ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আ’যম,
লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার
স্মরণে-
একজন
কুতুবুজ্জামান-উনার দিদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান
মুর্শিদ ক্বিবলা
উনার সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা-
আমীরুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ ত্বরীকত, কুতুবুল
আলম, ইমামুল মিল্লাত ওয়াদ্দ্বীন, মাহবুবে সুবহানী, কাইয়্যূমুয্যামান, ইমামুল
মুসলিমীন, শাইখুল মুহাক্বিক্বীন,
মুজাদ্দিদুয্ যামান, আলহাজ্ব, হযরতুল
আল্লামা আবূ বকর ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার পুত্র সন্তান পাঁচজনঃ
(১) নায়িবে মুজাদ্দিদ, আলহাজ্ব, হযরতুল
আল্লামা আবু নছর মুহম্মদ আবদুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(২) মুফতীয়ে আ’যম, আলহাজ্ব, হযরতুল
আল্লামা আবু জাফর মুহম্মদ অজিহুদ্দীন মুস্তফা ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি
আলাইহি,
(৩) হযরতুল আল্লামা আবদুল কাদির
ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(৪) কুতুবুল আলম, হযরতুল
আল্লামা আবু নজম মুহম্মদ নাজমুস্ সায়াদাত ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি
এবং
(৫) হযরতুল আল্লামা, শাহ্
ছূফী, জুলফিক্বার আলী ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তাঁরা প্রত্যেকেই
বুলন্দ মর্যাদার অধিকারী। সকলেই জন্মগত ওলী। পিতার নিকট অতি শৈশবকালেই তাঁরা ইল্মে
জাহির ও ইল্মে বাতিন সম্পর্কে অবহিত হন এবং ক্রমান্বয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি হাছিল
করেন।
উল্লিখিত পাঁচজন বুযুর্গ সন্তানের
মধ্যে খাছ দু’জন হলেনঃ
(১) কুতুবুল আলম, হযরতুল
আল্লামা আবু নছর মুহম্মদ আবদুল হাই ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং
(২) ওলীয়ে মাদারজাদ, আবু নজম
মুহম্মদ নাজমুস্ সায়াদাত ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরতুল আল্লামা
আবদুল কাদির ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী রহমুতল্লাহি আলাইহি বলেন, “পীর
ছাহেব ক্বিবলা (মুজাদ্দিদুয্ যামান, হযরতুল আল্লামা আবু বকর ছিদ্দীকী
ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি) ইন্তিকালের অব্যবহিত পূর্বে আমাদের পাঁচ ভাই-উনার
হাত ধরেছিলেন।
আমার ধারণা, শেষ সময়ে তিনি আমাদের উপর সমস্ত
বাতিনী নিয়ামতের ফয়েজ নিক্ষেপ করে গেছেন।”
ভারত ও বাংলাদেশের মুসলিম
উম্মাহ-উনার প্রতি ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুল আলম, সুলতানুল
আরিফীন, হযরতুল আল্লামা,
শাহ্ ছূফী, আবু নজম মুহম্মদ নাজমুস্ সায়াদাত ছিদ্দীকী ফুরফুরাবী
রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার অবদান অপরিসীম। মুসলমান হয়েও দ্বীন ইসলামের অনুশাসনে জীবন
যাপনে গাফলতি ও অনীহা,
ঈমান ও আমলের দৈন্য দশা, বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণের
স্বেচ্ছাচারিতায় মানসিক বৈকল্য এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি ও দর্শনের প্রতি মানুষের
আসক্তির মূলোৎপাটনে পিতা ও বড় ভাইগণের আদর্শে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
দ্বীনের ছহীহ্ সমঝ প্রদানে ইসলাম ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করণ এবং সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সুন্নত পালনে মানুষকে অভ্যস্ত করে তোলায়
তিনি মুবারক জীবনব্যাপী নিয়োজিত থাকেন।
তিনি ছিলেন হাক্বীক্বত বিশারদ, সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন এবং
সমকালীন আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের অগ্রনায়ক। জাহিরী ও বাতিনী
প্রজ্ঞায় তিনি ছিলেন অগাধ সমুদ্রতুল্য। ইল্ম ও মারিফাতের অমিয় প্রভায়
পাক-ভারত-বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ যে সব ওলী আল্লাহ্গণ আলোকিত করেছেন, আপন যুগে
তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম। মুজাদ্দিদ পিতার নিকট তিনি ইল্মে তাছাউফের অপরিমেয়
ব্যুৎপত্তি হাছিলের মাধ্যমে কামিয়াবীর শীর্ষধাপে উপনীত হন এবং পর্যায়ক্রমে
ক্বাদিরীয়া, চিশতীয়া, নক্শবন্দীয়া ও মুজাদ্দিদিয়া ত্বরীকার খিলাফত লাভ করেন। তিনি ন’হুযূর
ক্বিবলা নামে সকলের নিকট সমধিক পরিচিত ছিলেন। বিশুদ্ধ ঈমান, আক্বীদা
ও আমলে সে সময়ে মুসলমান সমাজের দুরাবস্থায় বেদনাবোধ, নিজ ধমনীতে মুজাদ্দিদ পিতার
মুবারক রক্তধারার তেজোদ্দীপ্ত প্রভাব এবং কামিয়াবীর সহজাত প্রেরণায় তিনি অবলীলায়
নায়িবে মুজাদ্দিদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। (অসমাপ্ত)
আবা-১১৩
0 Comments:
Post a Comment