আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে গভীর নিসবত মুবারক এবং ২৪ ঘণ্টা দায়িমী ভাবে উনাদের মহাসম্মানিত দীদার মুবারক-এ মশগূল থাকার বিষয়ে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪০

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে গভীর নিসবত মুবারক এবং ২৪ ঘণ্টা দায়িমী ভাবে উনাদের মহাসম্মানিত দীদার মুবারক-এ মশগূল থাকার বিষয়ে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৪০

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষ রিয়াযাত-মাশাক্কাত করে, রিয়াযাত-মাশাক্কাত তো অনেক রকম আছে। একটা যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। এটা নফসকে নিয়ন্ত্রন করা, তারপরে আনুষাঙ্গিক কাজগুলি সমাধা করা। আরেকটা বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। এটা কী? বলো দেখি। বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাতটা কী? বলো। জানো? জানো না। বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) কোশেশ করে করে করে করে উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করা, মুহব্বত মুবারক হাছিল করা। যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাতের মাধ্যম দিয়ে বাত্বিনী অন্তর ইছলাহ্ হলে, তখন উনাদের সাথে নিসবতের জন্য কোশেশ করা। উনাদের যে একটা দায়িমী নিসবত, সেটা হলো হাক্বীক্বী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করতে করতে করতে করতে বাত্বিনী। বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত করতে করতে, উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করতে করতে উনাদের একটা মুহব্বত মুবারক পয়দা করা। আমি বলেছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আলাদা। মহান আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক উনি আলাদা। অর্থাৎ উনারা হিসেবের উর্ধ্বে। মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি, তারপর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা এবং হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ও হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা। উনারা হচ্ছেন মূল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। উনাদের নিসবত-কুরবত মুবারক হাছিল করা, এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের নিসবত-কুরবত মুবারক হাছিল হয়ে গেলে, বাকিটা আপসে আপ হাছিল হয়ে যাবে। এখন যাহিরী রিয়াযাত-মাশাক্কাত, যিকির-ফিকির করবে। ঠিক আছে। ভালো কথা। অন্তর ইছলাহ্ করবে। কিন্তু হাক্বীক্বত করতে হলে তো যাহিরী করার পর বাত্বিনী করে উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করতে হবে। এটা না করলে তো হবে না। সেটাই বলেছিলাম যে- উনারা কিন্তু কারো গুরুত্ব দেন না। ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মিছদাক্ব হচ্ছেন উনারা-

عَنْ اِمَامِ الَْوَّلِ سَيِّدِنَ حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَمُ قَالَ اِنَّ

هل مِنْ ا النَّبِىَّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نحَْنُ اَهْلُ بيَْتٍ طَهَّرَهُمُ

شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَمُخْتَلِفِ الْمَلَئِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ

অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিনড়ব হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মিছদাক্ব হচ্ছেন উনারা। ছোহবত ইখতিয়ার করতে করতে করতে করতে যদি উনারা কথা বলেন, মুহব্বত করেন, যদি কিছু বলেন। এছাড়া তো কোনো ব্যবস্থা বা পথ নেই। উনাদের থেকে কিছু হাছিল করা, ইলিম-কালাম হোক, মুহব্বত-মা’রিফত হোক, নিসবত হোক হাছিল করা। এমনি তো হাছিল করা যায় না। এজন্য বাত্বিনী রিয়াযাত-মাশাক্কাত প্রয়োজন। এটা হচ্ছে বাত্বিনী এবং হাক্বীক্বী রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আমি বলেছিলাম যে, ১১ই রমাদ্বান শরীফ আছরের সময়। আছরের সময় হয়েছে। আমি স্বপেড়বর মধ্যেই দেখতেছি- এক স্থানে নামাযের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই জায়গাটা একটা বিল্ডিং, তার একটা বারান্দার মধ্যে। সামনে খোলা জায়গা আছে। হঠাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তাশরীফ মুবারক নিলেন। অনেক দূরে। উনি উপরে। উনি এসে আমাকে বললেন যে- উনি আমাকে কিছু নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। তখন উনি আমাকে এমন আকর্ষণ করলেন, অনেক দূর কিন্তু, একদম এক টান দিয়ে উনি উনার নূরুল আযহার (কোল মুবারক) উনার মধ্যে আমাকে বসিয়ে দিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি বসছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এখন নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। ঠিক আছে। আমি বললাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো আছরের নামায এখনও পড়িনি। উনিই জানতে চাইলেন। আমি বললাম যে, আমি পড়িনি। তাহলে ঠিক আছে নামায পড়ে নেই। উনি চোখের পলকে আমাকে আবার আগের জায়গায় পৌঁছিয়ে দিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তারপর এই যে নিদর্শন মুবারক দেখানোর যে বিষয়টা- এই নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। এখন তো উনারা যদি না দেখান, তাহলে তো দেখতে পারবে না। পরবর্তী সময় যখনই হলো, উনাদের যে বিশেষ করে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দুজন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুর রহমত মুবারক (চেহারা মুবারক) যেরকম ছিলো, উনি উনার সাক্ষাৎ মুবারক দান করলে যেরকম, হুবহু একরকম, কাছাকাছি। (সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনারা দুজন হুবহু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ। আবার ঠিক ঐ দুইজন, বড় দুইজন। বড় দুইজন মানে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা হচ্ছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মতো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আর মাঝে যাঁরা আছেন উনারা অর্থাৎ ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনি, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনি, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনি এবং বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনি অর্থাৎ উনারা চারজন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের নিসবত মুবারক হাছিল করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুনা হযরত নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা দুইজন হুবহু এক রকম। বুঝা মুশকিল। আরো উল্লেখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেই রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে চতুর্থ যিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি হুবহু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতো। একইভাবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত নূরুর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম তিনিও। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “এখন উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- উনাদের মুহব্বত, মা’রিফাত, ছোহবত, নিছবত, ক্বুরবত মুবারক হাছিল করার জন্য কোশেশ করা। আর এই কোশেশ করাটাই বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। অর্থাৎ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক হাছিল করা। অনেক বছর যাবৎ এই কোশেশ করতেছি আমি। ১৯৭৩-১৯৭৪ সাল থেকে প্রায় ৪৫-৪৬ বছর যাবৎ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এই বৎসর এই যিলহজ্জ শরীফ মাসেই (১৪৪১ হিজরী শরীফ) কয় তারীখে? মনে হয় প্রথম ইছনাইনিল আযীম শরীফ হতে পারে। প্রথম উনাদের সাথে (বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক-এ) আমার মোটামোটি (বিশেষ) কিছু আলোচনা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম (উনাদের সরাসরি সাক্ষাৎ মুবারক-এ) উনাদেরকে কী (বলে) সম্ভোধন করতে হবে? এখন বলো দেখি, কী (বলে) সম্ভোধন করতে হবে? আমি কী (বলে) সম্ভোধন করবো? আমি বললাম- জাদ্দী, জাদ্দাতী। উনারা খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) উনাদের সাথে কথা বললে, কী বলে সম্ভোধন করতে হবে? এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার অন্য কিছু নেই। আর অন্য কিছু বলা ঠিক হবে না। উনাদের সামনে যখন গেলাম, তখন আমি উনাদেরকে কী বলবো তাহলে? তখন আমি বললাম- ইয়া জাদ্দী! ইয়া জাদ্দাতী! উনারা খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

