ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল
হক্ব,
গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার
স্মরণে-
একজন
কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-
হজ্ব সমাপন এবং
মসজিদে নববীতে
বিশেষ নিয়ামত লাভ
চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ-বিষাদ, স্বস্তি-শঙ্কা
ও মিলন-বিরহের উদ্বেগে এক যন্তনাকাতর মানসিকতায় ওলীয়ে মাদারজাদ, আশিকে
নবী, আওলাদুর রসূল,
হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম পবিত্র মদীনা শরীফে উপস্থিত
হলেন। আশৈশব মন ও মননে লালিত মধুরতম স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরম মুহূর্তে তিনি
বাকরুদ্ধ। এটি এমন এক চাওয়া, যা’
না পেলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে এবং যা’ প্রাপ্তির
পূর্ণতায় আনন্দ-বেদনার মিশ্রধারায় চোখের পাতা ভিজে যায়। তাইতো ইহকাল ও পরকালের
পবিত্র কেন্দ্রভূমি মদীনা শরীফের মুবারক মাটিতে কদম রেখে কেবলই উনার মন বলে, “ইয়া
রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দূর থেকে ছলাত-সালাম পাঠিয়ে
তৃষ্ণা মিটেনি। আপনার সদয় আহবানে প্রাণ জুড়াবার পরম প্রত্যাশায় আমি আপনার পাক
দরবারে হাজির হয়েছি। স্বশরীরে আপনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে বাকরুদ্ধ আমি বেকারার
হয়ে পড়েছি। এখন কিভাবে নিজেকে আপনার কাছে সমর্পন করবো দয়া করে বলে দিন।” মেহেরবান আল্লাহ্ পাক উনার মাহবুব ওলীগণকে এমন
কিছু খাছ নিয়ামত দান করেন,
যা’
আয়াসসাধ্য নিপুন আয়োজনে আমৃত্যু আমল ও কোশেশ করেও লাভ করা
যায়না। এই অতুলনীয় নিয়ামত আল্লাহ্ পাক-উনার সদয় বখ্শিশ। ছহিবু লাওলাক, শাফিউল
মুজনেবিন, আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, তাজেদারে
মদীনা, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার মূল
নিয়ামত। এ নিয়ামত হাছিল হলে পাবার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকেনা। এই পরম নিয়ামত
হাছিলকারী আল্লাহ্ পাককে স্মরণের পূর্বেই আল্লাহ্ পাক উনাকে স্মরণ করে থাকেন। তখন
দুনিয়া ও আখিরাত একাকার হয়ে যায়। ছ‘হিবে নিয়ামত হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মরূপে অনুসরণ ও
অনুকরণ, পরিপূর্ণভাবে সুন্নতের ইতায়াত, উনার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ
স্থাপন, মুবারক দিদার ও নিগূঢ় সান্নিধ্য লাভের মাধ্যমেই আলোচ্য নিয়ামত হাছিল হয়। আশিক
উম্মত জানেইনা বর্তমান,
পরবর্তী ও পরিণত ধাপে তার প্রাপ্তিযোগ ও কামিয়াবীর সোপান
কোনটি। আল্লাহ্ পাক-উনার মাহবুব ওলী হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর
রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিও এখন জানেননা কতো মধুর নিয়ামত উনার জন্য অপেক্ষা করছে!
শুধু জানেন নিজেকে নিঃশেষে বিলীন করার প্রত্যাশিত পরম মুহূর্ত সমাগত।
খাজিনাতুর রহমত, রহমতে
আলম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
স্থাপনকারী এবং মুবারক দিদারলাভে ধন্য আশিকে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর
রহমান আলাইহিস সালামপাক রওজা মুবারকে
হাজির হয়ে সালাম পেশ করলেন। স্বভাব-সম্পৃক্ত বিনয় ও অন্তরের সবটুকু মমতায় নিবেদন
জানালেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ,
ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনুগ্রহ
করে আমাকে ধন্য করুন,
আমাকে পরিপূর্ণ করুন।” পবিত্র মদীনা শরীফের মুবারক
মাটিতে হাঁটতে উনার পা মুবারক কাঁপছেন, পা মুবারক জড়িয়ে যাচ্ছেন। কেবলই
মনে হচ্ছে, সাইয়্যিদুল খলায়িক্ব,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম মদীনা শরীফের এই পাক মাটিতে কদম মুবারক রেখে হেঁটেছেন। জগৎ-সংসার, ইহকাল-পরকাল, এমনকি
মনের গভীরে সত্নে
গুছিয়ে রাখা নিজের কোন কথাই এখন আর মনে নেই। আপন অস্তিত্ব
প্রায় বিলোপের এমন নাজুক অবস্থায় মন ও মননের সবটুকু জুড়ে আছেন কেবল মাশুক হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নামাযের
সময় হয়েছে। মসজিদে নববীতে নামায শেষে ছহিবু কাবা কাওসাইন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সাক্ষাৎ লাভ এবং উনাকে কদমবুছি করার পরম
প্রত্যাশায় বসে আছেন উনার মাহবুব আওলাদ, ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুয্
যামান, ফখরুল আউলিয়া,
আফযালুল ইবাদ, লিসানুল হক্ব, হযরতুল
আল্লামা, শাহ্ ছূফী, সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম। ভাবনায় বিভোর আশিক আওলাদ এক
পর্যায়ে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। তন্দ্রাচ্ছন্ন নিবিড় পরিবেশের পরম মুহূর্তে
আফযালুল ক্বায়িনাত,
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-উনার দিদার নছীব হলো। কিছুক্ষণের মধ্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার
দু’জন প্রিয় সহচর সেখানে উপস্থিত হলেন। তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন, একজন
আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং অপরজন ফারুকে
আ’যম হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
আবা-১১৮
0 Comments:
Post a Comment