হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক । (পর্ব- ১৭৫১-১৭৬০)


পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1umo8c6MnYMfK07E3v5CvZ7RMmdfA3FIF

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫১)
৪র্থ হিজরী মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
 মহাসম্মানিত উহুদ জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উদ্দেশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আগামি বছর সম্মানিত বদর প্রান্তরে জিহাদ হবে। (হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখনও উনার ঈমানকে প্রকাশ করেননি)।
 এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,
إِن مَوْعدكُمْ بَدْرٌ الْعَامِ الْمقبل.
আগামি বছর সম্মানিত বদরে আমাদের মোকাবেলা হবে।”
 অন্য আরাক বর্ণনায় রয়েছে, হযরত আবূ সূফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এ ঘোষণা করেছিলেন,
 مَوْعِدٌ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ بَدْرٌ الصّفْرَاءُ رَأْسَ الْحَوْلِ، نَلْتَقِي فِيهِ فَنَقْتَتِلُ.
 আগামি বছরের গোড়াতেই সম্মানিত বদরের আছ ছাফরাতে আপনাদের এবং আমাদের মাঝে সময় নির্ধারিত হলো। সেখানে আপনাদের সাথে মোকাবেলা হবে এবং আমরা জিহাদ করবো। ”
 নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে নির্দেশ মুবারক দিলেন,
قُلْ نَعَمْ إنْ شَاءَ اللّهُ
 আপনি উনাকে বলে দিন, ঠিক আছে। ইনশায়াল্লাহ! (আমরা অবশ্যই আসবো)।” (মাগাযিউল ওয়াক্বিদী, ইমতাউল আসমা’)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫২)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি (মহাসম্মানিত উহুদ জিহাদ মুবারক শেষে) বলেছিলেন, সম্মানিত বদরে আবার সাক্ষাৎ হবে। সে মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারকে, হিজরী ৪র্থ বছর পবিত্র শা’বান মাসে সম্মানিত বদর অভিমুখে ছফর মুবারক করেন এবং সেখানে গিয়ে তাশরীফ মুবারক নিয়ে তাবু মুবারক স্থাপন করেন। সুবহানাল্লাহ!
 সম্মানিত বদর প্রান্তরে পৌঁছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নিয়ে আটদিন অবস্থান মুবারক করেন। অপরদিকে মক্কার কাফির মুশরিকরা যদিও সম্মানিত উহুদ জিহাদের সময় ওয়াদা দিয়েছিল কিন্তু তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। তারা ফিকির করতেছিল যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত বদর প্রান্তরে না আসতেন তা হলে কতই না ভালো হতো। কারণ অবশ্যই আমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সাথে পুনরায় জিহাদ করলে আমাদেরকে লজ্জিত, অপদস্ত ও ধ্বংস হতে হবে।  পাশাপাশি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেন এই প্রতিশ্রুত জিহাদে না আসেন এ জন্য তারা ভয়-ভীতিসহ প্রোপাগান্ডা ছড়াতে লাগলো। নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫৩)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
এ সম্পর্কে বলা হয়, নায়ীম ইবনে মাসউদ নামে এক ব্যক্তি সম্মানিত মদীনা শরীফে যাচ্ছিল। তাকে তারা কিছু টাকা-কড়ি দিয়ে বলে দিল, সে যেন সম্মানিত মদীনা শরীফে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় যে, পবিত্র মক্কার কাফির মুশরিকরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য বিশাল বাহিনী প্রস্তুত করছে। কাজেই আপনাদের জন্য কল্যাণকর হবে, আপনারা কুরাইশ কাফির মুশরিকদের মুকাবিলায় বেরিয়ে পড়বেন না। কাফির মুশরিক নেতাদের উদ্দেশ্য ছিল যে, যখন এ ধারনের সংবাদ প্রচারিত হবে তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জিহাদের জন্য আর বের হবেন না। নাউযূবিল্লাহ! কিন্তু এ সংবাদ শুনা মাত্র হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আরো ঈমানী জজবা মুবারক প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহ!
 হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এই পবিত্র আয়াত শরীফ তিলওয়াত মুবারক করতে করতে সম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদের দিকে অগ্রসর হতে লাগলেন। সুবহানাল্লাহ!
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
মহান আল্লাহ পাক তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কামিয়াবী দানকারী।” সুবহানাল্লাহ!
 অর্থাৎ কাফির মুশরিকরা যখন লোক জমা করতে থাকল এবং ভীতি সঞ্চারক সংবাদ নায়ীমের মাধ্যমে প্রচারিত করতে থাকল তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মেছালহীন ঈমান মুবারককে আরো দৃঢ় করে প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহ! যার পরিপ্রেক্ষিতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সজোরে উচ্চারণ করতে থাকলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কামিয়াবী দানকারী।’ সুবহানাল্লাহ! হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নায়ীমের কথার প্রতি কর্ণপাত করেননি। কারণ উনারাই ছিলেন বেমেছাল ঈমানী জজবায় উজ্জীবিত। উনাদের সম্মানিত ঈমান মুবারক ছিলো মজবুত ও দৃঢ়; যা বলার অপেক্ষা রাখে না। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫৪)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের তা’লীম মুবারক দানের লক্ষ্যে) পাঠ করছিলেন।
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
 অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কামিয়াবী দানকারী।” সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি অগ্নিকুন্ডে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করার সময় একথা মুবারক বলেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও এই পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক উচ্চরণ করলেন। সুবহানাল্লাহ!  উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার উদ্দেশ্য এই যে, কাফির মুশরিকরা আপনাদের মোকাবেলা করার জন্য অনেক মানুষ ও অস্ত্রসম্ভার একত্রিত করেছে। যাতে আপনারা তাদেরকে ভয় পান এবং সম্মানিত বদরে ছুগরার দিকে অগ্রসর না হন। নাউযুবিল্লাহ! তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল মজবুত ঈমান মুবারককে প্রকাশ করে দিলেন। তাই উনারা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক পাঠ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী, বুখারী শরীফ)
 হযরত ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার প্রতিনিধি হিসাবে রাখেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে ।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫৫)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত বদর প্রান্তরে আট দিন যাবৎ হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাফেলার অপেক্ষায় থাকলেন। অপরদিকে হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র মক্কাবাসী কাফির মুশরিকদের সাথে নিয়ে জাহরানের পথ ধরে অগ্রসর হলেন এবং মাজনা নামক স্থানে এসে ছফর বিরতি করলেন। কারোও মতে তিনি উসফান পর্যন্ত পৌঁছলেন। এরপর তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে ফিরে যাওয়া সমীচীন মনে করলেন। তিনি উনার বক্তৃতায় বললেন, হে কুরাইশ কাফির মুশরিক সম্প্রদায়! যে বছর ভালো ফসল ফলে, সে বছরই তোমাদের যুদ্ধের উপযুক্ত সময়, যাতে তোমরা তোমাদের বৃক্ষরাজির যথাযথ পরিচর্যা করতে পার এবং পেট ভরে দুধ পান করতে পারো। এ বছরতো অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের বছর। সুতরাং আমি ফিরে চললাম। তোমরাও ফিরে চলো। কাফির মুশরিকরা উনার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফের দিকে ফিরে গেল। পবিত্র মক্কাবাসীরা তাই তাদের নাম দিয়েছিলجَيْشُ السُّوَيْقِ  ‘ছাতুখোর বাহিনী’। তারা বলত তোমরাতো ছাতু খেতে খেতেই বের হয়েছিলে।