আর হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? কারণ বানাতু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাও তো মা। সইয়্যিদাতুন নিসা আহলিল জানড়বাহ্ হযরত যাহ্রা আলাইহাস সালাম উনি যদিও মূল। তো উনি তো মা। তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? আমি বললাম- উম্মে কুবরা আলাইহাস সালাম। উনারা হলেন- উম্মে কুবরা আলাইহাস সালাম। আর বানাতু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা হলেন উম্মী আলাইহাস সালাম। কিন্তু ছুগরা তো বলা যায় না। আদবের খেলাফ। উনারা সবাই খুশি হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তাহলে হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কী বলতে হবে? আমি উনাদেরকে বললাম- খ¦লু (মামা)। উনারা সবাই খুশি হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

উনারা কাউকে পরওয়া করেন না। উনারা কারো মুহতাজীও করেন না অর্থাৎ কারো তোয়াজ করেন না। কারণ, উনারা নিজেরাই মর্যাদাবান। উনাদের কাছে তো কারো কোনো মর্যাদা নেই। বরং উনাদের মাধ্যমেই সকলে মর্যাদা হাছিল করে থাকে। এখন ছোহবত ইখতিয়ার করতে করতে করতে মুহব্বত হাছিল হয়, নিসবত হাছিল হয়। একবারে তো সেটা হয় না।

সেটাই বললাম যে- উনাদের নিসবত হাছিল করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় রিয়াযাত-মাশাক্কাত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

এখন সেজন্য উনাদের আলোচনা মুবারকগুলো বেশি করা উচিৎ। যাতে উনারা খুশি হন। উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক করলে, উনারা খুশি হন। আর যে কোনো জিনিস হাছিল করতে হলে উনাদের মাধ্যম দিয়ে হাছিল করতে হবে। এখন বলা হয় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা ছাড়া কিছু কি হাছিল হবে? না, আসলে উনাদের ছাড়া কিছু হাছিল হবে না। উনাদের যাঁরা নিচে উনারা তো উনাদের অধীনে চলবেন। উনাদের হুকুম ছাড়া তো চলতে পারবেন না।

আমি ওখানে আর কাউকে দেখিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এখন তোমরা যা বুঝো। যে বুঝার, সে বুঝবে।

আর নিদর্শন যেমন- সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টা। উনার বিষয়গুলি তো সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আমাকে দেখিয়েছেন। উনার বিছাল শরীফ, বিছাল শরীফের আগের অবস্থা, পরের অবস্থা। যদিও তখন কাঁটাওয়ালা কোনো ঘড়ি ছিলো না, কিন্তু উনি আমাকে একটি কাটা ওয়ালা ঘড়ি মুবারক দেখিয়েছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার বিছাল শরীফের সময়টা কখন? তখন উনি আমাকে একটি কাঁটাওয়ালা ঘড়ি দেখিয়ে দিয়া বললেন যে, এই যে। ঘড়িতে উনি দেখালেন। আমি দেখলাম, তখনও উক্ত সম্মানিত ঘড়ি মুবারক-এ ১২:০০ টা বাজেনি। সেকেন্ডের কাঁটাটি আর ৪৫ সেকেন্ড অতিμম করলে ১২:০০টা বাজবে। অর্থাৎ ১২:০০ টা বাজতে আর ৪৫ সেকেন্ড বাকি রয়েছে। অর্থাৎ ১১ টা বেজে ৫৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এবং পরিবেশটা তিনি আমাকে দেখালেন। বলেছিলেন যে, নিদর্শন মুবারক দেখাবেন। এই ধরণের নিদর্শন মুবারকগুলো দেখান। উনারা না দেখালে মানুষ জানবে কিভাবে?

সেজন্য উনাদের আলোচনা বেশি করা দরকার, বলা দরকার।

আমি উনাদেরকে দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টাই দেখি। এখনও দেখতেছি।

আর এগুলো শোনে তোমাদের ইবরত হাছিল করা দরকার। বুঝতে পারলে?

এখন দায়িত্ব হলো, কর্তব্য হলো নিসবত মুবারক হাছিল করা, মুহব্বত মুবারক হছিল করা, কুরবত মুবারক হাছিল করা। তাহলেই কামিয়াবী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে ছহীহ সমঝ এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও সর্বোচ্চ হুসনেযন মুবারক দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম لِيَعْبُدُوْنِ“ (লি ইয়া’বুদনূ ) থেকে لِيُصَلُّوْنِ (লি ইউছল্লূন ) পর‌্য্ন্ত ৮টি মাক্বাম মুবারক উনাদের বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৩৯

সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম لِيَعْبُدُوْنِ“ (লি ইয়া’বুদনূ ) থেকে لِيُصَلُّوْنِ (লি ইউছল্লূন ) পর‌্য্ন্ত ৮টি মাক্বাম মুবারক উনাদের বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৩৯

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল খামীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ لِيَعْبُدُوْنِ (লিইয়া’বুদূন) থেকে لِيُصَلُّوْنِ

(লিইউছল্লূন) পর্যন্ত ৮টি মাক্বাম মুবারক রয়েছেন। সেগুলো হচ্ছেন-

لِيَعْبُدُوْنِ . ১ - (লিইয়া’বুদূন) ইবাদতের মাক্বাম। তারপর

لِيُحْسِنُوْنِ . ২ - (লিইউহ্সিনূন) ইহ্সানের মাক্বাম। তারপর

لِيَقْرَبوُْنِ . ৩ - (লিইয়াক্ব্রবূন) কুরবতের মাক্বাম। তারপর

لِيَعْرِفُوْنِ . ৪ - (লিইয়া’রিফূন) মা’রেফতের মাক্বাম। তারপর

لِيُحِبُّوْنِ . ৫ - (লিইউহিব্বূন) মুহব্বতের মাক্বাম। তারপর

لِيَشْرَحُوْنِ . ৬ - (লিইয়াশ্রহূন) শরহে ছুদূরের মাক্বাম। তারপর

لِيَفْرَحُوْنِ . ৭ - (লিইয়াফ্রহূন) ফালইয়াফরহূ শরীফ উনার মাক্বাম।তারপর

لِيُصَلُّوْنِ . ৮ - (লিইউছল্লূন) সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম।

