পিডিএফ লিংক- https://drive.google.com/open?id=1umo8c6MnYMfK07E3v5CvZ7RMmdfA3FIF
৪র্থ হিজরী ৫ই
শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
দিবস:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র ইলম মুবারক চর্চার আনুষ্ঠানিকতা: সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কর্তৃক পূর্ব মনোনীত। যাবতীয় নাজ নিয়ামত উনার সংস্পর্শ
মুবারকে ধন্য হয়েছে। সঙ্গতকারণে তিনি যাবতীয় ইলমসহই যমীনে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ
করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তথাপি বিষয়টি উম্মাহকে শিক্ষা দিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইলম
চর্চা মুবারক করেছেন। যার বহু প্রমাণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক
হয়েছে। যেমন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, একদা
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা দু'খানা কাগজে কিছু
বিষয় লিপিবদ্ধ করলেন। অতঃপর উনারা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত
যাহরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট অধিক সুন্দর লিখা নির্ধারণের আরজি মুবারক জানালেন।
সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন যে, আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিবেন আপনাদের পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত
কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি। আপনারা উনার নিকট গমন করুন। তখন উনারা
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার নিকট গমন করলেন এবং
সেই একই বিষয়ে আরজি জানালেন। সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস
সালাম তিনি বললেন যে, আপনাদের কার
লেখা বেশি সুন্দর তা নির্ধারণ করবেন আপনাদের নানাজান তিনি। উনারা তখন নানাজান নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গিয়ে
উনাদের আরজি মুবারক পুনরাবৃত্তি করলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একখানা আপেল মুবারক নিয়ে বললেন, এই আপেলখানা উপর থেকে নিক্ষেপ করা হবে। ইহা যাঁর লিখা
মুবারক উনার উপর পতিত হবে উনার লিখা মুবারক অতি সুন্দর বলে নির্ধারিত হবে। অতঃপর
সম্মানিত হাতের লিখা মুবারক উনার কাগজ মুবারক দু’টির উপরে আপেলটি নিক্ষপ করা হলো।
সাথে সাথে কুদরত মুবারক জাহির হলো। আপেল ফলটি দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে মুবারক কাগজ
দু’টির উপর পড়ে গেল। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের লেখা মুবারক অতিসুন্দর
বলে প্রমাণিত হলো। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মূলত, বর্ণিত ওয়াকিয়া মুবারক দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি স্বীয় পিতা-মাতা আলাইহিমাস
সালাম উনাদের এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম
উনার নিকট ইলম মুবারক চর্চার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭২)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার মেহমান:
পবিত্র বিদায় হজ্জ হতে ফিরে এসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি মারীদ্বী শান মুবারক গ্রহণ করেন। আর এই শান মুবারক দীর্ঘদিন
পর্যন্ত জাহির করে পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মারীদ্বী
শান মান মুবারক গ্রহণ করেন। সকাল বেলা মহাসম্মানিত গোসল মুবারক করেন। হযরত
উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনাদের নিকট সংবাদ পাঠান এবং দীদার মুবারক হাদিয়া করেন। এ দিনটি
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ নামে মুসলিম জাহানে মশহুর। সুবহানাল্লাহ!
এই মুবারক দিনে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী
মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা
আপন নানাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ দাওয়াত ও দীদার মুবারক
লাভ করেন। এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি উনাদেরকে নিজ নূরুল মাগফিরাহ তথা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাত মুবারকে
খাইয়ে দেন। পরম স্নেহ-মমতায় অজস্রবার আন নূরুল আযহার তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
কোল মুবারকে তুলে নেন। বারবার বুছা মুবারক প্রদান করেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭৩)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
আনুষ্ঠানিকভাবে
হাবীবী নিয়ামত মুবারক লাভ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘মালিকে আনআম’ হিসেবেই পবিত্র
বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তথাপি উনার বেমেছাল শান মুবারক জানিয়ে দেয়ার জন্য
মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশেষ বিশেষ ওয়াকিয়া মুবারক সংঘটিত করেছেন। যা দ্বারা কেবল
আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। তেমনিভাবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হাবীবী নিয়ামত মুবারক
লাভ করেন।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ فَاطِمَةَ
بِنْتِ رَسُولِ
اللهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ، أَنَّهَا
أَتَتْ بِالْحَسَنِ
عَلَيْهِ السَّلَامُ
وَالْحُسَيْنِ عَلَيْهِ
السَّلَامُ أَبَاهَا
رَسُولَ اللهِ
صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
فِي شَكْوَتِهِ
الَّتِي مَاتَ
فِيهَا، فَقَالَتْ
تُوَرِّثُهُمَا يَا
رَسُولَ اللهِ
صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
شَيْئًا ؟
فَقَالَ أَمَّا
حَضْرَتْ الْحَسَنُ
عَلَيْهِ السَّلَامُ
فَلَهُ هَيْبَتِي
وَسُؤْدُدِي، وَأَمَّا
حَضْرَتْ الْحُسَيْن
عَلَيْهِ السَّلَامُ
فَلَهُ جُرْأَتِي
وَجُودِي.
