নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৩টি মহাসম্মানিত শান মর্যাদা উনার তালিকা মুবারক-

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৩টি মহাসম্মানিত শান মর্যাদা উনার তালিকা মুবারক- 

1.  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুল-কায়িনাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি, সৃষ্টির সূচনা ও সৃষ্টির মূল

2.  উনাকে লাভ করার কারণে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করতে সরাসরি নির্দেশ

3.  তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব

4.  তিনি রহমতুল্লিল আলামীন

5.  তিনি উসওয়াতুন হাসানাহ অর্থাৎ সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক

6.  তিনি ক্বছীম অর্থাৎ সমস্ত কিছু বন্টনকারী

7.  মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে দরূদ শরীফ পাঠ করেন।

8.  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নুর মুবারক: নুরময় সিরাজ

9.  নূর মুবারক কুদরত মুবারকে অবস্হান- বেনিয়াজ

10.  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “শাহিদ”

11.  নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাযির-নাযীর

12.  ইশারা মুবারকে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হওয়া

13.  মাকামে মাহমুদা- প্রশংসার ঝান্ডা 

14.  শাফায়াতে কুবরা: আযানের দোয়াতে দরূদ শরীফ পাঠ, শাফায়াত ওয়াজীব

15.  মু’ত্বালা আলাল গইব- সমস্ত গায়েবের ব্যাপারে ক্ষমতাবান

16.   হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

17.   সকলের কালিমা শরীফ

18.   সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ‘উম্মত’ হওয়ার জন্য দোয়া করেছেন

19.  ১বার চুম্বন ২০০ বছরের গুনাহখতা ক্ষমা

20.  ১বার দর্শন- জাহান্নামের আগুন হারাম

21.  ১ দিরহাম খরচ- উনার সাথে জান্নাতে অবস্থান

22.   উনার শানে ১ দিরহাম খরচ করলে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার চেয়ে অধিক ফযীলত মুবারক লাভ

23.   পবিত্র নালাইন শরীফ উনার ধুলা-বালির স্পর্শ মুবারকে আরশে আযীম সম্মানীত, মর্যাদাবান এবং অন্যদের মধ্যে ফখর করেন

24.   সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইলম হাদিয়া করা হয়েছে

25.   রোব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, অর্থাৎ মহাসম্মানীত নাম মুবারক শুনলেই কাফির মুশরিকরা দূর থেকে ভয়ে কাঁপতে থাকে।

26.   গণীমতের মাল হালাল করা হয়েছে

27.   সমস্ত জমীনকে মসজিদ তথা নামাযের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে

28.   সমস্ত কায়িনাতের জন্য রসূল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে

29.   নবী-রসূল আগমনের ধারাকে বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনিই শেষ নবী ও রসূল

30.   সর্বপ্রথম রওযা শরীফ হতে উঠবেন

31.   কঠিন সময়ে তিনিই সবার সুপারিশকারী

32.   ক্বিয়ামতের দিন প্রশংসার পতাকা মুবারক উনার নুরুল মাগফিরাত মুবারকে থাকবে আর সে পতাকার নিচে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি সহ অন্যান্য সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান করবেন

33.  তিনিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজায় খটখটি দিবেন, স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি জান্নাতের দরজা খুলে দিবেন এবং উনাকে  প্রবেশ করাবেন

34.   সমস্ত মর্যাদা ও কল্যাণের চাবিসমূহ কেবলমাত্র উনার হাত মুবারকেই

35.   পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চেয়ে সম্মানিত

36.   পুনরুত্থান দিবসে হাজার-হাজার খাদিম উনার চতুর্পাশ্বে ঘোরাফেরা করবে, যেন তারা সুরক্ষিত ডিম কিংবা বিক্ষিপ্ত মুক্তা

37.   মহাসম্মানীত আলোচনা মুবারক তথা মর্যাদা-মর্তবা উনাকে বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করা হয়েছে

38.   হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্মরণ করা মানেই মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করা

39.  আরশে মুয়াল্লার খুঁটিতে, কক্ষে, প্রসাধে, বৃক্ষের পাতায় পাতায়, হুর বক্ষে, ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম কপালে, তুবা বৃক্ষে, সিদরাতুল-মুনাতাহা সমস্ত পর্দায় নাম মুবারক লিপিবদ্ধ রয়েছে

40.   উনার সামনে উঁচু স্বরে কথা বলা যাবে না

41.   উনার আগে আগে হাটা নিষেধ

42.   পবিত্র বিলাদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশের ফলাফল চিরস্থায়ী: আবু লাহাবের ঘটনা

43.   হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী ব্যতীত নিজের থেকে কোন কথা বলেননা

44.  পবিত্র মীরাজ শরীফ তথা পবিত্র দীদার মুবারকে গমন

45.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূত:পবিত্র জিসীম মুবারক উনার সাথে যে মাটি স্পর্শ করে আছে তা আসমান-যমীন, আরশ-কুরসী, লওহো, কলম তথা সকল কিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ

46.   উনার সম্মানীত নাম মুবারক অনুযাযী যাদের নাম রাখা হবে তাদের কাউকেই দোযখে শাস্তি দেয়া হবে না।

47.   উনার দ্বারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের ধারাকে বন্ধ করা হয়েছে

48.   যখন হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি রূহ ও শরীর মুবারক-এ ছিলেন, তখন থেকেই তিনি নবী

49.   মহান আল্লাহ পাক হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যদি সৃষ্টি না করতেন তাহলে উনার রুবুবয়িতই প্রকাশ করতেন না

50.   উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করা হলে আসমান-জমীন, বেহেশত-দোযখ অর্থাৎ কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না

51.   উনার নূর মুবারক থেকেই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে

52.   “খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটি মুহূর্ত বা সময় এমনভাবে অতিবাহিত হয়, যেখানে কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও কোনো নৈকট্যশীল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও স্থান নেই।”

53.   উনার শানে দরূদ শরীফ পাঠে করলে- চার জন প্রধান হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা যথাক্রমে- নিজ হাতে তাকে “পুলছিরাত” পার, হাশরের ময়দানে হাওজে কাওছারের পানি পান, হাশরের ময়দানে সেজদায় পরে তাঁর সমস্ত গুণাহ্-খাতা ক্ষমা করিয়ে দেয়া এবং হযরত নবী-রাসূল আলাহিমুস সালামগণ উনাদের অনুরূপ রূহ মুবারক কবয

54.   ফরযগুলিকে সুন্নত মুবারক দ্বারা আচ্ছাদিত ও সৌন্দর্যমন্তিত করা হয়েছে। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ছাড়া কেউ কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক পর্যন্ত পৌছুতে পারবেনা