ইবাদত বন্দেগী করতে করতে ইহ্সানের দরজায় পৌঁছবে, ইহ্সানের দরজা থেকে কুরবত হাছিল করবে, কুরবতের থেকে মা’রেফাত হাছিল করবে, মা’রেফাত থেকে মুহব্বত হাছিল করবে, মুহব্বত থেকে তার শরহে ছুদূর হবে, শরহে ছুদূরের কারণে সে খুশি প্রকাশ করবে এবং তখনই তার পক্ষে لِيُصَلُّوْنِ (লিইউছল্লূন) এর মাক্বাম অর্জন করা সম্ভব হবে।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

পৃথিবীর ইতিহাসে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই এই ৮টি মাক্বাম মুবারক প্রকাশ করেন। ইতিপূর্বে কেউ এই ৮টি মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে জানতো না’; হাছিল করার তো প্রশড়বই উঠে না।

তাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!)

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী কায়িম- মাক্বাম হিসেবে, উনার হুবহু নক্বশা মুবারক হিসেবে উনার সমস্ত নিয়ামত মুবারক আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করা-পর্ব-৩৮

 নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী কায়িম- মাক্বাম হিসেবে, উনার হুবহু নক্বশা মুবারক হিসেবে উনার সমস্ত নিয়ামত মুবারক আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করা-পর্ব-৩৮

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘মকতূবাত শরীফ’-এ বলেছেন যে, উনার ফযীলত হচ্ছে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে আমার নিকট বাইয়াত হওয়ার জন্য পাঠান, তখন আমাকে সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের পর থেকে এ পর্যন্ত যারা এসেছেন, উনাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওলী আল্লাহ হচ্ছেন তিনি। উনার এতো ফযীলত। এর কারণ হচ্ছে, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) রেখেছেন, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সেখানে উনার মাথা মুবারক রেখেছেন। আর আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি যেখানে ক্বদম মুবারক রেখেছেন, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেখানে উনার মাথা মুবারক রেখেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ৯ই যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমু‘আহ্ শরীফ (জুমু‘আহ্বার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি দেখলাম, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ্ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক) উনার নীচে। যখন প্রথম দেখলাম, তখন মাথা মুবারক-এ অনেক ব্যাথা। বরদাস্ত করা খুব কঠিন। যার কারণে একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বলেছিলেন, আমি কি কিছু কমিয়ে দিবো? আমি বললাম যে, না। আপনি তো আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে সবকিছু দিয়ে তাওফীক্ব দিয়েছেন, আমাকেও তাওফীক্ব দেন। তিনি বললেন, ঠিক আছে। তিনি বলেছিলেন, বরদাস্ত করতে কি কষ্ট হচ্ছে? আমি বললাম যে, বরদাস্ত করতে না পারলে, নেয়ামত পাওয়া যাবে কিভাবে? আপনি তাওফীক্ব দেন। পারবো। উনি তাওফীক্ব দিয়েছেন।

কিতাবে আছে আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে উম্মত হিসেবে যতটুকু নেয়ামত বরদাস্ত করা সম্ভব, তার পুরোটাই দেয়া হয়েছে এবং বরদাস্ত করার তাওফীক্বও দেয়া হয়েছে। তাহলে আমাকেও তাওফীক্ব দেন। দিয়েছেন।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী কায়িম-মাক্বাম হিসেবে, উনার হুবহু নক্বশা মুবারক হিসেবে উনার সমস্ত নিয়ামত মুবারক আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরেই উনার মহাসম্মানিত মাক্বাম মুবারক। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যা বিভিনড়ব ওয়াক্বেয়াহ মুবারক দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। যারা অন্যান্য ওয়াক্বেয়াহ্ মুবারকগুলো ভালোভাবে পাঠ করেছেন, তাদের জন্য বুঝা সহজ হবে।

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)   সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক احمد (আহমদ) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্য কার ‘মীম’ হরফ বা অক্ষর মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ- পর্ব-৩৭

 সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক احمد (আহমদ) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্য কার ‘মীম’ হরফ বা অক্ষর মুবারক উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ- পর্ব-৩৭

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ৭ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “কিতাবে মানুষ লিখে থাকে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন اَحَدٌ ‘আহাদ’ আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন احمد ‘আহমদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এই সম্মানিত ও পবিত্র احمد‘আহমদ’ লফ্য বা শব্দ মুবারক উনার মধ্যে ‘মীম’ হচ্ছেন মাখলূকাতের পর্দা (আবরণ)। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে বললেন, ‘এটা কেন? মালিকের মীম হতে পারে না? আমি মালিক হতে পারি না?’ (আমি বললাম,) ‘হ্যাঁ, আপনি মালিক।’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি আমাকে বললেন, ‘মীম’ দ্বারা মালিক বুঝানো হয়েছে। আমি মালিক।’ কিসের মখলূকাতের পর্দা? বুঝতে পারলে?

মহান আল্লাহ পাক তিনি মালিক। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও মালিক। মহান আল্লাহ পাক তিনি খালিক্ব মালিক রব তা‘য়ালা হিসেবে মালিক। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হিসেবে মালিক।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান মুবারক-এ চূ-চেরা, ক্বীল ও ক্বাল করার কারণে , হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করার কারণে কাফেরদের বিরুদ্ধে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বিচার চাওয়া প্রসঙ্গে-পর্ব-৩৬

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত শান মুবারক-এ চূ-চেরা, ক্বীল ও ক্বাল করার কারণে , হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করার কারণে কাফেরদের বিরুদ্ধে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট বিচার চাওয়া প্রসঙ্গে-পর্ব-৩৬

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ৬ই শা’বান শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন- “নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার যে বিষয়টা তিনি যে বিচার চাইবেন। আমি উনাকে বলেছিলাম যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা, সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা। আমি বলেছিলাম, আমি যদি একটা বিষয় বিচার চাই, সেটা কি ফয়সালা হবে? তিনি বলেছিলেন, আরশে আযীম উনার কাছে আসার মত যোগ্যতা কারো নেই, একমাত্র আমরা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম বিশেষ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু‘মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ছাড়া সেখানে যাওয়ার যোগ্যতা কারো নেই। আমি বলেছিলাম, যদি আপনারা সহায়তা ও সাহায্য করেন, তাহলে হয়তো সম্ভব হবে। তিনি বললেন, এখানে যারা বিশেষ করে আরশের অধিবাসী ফেরেশতা উনারা আবৃত থাকেন। এতো নূর মুবারক বর্ষণ করা হয়, সেই নূর মুবারক বরদাস্ত করা কারো পক্ষে সম্ভব না। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি কিন্তু সিদরাতুল মুনতাহা পার হতে পারেননি। এক চোখ পলক গেলেই তিনি পুড়ে যাবেন। এবং হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যিয়ারত মুবারক করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু যিয়ারত তো হয়নি। নূর মুবারক বর্ষণ করা হয়েছে, আরশে আযীমের। এক বর্ণনায় ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ। আরেক বর্ণনায় একটা সূচের মাথা পরিমাণ। এটা যখন বর্ষণ করা হলো, যেটা বলা হচ্ছে-

فَلَمَّا تَجَلّٰى رَبُّهٗ لِلْجَبَلِ جَعَلَهٗ دَكًّا وَخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا

‘যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পাহাড়ে তাজাল্লা মুবারক, নূর মুবারক নিক্ষেপ করলেন, পাহাড়টা টুকরা টুকরা হয়ে গেলো। আর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন।’

কিভাবে পড়লেন? বর্ণনায় বলা হয়- তিনি একটা পাথরের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, পাথরটা উল্টিয়ে দেওয়া হলো। কারণ, সরাসরি এই নূর মুবারক উনার জিসিম মুবারক-এ যদি লাগে, তাহলে তিনি হয়তো আর থাকতে পারবেন না। এটা এমন হতে পারে, যেটা আমরা বলেছিলাম- ফয়েয-তাওয়াজ্জু এতো কঠিন! যেটা হযরত বাইজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এক দৃষ্টিতে উনার খলীফার যে খলীফা, তিনি গলে পানি হয়ে গেছেন, গায়েব হয়ে গেছেন। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে হিফাযত করার জন্য যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পাথরটাকে উল্টিয়ে দিলেন। যাতে সেই নূরের স্পর্শ উনার জিসিম মুবারক-এ না লাগে। কিন্তু তাতেও তিনি বেহুঁশ হয়ে গেলেন। পরে হুঁশ মুবারক ফিরে আসলেন। তিনি উপলব্ধি করলেন বিষয়টা। এটা হচ্ছে- ৭০ হাজার ভাগের এক ভাগ অথবা একটা সূচের মাথা পরিমাণ ছিদ্র যেই নূর বর্ষণ করা হয়েছে তাতে এই অবস্থা। তাহলে আরশের যারা অধিবাসী- এটা তো একটা কঠিন অবস্থা। আরশে যারা ফেরেশতা আছেন ৮ জন, ১২ জন আরো যারা আছেন। আবৃত অবস্থায় আছেন। বরদাস্ত করা সম্ভব না। উনাদেরকে আল্লাহ পাক আলাদা হেফাযত করেন। সবসময় আবৃত অবস্থায় থাকেন। সেখানে যাওয়া সম্ভব না। আমি যখন বলেছিলাম যে, একটা বিষয়। সেটা হচ্ছে, আমার বলার বিষয়টা ছিলো যে, কাফির-মুশরেকগুলি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এতো বিদ্বেষ পোষণ করে, উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক এদের ভাষায় ১৩ নম্বর। এই ১৩ নম্বরকে তারা এতো বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে, এরা চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করে, তাহলে এই বিষয়টা বিচার চাইতে হবে। তখন তিনি সেই কথাগুলি বলেছেন এবং তিনি বলেছেন, ঠিক আছে। মনে হচ্ছে চোখের পলকে উনার থেকে একটা ফয়েয-তাওয়াজ্জু আমার শরীর মুবারক-এ এসে পৌঁছলো। এ সময় এমন হয়েছে সমস্ত শরীর মনে হচ্ছে একদম জর্জরিত হয়ে গেলো। কিন্তু বেহুঁশী হাল হলেও আবার হুঁশ ছিলো। অনেক্ষণ সময় ব্যয় হয়েছে সেই অবস্থাটা কাটতে, ৬/৭/৮ ঘন্টা।

এই যে বিষয়টা এখন উনাদের যে হাল-হাক্বীক্বত, উনারা যে আসলে হাক্বীক্বী নূর মুবারক এবং এই সমস্ত নূর মুবারক বরদাস্ত করতে পারেন এবং বরদাস্ত করেই উনারা ফায়সালা করবেন এবং উনাদের সহযোগীতা, ফায়েয-তাওয়াজ্জু যদি থাকে সেটা বরদাস্ত করা সহজ হয় এবং সম্ভব হয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখন এই যে বিষয়গুলি এগুলি ফিকিরের বিষয়। নিসবত-কুরবত, মুহব্বত। এখন উনাদের হাল-হাক্বীক্বত উনাদের শান-মান, মর্যদা এগুলি সৃষ্টির পক্ষে উপলদ্ধি করা কখনো সম্ভব না।

সেটাই আমি চেয়েছিলাম যে, এটা তো কঠিন বিষয়। তিনি বলেন, এটা আমরা ছাড়া কেউ বরদাস্ত করতে পারবে না। আমি বলেছিলাম, তাহলে আপনি আমাকে সহযোগীতা করেন। তিনি সহযোগীতা করলেন। এমন এক নূর মুবারক উনার থেকে বিচ্ছুরিত হলো, হওয়ার সাথে সাথে মনে হয় সমস্ত কিছু চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে গেলো কিছুক্ষণের জন্য। যাই হোক, প্রায় ৬-৮ ঘন্টা। এরপর অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছি। তবে একটা তাছীর তো আছে। তাছীর রয়ে গেছে এখনো কম-বেশি। বলেন, এটা বরদাস্ত করতে পারলে পারা যাবে। আমি বলছিলাম যে, তাহলে আমি এই কাফেরদের বিরুদ্ধে বিচার চাইবো। এই কাফেরদের যে এতো বিদ্বেষ, এতো হিংসা কেন্? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ এতো হিংসা কেন এগুলির? এদের বিরুদ্ধে আমি বিচার চাইবো। তিনি বলেন- আমরা ছাড়া ঐখানে তো কেউ যেতে পারবে না। আমি বললাম যে, আপনি সহযোগীতা করলে যেতে পারবো? তিনি বললেন- হ্যাঁ, সহযোগীতা করলে যেতে পারবেন।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

 

আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যস্ততা মুবারক-এ হাক্বীক্বী দীদার মুবারক লাভের বিশেষ বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৩৫

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যস্ততা মুবারক-এ হাক্বীক্বী দীদার মুবারক লাভের বিশেষ বর্ণনা মুবারক-পর্ব-৩৫

হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে বললেন, আয় বারে এলাহী! আপনি আমাকে দীদার দিন, আমি আপনাকে দেখতে চাই। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনি কখনই আমাকে দেখতে পারবেন না। বরং আপনি পাহাড়ের দিকে তাকান। যখন তাজাল্লা যাহির করবো, পাহাড়টা যদি তার স্বস্থানে স্থির থাকে, তাহলে আপনি আমাকে দেখতে পাবেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন পাহাড়ের উপর তাজাল্লা নিক্ষেপ করলেন, পাহাড়টা টুকরো টুকরো হয়ে গেলো এবং হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন।

এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২০শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়িদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছানাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ সম্মানিত আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “বলা হয় যে, একটা সূচের মাথার যে ছিদ্র, মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পরিমাণ তাজাল্লা মুবারক যাহির করেছেন। ফলে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ছিটকে পড়ে গেলেন, বেহুঁশ হয়ে গেলেন। পাহাড়টা টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি প্রায় ১দিন বেহুঁশ ছিলেন।”

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَنَحْنُ اَقْرَبُ اِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيْدِ

‘আর আমি মানুষের প্রাণ রগের চেয়েও অধিক নিকটবর্তী।’(সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ক্বফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)

এর একটা হাক্বীক্বত মহান আল্লাহ পাক তিনি যাহির করেছেন। এটা কঠিন একটা বিষয়। এটা প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। তারপরেও বললে বলতে পারি অল্প করে। বিষয়টা হলো এরকম- ঠিক হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যে অবস্থাটা, এই অবস্থাটা। আমি ফিকির করছিলাম বিষয়টা। এইটা এর আগে এরকম আমি ফিকির করিনি। মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা- এটা করবেন।

وَخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا

‘আর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বেহুঁশ হয়ে গেলেন।’

যখন এটা আমি ফিকির করলাম, দেখতে পেলাম- সরাসরি সামনে যিনি খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উপস্থিত হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলাম। ব্যাথা পাইনি। শুয়ে পড়েছিলাম। তারপর উঠেছি। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যে হালটা, এইটার একটা অংশ যাহির হলো। এটা সরাসরি বরদাস্ত করা যায় না। মনে হয় যে শরীরটা ফয়েয-তাওয়াজ্জুতে পিশে গেলে যেরকম হয়, সমস্ত শরীর ব্যাথায় সেরকম হয়ে যায়। পড়ার পর হুশ ছিলো না। অতঃপর হুশ আসলে দেখলাম, শোয়া আছি। এরপর আস্তে আস্তে উঠছি। বিষয়টা দেখলাম-

وَخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًا

কঠিন বিষয় এটা। এটা দিয়ে, বিষয়টি উপলব্ধিতে আসলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যস্ততা যখন থাকে, তখন ঐটা বরদাস্ত করা সহজ হয়। এছাড়া এটা বরদাস্ত করা কঠিন। বেঁচে থাকাই কঠিন। চোখের পলকে অদৃশ্য-গায়েব হয়ে গেলাম। গায়েব হয়ে কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমি শোয়া আছি। ফ্লোরে শোয়া আছি। হুঁশ ফিরলো, তারপর আমি উঠলাম। অনেক কঠিন। বলা হয়- পবিত্র ওহী মুবারক উনার তাছির মুবারকের কারণে উট যে দাঁড়ানো থেকে বসে যায়! শরীর মনে হয় একদম ই হয়ে গেছে। সেটাই বললাম যে, আসলে নেয়ামতের তো অভাব নেই। মহান আল্লাহ পাক অনেক দেন। বিষয়গুলো তো কঠিন। আবার বরদাস্ত করাও কঠিন। অনেক কঠিন বরদাস্ত করা। বেঁচে থাকাই তো কঠিন। চোখের পলকেই হইয়া গেছে জিনিসটা। এমনে কোনো ব্যাথা সরাসরি মাথায় বা হাতে নেই। তবে বসার জায়গায় বসছি যে ঐ বসার জায়গাটা একটু ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। মাথায় কোনো ব্যাথা লাগে নাই। এইটা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার হালটা। উনার হালটা কিরকম তাহলে?

এটা প্রমাণ হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে থাকলে, উনার মধ্যস্ততা থাকলে, যেভাবে হেফাযত হয়, এটা সেটা না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো ২৪ ঘন্টা দীদারে আছেন। কঠিন বিষয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরতময় সৃষ্টি। তিনি কুদরত মুবারকেই আছেন। উনার মাধ্যম দিয়া যখন আসবে, তখন বরদাস্ত করা যাবে। অন্যথায় কেউ বরদাস্ত করতে পারবে না।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত মুবারক স্থাপন করতে পারলে , মূল সব নিয়ামত পরিপূর্ণ টা হাছিল সম্ভব। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক-পর্ব-৩৪

আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত মুবারক স্থাপন করতে পারলে , মূল সব নিয়ামত পরিপূর্ণ টা হাছিল সম্ভব। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক-পর্ব-৩৪

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবত মুবারক স্থাপন করতে পারলে , মূল সব নিয়ামত পরিপূর্ণ টা হাছিল সম্ভব। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক-পর্ব-৩৪

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ সম্মানিত আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়গুলি অনেকবার বলা হয়েছে এবং আমাদের পত্রিকায়ও এসেছে। আলোচনা আজকেও হয়েছে। উনাদের যে নিসবত, উনাদের মাক্বাম। আসলে উনাদের প্রত্যেকের যে বিষয়টা, উনাদের মূল যে মাক্বাম যেটা- যেটা বলা হয় ইলমে তাছাউফে- وَاللهُ مُحِيْطٌ ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছু বেষ্টন করে আছেন, সমস্ত সৃষ্টিকে বেষ্টন করে আছেন।’

এটা ক্বাওস। অর্থাৎ এটা বলা হয়- গোল করে (আকৃতি) আবদ্ধ করে রাখা। ঠিক এর পাশাপাশি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ক্বাওস মুবারক। যেহেতু সমস্ত কিছু যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এর পরবর্তী কিন্তু প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা ক্বওস রয়ে গেছে। আবার সম্মিলিত এক সাথে রয়ে গেছে। এখন সেই সম্মিলিত নিসবতটা যদি কেউ হাছিল করে, তাহলে তার জন্য এটা একটা আলাদা খুছূছিয়াত। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনেক কিছু বললে মানুষ তো বুঝবে না, ভাষাগত দিক থেকে। আমি যে বললাম, ক্বাওস অর্থ এরকম গোল।