অর্থ: “সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ
সাইয়্যিদাতুনা আন্ নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে ইরশাদ মুবারক
হয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বিদায়ী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বে উনার নিকট সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত
যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ
ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে
আসলেন এবং বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদেরকে বিশেষ হাদিয়া
মুবারক প্রদান করুন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার জন্য আমার প্রভাব প্রতিপত্তি ও ইমামত মুবারক। আর সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার জন্য আমার বীরত্ব ও দানশীলতা মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (তাবরানী শরীফ, মা’রিফাতুছ ছাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, কানযুল উম্মাল)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭৪)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ
মুবারক হয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন
আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য আমার দৃঢ়তা ও
ইমামত মুবারক। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য আমার শক্তি ও দানশীলতা মুবারক।
সুবহানাল্লাহ! (তাবরানী শরীফ)
মহাসম্মানিত নানাজান তিনি সুমহান পবিত্র বিছালী
শান মুবারক প্রকাশ করার পরবর্তী সময়: নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ
সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ছয় (৬) মাস দুনিয়ার
যমীনে অবস্থান মুবারক করেন। এ সময়ে হাবীবী বিরহে তিনি বিভোর হয়ে সময় অতিবাহিত
করেন। সর্বদা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকট অবস্থান করতেন। আর সেই
সময়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি পিতা ও বড় ভাই উনাদের সাথে
একত্রিত হয়ে উনার আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেন। যদিও
তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে তখন মাত্র সাড়ে ছয় বৎসরের বালক। সুবহানাল্লাহ!
অপরদিকে সেই সময়ে সাইয়্যিদাতুন নিসা আন নূরুর
রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে
দেখে দেখে চক্ষু মুবারক শীতল করতেন। হাবীবী বিরহের যন্ত্রণা লাঘবের প্রচেষ্টা
চালাতেন। কারণ উনারা ছিলেন পুরোপুরিভাবে নকশায়ে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭৫)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
প্রথম খলীফা উনার খিলাফতকালে: আফদ্বালুন নাস
বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালের
প্রথম ছয় মাস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি
আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন্ নূরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার
খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়ার কারণে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন। যার কারণে
খলীফার প্রতি মনোনিবেশ করার ফুরসত উনারা পাননি। অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা আন্ নূরুর
রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিসহ সম্মানিত খলীফা উনার
বাইয়াত মুবারক গ্রহণ করেন এবং খিলাফত উনার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সুবহানাল্লাহ!