55.   দরূদ শরীফ না পড়ার কারণে ফেরাশতা উনার পরিণতি

56.   নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উছীলায়ি সাহায্য পার্থনা সাথে সাথে কবুল

57.   পবিত্র মীলাদ শরীফ উপলক্ষে মানুষকে খাদ্য খাওয়ালে শাফায়াত ওয়জীব

58.   তিনি সেই সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাঁকে আপনি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি আপনার বিপদ দূর করেন; দুর্ভিক্ষের সময়ে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন; ঘাস-পানিহীন মরু প্রান্তরে আপনার সওয়ারী হারিয়ে গেলে উনাকে ডাকলে তিনি আপনার নিকট তা ফিরিয়ে দেন।

59.   হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি চলাচলের সময় মেঘ ছাঁয়া দিতো

60.   গাছ-পালা উনাকে সিজদা করতো

61.   মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি

62.  হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ‘মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ দায়েমীভাবে পালন করেছেন

63.  সকল হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা সারা জীবন ‘পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পালন করেছেন।

64.   ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার জন্য মাত্র এক মুহূর্ত সময় ব্যয় করা সকলের জিন্দিগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম ইবাদত

65.   নূর মুবারক হিসেবে পবিত্র রেহেম শরীফ-এ অবস্থান করলে হযরত উম্মু রসূলীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোন প্রকার ব্যাথা বা অন্য কিছু অনুভব করেননি

66.   বিলাদতী নূরে হযরত উম্মু রসূলীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাম দেশের প্রাসাদ সমূহ দেখেছেন

67.   স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকের সাথে যুক্ত

68.  মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি নাম মুবারক ধরে ডাকেননি

69.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সামনে ও পিছনে সবদিকে সমান দেখেন

70.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা কিছু দেখেন ও শুনেন অন্যরা কেউ তেমন নয়

71.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখনো হাই তুলতেন না

72.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘাম মুবারক মেশক আম্বর থেকেও সুঘ্রাণময়

73.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিল না

74.   নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক -এ মাছি-মশা বসতো না

 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৬)

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৬)

--------------------------------------------------------------------
বিশিষ্ট রেজাল ও ইতিহাসবিদ সেই সাথে ওহাবীদের প্রিয়পাত্র ইবনে তাইমিয়ার অন্যতম সাগরেদ ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে ইয়াযিদ কাফির সম্পর্কে লিখেন,
قلت: ولما فعل يزيد بأهل المدينة ما فعل، وقتل الحسين وإخوته وآله، وشرب يزيد الخمر، وارتكب أشياء منكرة، بغضه الناس، وخرج عليه غير واحد، ولم يبارك الله في عمره، فخرج عليه أبو بلال مرداس بن أدية الحنظلي
“আমি বলি (হযরত ইমাম যাহাবী) , ইয়াযিদ মদীনাবাসীর সাথে যে আচরন করেছিলো, এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও উনার পরিবারকে যেভাবে শহীদ করেছিলো, যেভাবে মদ্যপান ও নিকৃষ্ট কাজে লিপ্ত হয়েছিলো এর জন্য মানুষরা তাকে ঘৃনা করতো এবং তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলো। আল্লাহ পাক ইয়াযিদের জীবনে বরকত দেননি। হযরত আবু বিলাল মারদীসি ইবনে আদয়িয়া হানযালী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।”
(দলীল: তারিখুল ইসলাম লি ইমাম যাহাবী ৫ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা; লেখক: হাফিজুল হাদীছ ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ; প্রকাশনা : দারু কুতুব আল আরবী, বৈরুত, লেবানন)
ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এ বক্তব্য থেকে যা প্রমাণ হচ্ছে,
১) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও উনার পরিবারবর্গকে শহীদ করেছে ইয়াযিদ।
২) মদীনা শরীফের অধিবাসীদের সাথে অত্যান্ত জঘন্য আচরন করেছে ইয়াযিদ।
৩) ইয়াযিদ মদ্যপান করতো।
৪) ইয়াযিদের সকল কাজ ছিলো নিকৃষ্ট প্রকৃতির।
৫) মানুষজন তাকে ঘৃনা করতো।
৬) মানুষজন তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো
৭) আল্লাহ পাক ইয়াযিদের জীবন থেকে রহমত বরকত উঠিয়ে নিয়েছিলেন।
অথচ এই কাট্ট কাফির ও লা’নতপ্রাপ্তকে সমাজের এক শ্রেনীর কুলাঙ্গার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যেখাসে সেই যামানর মানুষরাই ইয়াযিদকে ঘৃনা ও করতো তার বিরোধীতা করতো সেখানে আজ এক শ্রেনী কাফির পয়দা হয়েছে তারা ইয়াযিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ইয়াযিদের প্রতি ও তার শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অনন্তকালের জন্য লা’নত।
 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৫)


কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৫)

---------------------------------------------------------------------
বর্তমানে নব্য ইয়াযিদী দোষররা কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদকে দায়ী করার নাকি কোন দলীলই খুঁজে পায় না। তাদের মতে এই ঘটনার জন্য উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদ একাই দায়ী।
তো আসুন আমরা দেখি এ বিষয়ে স্বয়ং উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ নিজে কি বলেছে, বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে ঘটনাটা উল্লেখ করেছেন এভাবে,
“ইয়াযিদ উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদকে পত্র লিখেছিলো, সে যেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে মক্কা শরীফে অবরোধ করার জন্য সেখানে গমন করে। কিন্তু উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদ তার আদেশ অমান্য করে এবং বলে, আল্লাহ পাকের কসম! আমি ইয়াযিদের ন্যায় এরকম ফাসিকের জন্য দুইটা মারাত্মক কাজ করতে পারবো না। একটি হলো, হযরত রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কণ্যার পুত্রকে শহীদ করা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে মহাসম্মানিত বাইতুল্লাহ শরীফের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। (বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮ম খন্ড ৩০৯ পৃষ্ঠা, বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইফা.) ৮/৪০৪)
উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদ এর এ স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণ হয়,
১) কারবালায় হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার জন্য ইয়াযিদ উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে আদেশ দিয়েছিলো। সে আদেশ অনুযায়ী ইবনে যিয়াদ এই কাজ করে।
২) কাফির ইয়াযিদ পবিত্র মক্কা শরীফেও হামলা করা জন্য তাকে আদেশ করে।
৩) ইবনে যিয়াদের মত কাট্টা কাফির ও মালউনও বুঝতে পারে ইয়াযিদ কতবড় ভয়াবহ নিকৃষ্ট কাফির। সে তাকে এমন ভয়াবহ কাজের জন্য প্ররোচিত করছে। তাই সে দ্বিতীয় কাজটি করতে অস্বীকার করে।
এখন ইয়াযিদ প্রেমিকরা তোমরাই বলো, ইয়াযিদকে সমর্থন করে তোমরা নিজেদের কি প্রমাণ করছো....... লা’নত তোদের প্রতি অনন্তকাল ধরে।
 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৪)

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৪)

---------------------------------------------------------------------
কাট্টা কাফির ইয়াযিদকে মুসলমান বানানোর জন্য বাতিল ফির্কার লোকেরা একটা হাদীছ প্রচার করে। ‘সর্বপ্রথম সিজারে শহর যারা বিজয় করবে তাদের গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ বাতিল ফির্কার বক্তব্য হচ্ছে ইয়াযিদ যেহেতু সর্বপ্রথম এই যুদ্ধে গিয়েছিলো তাই সে যত অপরাধই করুক না কেন সে ক্ষমাপ্রাপ্ত । নাউযুবিল্লাহ।
প্রথমেই আমাদের জানা প্রয়োজন যে সর্বপ্রথম রোমান নগর বিজয়ের যুদ্ধ হয় সে যুদ্ধে ইয়াযিদ উপস্থিতই ছিলো না। ইবনে আছীরের কামিল ফিত তারীখ, ইবনে খালদুনের তারীখে ইবনে খালদুন, তারীখে তাবারী, বিদায়া ওয়ান নিহায়া সহ অসংখ্য ইতিহাসের কিতাব থেকে জানা যায়, সে জিহাদ হয় ৪২ হিজরীতে। এর পর প্রায় প্রতি বছরই জিহাদ হয় কোনটাতেই ইয়াযিদ অংশগ্রহন করে নাই। যুদ্ধ শুরু হওয়ার ৭/৮ বছর পর ৪৯ বা ৫০ হিজরীতে ইয়াযিদকে এই যুদ্ধে যেতে বলা হলে সে নাটকের অবতারনা করে সেটা আপনাদের সামনে ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে ধরছি,
في هذه السنة، وقيل: سنة خمسين، سير معاوية جيشاً كثيفاً إلى بلاد الروم للغزاة وجعل عليهم سفيان بن عوف وأمر ابنه يزيد بالغزاة معهم، فتثاقل واعتل، فأمسك عنه أبوه، فأصاب الناس في غزاتهم جوعٌ ومرض شديد، فأنشأ يزيد يقول:
ما إن أبالي بما لاقت جموعهم ... بالفرقدونة من حمى ومن موم
إذا اتكأت على الأنماط مرتفقاً ... بدير مروان عندي أم كلثوم
وأم كلثوم امرأته، وهي ابنة عبد الله بن عامر.
فبلغ معاوية شعره فأقسم عليه ليلحقن بسفيان في أرض الروم ليصيبه ما أصاب الناس، فسار ومعه جمع كثير أضافهم إليه أبوه
এই বছর, অর্থাৎ, ৪৯ বা ৫০ হিজরী সালে হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু রোমের (কনস্টানটিনোপোল) উদ্দেশ্যে এক বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন। তিনি এর দায়িত্বভার অর্পণ করেন সুফিয়ান বিন আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি এবং উনার ছেলে ইয়াযীদকে ওই বাহিনীর সাথে যেতে বলেন। কিন্তু ইয়াযীদ ‘অসুস্থ হওয়ার ভান করে এবং যেতে অস্বীকৃতি জানায়’। যোদ্ধারা যখন ক্ষুধা ও রোগ-ব্যাধিগ্রস্ত হন, তখন সে ব্যঙ্গ করে কবিতায় বলে,
‘ফারকুদওয়ানা-এ মহা গযবে তারা পতিত হয়েছে; তাদের জ্বর বা অন্য যা-ই কিছু হোক, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কেননা, আমি বসে আছি উচ্চ ফরাশে , আর আমার বাহুবন্ধনে আছে উম্মে কুলসুম (ইয়াযিদের স্ত্রী)।’
”হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন এই কবিতার সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন তিনি ইয়াযীদকে শপথ গ্রহণ করতে ও কনস্টানটিনোপোলে হযরত সুফিয়ান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু সাথে যোগ দিতে বাধ্য করেন, যাতে করে ’সেও ইসলামের মোজাহিদদের মোকাবেলাকৃত কঠিন পরীক্ষার অংশীদার হতে পারে’ । এমতাবস্থায় ইয়াযীদ অসহায় হয়ে পড়ে এবং তাকে যুদ্ধে যেতে হয়; আর হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার সাথে আরেকটি বাহিনী প্রেরণ করেন।”
(দলীল: কামিল ফিত তারীখ লি ইবনে আছীর ৩/৩১৪ পৃষ্ঠা; প্রকাশনা : দারু কুতুব আল ইলমিয়া)
ইতিহাস থেকে যেটা প্রমাণ হয়,
- ইয়াযিদ প্রথম রোমন যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে নাই।
- সে যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের বিদ্রুপ তামাশা করতো।
- জিহাদে অংশগ্রহনকারীদের কষ্টেও তার কিছু যায় আসতো না।
- যুদ্ধে অংশগ্রহন করার চাইতে স্ত্রীর বাহুবন্ধনে থাকাই তার কাছে প্রিয় ছিলো।
- যুদ্ধে যাতে যেতে না হয় তাই সে অসুস্থতার ভানও করে।
- পরবর্তীতে ৫০ হিজরীতে একদম শেষ সময় তাকে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হয়।
বিচার আপনারাই করুন, এই চরিত্রের লোকের জন্য কি হাদীছ শরীফে ক্ষমা পাওয়ার সুসংবাদ থাকতে পারে? এর জন্যতো রয়েছে লা’নত বা অভিশাপ।
 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৩)

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (৩)

-------------------------------------------------------------------------
ইয়াযিদ যে লা’নতের যোগ্য কাট্টা কাফির সে বিষয়ে পরিষ্কার হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে। হাদীছ শরীফের বিখ্যাত গ্রন্থ “মুসনাদে আবু ইয়ালা” শরীফে এ বিষয়ে পরিষ্কার হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে।
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : لاَ يَزَالُ أَمْرُ أُمَّتِي قَائِمًا بِالْقِسْطِ حَتَّى يَكُونَ أَوَّلَ مَنْ يَثْلِمُهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ يُقَالُ لَهُ : يَزِيدُ
অর্থ: আমার উম্মত ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে যতদিন পর্যন্ত বনু উমাইয়া গোত্রের ‘ইয়াযিদ’ নামক এক লোক তা ধ্বংস করে দিবে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা ২য় খন্ড ১৭৬ পৃষ্ঠা; হাদীছ নং ৮৭১)
এ হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণ হলো দ্বীন ইসলামকে ধ্বংস করার জন্যই ইয়াযিদের আর্বিভাব হবে। সূতরাং ইয়াযিদের প্রতি লা’নত করার দলীল এখান থেকেই পাওয়া যায়।
উপরোক্ত হাদীছ শরীফখানা উল্লেখ আছে,
(সাওয়ায়িকুল মুহাররিকা ২/৬৩২, ফয়দ্বুল ক্বাদীর শরহে জামিউছ ছগীর ৩/১২২, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ৫/২৯২, জামিউছ ছগীর মিন হাদীছি বাশির ওয়ান নাজির ১/২৪৪, মুসনাদুল হারীছ ২/৬৪২: ৬১৬, জামেউ জাওয়ামে ১৮৬৯, সিয়ারু আলাম নুবালা ৭/৩৯, লিসানুল মিজান ৮/৫০৭, খাছায়েছুল কুবরা ২/২১০, সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১০/৮৯, বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮/২৫৩, তারিখুল ইসলাম লি ইমাম যাহাবী ৩/১৮০, তারিখুল খুলাফা ১/১৮২, মুখতাছারু তারিখু দিমাষ্ক ৮/২৩৮)
হাদীছ শরীফের সনদ সহীহ। উক্ত হাদীছ শরীফ থেকে ইয়াযিদের কুফরী বিষয়ে ভবিষ্যৎবানী পাওয়া গেলো। (চলবে.......)
 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (২)

 

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (২)

-----------------------------------------------------------------------
বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিছ হযরত ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি কাট্টা কাফির ইয়াযিদ লা’নতুল্লাহি আলাইহির বিষয়ে প্রকাশ্যে ফতোয়া দেন। সে মজলিসে বড় বড় আলেমও উপস্থিত ছিলেন।
হযরত ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি কে এক মজলিসে জিজ্ঞাস করা হল- ইয়াযীদ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন,
فقال ما تقولون : فى رجل ولى ثلاث سنين فى السنة الاولى قتل الحسين فى الثانية أخاف المدينة و أباحها و فى الثالثة رمى الكعبة بالمجانيق وهدمها , فقالوا نلعن فقال فالعنوه , فلعنه ابن الجوزى على المنبر ببغداد بحضرة الامام الناصر و أكابر العلماء وقام جماعة من الحفاة من مجلسه فذهبوا فقال: الا بعدا لمدين كما بعدت ثمود سورة هود-
তিনি বলেন, আপনারা কী বলবেন, এক ব্যক্তি তিন বছর রাজ্য পরিচালনা করে। সে প্রথম বছরে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামকে শহীদ করে। দ্বিতীয় বছর মদীনা মুনাওয়ারায় আক্রমণ করে এবং এর পবিত্রতা নষ্ট করে। তৃতীয় বছর কা’বা শরীফে মিনজনিক কামান নিক্ষেপ আগ্নিকান্ড করে এবং ভাংচুর করে। উপস্থিত সবাই বলল, আমরা তাকে লা‘নত করব। অতঃপর হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাগদাদের মিম্বরে বসে খলিফা নাসিরের সামনে ইয়াযিদকে লা‘নত করেন। তখন সে সময়ের বড় বড় উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। এসময় কিছু গ্রাম্য লোক মাজলিস থেকে উঠে যায়। ইমাম ইবন জাওযী তাদের উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআন মাজীদের এ আয়াত তেলোয়াত করেন- الا بعدا لمدين كما بعدت ثمود অর্থাৎ, মাদায়েনও ধ্বংস হয়েছে যেভাবে সামূদ সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছে। (সূরা হুদ, আয়াত-৯৫)
(দলীল: অার রদ্দু আলা মুতাআচ্ছিব আনিদ মানিয়ি মিন যাম্মি ইয়াযিদ ১১ পৃষ্ঠা; লেখক: হাফিজে হাদীছ ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি; ওফাত : ৫৯৭ হিজরী; প্রকাশনা : দারু কুতব আল ইলমিয়া, বৈরুত, লেবানন)
হযরত ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতোয়া থেকে প্রমাণ হলো,
১) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামকে শহীদ করার পেছনে ইয়াযিদ দায়ী
২) ইয়াযিদ পবিত্র মদীনা শরীফেও হামলা করে
৩) ইয়াযিদ কাবা শরীফেও হামলা করে।
৪) ইবনে জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইয়াযিদকে লা’নত করেছেন।
৫) মজলিসে উপস্থিত উলামায়ে কিরাম সকলেই ইয়াযিদকে লা’নত করেছে।
৬) উক্ত মজলিসের লা’নত করার দ্বারা ইয়াযিদকে লা’নত করার বিষয়ে ঐক্যমত্য প্রমাণিত হয়।
৭) আর লা’নত এর কথা শুনে যারা চলে যায় তাদেরও ধ্বংসের বিষয়ে কুরআন শরীফ থেকে দলীল দেন ইমাম জাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
(চলবে..........)
 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (১)

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির (১)

সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার শাহাদাতের ব্যাপারে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী নয়। ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি নকি এ ব্যাপারে কোন আদেশ দেয়নি। বরং শাহাদাতের সংবাদ শুনে কান্না করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ। আমরা বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ইতিহাসবিদ হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক” থেকে প্রমাণ করবো ইয়াযিদের নির্দেশে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক), শহীদ করার পর ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি খুশি প্রকাশ করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। শুধু তাই না সম্মানিত মস্তক মুবারক উনার সাথেও চরম বেয়াদবী মূলক আচরন করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। যা ইতিহাসে পাতায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে,
دخل بعض بني أمية عَلَى يزيد ، فَقَالَ : أبشر يا أمير المؤمنين ، فقد أمكنك اللَّه من عدو اللَّه وعدوك ؛ يعني : الحسين بْن علي قد قتل ، ووجه برأسه إليك ، فلم يلبث إلا أياما حتى جيء برأس الحسين ، فوضع بين يدي يزيد فِي طشت ، فأمر الغلام فرفع الثوب الَّذِي كَانَ عليه ، فحين رآه خمر وجهه بكمه ، كأنه يشم منه رائحة ، وقال : الحمد لله الَّذِي كفانا المؤنة بغير مؤنة كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ سورة المائدة آية ৬৪ ، قالت ريا : فدنوت منه ، فنظرت إِلَيْهِ وبه ردع من حناء ، قَالَ حمزة : فقلت لها : اقرع ثناياه بالقضيب كما يقولون ؟ قالت : أي والذي ذهب بنفسه ، وهو قادر عَلَى أن يغفر لَهُ ، لقد رأيته يقرع ثناياه بقضيب فِي يده ،
অর্থ: বনু উমাইয়ার কিছু লোক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির কাছে আসে এবং বলে, হে আমীরুল মু’মিনিন (আসতাগফিরুল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ) সুসংবাদ গ্রহন করো। আল্লাহ পাক তোমাকে বিজয় দান করেছেন আল্লাহর দুশমন আর তোমার দুশমনের বিরুদ্ধে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)। হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয়েছে। উনার সম্মানিত শের মুবারক পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মস্তক মুবরাক এসে পৌঁছালো। তখন একটা প্লেটে সম্মানিত মস্তক মুবারক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির সামনে আনা হলো। তখন সে তার গোলামকে সেই প্লেট থেকে কাপড় সরাতে হুকুম করলো, সে তখন কাপড় সরালো। এটা দেখে তার (ইয়াযিদের) চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেলো, সে যেন সুগন্ধি নিচ্ছিলো (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। সে বললো, আলহামদুল্লিাহ! এত সহজেই আল্লাহ পাক আমাকে বিজয় দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। এর পর সে কুরআন শরীফ থেকে كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ (সূরা মায়েদা ৬৪) এ আয়াত শরীফ পড়লো। রাইয়া বলছে, আমি তখন তার দিকে তাকালাম। হামজা রইয়াকে প্রশ্ন করলো ইয়াযিদ কি বেত দিয়ে আঘাত করেছিলো। সে বললো আল্লাহর পাক উনার জাতের কসম। অমি দেখেছি ইয়াযিদ বেত দিয়ে উনার দাঁত মুবারকে আঘাত করছে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। (তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক ৬৯তম থন্ড ১৫৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; জন্ম ৪৯৯ হিজরী- ওফাত ৫৭১ হিজরী; প্রকাশনা: দারুল ফিকর, বাইরুত, লেবানন)
একটু অগ্রসর হয়ে ইমাম আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি হামজার বরাতে লিখেন,
أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام
হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)
উপরোক্ত ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,
হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি ভয়ানক বিদ্বেষ পোষন করতো। উনাকে দুশমন মনে করতো। সম্মানিত মস্তক মুবারক দেখে সে খুশি হয় এবং চরম বেয়াদবী করে বেত দিয়ে দাঁত মুবারকে আঘাত করতে থাকে। এখানেই শেষ নয় বরং এই কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি সম্মানিত মস্তক মুবারক উনাকে ৩ দিন দামেষ্কের ফটকে ঝুলিয়ে রাখে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)
তাহলে কি করে বলা যায় যে কারবালার সেই নির্মম ঘটনার পিছনে সে দায়ী নয়? বরং এটাই প্রমাণ হলো তার আদেশেই কারবালার সেই নির্মম ঘটনা সংঘটিত হয়। আজ যারা ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায়, ইয়াযিদকে বিখ্যাত তাবেয়ী বলে প্রচার করতে চায় বুঝতে হবে এরা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনার পক্ষ ছেড়ে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির পক্ষ নিয়েছে। বুঝতে হবে এরাই বর্তমান ইয়াযিদের উত্তোসূরি। ইবলিশের চাইতেও এরা নিকৃষ্ট। অনন্তকালের জন্য এদের প্রতি লা’নত! লা’নত! লা’নত। মহান আল্লাহ পাক এদের ধ্বংস করুন, লাঞ্ছিত করুন, এদের প্রতি লা’নত বর্ষন করুন। আমীন। (চলবে..)
 হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে ইয়াযিদের বেয়াদবির সাক্ষ্য দিয়েছেন ঐ মজলিসে উপস্থিত একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু।

 হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সাথে ইয়াযিদের বেয়াদবির সাক্ষ্য দিয়েছেন ঐ মজলিসে উপস্থিত একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু।

যখন হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মাথা মুবারক ইয়াযিদে সামনে রাখা হলো তখন সে তার ছড়ি দিয়ে উনার ঠোঁট মুবারকে আঘাত করতে লাগলো। নাউযুবিল্লাহ।
فقال رجل من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يقال له: أبو برزة الأسلمي: أتنكت بقضيبك في ثغر الحسين؟ أما لقد أخذ قضيبك من ثغره مأخذاً كريماً، رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يرشفه، أما إنك، يا يزيد، تجيء يوم القيامة وابن زياد شفيعك، ويجيء هذا يوم القيامة ومحمد صلى الله عليه وسلم شفيعه، ثم قام فولى.
“তখন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন ছাহাবী হযরত আবু বারাযাহ আসলামী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বললেন, তুমি কি তোমার ছড়ি হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার ঠোঁট মুবারকে আঘাত করছো? তোমার ছড়ি ঐ স্থানে আঘাত করছে যে স্থানে স্বায়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুম্বন করতেন। হে ইয়াযিদ ! কিয়ামতের দিন ইবনে যিয়াদ তোমার সুপারিশকারী হবে। আর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার শায়াতকারী।”
(জুমালুম মিন আনসাবিল আশরাফ ৩য় খন্ড ৪১৬ পৃষ্ঠা, লেখক: ইমাম আহমদ ইবনে ইয়াহিয়া ইবনে যাবির রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত: ২৭৯ হিজরী) , প্রকাশনা: দারুল ফিকর, বাইরুত- লেবানন)
উপরোক্ত ঘটনা তারিখে মাদীনাতু দিমাষ্ক ৬২ তম খন্ড ৮৫ পৃষ্ঠা, ইমাম তাবারীর ইশতিহাদু হুসাইন ১৫৬ পৃষ্ঠা, কামিল ফিত তারিখ ৩য় খন্ড ৪৩৮ পৃষ্ঠা ৬১ হিজরীর আলোচনা অধ্যায়ে, উসদুল গাবা ফি মারিফাতিস সাহাবা লি ইবনুল আছির ৫ম খন্ড ৩০৬ পৃষ্ঠা, তারিখে উমাম ওয়াল মুলক ৩/৩৪১: ৬১ হিজরী, নাহাইয়াতুল আরব ফি ফুনুল আদব ২০ খন্ড ২৯৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে।
এ ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হয়,
১) ইয়াযিদের এমন নিকৃষ্ট কাজের সাক্ষী হচ্ছেন একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু।
২) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তিত মাথা মুবারকের ঠোঁট মুবারকে ইয়াযিদ আঘাত করছিলো। নাউযুবিল্লাহ।
৩) এ আঘাত করা থেকে প্রমাণ হয় ইয়াযিদের আদেশেই ইমাম আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয়েছে।
৪) ইয়াযিদের অন্তরে আহলে বাইত শরীফ উনারদের প্রতি বিদ্বেষে পরিপূর্ণ ছিলো।
৫) বিদ্বেষ বশত শহীদ করেই সে ক্ষান্ত হয়নি বরং তার বিদ্বেষ প্রকাশ করতে সে ঠোঁট মুবারকে আঘাত করছিলো। নাউযুবিল্লাহ।
উপরোক্ত ঘটনা সমূহ থেকে প্রমাণ হয়, ইয়াযিদ ছিলো হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষনকারী, উনার আহলে বাইত উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষনকারী। আর এ বিদ্বেষ থাকার কারনে তার অন্তরে কোন ঈমান থাকার চিন্তাও হাস্যকর। সে কাফির! সে কাফির! সে কাফির। অনন্তকাল ধরে ইয়াযিদ ও তার সমর্থকদের প্রতি লা’নত।
 ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো । নাউযুবিল্লাহ

 ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলোনা উযুবিল্লাহ

 ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাকের লা’নত)

যদি তাই হবে এ প্রশ্নে জবাব ইয়াযিদ ভক্তরা কি দিবে? যখন ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মস্তক মুবারক ইয়াযিদের সামনে আনা হলো তখন সে অনেক নোংরা আচরন করলো, হাতের ছড়ি দিয়ে আঘাতও করলো (https://bit.ly/2kd2rUb) .......... এরপর যা করলো তা ইতিহাসে বর্ণিত আছে,
أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام
হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)
(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠা, লেখক: হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, প্রকাশনা : মুওয়াসাতুর রিসালা, বৈরুত লেবানন)
এছাড়া এ ঘটনা হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি তারীখে মাদীনাতু দিমাষ্ক, ইমাম যাহাবী উনার তারিখুল ইসলাম সহ আরো অনেক প্রসিদ্ধ কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
ইয়াযিদ যদি দুঃখই পাবে তাহলে সম্মানিত মস্তক মুবারক ৩ দিন ঝুলিয়ে রাখার মত চরম বেয়াদবি করলো কেন?
দেওবন্দী কওমী সিলসিলার মহীউদ্দীন সম্পাদীত  “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় ইয়াযিদকে সমর্থন করে তারা লিখেছিলো,  “ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো।নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক



 
দেওবন্দী কওমী সিলসিলার মহীউদ্দীন সম্পাদীত  “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় ইয়াযিদকে সমর্থন করে তারা লিখেছিলো,  “ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো।নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক 

মাসিক মদীনা পত্রিকার নাম জানে না এমন মানুষ বাংলাদেশে কমই আছে। এক সময় ইসলামী পত্রিকা হিসাবে সর্বসাধারন এই পত্রিকাই পড়তো। অথচ অনেকে জানেই না সুক্ষ্মভাবে তারা মানুষের ঈমানের উপর আঘাত করে গিয়েছে এবং এখনো যাচ্ছে। তাদের পত্রিকায় ইবনে আব্দুল ওয়াহাব নজদীকে মুজাদ্দিদ দাবী, সর্বপোরি কুখ্যাত ইয়াযিদের সাফাই গেয়ে তারা তাদের মূল সংযোগস্থলের খবর প্রকাশ করে দিয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে।

দেওবন্দী কওমী সিলসিলার মহীউদ্দীন সম্পাদীত “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় ইয়াযিদকে সমর্থন করে তারা লিখেছিলো,
“ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার ব্যাপারে তার প্রতি মন্দরুপ কিংবা কিছু বলা ঠিক হবে না।” নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক
(মাসিক মদীনা ,এপ্রিল,২০১০ সংখ্যা , প্রশ্ন উত্তর বিভাগ)
সূতরাং বুঝতেই পারলেন ইয়াযিদের প্রতি তাদের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। এবার আসুন তাদের প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত আরেকটি কিতাব থেকে ইয়াযিদ বিষয়ক মূল্যায়ন করা যাক। মদীনা পাবলিকেশন্স থেকে ইমাম হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “তারীখুল খুলাফা” অনুবাদ করা হয়। উক্ত কিতাবের ২০৪ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইয়াযিদ সরাসরি উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদকে লিখিতভাবে আদেশ করে, এবং উনার বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরন করে। এরপর উনাকে শহীদ করা হয়। আর এ কারনে ইয়াযিদ এবং উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের প্রতি আল্লাহ পাকের লা’নত।
এর উক্ত কিতাবের ২০৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার কর্তিত মস্তক ইবনে যিয়াদ ইয়াযিদের কাছে পাঠায়। ইয়াযিদ এ ঘটনায় আনন্দিত হয় (নাউযুবিল্লাহ) । উক্ত পৃষ্ঠায় একটা হাদীছও বর্ণিত আছে, আমার উম্মত সর্বদা ইনসাফের উপর থাকবে। কিন্তু বনু উমাইয়ার ইয়াযিদ নামক এক লোক ইনসাফে বাধা দিবে। আরেকটা রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, আমার সুন্নতের মধ্যে পরিবর্তন করবে বনু উমাইয়ার ইয়াযিদ।
২০৬ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে, ইয়াযিদকে অমিরুল মু’মিনিন বলার অপরাধে খলীফা উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি এক লোককে ২০ টি বেত মারার নির্দেশ দেন।
উক্ত পৃষ্ঠায় আরো বর্ণিত আছে, ইয়াযিদ মদীনা শরীফ হামলার জন্য বিশাল সৈন্য বাহিনী পাঠায়। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনান স্মৃতি বিজড়িত স্থানকে সে ধ্বংশ স্তুপ বানায়। সেদিন ইয়াযিদের নির্যাতন থেকে একজন মানুষও পরিত্রান পায়নি। সহস্রাধিক সাহাবায়ে কিরার রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমকে শহীদ করা হয়।
২০৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, মদীনা শরীফে লুটতরাজ করা হয়, হাজার হাজার তরুনীকে ধর্ষন করা করা। নাউযুবিল্লাহ। সেখানে এও উল্লেখ করা হয়েছে, ইয়াযিদ মদ পান করতো এবং অনেক মন্দ কাজের সাথে জড়িত ছিলো।
এরপর সে মক্কা শরীফ হামলা করার জন্য সৈন্য পাঠায়। তার সৈন্য বাহিনীর আক্রমনে কা’বা শরীফের দেয়াল ও ছাদে আগুন লেগে যায়।
এই হলো কুখ্যাত ইয়াযিদের চরিত্র যা “মদীনা পাবলিকেশন্স” থেকে প্রকাশিত তারীখুল খুলাফায় রয়েছে। আবার তারাই তাদের “মাসিক মদীনা” পত্রিকায় লিখছে, “ইয়াযিদ তাবেয়ী ছিলো। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার ব্যাপারে তার প্রতি মন্দরুপ কিংবা কিছু বলা ঠিক হবে না।”
এ থেকে কি প্রমাণ হয় না ঐতিহাসিক সত্যতা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গিয়ে “মাসিক মদীনা” পত্রিকার সংশ্লিষ্টরা ইয়াযিদের পক্ষ নিচ্ছে? যা তাদের আসল চরিত্র জনগনের সামনে প্রকাশে সহায়তা করছে।
 হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার পেছনে সরাসরি ইয়াযিদ দায়ী এ কথার সাক্ষী স্বয়ং ইয়াযিদের পুত্র  মুয়াবিয়া ইবনে ইয়াযিদ।



 হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার পেছনে সরাসরি ইয়াযিদ দায়ী এ কথার সাক্ষী স্বয়ং ইয়াযিদের পুত্র মুয়াবিয়া ইবনে ইয়াযিদ।

সে সরাসরি খুৎবা দিয়ে এই কথা ঘোষনা করে,

ثمّ قلّد أبى يزيد بن معاوية الأمر وكان غير أهل له و نازع ابن بنت رسول الله صلّى الله عليه (وآله) وسلّم، فقصف عمره، وانبتر عقبه، وصار فى قبره رهينا بذنوبه، ثمّ بكى وقال: مِنْ أعظم الأمور علينا علمنا بسوء مصرعه وبؤس منقلبه، وقد قتل عترة رسول الله صلّى الله عليه وسلم، وأباح الخمر وخرّب الكعبة، ولم أذق حلاوة الخلافة فلا أتقلّد مرارتها، فشأنكم أمركم
“তারপর আমার পিতা (ইয়াযিদ) ক্ষমতা দখল করল। আর সে কোনভাবেই এর যোগ্য ছিলো না।
সে হযরত রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মেয়ের ছেলের সাথে দ্বন্দ করেছে। সে হযরত রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতীকে শহীদ করেছে। এরপর সে তার জীবনের গুনাহ নিয়ে কবরে গিয়েছে। এরপর তিনি (মুয়াবিয়া ইবনে ইয়াযিদ) কাঁদতে লাগলেন । আমরা জানি তার (ইয়াযিদের) কত জঘন্যতম মৃত্যু হয়েছে। সে রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বংশধরকে শহীদ করেছে এবং মদকে হালাল করেছে ও ক্বাবা শরীফ ধ্বংস করেছে । আর এ কারনে সে খিলাফাতের মিষ্টতার স্বাদ পায়নি। সুতরাং এটার (শাসনের) তিক্ততাকে আবার তোমরা নতুন করে বানিওনা আমার মাধ্যমে।”
(দলীল: আস-সাওয়ায়িকুল মুহাররিকা ৬০১- ৬০২ পৃষ্ঠা
লেখক: হযরত ইবনে হাজার হায়তামী শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি)
যেখানে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার জন্য ইয়াযিদকে সরাসরি দায়ী করছে তার নিজের ছেলে সেখানে ইয়াযিদকে দায়ী প্রমাণ করতে আর কিসের দলীল লাগে?
 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির

 কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী এবং সে কাফির

--------------------------------------------------------------------
বিশিষ্ট রেজাল ও ইতিহাসবিদ সেই সাথে ওহাবীদের প্রিয়পাত্র ইবনে তাইমিয়ার অন্যতম সাগরেদ ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে ইয়াযিদ কাফির সম্পর্কে লিখেন,
قلت: ولما فعل يزيد بأهل المدينة ما فعل، وقتل الحسين وإخوته وآله، وشرب يزيد الخمر، وارتكب أشياء منكرة، بغضه الناس، وخرج عليه غير واحد، ولم يبارك الله في عمره، فخرج عليه أبو بلال مرداس بن أدية الحنظلي
“আমি বলি (হযরত ইমাম যাহাবী) , ইয়াযিদ মদীনাবাসীর সাথে যে আচরন করেছিলো, এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও উনার পরিবারকে যেভাবে শহীদ করেছিলো, যেভাবে মদ্যপান ও নিকৃষ্ট কাজে লিপ্ত হয়েছিলো এর জন্য মানুষরা তাকে ঘৃনা করতো এবং তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলো। আল্লাহ পাক ইয়াযিদের জীবনে বরকত দেননি। হযরত আবু বিলাল মারদীসি ইবনে আদয়িয়া হানযালী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।”
(দলীল: তারিখুল ইসলাম লি ইমাম যাহাবী ৫ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা; লেখক: হাফিজুল হাদীছ ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ; প্রকাশনা : দারু কুতুব আল আরবী, বৈরুত, লেবানন)
ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এ বক্তব্য থেকে যা প্রমাণ হচ্ছে,
১) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও উনার পরিবারবর্গকে শহীদ করেছে ইয়াযিদ।
২) মদীনা শরীফের অধিবাসীদের সাথে অত্যান্ত জঘন্য আচরন করেছে ইয়াযিদ।
৩) ইয়াযিদ মদ্যপান করতো।
৪) ইয়াযিদের সকল কাজ ছিলো নিকৃষ্ট প্রকৃতির।
৫) মানুষজন তাকে ঘৃনা করতো।
৬) মানুষজন তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো
৭) আল্লাহ পাক ইয়াযিদের জীবন থেকে রহমত বরকত উঠিয়ে নিয়েছিলেন।
অথচ এই কাট্ট কাফির ও লা’নতপ্রাপ্তকে সমাজের এক শ্রেনীর কুলাঙ্গার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যেখাসে সেই যামানর মানুষরাই ইয়াযিদকে ঘৃনা ও করতো তার বিরোধীতা করতো সেখানে আজ এক শ্রেনী কাফির পয়দা হয়েছে তারা ইয়াযিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ইয়াযিদের প্রতি ও তার শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অনন্তকালের জন্য লা’নত।
 ইবনে খালদুন তার “আল মুকাদ্দিমা” কিতাবেও উল্লেখ করেছেন,  “হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার ব্যাপারে ইয়াযিদ ও তার সঙ্গীরা দায়ী।”

 ইবনে খালদুন তার “আল মুকাদ্দিমা” কিতাবেও উল্লেখ করেছেন,

“হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার ব্যাপারে ইয়াযিদ ও তার সঙ্গীরা দায়ী।”


 ইয়াযিদকে লা’নত করা খাছ সুন্নত। স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে ইয়াযিদের ব্যাপারে লা’নত করেছেন।


 ইয়াযিদকে লা’নত করা খাছ সুন্নত। স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে ইয়াযিদের ব্যাপারে লা’নত করেছেন।

عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (يزيد، لا بارك الله في يزيد الطعان اللعان، أما انه نعي الي حبيبي حسين، أتيت بتربته، ورأيت قاتله، أما انه لا يقتل بين ظهراني قوم، فلا ينصرونه الا عمهم الله بعقاب
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আয় আল্লাহ পাক! আপনি ইয়াযীদের উপর থেকে বরকত তুলে নিন, তার উপর আপনি লা’নত বর্ষণ করুন! আমার নিকট আমার অতি প্রিয় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামের শাহাদাতের সংবাদ নিয়ে আসা হয়েছে এবং তিনি যেই জায়গায় শাহাদাত গ্রহণ করবেন, সেই জায়গার মাটি আমার কাছে পেশ করা হয়েছে। আর উনাকে যে শহীদ করবে, আমি সেই সর্বনিকৃষ্ট মাল’ঊন, মারদূদ ব্যক্তিটিকে দেখিছি। সাবধান! তিনি নির্জন এলাকায় শাহাদাত গ্রহণ করবেন এবং ওই সময় উনার খিদমত এ কেউ এগিয়ে আসবে না। তবে উনার শাহাদাতের সাথে যারা জড়িত থাকবে, মহান আল্লাহ পাক তাদেরকে ব্যাপকভাবে শাস্তি দিয়ে ধ্বংস করে দিবেন।” (জামি’উল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ২৪/১২৬: হাদীস ২৬৭৮২, কানযুল উম্মাল ১২/১২৮: হাদীস ৩৪৩২৪ জাম’উল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী ১ম খ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/৮৯, ইবনে আসাকির)
আয় আল্লাহ পাক ইয়াযিদ ও তার সমর্থকদের প্রতি লা’নত বর্ষন করুন। তাদের সর্ব নিকৃষ্ট শাস্তি প্রদান করুন।
ইয়াযিদ ভক্তরা বলে থাকে ইয়াযিদের কাছে অনেকে বাইয়াত হয়েছিলো। সূতরাং তাদের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাইয়াতের দ্বারা তার শাষন গ্রহনযোগ্য প্রমাণ হয়। নাউযুবিল্লাহ।


 ইয়াযিদ ভক্তরা বলে থাকে ইয়াযিদের কাছে অনেকে বাইয়াত হয়েছিলো। সূতরাং তাদের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাইয়াতের দ্বারা তার শাষন গ্রহনযোগ্য প্রমাণ হয়। নাউযুবিল্লাহ।

উপরোক্ত কথার জবাবে বিখ্যাত সাহাবী হযরত হানযালা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
والله ما خرجنا على يزيد حتى خفنا أن نرمي بالحجارة من السماء أن كان رجلا ينكح أمهات الأولاد والبنات والأخوات ويشرب الخمر ويدع الصلاة
“আল্লাহ পাকের কসম! ঐ সময় পর্যন্ত আমরা ইয়াযিদের শাষনে থেকে বের হয়নি, এমনিকি আমাদের ভয় হতে লাগলো, যদি আমরা তার বাইয়াত ভঙ্গ না করি তবে আমাদের উপর আসমান থেকে পাথর বর্ষন হবে। ইয়াযিদ একই ব্যক্তির মা- মেয়ে- বোনকে বিবাহকারী, মদ পানকারী, নামায ত্যাগকারী।”
(আল মুন্তাজাম ফি তারিখিল উমাম ওয়াল মুলক ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা, লেখক: হযরত ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি, প্রকাশনা: দারু কুতুব আল ইলমিয়া, বৈরুত লেবানন)
এছাড়াও উক্ত বর্ণনা তাবকাতে ইবনে সা’দ, আওয়াযুল মাসালিক শরহে মুয়াত্তা ইমাম মালেক, আস সাওয়ায়িকুল মুহাররিকা, তারিখুল খুলাফা সহ অনেক নির্ভরযোগ্য কিতাবে উল্লেখ আছে।
সূতরাং প্রমাণ হলো ইয়াযিদপন্থীরা যে বাইয়াতের মিথ্যা দাবী নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে তার কোন ভিত্তি নেই। কারন এমন নিকৃষ্ট, পিশাচ মানুষের বাইয়াত কেউ মানতে পারে না। সবাই তার বাইয়াত ত্যাগ করে। এবং সেসময় অনেকে নিজের পা থেকে জুতা খুলে নিক্ষেপ করে এটাও বলেছিলো, এই জুতার মত তার বাইয়াতকেও ছুড়ে ফেলা হলো। (এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত লেখা হবে ইনশাআল্লাহ)
ইয়াজিদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে।

 “ইয়াজিদ (লা’নতুল্লাহি আলাইহি) , পবিত্র ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে।

আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক্তা। হাজমের দাদা এবং বাবা উভয়ই উমাইয়া খলিফার দরবারে উপদেষ্টার পদে নিয়োজিত ছিলো। সে হিসাবে ইয়াযিদের ইতিহাস ইবনে হাজমের ভালোই জানা আছে।

এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদের চরিত্র উল্লেখ করেছে। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ইবনে হাজম তার লিখিত বই “জামহারাত আনসাব আল আরবে” যেখানে ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সেখানে ইয়াযিদকে আমিরুল মুমিনিনও বলেছে (নাউযুবিল্লাহ) । খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সামনে এক ব্যক্তি ইয়াযিদকে “আমিরুল মু’মিনিন” বলায় ২০ বেত মারার ইতিহাস ইবনে হাজমের জানা ছিলো কিনা জানি না।
যাইহোক এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদ সর্ম্পকে লিখেছে,
ويزيد أمير المؤمنين؛ وكان قبيح الآثار في الإسلام؛ قتل أهل المدينة، وأفاضل الناس، وبقية الصحابة -رضي الله عنهم- يوم الحرة، في آخر دولته؛ وقتل الحسين -رضي الله عنه- وأهل بيته في أول دولته؛ وحاصر ابن الزبير -رضي الله عنه- في المسجد الحرام، واستخف بحرمة الكعبة والإسلام؛ فأماته الله في تلك الأيام
“ইয়াজিদ (লা’নতুল্লাহি আলাইহি) , পবিত্র ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে। সে তার রাজত্ব্যের শেষ দিকে হাররার দিনে সম্মানিত মদীনা শরীফের অধিবাসী, সম্মনিত ব্যক্তিবর্গ, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে অবশিষ্টদের শহীদ করে। তার রাজত্ব্যের প্রথম দিকে সে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শহীদ করে। পবিত্র মসজিদে হারামে ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে ঘেরাও করে। সে পবিত্র কা’বা শরীফ ও ইসলামের সম্মানকে ভুলন্ঠিত করে। আর এ সময়ের মধ্যে আল্লাহ পাক তার মৃত্যু দেয়।”
(জামহারাত আনসাব আল আরব ১১২ পৃষ্ঠা; লেখক: ইবনে হাজম; প্রকাশনা : দারুল মা’রিফা, মিশর)
ইবনে হাজমের উক্তি থেকেই ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটে উঠেছে। সেই সাথে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে সেই দায়ী এটাও প্রমাণিত হয়েছে। আর যার চরিত্রে এই পরিমান ইসলাম বিদ্বেষ সে নিঃসন্দেহে কাফির।