وَاللهُ مُحِيْطٌ ‘আল্লাহ পাক সব এভাবে বেষ্টন করে আছেন।’ এই বেষ্টনির (মহাসম্মানিত ক্বওস মুবারক উনার) মধ্যে হলো পরবর্তীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বেষ্টনি (ক্বওস) মুবারক। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর এরপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যে মাক্বামগুলি, এই মাক্বামগুলি পর্যায় ক্রমে উনারা এইটার মধ্যে সবাই। এখন প্রত্যেকের আবার আলাদা বেষ্টনি (ক্বওস) মুবারক আছে। যেমন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের বেষ্টনি (ক্বওস) মুবারক আছে। তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বেষ্টনি (ক্বওস) মুবারক আছে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বেষ্টনি (ক্বওস) মুবারক আছে। উনাদেরটা যেটা আমভাবে বেলায়েত বলা হয়। বেলায়েত মানে রাজত্ব। এটা ঐ বেলায়েত না। বেলায়াতে ছুগরা, কুবরা বলতে আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বেলায়েত আছে, ফেরেশতা উনাদেরও বেলায়েত আছে। তবে উনাদের মূল যে বিষয়টি, সেটাকে বলা হয় বেলায়েত, রাজত্ব, কর্তৃত্ব। উনাদের প্রত্যেকের আলাদা আছে। উনাদের সিলসিলাগুলো এভাবে নেমেছে। যেমন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রত্যেকেরটা নেমেছে। উনাদের প্রত্যেকের আবার সংযোগ আছে। সব মিলে মূল একটা। এখন মূল বিষয়টা হচ্ছে হাক্বীক্বতটা। এবং মূলটারই মূল মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই যে, যেমন- হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলছেন যে, আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাহ মুবারক উনার পরে উনার সম্মানিত মাথা মুবারক রাখছেন। আর উনার নূরুদ দারাজাত, ক্বদম মুবারকের নিচে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি মাথা মুবারক রাখছেন। এই যে বিষয়টা- এটা হচ্ছে উনার একটা সিলসিলা। এরকম প্রত্যেকের আবার আলাদা আলাদা আছে। আবার সম্মিলিত, সংশ্লিষ্ট একটা আছে। আর মূলটা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার। এখন উনার ঐখানে নিসবত স্থাপন করতে পারলে, তাহলে মূল সব নিয়ামত পরিপূর্ণটা হাছিল সম্ভব। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

কাজেই মানুষকে এগুলি ভাষা দিয়ে বুঝানো কখনও সম্ভব নয়। ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ। এখন মূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনার থেকে শাখা মুবারক গেছে। যেমন- নক্বশবন্দিয়া ত্বরীক্বা শাখা গেছে, ক্বাদিরিয়া ত্বরীক্বা, চিশতিয়া ত্বরীক্বা আলাদা হয়ে গেছে। এরকম। তবে মূলটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার। বললে বুঝতে কঠিন। ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহগুলো বরদাস্ত করা অনেক কঠিন। ফয়েয-তাওয়াজ্জুহর জন্য মানুষ গলে যায়। ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ বরদাস্ত করা তো কঠিন বিষয়। উনাদের ছোহবত মুবারক-এ গেলে বুঝা যায় ফয়েয-তাওয়াজ্জুহর তাছীরটা কিরকম। আবার এগুলো ধারণ করা অনেক কঠিন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি সিদরাতুল মুনতাহা পার হয়ে যেতে পারলেন না। তিনি বললেন, এক চুল সামনে গেলে আমার সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। উনি তো নূরের তৈরী। উনি ছারখার হবেন কেনো? তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কিভাবে পবিত্র নূর মুবারক দ্বারা সম্মানিত করতেছেন? কতো ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারক, কতো দিয়ে, কিভাবে দিয়ে সম্মান করতেছেন। কঠিন বিষয়। অনেক কঠিন বরদাস্ত করা। এতো সোজা তো না। বিশেষ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি যেই পবিত্র নূর মুবারক বর্ষণ করা হচ্ছে, সেটা তো কঠিন একটা বিষয়। যাহিরীভাবে মানুষ মনে করে আমি অসুস্থ। আমি কিন্তু অসুস্থ না। ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ এতো বেশি তা বরদাস্ত করা অত্যন্ত কঠিন সেটা।

সেটাই তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলছিলেন যে, আমি কি কিছু নিয়ে যাবো? অর্থাৎ কমিয়ে দিবো? আমি বলছি, না। আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে বরদাস্ত করার তওফীক্ব দান করছেন, তাহলে আমাকেও দান করুন।

কঠিন বিষয়। একটা উট যদি দাঁড়ানো থেকে বসে যায়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যদি কেউ থাকে, তাহলে তার অবস্থাটা কি হবে? কঠিন বিষয় বরদাস্ত করা। আর আমি এই বিষয়টি আরজু করার পরে সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুদ দারাজাত মুবারক উনার নিচে আমার মাথা রাখার তওফীক্ব দিয়েছেন। এখন তাহলে বাকিটা বুঝতে চেষ্টা করো।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  ‘এক নাম্বার আক্বীদাহ্  হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সৃষ্টরি কারো মতো নন ’-পর্ব-৩৩

 ‘এক নাম্বার আক্বীদাহ্  হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সৃষ্টরি কারো মতো নন ’-পর্ব-৩৩

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বিতীয় স্তর মুবারক-এ হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন। এই আক্বীদাহ পোষণ করতে হবে। এইটা হলো- এক নাম্বার আক্বীদাহ। এক নাম্বার আক্বীদাহ হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন। এই বিষয়টা বুঝার জন্য তাহলে কিছু কথা বলার দরকার রয়েছে। উনারা আমাকে বলেছেন- এই কথাগুলি বলার জন্য। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ফিক্বির করতেছিলাম কিভাবে শুরু করা যেতে পারে। উনারা বললেন,

وَاَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ

‘তোমাদেরকে যে নিয়ামত মুবারক দেয়া হয়েছে, সেটা তোমরা প্রকাশ করো।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা দ্বোহা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দিয়ে শুরু করতে।

সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দিয়েই আমি শুরু করেছি। উনাদের খুছূছিয়াত-বৈশিষ্ট্যগুলি বলার জন্য বলেছেন, সেজন্য আমি বলতেছি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের খুছূছিয়াত-বৈশিষ্ট্য মুবারক সম্পর্কে মানুষ নিহায়াতই অজ্ঞ। উনাদের শান-মান- উনারা একক। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন একক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একক, একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা প্রত্যেকেই একক। উনারা কারো মতো নন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

দ্বিতীয় হচ্ছে- উনারা পবিত্র থেকে পবিত্রতম এবং পবিত্রতা দানকারী। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আর তৃতীয় হচ্ছে- উনাদের সম্পর্কে সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ হুসনে যন পোষণ করতে হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

চতুর্থত বলা হচ্ছে- যদি কেউ উনাদের শান মুবারক সম্পর্কে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে, তার জিহ্বা কেটে দিতে হবে এবং তাকে অবশ্যই অত্যন্ত কঠিনভাবে কুচি কুচি করে, টুকরা টুকরা করে মৃত্যুদ- দিতে হবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত বুছা মুবারক দেয়া-পর্ব-৩২

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদহূ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত বুছা মুবারক দেয়া-পর্ব-৩২

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আরবিয়া শরীফ (বুধবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক উনার সম্মানিত আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিনি হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানার্থে এই ইন্তেজাম। স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেও এই ইন্তেজামে সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যেটা আমি বলেছি যে, আসলে সম্মানিত মাহফিল উনার শান-মান, ফাযাইল-ফযীলত একটা কল্পনাতীত বিষয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা যাহিরী ছূরতে এখানে সামান্য ইন্তেজাম করে যাচ্ছি, কিন্তু হাক্বীক্বী বাতিনী ছূরতে স্বয়ং যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং সমস্ত কায়িনাত সকলেই বিশেষ ইন্তেজাম করে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক যে কতটুকু সেটা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তবে একটা কথা আমি বলবো, সেটা হচ্ছে- যখন এই বৎসর তার আগের বৎসর তার আগেরম বৎসর (১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার) যিলহজ্জ শরীফের ১২ই শরীফ জুমু‘আহ্ শরীফে যিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাদের আলোচনা করেছিলাম। সে আলাচনা মুবারক শুনে যিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি তখন অত্যন্ত সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে আমার কপাল মুবারক-এ বুছা মুবারক দিয়ে জড়িয়ে ধরে তিনি অত্যন্ত খুশী মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আজকেও কিন্তু ঠিক এরকমই যখন ছলাতুল মাগরিব উনার নামায আদায় করতেছিলাম শেষের রাকাতে নামায প্রায় শেষ হবে সালাম ফিরানোর পূর্বে আমি দেখতে পেলাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনারা দুইজন দুই পাশ থেকে এসে একইভাবে উনারা আমাকে এভাবে বুছা মুবারক দিলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এবং অত্যন্ত সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করতেছেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আখাছ্ছুল খাছভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনাদের সাথে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের দায়েমী ভাবে এমন মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক রয়েছেন যেখানে সৃষ্টির কারো কোন স্থান সঙ্কুলান হয় না-পর্ব-৩১

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের দায়েমী ভাবে এমন মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক রয়েছেন যেখানে সৃষ্টির কারো কোন স্থান সঙ্কুলান হয় না-পর্ব-৩১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২৬শে জুমাদাল উখরা শরীফ জুমু‘আহ্ শরীফ উনার সম্মানিত আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম উনার জুদায়ীর বিষয়টি ফায়ছালা করে নিলেন। এরপর যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন,


زَوَّجْنٰكَهَا

‘আমি আপনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম উনার সাথে নিসবতে ‘আযীম শরীফ সম্পনড়ব মুবারক করে দিলাম।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

বিষয়টা যখন আমি (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘আহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে মহাসম্মানিত মাহফিল মুবারক-এ) আলোচনা করতেছিলাম, তখন তিনি আমাকে জানালেন, আমরা যে বলেছি-

لِىْ وَلَنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقْتٌ لَّ يَسْعٰنِىْ فِيْهِمَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَ نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ

‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার এবং আমাদের এমন একটি সময় রয়েছে, অর্থাৎ দায়েমীভাবে এমন নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা হচ্ছে সেটা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তারপর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনাদের মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক বিষয়ে বললেন যে, আমাদেরকে সেভাবেই সৃষ্টি মুবারক করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে উনার সাথে সেভাবেই মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক স্থাপন করে দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান,

ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড) উম্মু আবীহা,আন নূরুররবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাকরীর মুবারক তথা অত্যন্ত খুশি মুবারক প্রকাশ-পর্ব-৩০

উম্মু আবীহা,আন নূরুররবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাকরীর মুবারক তথা অত্যন্ত খুশি মুবারক প্রকাশ-পর্ব-৩০

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাত্র) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরুর রবি‘য়াহ্ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল। উনার থেকেই সবাই আসছেন। উনার সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক আছে। যেহেতু নসবগত দিক থেকে। আমি অনেক দিনই কোশেশ করেছি উনার সাথে কিছু বলার। সহজে কোনো জবাব দেন না। উনি ডানে অর্থাৎ হযরত নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে দেখিয়ে দেন অথবা উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে দেখিয়ে দেন, কথা বলার জন্য। একবার আমি নূরুর রবি‘য়াহ্ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে হুযনী শান মুবারক-এ অর্থাৎ খুব চিন্তিত দেখলাম। বিশেষ করে উনার দুই আওলাদ আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে শহীদ করা হয়েছে, উনি বদলা নেয়ার জন্য খুব চিন্তিত। তখন আমি উনাকে বললাম, যদি উনাদের বদলা নেয়া হয়, তাহলে কি আপনি খুশি হবেন? তখন তিনি তাবাস্সুমী শান মুবারক প্রকাশ করলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এরপর থেকে তিনি কথা বলেন। এই যে এখন বদলা নেয়া হচ্ছে। কাফ্ফারা আদায় করা হচ্ছে। জাররা জাররা আদায় করা হবে। তিনি খুশি হয়ে গেলেন। কাফিররা বাঁচতে পারবে না। তিনি অত্যন্ত খুশি হয়ে গেলেন। কাজেই কাফেরদের অবস্থা আরো করুণ হবে। কাফির-মুশরিকদের দুনিয়ার যমীনে থাকার অধিকার নেই। তারা অবশ্যই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!


আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্ - ফী নিসবাতি সুলত্বানিন নাছীর (১ম খণ্ড)  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ত্বহারত-ছমাদি য়াতের মাক্বাম মুবারক উনাদরে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২৯

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ত্বহারত-ছমাদি য়াতের মাক্বাম মুবারক উনাদরে বর্ণনা মুবারক-পর্ব-২৯

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৩৯ হিজরী শরীফ উনার ১০ই শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ মক্ববূল মুনাজাত শরীফ উনার পর ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদেরকে আমি অনেক কিছু বলি; কিন্তু আমার কথা সবকিছু তোমরা বুঝ না। আমার কথাগুলো বুঝতে হবে।

তোমাদেরকে একটা ঘটনা আমি বলছিলাম একবার। এই জুমাদাল উখরা শরীফ-এ ৮/৯ তারীখে।

বুঝতে পারলে ঈমান ঠিক থাকবে। আর বুঝতে না পারলে ঈমান নষ্ট হয়ে মুনাফিক্ব হতে হবে। দুইটার একটা।

আমি দেখতে পেলাম যে, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে অনেকগুলো নি‘য়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এখন এটার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি বললাম যে, আমি কি দুই রাকা‘আত নামায পড়বো মহান আল্লাহ পাক! মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন যে, না। এখন পড়লে রিয়া হবে। আচ্ছা; ঠিক আছে। আমি আর পড়লাম না। আমি জানতে চাইলাম যে, রিয়াটা কী তাহলে? তাহলে কঠিন বিষয়! যাক; অনেকদিন গেলো। এখন রিয়াটা কি তাহলে? সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার ৮ তারীখ। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা আছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলতেছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি একটা নিয়ত নিলেন। একটা বিশুদ্ধ নিয়ত। পানি দিয়ে যেমন ছড়ায় দিয়ে বাছাই করে, ময়লা পরিষ্কার করা হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, বিশুদ্ধ নিয়ত একজনের। এর মধ্যে রেশায় রেশায় কিছু রিয়া। অনেক বিশুদ্ধ নিয়ত। এরপর আমাকে নিয়ে গেলেন এক জায়গায়। এই যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা-

اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نحَْنُ اَهْلُ بيَْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ

مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَمُخْتَلِفِ الْمَلَئِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ

وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন। আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিনড়ব ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর লিস সুয়ূত্বী ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হচ্ছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র রাখা হয়েছে।

এক খানে নিয়ে গেলেন। এখন হুজরা শরীফ বলি, আর একটা স্থান বলা হোক বা একটা মাক্বাম মুবারক। একটা মাক্বাম মুবারক-এ নিয়ে গেলেন আমাকে। আসলে এই মাক্বাম মুবারকখানা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সরাসরি হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, উনাদের উপরে আছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা, উনাদের উপরে আছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মাক্বাম মুবারকখানা। এই মাক্বাম মুবারকখানা হচ্ছেন ছমাদিয়াতের মাক্বাম মুবারক এবং ত্বহারতের মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যখন সেখানে আমি প্রবেশ করলাম, তখন দেখলাম যে, মনে হলো আসলেই- রিয়া এবং সমস্ত বদ মুহলিকাত সমস্ত কিছু শূন্য এই জায়গাটা, পরিষ্কার। এর বাইরে আসলেই নানান জিনিষ সংযোগ হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, এই মাক্বাম মুবারক-এ প্রবেশ করতে না পারলে, কখনও পরিপূর্ণ শুদ্ধ হবে না। কিন্তু দেখলাম যে, মাক্বাম মুবারক-এ প্রবেশ করার মতো একজনও লোক নাই। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং উনাদের উপরে যাঁরা আছেন, শুধু উনারাই আছেন। তখন এই বিষয়টা আমাকে বুঝানো হলো যে, লাইলাতুল লাবানের যে সংশ্লিষ্ট বিষয়টা, এটা আসলে অনেক কঠিন বিষয়। হাক্বীক্বী ইছলাহের ঐ মাক্বাম মুবারক, যেটা ছমাদিয়াত ও ত্বহারতের মাক্বাম। মুত্বহ্হার, মুত্বহহির যে বলা হয়, ঐ মাক্বাম মুবারক-এ না পৌঁছা পর্যন্ত পরিপূর্ণ ইছলাহ্ কখনও সম্ভব না। সুবহানাল্লাহ! উনারা যে ছমাদ। মহান আল্লাহ পাক তিনি ছমাদ, বেনিয়ায। মহান আল্লাহ পাক উনার তো আছেনই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আসলে এই মাক্বাম মুবারকখানা। এই মাক্বাম মুবারক উনার মধ্যে ছমাদিয়াতের সাথে ত্বহারতের সংযুক্ততা আছে। এই মাক্বাম মুবারক-এ না পৌঁছা পর্যন্ত রিয়া হোক, কিনা হোক যা কিছু আছে সমস্ত মুহলিকাত থেকে পরিপূর্ণ ইছলাহ্ হাছিল করা কখনও সম্ভব না। সুবহানাল্লাহ!

এটার মূল মালিকই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ! এখন যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আছেনই এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিনড়বাস সালাম উনারা আছেন। এরপর হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আছেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের থেকে নূর মুবারক ঝরতেছেন। দেখা গেলো- পুরো কামরাটা নূরে নূরানী। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত ও পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এ যে বলা হয়েছিলো যে, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শরাফাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফ) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফখর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ধূলি-বালি মুবারক) দ্বারা আরশে আযীম শরীফ সম্মানিত হবেন, এটা এ রকমই। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) অন্য যা কিছু রয়েছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শরাফাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র না’লাইন শরীফ) থেকে সবসময় দায়িমীভাবে সম্মানিত নূর মুবারক ঝরতেছেন। সুবহানাল্লাহ! এই ঘরটা পুরো ঘেরাও করা। এই মাক্বাম মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ না করা পর্যন্ত সমস্ত কিছু থেকে পবিত্রতা হাছিল করা কখনও সম্ভব না। যতই ইছলাহ্ হোক, কিছুটা.. থাকবে। এই মাক্বাম মুবারকখানা উনাদের খাছ মাক্বাম মুবারক। ঐখানে যদি কেউ প্রবেশ করতে পারে, তাহলে মুহলিকাতের আর কোনো কিছু থাকবে না। ছমাদিয়াত এবং ত্বহারত দুইটা একসাথে সংযুক্ত। প্রথমে আমাকে বলা হলো যে, ছমাদিয়াত। পরে জানানো হলো যে, না এটার সাথে ত্বহারতেরও সংযোগ আছে। উনারা যে মুত্বহহার, মুত্বহহির- সমস্ত কিছু থেকে উনারা ছমাদ। এই জিনিষটাই এটা।” সুবহানাল্লাহ!