দ্বিতীয়
খলীফা উনার খিলাফত মুবারককালে: আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত
মুবারককালে হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বাহ উনাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। যদিও উনার দুনিয়াবী বয়স
মুবারক অল্প ছিলো। উনার পৃষ্ঠপোষকতা মুবারকে রঈসুল মুফাসসিরিন হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ অনেক মশহুর ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠেন। আর এই সময়ে
স্বয়ং খলীফা উনাকে গোলামীয়ত প্রদানের ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭৬)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
তৃতীয়
খলীফা উনার খিলাফত মুবারককালে: আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস
সালাম তিনি খিলাফত উনার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্ব পরিচালনার পাশাপাশি
দরস-তাদরীস মুবারকের ব্যাপক আঞ্জাম দেন। এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম উনার প্রতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
বর্ণিত আছে, সেই সময়ে তিনি স্বয়ং নিজে খলীফা
উনার পবিত্র হুজরা শরীফ উনার নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্তে টানা কয়েক দিন অবস্থান
মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র
শাদী মুবারক: ঐতিহাসিকগণের বর্ণনা অনুযায়ী, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার দু’জন বা তিনজন আহলিয়া আলাইহিমাস সালাম ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قُل
لَّا أَسْأَلُكُمْ
عَلَيْهِ أَجْرًا
إِلَّا الْمَوَدَّةَ
فِي الْقُرْبَى
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের
নিকট নুবুওওয়াত মুবারক উনার দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন
তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।”
সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭৭)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
উক্ত
পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর “তাফসীরে মাযহারী শরীফ” ৮ম
জিলদ ৩২০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে,
لَا
اَسْئَلُكُمْ اَجْرًا
اِلَّا اَنْ
تُوَدُّوْا اَقْرَبَائِىْ
وَاَهْلَ بَيْتِـىْ
وَعِتْرَتِىْ.
অর্থ: “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাইনা তবে
তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, হযরত আহলে বাইত
শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আমার বংশধর উনাদের (যথাযথ সম্মান মুবারক প্রদর্শন পূর্বক)
হক্ব আদায় করবে।” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফযীলত সম্পর্কে বহু পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।
তন্মধ্যে কতিপয় পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করা হলো,
عَنْ
أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ
حَضْرَتْ الصديقة
عَلَيْهَا السَّلَامُ
قَالَتْ خَرَجَ
النَّبِـىُّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ غَدَاةً
وَعَلَيْهِ مِرْطٌ
مُّرَحَّلٌ مِّنْ
شَعْرٍ اَسْوَدَ
فَجَاءَ الامام
الْـحَسَنُ بْنُ
عَلِىٍّ فَاَدْخَلَه
ثُـمَّ جَاءَ
الْامام الـحسين
عَلَيْهِ السَّلَامُ
فَدَخَلَ مَعَه
ثُـمَّ جَاءَتْ
حَضْرَتْ فَاطِمَةُ
عَلَيْهَا السَّلَامُ
فَاَدْخَلَهَا ثُـمَّ
جَاءَ حَضْرَتْ
عَلِىٌّ عَلَيْهِ
السَّلَامُ فَاَدْخَلَه
ثُـمَّ قَالَ
اِنَّـمَا يُرِيْدُ
اللهُ لِيُذْهِبَ
عَنْكُمُ الرِّجْسَ
اَهْلَ الْبَيْتِ
وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًا.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা
আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ভোরবেলা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একখানা কালো বর্ণের পশমী নকশাকৃত
কম্বল নুরুল মুজাসসাম তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীর মুবারকে দিয়ে বের হলেন।
এমন সময় সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে আসলেন, তিনি উনাকে
মহাসম্মানিত কম্বল মুবারকের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
আসলেন,
উনাকেও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার
সহিত প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সায়্যিদাতুনা আন নুরুর
রবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আসলেন উনাকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নিলেন।
তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন, উনাকেও উনার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই পবিত্র আয়াত শরীফখানা
তিলওয়াত মুবারক করলেন, ‘হে আমার হযরত
আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে সকল প্রকার
অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখে পবিত্র করার মত পবিত্র করবেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক
তিনি আপনাদেরকে পুতঃপবিত্র হিসাবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!” (মুসলিম
শরীফ,
মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭৮)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
حَضْرَتْ سَعْدِ
بْنِ اَبِىْ
وَقَّاصٍ رَضِىَ
اللهُ تَعَالَـى
عَنْهُ قَالَ
لَمَّا نَزَلَتْ
هٰذِهِ الْاٰيَةُ
فَقُلْ تَعَالَوْا
نَدْعُ اَبْنَاءَنَا
وَاَبْنَاءَكُمْ دَعَا
رَسُوْلُ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَضْرَتْ عَلِيًّا
عَلَيْهِ السَّلَامُ
حَضْرَتْ فَاطِمَةَ
عَلَيْهَا السَّلَامُ
حَضْرَتْ حَسَنًا
عَلَيْهِ السَّلَامُ
حَضْرَتْ حُسَيْنًا
عَلَيْهِ السَّلَامُ
فَقَالَ اَللّٰهُمَّ
هٰؤُلَاءِ اَهْلُ
بَيْتِـىْ.
অর্থ: “হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাছ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন نَدْعُ اَبْنَاءَنَا
وَ اَبْنَائَكُمْ
الاية- (আজ আমরা আহবান করি আমাদের সন্তানগণকে ও তোমাদের সন্তানগণকে)
পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হলো, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবি’য়াহ হযরত যাহরা
আলাইহাস সালাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদেরকে ডাকলেন এবং বললেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! এরা সকলে আমার আহলে বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ)
عَنِ
حَضْرَتْ الْمِسْوَرِ
بْنِ مَـخْرَمَةَ
رَضِىَ اللهُ
تعالى عَنْهُ
اَنَّ رَسُوْلَ
اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ
حَضْرَتْ فَاطِمَةُ
عَلَيْهَا السَّلَامُ
بِضْعَةٌ مِّنِّـىْ
فَمَنْ اَغْضَبَهَا
اَغْضَبَنِـىْ. وفى
رواية يُرِيبُنِى
مَا أَرَابَهَا
وَيُؤْذِينِى مَا
آذَاهَا.
অর্থ: “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদাতু
নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ
সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর রবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার (নূর
মুবারকেরই) একটি টুকরা মুবারক। যে উনাকে রাগান্বিত করবেন, সে আমাকেই রাগান্বিত করলেন। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, আমাকে সেই বস্তু পেরেশানী করে যেই বস্তু উনাকে পেরেশানীতে
ফেলে এবং সেই জিনিসই আমাকে কষ্ট দেয়, যা উনাকে কষ্ট দেয়।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৭৯)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ
ام المؤمن
حَضْرَتْ عَائِشَةَ
عَلَيْهَا السَّلَامُ
قَالَتْ كُنَّا
اَزْوَاجَ النَّبِـىِّ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
عِنْدَه فَاَقْبَلَتْ
فَاطِمَةُ عَلَيْهَا
السَّلَامُ مَا
تَـخْفٰى مِشْيَتُهَا
مِنْ مِّشْيَةِ
رَسُوْلِ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
فَلَمَّا رَاٰهَا
قَالَ مَرْحَبًا
بِاِبْنَتِـىْ ثُـمَّ
اَجْلَسَهَا ثُـمَّ
سَارَّهَا فَبَكَتْ
بُكَاءً شَدِيْدًا
فَلَمَّا رَاٰى
حُزْنَـهَا سَارَّهَا
الثَّانِيَةَ فَاِذَا
هِىَ تَضْحَكُ
فَلَمَّا قَامَ
رَسُوْلُ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
سَأَلْتُهَا عَمَّا
سَارَّكِ قَالَتْ
مَا كُنْتُ
لِاُفْشِىَ عَلٰى
رَسُوْلِ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
سِرَّه فَلَمَّا
تُوُفِّـىَ قُلْتُ
عَزَمْتُ عَلَيْكِ
بِـمَالِـىْ عَلَيْكِ
مِنَ الْـحَقِّ
لَمَّا اَخْبَرْتِيْنِـىْ
قَالَتْ اَمَّا
الْاٰنَ فَنَعَمْ
اَمَّا حِيْنَ
سَارَّنِـىْ فِـى
الْاَمْرِ الْاَوَّلِ
فَاِنَّه اَخْبَرَنِـىْ
اَنَّ حَضْرَتْ
جِبْرٰئِيْلَ عَلَيْهِ
السَّلَامُ كَانَ
يُعَارِضُنِـىَ الْقُرْاٰنَ
كُلَّ سَنَةٍ
مَّرَّةً وَ
اِنَّه عَارَضَنِـىْ
بِهِ الْعَامَ
مَرَّتَيْنِ وَلَا
اُرَى الْاَجَلَ
اِلَّا قَدِ
اقْتَرَبَ فَاتَّقِى
اللهَ وَاصْبِرِىْ
فَاِنِّـىْ نِعْمَ
السَّلَفُ اَنَا
لَكِ فَبَكَيْتُ
فَلَمَّا رَاٰى
جَزْعِىْ سَارَّنِـىْ
الثَّانِيَةَ قَالَ
يَا حَضْرَتْ
فَاطِمَةُ عَلَيْهَا
السَّلَامُ اَلَا
تَرْضَيْنَ اَنْ
تَكُوْنِـىْ سَيِّدَةَ
نِسَاءِ اَهْلِ
الْـجَنَّةِ اَوْ
نِسَاءِ الْمُؤْمِنِيْنَ
وَ فِـىْ
رِوَايَةٍ فَسَارَّنِـىْ
فَاَخْبَرَنِـىْ اَنَّه
يُقْبَضُ فِـىْ
وَجْعِه فَبكَيْتُ
ثُـمَّ سَارَّنِـىْ
فَاَخْبَرَنِـىْ اَنِّـىْ
اَوَّلُ اَهْلِ
بِيْتِه اَتْبَعُه
فَضَحِكْتُ -
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযওয়াজুম মুত্বহহারাহ তথা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উনার নিকটে বসা ছিলেন।
এমন সময় সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর রবি’য়া হযরত যাহরা
আলাইহাস সালাম তিনি আসলেন। উনার চলার ভঙ্গি মুবারক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
চলার ভঙ্গি মুবারক উনার সহিত স্পষ্ট মিল ছিল। যখন তিনি উনাকে দেখলেন, তখন বললেন, হে আমার কন্যা!
আপনার আগমন মুবারক হোক। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজের কাছে
বসালেন,
অতপর চুপে চুপে উনাকে কিছু বললেন। এতে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল
আলামিন,
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর
রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি খুব কাঁদতে লাগলেন। অতঃপর যখন উনার অস্থিরতা
দেখলেন,
তখন তিনি পুনরায় উনার কানে চুপে চুপে কিছু বললেন। এবার তিনি
হাসতে লাগলেন। (উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস
সালাম তিনি বলেন,) অতঃপর নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
যখন সেখান থেকে উঠে গেলেন, তখন আমি
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম
উনাকে জিজ্ঞাসা মুবারক করলাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
চুপি চুপি আপনার সাথে কি কথা বলেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, আমি নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
গোপনীয়তা মুবারক ফাঁস করতে চাই না। (উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদুনা হযরত
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বেছালী শান মুবারক প্রকাশ
উনার পর আমি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর রবি’য়াহ হযরত যাহরা
আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন, আপনার উপর আমার
যে অধিকার মুবারক রয়েছে, তার প্রেক্ষিতে
আমি আপনাকে ক্বসম দিয়ে বলছি যে, সেই রহস্য
মুবারক সম্পর্কে আপনি আমাকে জরুরত আন্দাজ অবহিত করুন। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর
রবি’য়া হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, এখন সেই কথাটি প্রকাশ করতে কোন আপত্তি নেই। প্রথমবার যখন তিনি চুপি চুপি আমাকে
কিছু কথা মুবারক বললেন, তখন তিনি আমাকে
বলেছিলেন,
হযরত জিব্রাইল আলাইহিস্ সালাম তিনি প্রতি বছর (পবিত্র মাহে
রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে) একবার পবিত্র কুরআন শরীফ আমার সাথে দাওর করতেন, কিন্তু এ বৎসর তিনি তা দু’বার
দাওর করেছেন। এতে স্পষ্ট হলো যে, আমার বিদায়ের
সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে। সুতরাং, হে সাইয়্যিদাতু
নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ
সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর রবি’য়াহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম! মহান আল্লাহ
পাক উনাকে ভয় করেন এবং ধৈর্যধারণ করেন। আমি আপনার জন্য উত্তম অগ্রযাত্রী। এ কথা
মুবারক শুনে আমি কাঁদতে লাগলাম। অতঃপর যখন তিনি আমার অস্থিরতা দেখতে পেলেন, তখন দ্বিতীয়বার আমাকে চুপি চুপি বললেন, হে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামিন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা আন নুরুর
রবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম! আপনি কি এতে সন্তুষ্ট মুবারক নন যে, আপনি হবেন পবিত্র ও সম্মানিত বেহেশ্ত উনার নারীকুলের
সাইয়্যিদা অথবা বলেছেন, পবিত্র ও
সম্মানিত ঈমানদার মহিলা সম্প্রদায়ের সাইয়্যিদা।
অপর এক
রেওয়ায়েত উনার মধ্যে আছে, তিনি চুপি চুপি
আমাকে এই খবর মুবারকটি দিয়েছেন যে, ঐ অসুখেই তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবেন। তখন আমি কাঁদতে লাগলাম।
