সুওয়াল - কোন এক ব্যক্তির
সাথে আলোচনা কালে সে এক পর্যায়ে বললো- ইসলামী দলগুলির কারণে বাংলাদেশে ইসলাম টিকে
রয়েছে? ইহা কতটুকা শরীয়ত সম্মত? দলীলসহ জানতে চাই।
জাওয়াব - উপরোক্ত বক্তব্য
শুদ্ধ হয়নি। কারণ দ্বীন ইসলাম টিকানোর মালিক কোন ব্যক্তি, দল, সম্প্রদায়, সমাজ এবং
রাষ্ট্র কেহই নয় বা কাউকে জিম্মাদারীও দেয়া হয়নি। মহান আল্লাহ পাক তিনিই দ্বীন
টিকাবেন, তবে মানুষের মাধ্যমে। কারণ মানুষের জন্য ইসলাম দেয়া হয়েছে। কাজেই একথা বলা
কারো জন্য শুদ্ধ হবে না যে,
আমরা দ্বীন টিকিয়ে রেখেছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
انا نحن نزلنا الذكر وانا له لحافظون.
অর্থঃ “আমি
কুরআন শরীফ নাযিল করেছি এবং আমিই ইহার হিফাযতকারী।”
তদ্রূপ ইসলাম মহান আল্লাহ্ পাক তিনি দিয়েছেন এবং মহান আল্লাহ
পাক তিনিই ইহার হিফাজতকারী। কারণ বর্তমানে ইসলামী দলগুলি যে পদ্ধতিতে অর্থাৎ
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে আন্দোলন করছে, তা শরীয়ত সম্মত নয়। কারণ মহান
আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
ان الدين عند الله الاسلام.
অর্থঃ- “মহান
আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র দ্বীন হলো- ইসলাম।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো বলেন,
ومن يبتغى غير الاسلام دينا فلن يقبل منه وهو فى الاخرة من ال خاسرين.
অর্থঃ- “যে ইসলাম
ছাড়া অন্য কোন ধর্ম বা নিয়ম-নীতি তালাশ (আমল বা পালন) করে, তার থেকে
সেটা গ্রহণ করা হবেনা বরং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।”
মূলতঃ গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে আন্দোলন শরীয়ত সম্মত নয়। শরীয়ত
সম্মত আন্দোলন হচ্ছে ‘খিলাফত আলা মিন হাযিন্নুবুওওয়াত’ অর্থাৎ নুবুওওয়াতের দৃষ্টিতে
খিলাফত কায়েম করার জন্য কোশেশ বা চেষ্টা করা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন,
تعا ونوا على البرو التقوى ولا تعاونوا على الاثم والعدوان.
অর্থঃ- “তোমরা
নেকী ও পরহেযগারীর মধ্যে সাহায্য কর। পাপ এবং শত্রুতার (খোদাদ্রোহীতার) মধ্যে
সাহায্য করোনা।”
অর্থাৎ যে সমস্ত কাজ দ্বীনি খিদমতের আঞ্জাম দেয়, সে সমস্ত
কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। আর যে সমস্ত কাজ দ্বীনের ক্ষতি সাধন করে, সে সমস্ত
কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করা যাবেনা।
অতএব,
গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে আন্দোলন করে দ্বীন হিফাজত তো দূরের
কথা বরং ফিকির (চিন্তা) করলে দেখা যাবে- অতি সুক্ষ্মভাবে মুসলমানদের মধ্যে ইসলামের
নামে বেদ্বীনি, বদ্দ্বীনি, কুফরী, গোমরাহী ইত্যাদি মতবাদ বা আক্বীদা প্রবেশ করানো হচ্ছে।
0 Comments:
Post a Comment