৪৭২ নং- সুওয়াল :-এক ব্যক্তি বললেন, নবী করীম (সা:) বলেছেন, বেতের নামায বাদ যে দুই রাকাত নফল নামায পড়া হয়, সেই নামায বসে পড়লে প্রতি রাকাতে একশত রাকাতের ছওয়াব পাওয়া যায়। আবার অন্য একজন বললেন, দাঁড়িয়ে নামায পড়ার ছওয়াব বেশি, কোনটা ঠিক?

সুওয়াল : মাসিক মদীনা নভেম্বর/৯৫ সংখ্যায় নিম্নোক্ত প্রশ্নোত্তর ছাপানো হয়-
প্রশ্ন :  এক ব্যক্তি বললেন, নবী করীম (সা:) বলেছেন, বেতের নামায বাদ যে দুই রাকাত নফল নামায পড়া হয়, সেই নামায বসে পড়লে প্রতি রাকাতে একশত রাকাতের ছওয়াব পাওয়া যায়। আবার অন্য একজন বললেন, দাঁড়িয়ে নামায পড়ার ছওয়াব বেশি, কোনটা ঠিক?

উত্তর : সব নামাযই বসে পড়ার চাইতে দাঁড়িয়ে পড়াতে ছওয়াব বেশি। রসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “ .... এটুকু বললেই তো হবে না, কখন কি উপলক্ষে বলেছেন, কোন কিতাবে তার প্রমাণ আছে এটাও অবশ্যই বলতে হবে।”
মাসিক মদীনার উপরোক্ত উত্তর কতটুকু সঠিক হয়েছে, তা জানতে আগ্রহী।


জাওয়াব : মাসিক মদীনার সম্পাদক যে বলেছে, সব নামাযই বসে পড়ার চাইতে দাঁড়িয়ে পড়াতে ছওয়াব বেশি, তার একথা শুদ্ধ হয়নি। কেননা, হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে,
*
অর্থ: - “হযরত উম্মে সালমা আলাইহাস সালাম উনার হতে বর্ণিত রয়েছে, নিশ্চয়ই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিতরের নামাযের পর দু’রাকায়াত নামায সংক্ষিপ্তভাবে বসে আদায় করতেন।”
একারণে বিতরের পরে দু’রাকায়াত নফল নামায বসে পড়া সুন্নত এবং পূর্ণ ছওয়াব ও ফযীলতের কারণ। এছাড়া বাকি অন্যান্য নফল নামায দাঁড়িয়ে পড়লে পূর্ণ ছওয়াব আর বসে পড়লে অর্ধেক ছওয়াব।
বিতরের পরের এ দু’রাকায়াত নামায যেহেতু হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করেছিলেন, তাই এটাকে হালক্বী নফলও বলা হয়। (ইবনে মাযাহ, আহমদ, মিশকাত, মিরকাত, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, আকাবের কা রমাযান)
আবা-২৯

0 Comments: