উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট ১৩ জন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘আছ ছালিছাহ্ ‘আশার অর্থাৎ ১৩তম’। এজন্য উনাকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম’ বলা হয়। তিনি সকলের মাঝে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম’ হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মূল মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত মাইমূনাহ্ আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিনী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! উনাকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করা, উনার সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা এবং উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক জানাও সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! তাই নিম্নে উনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক উল্লেখ করা হলো।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা আলাইহিস সালাম:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা আলাইহিস সালাম হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ ইবনে হায্ন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ ইবনে হায্ন আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন বনূ হিলাল গোত্রের সবচেয়ে সম্মানিত ও অনুসরণীয় বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি কে? যদিও এই বিষয়ে অনেকে অনেক ইখতিলাফ করেছেন, তবে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে- উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত হিন্দ বিনতে ‘আউফ আলাইহাস সালাম তিনি।’ সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন উনার সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিতা ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে একমাত্র তিনিই সেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যিনি দুইজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিমাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! এদিক থেকে তিনি ছিলেন এক অনন্য বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ্ মুবারক:
১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ৬ জন ছিলেন সম্মানিত কুরাঈশ বংশীয়। ১ জন ছিলেন বনূ আসাদ বংশীয়। ২ জন ছিলেন বনূ হিলাল বংশীয়। ২ জন ছিলেন বনূ নাযীর বংশীয়। বনূ নাযীর গোত্র ছিলেন পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার অনুসারী। ১ জন ছিলেন বনূ মুছ্ত্বলিক্ব বংশীয় এবং ১ জন ছিলেন মিশরের বনূ ক্বিব্ত্ব বংশীয়। বনূ মুছত্বলিক্ব এবং বনূ ক্বিব্ত্ব গোত্র ছিলেন পবিত্র ইনজিল শরীফ উনার অনুসারী। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন বনূ হিলাল বংশীয়। উনার মহাসম্মানিত পিতা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত হারিছ ইবনে হায্ন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি উনার মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার দিক থেকে ১৯তম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আখাওয়াত বা বোন আলাইহিন্নাস সালাম:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনারা ছিলেন মোট ১২ বোন। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন-
১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
২. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল ফযল লুবাবাহ্ কুবরা বিনতে হারিছ আল হিলালিয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত খাতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আহলিয়াহ্। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল ফযল লুবাবাহ্ কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার মাধ্যমে সাইয়্যিদুনা হযরত খাতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম উনার ৬ জন সম্মানিত আওলাদ উনারা বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। উনারা হচ্ছেন- (১) সাইয়্যিদুনা হযরত ফযল ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (২) সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (৩) সাইয়্যিদুনা হযরত উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (৪) সাইয়্যিদুনা হযরত মা’বাদ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (৫) সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাম ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং (৬) সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!
৩. সাইয়্যিদাতুনা হযরত লুবাবাহ্ ছুগরা বিনতে হারিছ আল হিলালিয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিতা আম্মাজান। সুবহানাল্লাহ!
৪. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ‘আছমা বিনতে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। কেউ কেউ বলেছেন, তিনিই হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত লুবাবাহ্ ছুগরা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। সুবহানাল্লাহ!
৫. উম্মু হুফাইদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত হুযাইলাহ্ বিনতে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। সুবহানাল্লাহ!
৬. উম্মু যিয়াদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ‘আয্যাহ্ বিনতে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। সুবহানাল্লাহ! এবং
৭. সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বাযাহ্ বিনতে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। উনার সম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন হযরত ইয়াযীদ ইবনে আছাম্ম রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি এবং উপরে বর্ণিত ৬ জন উনারা হচ্ছেন সহোদর বা আপন বোন। সুবহানাল্লাহ! এ হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনিসহ উনারা মোট ৭ জন হচ্ছেন আপন বোন। সুবহানাল্লাহ! তবে কেউ কেউ এর ব্যতিক্রমও বলেছেন।
মহাসম্মানিত ভাই:
স্বাভাবিকভাবে কিতাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার দুইজন মহাসম্মানিত ভাই উনাদের বর্ণনা পাওয়া যায়। সুবহানাল্লাহ! উনারা হচ্ছেন-
১. সাইয়্যিদুনা হযরত সায়িব ইবনে হারিছ ইবনে হায্ন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!
২. সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বত্বান ইবনে হারিছ ইবনে হায্ন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!
উনারা দু’জন হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আপন ভাই। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
পৃথিবীর কোনো কিতাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক উল্লেখ নেই। এটা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত আফসোসের বিষয় যে, মুসলমানরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সংরক্ষণ করতে পারেনি। না‘ঊযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন একমাত্র খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত নিয়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে, আখাছ্ছুল খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে উনার রয়েছেন বেমেছাল হাক্বীক্বী দায়িমী তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক এবং যিয়ারত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে একমাত্র উনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, আখাছ্ছুল খাছভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারকসমূহ প্রকাশ করা। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালত মুবারক প্রকাশের ৩১ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) বনূ হিলাল গোত্রে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শৈশবকাল মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শৈশবকাল মুবারক উনার মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার, মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম উনার এবং উনার সম্মানিত ভাই-বোন উনাদের সাথে বনূ হিলাল গোত্রে অতিবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ আসার পূর্বে সম্মানিত শাদী মুবারক:
অধিকাংশের মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ আসার পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার দুইটি শাদী মুবারক হয়। সর্বপ্রথম শাদী মুবারক হয় মাস‘ঊদ ইবনে ‘আমর ইবনে ‘উমায়ের ছাক্বাফীর সাথে। তার সাথে জুদায়ী হওয়ার পর উনার শাদী মুবারক হয় সম্মানিত কুরাইশ বংশ উনার ‘আমিরী শাখার হযরত আবূ রুহ্ম ইবনে আব্দিল উয্যা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সাথে। উনার সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ:
খায়বারের জিহাদ অনুষ্ঠিত হয় ৭ম হিজরী শরীফ উনার শুরুর দিকে মুহররমুল হারাম শরীফ মাসে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ‘উমরাতুল কাযা আদায় করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেন ৭ম হিজরী শরীফ উনার শেষের দিকে সম্মানিত শাওওয়াল শরীফ মাসে। তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি উনার সম্মানিত বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল ফযল লুবাবাহ্ কুবরা বিনতে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বলেন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল ফযল লুবাবাহ্ কুবরা বিনতে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি উনার সম্মানিত আহাল সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম উনাকে বিষয়টি জানান এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বিষয়টি পেশ করার জন্য বলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনার পক্ষ থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক ক্ববূল করেন। সুবহানাল্লাহ!
৭ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৫০ বছর ৪ মাস ১৩ দিন। সুবহানাল্লাহ!
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে ১০ মাইল দূরে সারিফ নামক সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারক-এ। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার সাথে প্রথম রাত্র মুবারক অতিবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন যে, এই সারিফ নামক সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারকেই আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবেন এবং এই সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারকেই আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ হবে। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, বিশুদ্ধ মতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ইহ্রাম মুবারক অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ করেন। আর সম্মানিত ইহ্রাম মুবারক থেকে হালাল হয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠান মুবারক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার সাথে প্রথম রাত্র মুবারক অতিবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক ছিলেন ৫০০ দিরহাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সারিফ নামক স্থান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমাহ্ মুবারক করেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার পর প্রথম রাত্র মুবারক অতিবাহিত করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল বয়ান ১/২৫১, জামি‘উ লাত্বফিত তাফসীর ৪/২৬৫)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “হযরত আবূ আব্দুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ করেন তখন উনার সম্মানার্থে সম্মানিত ওলীমাহ্ মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি মানুষদেরকে ‘হাইস’ নামক খাবার মুবারক খাওয়ান। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুল কাফী ১২/১৯৪)
অপর বর্ণনায় রয়েছেন,
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক-এ এতো অধিক বরকত হয় যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা তৃপ্তিসহকারে রুটি এবং গোশত খান।” সুবহানাল্লাহ! (‘উমদাতুল ক্বারী ২৯/৩৮০)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বেমেছাল তাক্বওয়া মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বেমেছাল তাক্বওয়া মুবারক উনার বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি আমাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করতেন অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি মুত্তাক্বী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি সবচেয়ে বেশি আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখতেন। সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৪/৩৪, মুসনাদে হারিছ ১/৫১৩, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৪/৯৪, আল ইছাবাহ্ ৮/২৪ ইত্যাদি)
হযরত ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল ইছাবাহ্’ উনার মধ্যে বলেন, ‘এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ খানা ছহীহ সনদে বর্ণিত।’ সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ্ ৮/২৪)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একই পাত্র মুবারক থেকে পানি নিয়ে সম্মানিত গোসল মুবারক করা:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি (উনার মহাসম্মানিত খালা) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং আমি অর্থাৎ আমরা একই সম্মানিত পাত্র মুবারক থেকে পানি নিয়ে সম্মানিত গোসল মুবারক করতাম।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ৪৪/৩৭৮)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে ১০ মাইল দূরে সম্মানিত ও পবিত্র সারিফ নামক স্থান মুবারক-এ। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার সাথে প্রথম রাত্র মুবারক অতিবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন যে, এই সম্মানিত ও পবিত্র সারিফ নামক স্থান মুবারকেই আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবেন এবং এই সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারকেই আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ হবেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি ৫১ হিজরী শরীফ-এ সম্মানিত হজ্জ মুবারক পালন করতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখেন। সম্মানিত হজ্জ মুবারক আদায় শেষে তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইহসান মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মারীদ্বী শান মুবারক) প্রকাশ করেন।
হযরত ইয়াযীদ ইবনে আছাম্ম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার আপন বোনের ছেলে অর্থাৎ ভাগিনা। উনার থেকে বর্ণিত রয়েছেন,
অর্থ: “হযরত ইয়াযীদ ইবনে আছাম্ম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইহসান মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মারীদ্বী শান মুবারক) খুব বেশি আকারে প্রকাশ পান, তখন উনার নিকট উনার ভ্রাতুষ্পুুত্রের মধ্যে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বললেন, আমাকে তোমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার বাইরে নিয়ে যাও, নিশ্চিত আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো না। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, নিশ্চয়ই আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো না। তখন উনাকে বহন করে সম্মানিত ও পবিত্র সারিফ নামক স্থানে সেই গাছটির নিকট নিয়ে যাওয়া হলো, যেই গাছটির নিচে একটি তাঁবুতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম রাত্র মুবারক অতিবাহিত করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনি (উক্ত সম্মানিত ও পবিত্র স্থান মুবারক-এ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আবী ইয়া’লা ১৩/২৭, দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ লিল বাইহাক্বী ৬/৪৩৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/১১৩, মাজমাউয যাওয়াইদ ৯/২০০ ইত্যাদি)
ইমাম ত্ববারনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লিখিত বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল মু’জামুল কাবীর’ উনার মধ্যে বর্ণনা করেন,
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত ও পবিত্র সারিফ নামক স্থান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠান মুবারক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার সাথে প্রথম রাত্রি মুবারক অতিবাহিত করেন এই সম্মানিত ও পবিত্র সারিফ নামক স্থান মুবারক-এ এবং এই সম্মানিত ও পবিত্র সারিফ নামক স্থান মুবারকেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি ৫১ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে ৯৪ বছর ৫ মাস ১৬ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
0 Comments:
Post a Comment