছিলো এবং যখন ঢাকনা মুবারক তুললাম
তখনও ঠিক সেই পরিমাণই খাবার মুবারক ছিলো। খাবার মুবারক একটুও কমেনি।”
সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (মুত্তাফাকুন আলাইহি, মিশকাত শরীফ, মাছাবিহুস সুন্নাহ, শরহুয যুরকানী, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ শরীফ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮৮)
২৭ শে সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু’মিনীন
আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
স্বরণীয় যে, উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার সম্মানিত
মোহরানা মুবারক ছিলেন ৫০০ দিরহাম। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
فقرر
على خَمْسمِائَة
دِرْهَم مهرهَا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু‘মিনীন আল খামিসাহ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে ৫০০ দিরহাম মোহরানা মুবারক দেন।”
সুবহানাল্লাহ! (মিন সীরাতিল মুস্ত¡ফা ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিহালাবী)
আর স্বর্ণ হিসেবে সম্মানিত মোহরানা মুবারক উনার
পরিমাণ ছিলেন সাড়ে ১২ আউকিয়া। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
أَصْدَقَهَا
ثِنْتَيْ عَشْرَة
أُوقِيَّة وَنَشًّا
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু‘মিনীন আল খামিসাহ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনাকে সাড়ে ১২ আউক্বিয়াহ্ সম্মানিত মোহরানা
মুবারক দেন।” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরতুন নুবুবিয়্যাহ)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
اَلنَّشُّ
نِصْفُ أُوقِيَّةٍ
وَهُوَ عِشْرُونَ
دِرْهَمًا
অর্থ: “আন নাশ্শু হচ্ছে, অর্ধ আউক্বিয়াহ্। আর সেটা দিরহাম হিসেবে বিশ দিরহাম।”
সুবহানাল্লাহ! (আল মুনতাক্বী শরহে মুয়াত্তা, আস সীরতুন নুবুবিয়্যাহ শরীফ আন নিহায়া ফি গরীবিল আছার, উমদাতুল ক্বারী, কাশফুল খ¦ফা)
কাজেই উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত মোহরানা মুবারক ছিলেন ৫০০ দিরহাম
যা স্বর্ণ হিসেবে সাড়ে ১২ আউকিয়া। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৮৯)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল
মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতুনা
উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত উম্মতকে
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের
তা’লীম মুবারক দান: এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম ত্ববারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার
বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল মু’জামুল কাবীর শরীফ’ উনার মধ্যে একখানা মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেন-
عَنْ
حَضْرَتْ حُرَيْثِ
بْنِ الأَبَحِّ
السَّلِيحِىِّ رحمة
الله عليه
أَنَّ امْرَأَةً
مِنْ بَنِى
أَسَدٍ قَالَتْ
كُنْتُ يَوْمًا
عِنْدَ اُمِّ
الْـمُؤْمِنِيْنَ الْـخَامِسَةِ
سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ
اُمِّ الْـمَسَاكِيْنَ
عَلَيْهَا السَّلَامُ
(سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ
زَيْنَبَ عَلَيْهَا
السَّلَامُ) امْرَأَةِ
رَسُولِ اللَّهِ
صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَنَحْنُ نَصْبُغُ
ثِيَابًا لَهَا
بِمَغْرَةٍ فَبَيْنَا
نَحْنُ كَذَلِكَ
إِذْ طَلَعَ
عَلَيْنَا رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فَلَمَّا
رَأَى الْمَغْرَةَ
رَجَعَ فَلَمَّا
رَأَتْ ذَلِكَ
زَيْنَبُ عَلِمَتْ
أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ- قَدْ
كَرِهَ مَا
فَعَلَتْ فَأَخَذَتْ
فَغَسَلَتْ ثِيَابَهَا
وَوَارَتْ كُلَّ
حُمْرَةٍ ثُمَّ
إِنَّ رَسُولَ
اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ رَجَعَ
فَاطَّلَعَ فَلَمَّا
لَمْ يَرَ
شَيْئًا دَخَلَ.
অর্থ: “হযরত হুরাইছ ইবনুল আবাহ্ সালীহী
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই বনী আসাদ গোত্রের একজন মহিলা
ছাহাবীয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, একদিন আমি সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল মু‘মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন
আলাইহাস সালাম উনার নিকট ছিলাম। আমরা উনার জন্য একখানা সম্মানিত কাপড় মুবারক-এ লাল
গেরুয়া রং লাগাচ্ছিলাম, তখন নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে
সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়ে গেরুয়া রং দেখে চলে গেলেন। সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল
মু‘মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি বিষয়টা খেয়াল করলেন
যে,
কাপড় থেকে লাল রং তুলে ফেললে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ
করবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি সেই কাপড়টা ধুয়ে সবটুকু লাল রং উঠিয়ে ফেলেন। অতঃপর
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ
মুবারক আনলেন, এনে লাল রং না দেখে সম্মানিত
সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে (সম্মানিত হুজরা শরীফ উনার মধ্যে) প্রবেশ করেন।”
সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা
মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (আবূ দাউদ শরীফ, আল আহাদ ওয়াল মাছানী, আল মু’জামুল কাবীর লিত্ব¡ ত্ববারনী ইত্যাদি)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৬৯০)
২৭ শে
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুর তথা মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল
মু’মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতুনা
উম্মুল মু‘মিনীন আল খমিসাহ্ হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি এ সম্মানিত
ওয়াক্বেয়াহ মুবারক দ্বারা সমস্ত সৃষ্টি জগতকে এই বিষয়টিই শিক্ষা দিলেন যে, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি
মুবারক ত্বলব করা এবং তিনি যেই সম্মানিত ‘আমল মুবারক করলে সম্মানিত সন্তুষ্টি
মুবারক প্রকাশ করবেন, সবসময় সেই
সম্মানিত আমল মুবারক করা। সুবাহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
কাজেই জ্বীন-ইনসান সকলের জন্যে মহাসম্মানিত
সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা বা অনুসরণ মুবারক করা ফরযের অন্তর্ভূক্ত।
সুবহানাল্লাহ! বেমেছাল খুশির বিষয় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা বা অনুসরণ মুবারক করার
জন্য ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা ইমামুল উমাম, আস সাফফাহ, আহলে বাইতে
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা মুর্শিদে আকবার হযরত মামদূহ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি
কায়িনাতবাসীর জন্যে শতভাগ মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা
করেছেন,
“আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার
কেন্দ্র”। সুবহানাল্লাহ! তিনিই সারা পৃথিবীর মাঝে মহাসম্মানিত পবিত্র সুন্নত
মুবারক উনার প্রচার এবং প্রসার করছেন এবং তা জারি করে যাচ্ছেন। সুবহানা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! এই “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার
কেন্দ্রে” পাওয়া যাচ্ছে সর্বপ্রকার সুন্নতী সামগ্রী। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আর মহাসম্মানিত পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের মাধ্যমে মহান
আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বি সন্তুুষ্টি-রেজামন্দী মুবারক হাছিল হয়ে থাকে।
সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ
إِن كُنتُمْ
تُحِبُّونَ اللَّـهَ
فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ
اللَّـهُ وَيَغْفِرْ
لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ
ۗ وَاللَّـهُ
غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: “ (হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) আপনি উম্মতদেরকে জানিয়ে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মুবারক হাছিল করতে চাও, তাহলে আমার ইত্তিবা (অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক) করো। তাহলে মহান
আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন, তোমাদের গুনাহ-খতা ক্ষমা করে দিবেন এবং তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন ও দয়ালু
হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩১)
0 Comments:
Post a Comment