  উল্লেখ্য যে, সম্মানিত বদর প্রান্তরে একটি বাজার বসত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সেখানে অবস্থান মুবারক করাকালীন সম্মানিত ব্যবসা মুবারক করলেন এবং প্রচুর লাভবান হলেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫৬)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
 প্রসিদ্ধ তারিখ ও সীরত গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে,
 وَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَدْرٍ يَنْتَظِرُ حَضْرَتْ أَبَا سُفْيَانَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ لِمِيعَادِهِ، فَأَتَاهُ مَخْشِيُّ بْنُ عَمْرٍو الضَّمْرِيُّ، وَهُوَ الَّذِي كَانَ وَادَعَهُ عَلَى بَنِي ضَمْرَةَ فِي غَزْوَةِ وَدَّانَ، فَقَالَ يَا حَضْرَتْ مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَجِئْتَ لِلِقَاءِ قُرَيْشٍ عَلَى هَذَا الْمَاءِ؟ قَالَ نَعَمْ، يَا أَخَا بَنِي ضَمْرَةَ، وَإِنْ شِئْتَ مَعَ ذَلِكَ رَدَدْنَا إلَيْكَ مَا كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ، ثُمَّ جَالَدْنَاكَ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ، قَالَ: لَا وَاَللَّهِ يَا حَضْرَتْ مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا لَنَا بِذَلِكَ مِنْكَ مِنْ حَاجَةٍ.
 অর্থ: “এদিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রদত্ত নির্ধারিত সময়ের জন্য সম্মানিত বদর প্রান্তরে অপেক্ষা মুবারক করতে লাগলেন। এমনি সময়ে একদিন মাখশী ইবনে আমর দ্বামরী এসে  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাৎ করল। ওয়াদ্দান অভিযানে এই ব্যক্তিই বানূ দ্বামরার পক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছিল। সে বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি এই নীরাশয়ের তীরে কুরাইশ কাফির মুশরিকদের মুখোমুখী হতে এসেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, হে দ্বামরা গোত্রের নেতা! এতদ্সত্ত্বেও তুমি যদি চাও, তাহলে আমাদের ও তোমাদের মাঝে যে সন্ধি চুক্তি রয়েছে তা প্রত্যাহার করে নিতে পারি। এরপর জিহাদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিবেন। সে বলল, না, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আপনার সঙ্গে আমাদের তেমন কিছু করার প্রয়োজন নেই।” (ইমতাউল আসমা’, সীরতুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, উয়ূনুল আছার, দালায়িলূন নুবুওওয়াহ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫৭)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
 এরপরও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জন্য যথারীতি অপেক্ষা মুবারক করতে লাগলেন। এ সময় মা’বাদ ইবনে আবূ মা’বাদ খুযায়ী একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সেখানে অবস্থানরত দেখতে পেরে এই কবিতা আবৃত্তি করতে করতে দ্রুত উট হাঁকিয়ে চলে গেল।
قَدْ نَفَرَتْ مِنْ رُفْقَتَيْ حَضْرَتْ مُحَمَّدِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ... وَعَجْوَةٍ مِنْ يَثْرِبَ كالعَنْجَدِ
تَهْوَى عَلَى دِينِ أَبِيهَا الْأَتْلَدِ ... قَدْ جَعَلَتْ مَاءَ قُدَيْدٍ مَوْعِدِي
وَمَاءَ ضَجْنَانَ لَهَا ضُحَى الْغَدِ.