তারপর (দ্বিতীয়বার) তিনি চুপি চুপি আমাকে এই খবর মুবারকটি দিলেন যে, উনার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে আমিই
সর্বপ্রথম উনার পশ্চাদগামী হব। তখন আমি হেসে ফেললাম। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি শাহিদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম, মহাসম্মানিত রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জীবনী মুবারক (১৭৮০)
৪র্থ
হিজরী ৫ই শা’বান শরীফ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ দিবস:
عَنْ
حَضْرَتْ زَيْدِ
بْنِ اَرْقَمَ
رَضِىَ اللهُ
تعالى عنه
قَالَ قَامَ
رَسُوْلُ اللهِ
صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
يَوْمًا فِيْنَا
خَطِيْبًا بِـمَاءٍ
يُّدْعٰى خُمًّا
بَيْنَ مَكَّةَ
وَ الْمَدِيْنَةِ
فَحَمِدَ اللهَ
وَاَثْنٰـى عَلَيْهِ
وَ وَعَظَ
وَذَكَّرَ ثُـمَّ
قَالَ اَمَّا
بَعْدُ اَلَا
اَيُّهَا النَّاسُ
اِنَّـمَا اَنَا
بَشَرٌ يُوْشِكُ
اَنْ يَّاْتِيَنِىْ
رَسُوْلُ رَبِّـىْ
فَاُجِيْبُ وَ
اَنَا تَارِكٌ
فِيْكُمُ الثَّقَلَيْنِ
اَوَّلُـهُمَا كِتَابُ
اللهِ فِيْهِ
الْـهُدٰى وَالنُّوْرُ
فَخُذُوْا بِكِتَابِ
اللهِ وَ
اسْتَمْسِكُوْا بِه
فَحَثَّ عَلٰى
كِتَابِ اللهِ
وَرَغَّبَ فِيْهِ
ثُـمَّ قَالَ
وَ اَهْلُ
بَيْتِـىْ اُذَكِّرُكُمُ
اللهَ فِـىْ
اَهْلِ بَيْتِـىْ
اُذَكِّرُكُمُ اللهَ
فِـىْ اَهْلِ
بَيْتِـىْ.
অর্থ: “হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একবার নূরে
মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যবর্তী “খোম” নামক পানির নালার
নিকট দাঁড়িয়ে আমাদেরকে খুৎবা মুবারক দান
করলেন। প্রথমে মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র হামদ শরীফ ও পবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক
বর্ণনা করলেন, এরপর ওয়াজ শরীফ ও নছীহত মুবারক
করলেন,
অতঃপর বললেন, সাবধান! হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমি একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অচিরেই আমার
নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার দূত (হযরত মালাকুল মউত আলাইহিস্ সালাম) আসবেন, তখন আমি আমার রব তায়ালার আহবানে সাড়া দিব। আমি আপনাদের মাঝে
দু’টি মূল্যবান নিয়ামত রেখে যাচ্ছি। তন্মধ্যে প্রথমটি হলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব মুবারক, উনার মধ্যে রয়েছেন হিদায়েত ও নূর মুবারক। অতএব, আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব মুবারক উনাকে খুব
মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরুন এবং দৃঢ়তার সাথে তার বিধি-বিধান মুবারক মেনে চলুন।
(বর্ণনাকারী বলেন,) মহান আল্লাহ পাক
উনার পবিত্র কিতাব মুবারক উনার নিদের্শনাবলী কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য তিনি খুব
বেশি উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করলেন। অতঃপর
বললেন,
আর দ্বিতীয়টি হলেন; আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা।
সুবহানাল্লাহ! সতর্ক হউন এবং সাবধান হউন! আমি আপনাদেরকে আমার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক
উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত মুবারক করছি। আমি আপনাদেরকে আমার মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক
উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত মুবারক করছি।” সতর্ক হউন ও সাবধান হউন সুবহানাল্লাহ!
(মুসলিম শরীফ)
0 Comments:
Post a Comment