 অর্থ: “আমার উটনী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উভয় হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালঅ আনহুমা উনাদের থেকে বিতৃষ্ণ হয়ে ধেয়ে চলছে। সে বিতৃষ্ণ পবিত্র মদীনা শরীফের কালো কিসমিস সদৃশ খেজুরের প্রতিও। তিনি উনার বাপ-দাদাকে চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী ছুটে চলেছেন, আজকের মধ্যেই তিনি আমাকে কুদাইদ নীরাশয়ের তীর পৌঁছে দিবেন এবং কাল দুপুরের আগেই সে দ্বজনানের জলায়ে পৌছে যাবেন।” (দালায়িলূন নুবুওওয়াহ, উমদাতুল ক্বরী, সীরাতুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, মাগাযিউল ওয়াক্বিদী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলূক)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫৮)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
এ সম্পর্কে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। কিন্তু ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এ কবিতাটিতে হযরত আবূ যায়িদ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমাকে হযরত কা’ব ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কবিতা বলে আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন। কবিতাটি হলো-
 وَعَدْنَا أَبَا سُفْيَانَ بَدْرًا فَلَمْ نَجِدْ ... لِمِيعَادِهِ صِدْقًا وَمَا كَانَ وَافِيَا
আমরা ওয়াদা করেছিলাম হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সংগে সম্মানিত বদর প্রান্তরে মুখোমুখী হওয়ার, কিন্তু আমরা তাকে ওয়াদা রক্ষায় সত্যবাদী পাইনি, তিনিতো অঙ্গীকার পূর্ণকারী ছিলেন না।
فَأُقْسِمُ لَوْ وَافَيْتَنَا فَلَقِيتنَا ... لَأُبْتَ ذَمِيمًا وَافْتَقَدْتَ الْمَوَالِيَا
 আমি ক্বসম করে বলছি, হে হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যদি আপনি ওয়াদা রক্ষা করে আমাদের মুখোমুখী হতেন, আর সম্মানিত জিহাদে জড়াতেন তাহলে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে আপনাকে ফিরে যেতে হত এবং আপনি আপনার মিত্রদের হারাতেন।
تَرَكْنَا بِهِ أَوْصَالَ عُتْبَةَ وَابْنَهُ ... وَعَمْرًا أَبَا جَهْلٍ تَرَكْنَاهُ ثَاوِيَا
আমরা সম্মানিত বদর প্রান্তরে উতবা ও তার ছেলেদের টুকরো টুকরো করে ফেলে রেখেছি। এখানেই আমরা রেখে গিয়েছি কাট্টা কাফির আবূ জেহেলের লাশ।
عَصَيْتُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُفٍّ لِدِينِكُمْ ... وَأَمْرِكُمْ السَّيْءِ الَّذِي كَانَ غَاوِيَا
হে কুরাইশ কাফির মুশরিকরা! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নাফরমানী করনা; ধিক তোমাদের ধর্মমতকে, আর ধিক তোমাদের সব ঘৃণ্য বিভ্রান্তিকর কর্মকান্ডের।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৫৯)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
فَإِنِّي وَإِنْ عَنَّفْتُمُونِي لَقَائِلٌ ... فِدًى لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ أَهْلِي وَمَالِيَا
 শোন! তোমরা আমাকে যতই ধিক্কার দাও, তবু বলব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য আমার ধনজন সবই ফানা-বাক্বা।
أَطَعْنَاهُ لَمْ نَعْدِلْهُ فِينَا بِغَيْرِهِ ... شِهَابًا لَنَا فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ هَادِيَا
আমরা উনার আনুগত্য করছি। আমরা আমাদের কাউকে উনার সমতুল্য জ্ঞান করি না। বস্তুত তিনি এক মহাসম্মানিত ধ্রুবতারা। তিনি অন্ধকার রাতে আমাদের পথ-নির্দেশ করেন। সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলূন নুবুওওয়াহ, উমদাতুল ক্বরী, সীরাতুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, মাগাযিউল ওয়াক্বিদী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলূক)
 হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এ সম্পর্কে বলেন,
دَعُوا فَلَجَاتِ الشَّامِ قَدْ حَالَ دُونَهَا ... جَلَّادٌ كَأَفْوَاهِ الْمَخَاضِ الْأَوَارِكِ
হে কুরাইশ কাফির মুশরিকরা! তোমরা শামের সে পানিধারার দিকে যাওয়ার মতলব ত্যাগ করো। কেননা, সে পথে রয়েছে আরাক বৃক্ষ খেকো গর্ভবতী উটনীর মুখের মত শাণিত তরবারির বাধা।
بِأَيْدِي رِجَالٍ هَاجَرُوا نَحْوَ رَبِّهِمْ ... وَأَنْصَارِهِ حَقًّا وَأَيْدِي الْمَلَائِكِ
 সে তরবারিগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার পথে হিজরতকারী মুজাহিদদের হাতে, উনার দ্বীনের সাহায্যকারী হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের হাতে, সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাতে। সুবহানাল্লাহ!
 إذَا سَلَكْتَ لِلْغَوْرِ مِنْ بَطْنِ عَالِجٍ ... فَقُولَا لَهَا لَيْسَ الطّريق لَك
 হে যাত্রী! তুমি যখন নীচ এলাকায় বালুময় স্থান আলিজের উপর দিয়ে অগ্রসর হবে, তখন কুরাইশ কাফির মুশরিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেবে, তাদের জন্য এদিকে কোন রাস্তা নেই
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৬০)
মহাসম্মানিত দ্বিতীয় বদর জিহাদ মুবারক:
أَقَمْنَا عَلَى الرَّسِّ النَّزُوعِ ثَمَانِيَا ... بِأَرْعَنَ جَرَّارٍ عَرِيضِ الْمَبَارِكِ
 আমরা ব্যস্ত এ কুয়ার ধারে আট দিন যাবত অবস্থান করেছি, একটি বিশাল সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে, যারা একটি বিস্তৃত স্থান দখল করেছিল।
بِكُلِّ كُمَيْتٍ جَوْزُهُ نِصْفُ خَلْقِهِ ... وَقُبٍّ طُوَّالٍ مُشْرِفَاتِ الْحَوَارِكِ
আমরা অবস্থান করেছি এমনসব ঘোড়া নিয়ে, যাদের পেটের দেহের অর্ধেক। তাদের দেহ সুদীর্ঘ, কোমর সরু এবং কাঁধ উঁচু।
تَرَى الْعَرْفَجَ الْعَامِيَّ تَذْرِي أُصُولَهُ ... مَنَاسِمُ أَخْفَافِ الْمَطِيِّ الرَّوَاتِكَ
 আপনি যদি এখানকার এক বছর বয়সের উরফুজ ঘাসের প্রতি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন, আমাদের দুরন্ত উটের খুরের আঘাতে এগুলোর শিকড় উপড়ে রয়েছে।
 فَإِنْ نَلْقَ فِي تَطْوَافِنَا وَالْتِمَاسِنَا ... فُرَاتَ بْنَ حَيَّانٍ يَكُنْ رَهْنَ هَالِكِ
আমাদের এই টহল ও অনুসন্ধানে যদি আমরা ফুরাত ইবনে হাইয়ানের সাক্ষাৎ পাই তা হলে তাকে মৃতদের কাছে বন্ধক রাখবো ।
 وَإِنْ تَلْقَ قَيْسَ بْنَ امْرِئِ الْقَيْسِ بَعْدَهُ ... يُزَدْ فِي سَوَادٍ لَوْنُهُ لَوْنُ حَالِكِ
 তারপর যদি আমরা কাইস ইবনে ইমরাউল কাইসকে বাগে পাই, তবে তার গায়ের কালো রং আরো ঘোর কালো হয়ে যাবে।
 فَأَبْلِغْ أَبَا سُفْيَانَ عَنِّي رِسَالَةً ... فَإِنَّكَ مِنْ غُرِّ الرِّجَالِ الصَّعَالِكِ
সুতরাং হে ও পথের যাত্রী। তুমি হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আমার এ বার্তাটি পৌঁছে দিও যে, তুমিতো সাদা চামড়ার একটা কাঙ্গাল মাত্র। (দালায়িলূন নুবুওওয়াহ, উমদাতুল ক্বরী, সীরাতুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি, মাগাযিউল ওয়াক্বিদী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলূক)

0 Comments: