এক নজরে বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, আত ত্বহির, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক

এক নজরে বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, আত ত্বহির, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক 

 সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হলেন তিনি হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র ১২ ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ইমামুস সাবি’ তথা সপ্তম ইমাম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন। এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! 

নিম্নে এক নজরে উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-

হাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম। তবে আমভাবে সকলের মাঝে তিনি ‘সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম’ হিসেবে পরিচিত। সুবহানাল্লাহ! 

সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: আবুল হাসান আউওয়াল আলাইহিস সালাম, আবুল হাসান মাদ্বী আলাইহিস সালাম, আবূ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম, আবূ ‘আলী আলাইহিস সালাম, আবূ ইসমাঈল আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত লক্বব মুবারক: আল কাযিম, আছ ছাবির, আল হালীম, আল ‘আবদুছ ছালিহ, আন নাফ্সুয যাকিয়্যাহ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, বাবুল হাওয়ায়িজ, আল ওয়াফী, আল আমীন, আয যাহির, আত ত্বইয়্যিব, আছ ছালিহ, আস সাইয়্যিদ, আল মা’মূন, মালিকুল কায়িনাত, ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ! 

যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম)। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: ১২৮ হিজরী শরীফ উনার ৭ই ছফর শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ তথা সোমবার)। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ভাই-বোন আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম: মহাসম্মানিত ৭ ভাই আলাইহিমুস সালাম এবং মহাসম্মানিত ৪ বোন আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আবার কেউ কেউ বলেছেন, ৭ ভাই আলাইহিমুস সালাম এবং ৯ বোন আলাইহিন্নাস সালাম। আবার কেউ কম বেশিও বলেছেন।

মহাসম্মানিত যাওজাতুম মুর্কারমাহ আলাইহিমাস সালাম: উম্মুল বানীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাজমাহ আলাইহাস সালাম তিনিসহ আরো কয়েকজন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইমাম হিসেবে তারতীব অনুযায়ী উনার সম্মানিত অবস্থান মুবারক: সপ্তম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সপ্তম ইমাম আলাইহিস সালাম হিসেবে প্রকাশ: ১৪৮ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ তথা সোমবার) উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইমামতী শান মুবারক প্রকাশের সময় উনার সম্মানিত বয়স মুবারক: ২০ বছর ৫ মাস ৭ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইমামত মুবারক উনার মুদ্দত বা সময়সীমা মুবারক: ১৪৮ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ হতে ১৮৩ হিজরী শরীফ উনার ২৫শে রজবুল হারাম শরীফ পর্যন্ত মোট ৩৫ বছর ১১ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং আলাইহিন্নাস সালাম: কেউ কেউ বলেছেন, ৫২ জন। ২৩ জন মহাসম্মানিত হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম এবং ২৯ জন মহাসম্মানিত হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! কেউ কেউ আরো কম বেশিও বলেছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: ১৮৩ হিজরী শরীফ উনার ২৫শে রজবুল হারাম শরীফ পবিত্র জুমু‘য়াহ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: ইরাকের বাগদাদ শরীফ-এ হারূনুর রশীদের কারাগারে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণ: যালিম শাসক হারূনুর রশীদের নির্দেশে বাগদাদ শরীফ উনার কারাগারে সম্মানিত খাবার মুবারক-এ বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে উনাকে শহীদ করা হয়। না‘ঊযুবিল্লাহ!

দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক: ৫৫ বছর ৫ মাস ১৮ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: ইরাকের রাজধানী বাগদাদ শরীফ উনার অদূরে কাজেমাইন শহরে। পূর্বে উক্ত স্থান মুবারক উনার সম্মানিত নাম মুবারক ছিলেন ‘মাক্বাবিরে কুরাইশ’। সুবহানাল্লাহ! 

বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, আত ত্বইয়্যিব, আছ ছালিহ, আস সাইয়্যিদ, আত্ব ত্বহির, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক

 মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নসবনামাহ মুবারক:

سيدنا حضرت موسى الكاظم بن جعفر الصادق بن محمد الباقر بن علي زين العابدين بن الحسين عليهم السلام بن فاطمة عليها السلام بنت سيدنا محمد صلى الله عليه وسلم

১. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম),

২. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম),

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাক্বির আলাইহিস সালাম),

৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল ‘আবিদীন আলী আলাইহিস সালাম),

৫. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম),

৬. সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম), 

৭. সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা মুহম্মদুর রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

অন্যদিক থেকে তিনি হচ্ছেন-

سيدنا حضرت موسى الكاظم بن جعفر الصادق بن محمد الباقر بن علي زين العابدين بن الحسين بن على عليهم السلام.

১. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম),

২. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম),

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাক্বির আলাইহিস সালাম),

৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল ‘আবিদীন আলী আলাইহিস সালাম),

৫. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম),

৬. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আলী ইবনে আবী ত্বালিব কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম)। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশানুক্রমে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে জারীকৃত সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক উনার মূল নিয়ামত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত কুরবত মুবারক এবং সম্মানিত মূল নিয়ামত মুবারক হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ! আর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশানুক্রমে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে জারীকৃত মহাসম্মানিত ইমামত মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ামত মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম :

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

বর্ণিত রয়েছেন,

وَقَدْ كَانَتْ كَاِسْـمِهَا حَمِيْدَةُ الصِّفَاتِ جِدًّا

অর্থ: “উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক উনার ন্যায় উনার মাঝে অসংখ্য সর্বোত্তম প্রশংসনীয় ছিফত মুবারক বিদ্যমান ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ!

আরো বর্ণিত রয়েছেন,

وَقَدْ خَصَّهَا اللهُ بِالْفَضْلِ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে সম্মানিত ফযল মুবারক দ্বারা খাছ করে নিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!

আরো বর্ণিত রয়েছেন,

وَقَدْ كَانَتْ وُفُوْرُ الْعَقْلِ وَالْكَمَالِ وَحُسْنُ الْاِيْـمَانِ 

অর্থ: “আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ আক্বল-সমঝ মুবারক, সম্মানিত কামালিয়াত মুবারক এবং উত্তম ঈমান মুবারক উনাদের অধিকারিণী।” সুবহানাল্লাহ! 

আরো বর্ণিত রয়েছেন,

وتزوّج بها أبو عبد الله الامام جعفر الصادق عليه السلام فكانت من أعزّ نسائه وأحبهن إليه.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু ইমামিস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ করেন। তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট উনার অন্য সকল আযওয়াজুম মুত্বহহারাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়, পছন্দনীয় এবং সবচেয়ে মাহবূবাহ।” সুবহানাল্লাহ! 

আরো বর্ণিত রয়েছেন,

كَانَ حضرت الامام الصادق عليه السلام اِذَا ذَكَرَ حميدة عَلَيْهَا السَّلَامُ اَثْنٰـى عَلَيْهَا فَاَحْسَنَ الثَّنَاءَ وقال ان حميدة عليها السلام مصفاة من الأدناس كسبيكة الذهب وإنها حميدةٌ في الدنيا محمودة في الآخرة

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আলোচনা মুবারক করতেন, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করতেন, তখন উনার সর্বোত্তম ছানা-ছিফত মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বলেন, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম তিনি খাঁটি স্বর্ণপি-ের ন্যায় সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা থেকে পূত-পবিত্র। সুবহানাল্লাহ! আর নিশ্চয়ই তিনি ইহকালে যেমন প্রশংসনীয় অনুরূপভাবে পরকালেও প্রশংসনীয়।” সুবহানাল্লাহ!

আরো বর্ণিত রয়েছেন,

وقد غذّاها الإمام الصادق بعلومه حتى أصبحت في طليعة نساء عصرها علماً وورعاً وإيماناً وكانت تعلم النساء المسلمات الفقه والأحكام الشرعية لانها كانت من ألمع نساء عصرها في العفّة والفقه والكمال.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত ইলম মুবারক দ্বারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু ইমামিস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এতটুকু বৈশিষ্ট্য ম-িত করেন যে, তিনি ছিলেন ঐ যামানায় সমস্ত মহিলাদের মাঝে সম্মানিত ইলম মুবারক, সম্মানিত তাক্বওয়া মুবারক এবং সম্মানিত ঈমান মুবারক তথা সার্বিকভাবে সর্বদিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠা। সুবহানাল্লাহ! তিনি সমস্ত মুসলমান মহিলা উনাদেরকে সম্মানিত ইলমে ফিক্বহ উনার তা’লীম মুবারক দিতেন এবং সম্মানিত ইলমে শরীয়ত মুবারক উনার হুকুম-আহকাম মুবারক শিক্ষা দিতেন। সুবহানাল্লাহ! কেননা তিনি ছিলেন সেই যুগের সমস্ত মহিলা উনাদের মাঝে চারিত্রিক নিষ্কলুষতা, সম্মানিত ইলমে ফিক্বহ এবং সম্মানিত কামালিয়াত মুবারক তথা সার্বিকভাবে সর্বদিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠা।” সুবহানাল্লাহ!

মূলত, উম্মু ইমামিস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন মুত্বহ্হার ও মুত্বহহির। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْرًا.

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

فَاَنَا وَاَهْلُ بَيْتِىْ مُطَهَّرُوْنَ مِنَ الذُّنُوْبِ.

অর্থ: “আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম আমরা সকলেই যুনূব তথা সমস্ত প্রকার ছগীরা-কবীরা এবং যাবতীয় অপছন্দনীয় কাজ থেকে পূত-পবিত্র।” সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন নুবুওওয়াহ লিল বায়হাক্বী, শিফা শরীফ ১/৩২৫, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/৪২, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৪৯৮, খছাইছুল কুবরা ১/৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৩৫, দুররে মানছূর লিস সুয়ূত্বী ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩ ইত্যাদি)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, ইহুদী-খ্রিষ্টান, কাফির-মুশরিক, মুনাফিক্ব ও উলামায়ে সূ’রা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনারা রয়েছেন, উনাদের মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে উম্মু ওয়ালাদ বলে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাদের মানহানী করতে চায়। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ উনারা প্রত্যেকেই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী উম্মু ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত হামীদাহ আলাইহাস সালাম উনাকে অথবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে যারা উম্মু ওয়ালাদ বলবে অথবা উনাদের মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক, স্বাভাবিক অবস্থায় হোক অথবা মাতাল বা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় হোক অর্থাৎ যেকোনো অবস্থায়ই হোক না কেন- অবশ্যই অবশ্যই তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ-। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ-। এ মৃত্যুদ- থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং এ বিষয়ে কোনো প্রকার ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়, তাদেরকে শাস্তিস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলকভাবে মৃত্যুদ- দিতে হবে। তা শরীয়তের অন্যান্য বিধান অমান্য করার কারণে যেরূপ কঠিন শাস্তি দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো লক্ষ কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে যন্ত্রণাদায়ক ও লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি দিয়ে মৃত্যুদ- দিতে হবে। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একই হুকুম অর্থাৎ তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ-। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:

বর্ণিত রয়েছেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত যাওযাতুম মুকাররমাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু ইমামিস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ মুবারক আদায় করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখেন। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ আসার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবওয়া শরীফ নামক স্থানে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত সময় মুবারক ছিলেন ১২৮ হিজরী শরীফ উনার ৭ই ছফর শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ তথা সোমবার)। সুবহানাল্লাহ! মূলত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবওয়া শরীফ হচ্ছেন অত্যন্ত সম্মানিত ও পবিত্র এবং বরকতময় স্থান মুবারক। কেননা এখানে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং এখানেই আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ! আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র এবং বরকতময় স্থান মুবারক-এ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলোয় সর্বত্র আলোকিত হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! মূলত, ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা একই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি’ এ বিষয়টিই স্পষ্ট হয়ে গেছে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময়। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,

فَخَلَقْتُكَ وَخَلَقْتُ اَهْلَ بَيْتِكَ مِنَ النُّوْرِ الْاَوَّلِ

অর্থ: “আমি আপনাকে এবং আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রথম ভাগ নূর মুবারক তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র একই নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! 

অপর বর্ণনায় রয়েছেন,

فَخَلَقْتُكَ وَاَهْلَ بَيْتِكَ مِنَ الْقِسْمِ الْاَوَّلِ

অর্থ: “আমি আপনাকে এবং আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রথম ভাগ নূর মুবারক তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র একই নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (নুয্হাতুল মাজালিস, আল বারাহীন)

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 

وهبَ اللَّهُ لي غُلاماً وهو خيرُ من بَرَّأَ اللَّه‏

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম হাদিয়া মুবারক করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁদেরকে পবিত্র করেছেন উনাদের মধ্যে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ!

অপর বর্ণনায় রয়েছেন,

وَدِدْتُ أَن ليس لي ولدٌ غيرهُ حتَّى لا يشركهُ في حُبِّي لهُ أَحد.

অর্থ: “আমার কাছে এমন মনে হয় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত আমার কোন আওলাদ নেই। সুবহানাল্লাহ! এমনকি আমি উনাকে যতটুকু সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করে থাকি, সেটা অন্য কাউকে করি না। অর্থাৎ আমি উনাকে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করি।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক:

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৭ম দিনে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক রাখেন ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! তিনি সকলের মাঝে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম হিসেবে পরিচিত। সুবহানাল্লাহ! কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,

سُـمِّىَ الْكَاظِمُ لِكَـثْرَةِ تَـجَاوُزِهِ وَحِلْمِهِ

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিক ক্ষমা ও ধৈর্য্যরে কারণে উনাকে ‘হযরত কাযিম আলাইহিস সালাম’ বলে সম্বোধন মুবারক করা হতো।” সুবহানাল্লাহ! (আছ ছওয়ায়িকুল মুহ্রিক্বহ)

অপর বর্ণনায় রয়েছেন, 

وسمي الكاظم لكظمه الغيظ

অর্থ: “উনার ক্রোধ বা গোস্বা মুবারক নিয়ন্ত্রণের কারণে উনাকে ‘হযরত কাযিম আলাইহিস সালাম’ বলে সম্বোধন মুবারক করা হতো।” সুবহানাল্লাহ!

আল্লামা ইবনে হাজার হাইতামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

وَكَانَ مَعْرُوفا عِنْد أهل الْعرَاق بِبَاب قَضَاء الْحَوَائِج

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরাকবাসীদের নিকট ‘বাবুল হাওয়ায়িজ’ তথা প্রয়োজন ও উদ্দেশ্য পূরণের সম্মানিত দরজা মুবারক তথা সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (আছ ছওয়ায়িকুল মুহ্রিক্বহ)

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ওসীলা মুবারক দিয়ে যত দো‘আ মুবারকই করা হয়, সমস্ত দো‘আ মুবারকই মহান আল্লাহ পাক তিনি কবূল করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এ কারণে তিনি সকলের মাঝে ‘বাবুল হাওয়ায়িজ’ সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ পরিচিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক:

 সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৫খানা সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ সেই ৫খানা সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক উল্লেখ করা হলো-

 سيدنا حضرت أبو الحسن الأول عليه السلام، وسيدنا حضرت أبو الحسن الماضي عليه السلام، وسيدنا حضرت أبو إبراهيم عليه السلام، وسيدنا حضرت أبو علي عليه السلام، وسيدنا حضرت أبو إسماعيل السلام.

১. সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল হাসান আউওয়াল আলাইহিস সালাম, 

২. সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল হাসান মাদ্বী আলাইহিস সালাম, 

৩. সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম, 

৪. সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ আলী আলাইহিস সালাম, 

৫. সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ ইসমাঈল আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! 

তবে উনার সবচেয়ে মাশহূর সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল হাসান আউওয়াল আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَاَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْرًا.

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩) 

আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

ثُـمَّ جَعَلَ الْقَبَائِلَ بُيُوْتًا فَجَعَلَنِىْ فِىْ خَيْرِهَا بَيْتًا فَذٰلِكَ قَوْلُهٗ تَعَالـٰى{اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُـمْ تَطْهِيْرًا} فَاَنَا وَاَهْلُ بَيْتِىْ مُطَهَّرُوْنَ مِنَ الذُّنُوْبِ.

অর্থ: “অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি গোত্রকে সম্মানিত আহাল বা পরিবার মুবারক-এ বিভক্ত করে আমাকে সর্বোত্তম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহাল বা পরিবার মুবারক-এ রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ! আর আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম আমরা সকলেই যুনূব তথা সমস্ত প্রকার ছগীরা-কবীরা এবং যাবতীয় অপছন্দনীয় কাজ থেকে পূত-পবিত্র।” সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন নুবুওওয়াহ লিল বায়হাক্বী, শিফা ১/৩২৫, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/৪২, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৪৯৮, খছাইছুল কুবরা ১/৬৬, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৩৫ ইত্যাদি) 

উপরোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনার সম্মানিত স্পর্শ মুবারক-এ যা কিছু এসেছেন, তাও পবিত্র থেকে পবিত্রতম হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এতো বেমেছাল সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন যে, উনার মাধ্যম দিয়ে এই পর্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় সিলসিলা মুবারক জারী রয়েছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, ক্বইয়ূমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় সিলসিলা মুবারক উনার মধ্যেই হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ-

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৪৮ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছানাইনিল ‘আযীম শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ২০ বছর ৫ মাস ৭ দিন। সুবহানাল্লাহ!

‘ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম’ হিসেবে বহিঃপ্রকাশ মুবারক-

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ৭ম ইমাম হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তবে উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বে মহাসম্মানিত ইমামত মুবারক উনার দায়িত্ব মুবারক হস্তান্তর মুবারক করে যান। সুবহানাল্লাহ! তখন তিনি যাহিরীভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে সকলের মাঝে প্রকাশ পান। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২০ বছর ৫ মাস ৭ দিন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ১৪৮ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ হতে ১৮৩ হিজরী হিজরী শরীফ উনার ২৫শে রজবুল হারাম শরীফ পর্যন্ত মোট ৩৫ বছর ১১ দিন যাহিরীভাবে মহাসম্মানিত ইমামত মুবারক উনার দায়িত্ব মুবারক পালন করেন। সুবহানাল্লাহ!

যালিম শাসক লা’নাতুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈনদের কারাগারে-

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি উনার সমসাময়িক ছিলো আব্বাসীয় কথিত খলীফা, যালিম শাসক আবূ জা’ফর লা’নাতুল্লাহি আলাইহি, যালিম শাসক হাদী লা’নাতুল্লাহি আলাইহি, যালিম শাসক মাহদী লা’নাতুল্লাহি আলাইহি এবং যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশ কয়েককবার গ্রেপ্তার করা হয়। না‘ঊযুবিল্লাহ! যালিম শাসক লা’নাতুল্লাহি আলাইহিম আজমা‘ঈনরা জনগণের উপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রভাব ঠেকানোর জন্য যে কোনো ধরনের প্রতারণা, প্রচারণা, বর্বরতা ও নৃশংসতার আশ্রয় নিতে দ্বিধা বোধ করতো না। এমনকি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং উনাদের অনুসারীদের উপর কঠিন যুলুম-নির্যাতন করার ক্ষেত্রে আব্বাসীয় যালিম শাসক লা’নাতুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈনরা উমাইয়া যালিম শাসক লা’নাতুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈনদের চেয়েও বেশি অগ্রসর হয়েছিল। না‘ঊযুবিল্লাহ! যদিও তাদের নেতৃত্বে সংঘটিত উমাইয়া বিরোধী আন্দোলন জন-সমর্থন পেয়েছিল এই ওয়াদার কারণে যে সম্মানিত খিলাফত মুবারক হস্তান্তর করা হবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে। কিন্তু তারা সেই ওয়াদা লঙ্ঘন করে নিজেরাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নেয়। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা তাদের এই অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সমস্ত ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এবং ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে শহীদ করেছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

 সেই ধারাবাহিকতায় আব্বাসীয় কথিত শাসক, যালিম শাসক মাহদী লা’নাতুল্লাহি আলাইহি এবং যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি এরা দুইজন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশ কয়েকবার কারাবন্দী করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! শেষ পর্যন্ত যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি উনাকে কারাগারে কঠিন যুলুম-নির্যাতন করে খাবারের সাথে বিষ প্রয়োগ করে শহীদ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,

قضى عليه السلام فترة من حياته في ظلمات السجون يُنقل من سجن إلى سجن فقد سجنه محمد المهدي العباسي ثم أطلقه وسجنه هارون الرشيد في البصرة عند عيسى بن جعفر ثم نقله إلى سجن الفضل بن الربيع في بغداد ثم نقله إلى سجن آخر عند الفضل بن يحيى وآخر سجن نقل إليه في بغداد وهو سجن السندي بن شاهك لعنة الله عليهم أجمعين وكان أشد السجون عذاباً وظلمة وكان لا يُعرف الليل من النهار فيه.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হায়াত মুবারক উনার একটা সময় অন্ধকার কারাগারে অতিবাহিত করেন। উনাকে এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হতো। না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাকে বন্দী করে আব্বাসীয় যালিম শাসক মাহাদী লা’নাতুল্লাহি আলাইহি। না‘ঊযুবিল্লাহ! অতঃপর সে উনাকে মুক্ত করে দেয়। তারপর যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা‘নাতুল্লাহি আলাইহি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বছরায় ঈসা ইবনে জা’ফর এর নিকট বন্দি করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অতঃপর উনাকে বাগদাদে ফযল ইবনে রবী’-এর কারাগারে স্থানান্তর করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারপর উনাকে অন্য এক কারাগারে ফযল ইবনে ইহইয়া এর নিকট স্থানান্তর করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারপর উনাকে বাগদাদের অন্য এক কারাগারে স্থানান্তর করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর এটা সিন্দী ইবনে শাহিক লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কারাগার। এই কারাগার যুলুম-নির্যাতন এবং অন্ধকারের দিক থেকে অন্যান্য কারাগারে তুলনায় অত্যন্ত কঠিন ছিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! সেখানে দিন-রাত চিনা যেতো না। না‘ঊযুবিল্লাহ!

কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,

وبخاصة منهم اللعين محمد المهدي الذي عزم على قتل الإمام عليه السلام ولكن الله خذله حتى قتله وبعده ابنه هارون الرشيد الذي أشخص الإمام عليه السلام من المدينة وسجنه مرتين .

অর্থ: “ঐ সমস্ত লা‘নতগ্রস্ত নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে আব্বাসীয় যালিম শাসক মাহদী লা’নাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। সে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার জন্য দৃঢ় সংকল্প করেছিলো। ন‘ঊযুবিল্লাহ! কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে নাঞ্ছিত-অপমাণিত করেছেন। এমনকি তাকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তার পর তার ছেলে যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে অস্থির করে রেখেছিলো এবং উনাকে দুই বার কারাগারে বন্দী করেছিলো।” না‘ঊযুবিল্লাহ! 

যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির নিদের্শে সিন্দি ইবনে শাহেক লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জোরপূর্বক বিষ মিশ্রিত খেজুর খাওয়ায়। না‘ঊযুবিল্লাহ! ফলে তিনি মারীদ্বী শান মুবারক গ্রহণ করেন। তারপর যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি একদল কথিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে কারাগারে উপস্থিত করে যাতে তারা সাক্ষ্য দেয় যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বাভাবিকভাবেই দুনিয়ার যমীন থেকে বিদায় নিয়েছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! এভাবে সে আব্বাসীয় শাসনযন্ত্রকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার দায়িত্বভার থেকে মুক্ত রাখতে ও উনার অনুসারীদের সম্ভাব্য আন্দোলন প্রতিরোধ করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বেমেছাল ইলম মুবারক ও হিকমত মুবারক সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়। কারণ, ঐ সাক্ষীরা যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে তাকিয়েছিল তখন তিনি বিষের তীব্রতা ও বিপন্ন অবস্থা সত্ত্বেও তাদেরকে বলেন, আমাকে নয়টি বিষযুক্ত খুরমা দিয়ে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, আগামীকাল আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসম মুবারক সবুজ হয়ে যাবে এবং তার পরদিন আমি দুনিয়ার যমীন থেকে বিদায় নিবো তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করবো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো। পরদিন ঠিকই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসম মুবারক সবুজ হয়ে যান এবং এর পরের দিন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক চিঠি মুবারক-এ যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে লিখেছিলেন,

إنه لن ينقضىَ عنى يومٌ مِن البلاء إلا إنقضى عنك معه يوم من الرّخاء حتى نُفضَ جميعا إلى يوم ليس له إنقضاء يخسر فيه المبطلون 

অর্থ: আমার মুছীবতের যে দিন অতীত হচ্ছে, তার সাথে তোমার সুখ-সম্পদের সমসংখ্যক দিন কমে যাচ্ছে। কিন্তু, ওই দিন পর্যন্ত আরাম আয়েশে লিপ্ত থাক যেদিন আমরা উভয়ই এমন এক জগতে পদার্পণ করব যার কোনো শেষ নেই এবং ওই দিন অত্যাচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুবহানাল্লাহ! (সিয়ারু আলামিন নুবালা)

যালিম শাসক হারূনুর রশীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ গিয়ে বলেছিলে যে, আমি আপনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি আন্তরিকভাবে উনাকে বন্দী করতে চাইনি। বরং আপনার উম্মতের মধ্যে যুদ্ধ ও বিরোধ সৃষ্টি হবে এ ভয়েই আমি এ কাজ করেছি। না‘ঊযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, ইয়াজীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে যেমন লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলা ফরয তেমনিভাবে কথিত আব্বাসীয় শাসকদের মধ্যে যারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এবং মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদেরকে যুলুম-নির্যাতন করেছে, শহীদ করেছে, তাদেরকেও লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলা ফরয, ফরয এবং ফরয। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বাহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন!

বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, আত ত্বইয়্যিব, আছ ছালিহ, আস সাইয়্যিদ, আত ত্বহির, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক

 মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 

وَلِلّٰهِ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা আহ্বান মুবারক করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮০)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বা ব্যাখ্যায় বর্ণিত রয়েছে,

وَلِلرَّسُوْلِ اَلْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُ بِـهَا

অর্থ: “এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!

 এবং ঠিক একইভাবে

وَلِاَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰـى فَادْعُوْهُمْ بِـهَا.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম রয়েছেন উনাদেরও অনেক সুন্দর সুন্দর সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, তোমরা উনাদেরকে সেই সম্মানিত নাম মুবারক তথা সম্মানিত লক্বব মুবারক দ্বারা সম্বোধন করো।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম, ঠিক তেমনিভাবে উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসীম। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, সমস্ত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! এখানে উনার কতিপয় প্রসিদ্ধ সম্মানিত বরকতময় লক্বব মুবারক উল্লেখ করা হলো:

১. اَهْلُ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

২. اَلْاِمَامُ السَّابِعُ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم (ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত সপ্তম ইমাম। সুবহানাল্লাহ!

৩. اَلْكَاظِمُ (কাযিম) ক্রোধ সংবরণকারী। সুবহানাল্লাহ!

৪. بَابُ الْـحَوَائِجِ (বাবুল হাওয়ায়িজ) প্রয়োজনসমূহ বা প্রত্যাশাসমূহ পূরণের সম্মানিত দরজা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

৫. اَلنَّفْسُ الزَّكِيَّةُ (আন নাফসুয যাকিয়্যাহ) মহাসম্মানিত পবিত্র আত্মা মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

৬. زَيْنُ الْـمُتَهَجِّدِيْنَ (যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন) সমস্ত তাহাজ্জুদগুজার উনাদের সৌন্দর্য মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

৭. اَلْاَبَرُّ (আল আর্বারু)- সর্বশ্রেষ্ঠ নেককার, সর্বোত্তম দ্বীনদার, সর্ব্বোচ্চ ইহসানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। 

৮. اَلْاَتْـقٰى (আতক্ব)- সর্বশ্রেষ্ঠ পরহেযগার, সর্বশ্রেষ্ঠ মুত্তাক্বী, সর্বোত্তম খোদাভীরু। 

৯. اَجْوَدُ النَّاسِ (আজওয়াদুন নাস)- মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। 

১০. اَلْاَخْشٰى لِلّٰهِ (আল আখশা লিল্লাহ)- সর্বাধিক খোদাভীরু।

১১. اَلْاَرْحَمُ (আল আরহাম)- পরম করুণাময়, সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহশীল।

১২. اَلْاَصْدَقُ (আল আছদাক্ব)- পরম সত্যবাদী।

১৩. اَلْاَطْيَبُ (আল আত্বইয়াব্)- সর্বাধিক মর্যাদাবান, সবচেয়ে পবিত্র, সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত। 

১৪. اَلْاَعَزُّ (আল আ‘য়ায্যু)- সবচেয়ে সম্মানিত, সর্বাধিক ইজ্জত-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক।

১৫. اَلْاَعْظَمُ (আল আ’যাম)- মানুষের মাঝে সবচেয়ে মহান। 

১৬. اَلْاَعْلَمُ بِاللهِ (আল আ’লামু বিল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্পর্কে, উনার বিধি-বিধান মুবারক সম্পর্কে যিনি সবচেয়ে বেশি জানেন।

১৭. اَلْاِمَامُ (আল ইমাম) সাইয়্যিদ। 

১৮. اَلْاَمِيْنُ(আল আমীন)- চরম সত্যবাদী, চরম বিশ্বাসী। 

১৯. اَلاَوْلـٰى(আল আওলা)- সর্বাধিক নিকটবর্তী, সকলের জীবনের চেয়েও অধিক প্রিয়, সকলের মহাসম্মানিত অভিভাবক।

২০. اَلْبَهَاءُ (আল বাহা’)- সমস্ত উম্মতের জন্য সম্মান, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক দানকারী, সকলের সৌন্দর্য, জ্যোতি, দীপ্তি। 

২১. جَامِعُ النِّعْمَةِ وَالنِّسْبَةِ (জামি‘উন নি’মাতি ওয়ান নিসবাতি) সমস্ত নিয়ামত ও নিবসত মুবারক উনাদের জামি’ বা মালিক।

২২. حَبِيْبُ اللهِ (হাবীবুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব।

২৩. اَلْـحَلِيْمُ (আল হালীম)- পরম ধৈর্যশীল, মহাসহনশীল।

২৪. اَلْـحَـىُّ (আল হাই)- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত, মহান আল্লাহ পাক উনার হাইয়্যুন তথা চিরঞ্জীব সম্মানিত ছিফত মুবারক উনার অধিকারী, মালিক। সুবহানাল্লাহ!

২৫. خَيْرُ الْبَرِيَّةِ (খইরুল বারিয়্যাহ) সৃষ্টিজগতের মাঝে সর্বোত্তম, সর্বশ্রেষ্ঠ।

২৬. دَارُ الْـحِكْمَةِ (দারুল হিকমাহ)- সম্মানিত হিকমত মুবারক উনার ঘর মুবারক।

২৭. ذِكْرُ اللهِ (যিক্রুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত যিকির মুবারক। অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই যিকরুল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!

২৮. اَلرَّؤُوْفُ الرَّحِيْمُ (আর রঊফুর রহীম)- পরম স্নেহপরায়ণ, অসীম দয়ালু। 

২৯. اَلرَّافِعُ (আর রাফি’)- সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার অধিকারী এবং সুউচ্চ মর্যাদা-মর্তবা মুবারক দানকারী।

৩০. رَحْـمَةُ الْاُمَّةِ (রহমাতুল উম্মাহ)- সমস্ত উম্মতের জন্য রহমত মুবারক।

৩১. لِّـلْـعَـالَـمِيْنَ رَحْـمَةٌ (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন) সমস্ত আলমের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক।

৩২. اَلرَّشِيْدُ (আর রশীদ)- সৎপথপ্রাপ্ত, সৎপথ প্রদর্শনকারী, ন্যায়পরায়ণ।

৩৩. رَفِيْعُ الدَّرَجَاتِ (রফীউদ দারাজাত)- সকল সুউচ্চ সুমহান মর্যাদা-মর্তাবা ও মাক্বামাত মুবারক উনাদের মালিক।

৩৪. اَلسَّاجِدُ (আস সাজিদ)- সর্বোত্তম সিজদাকারী। 

৩৫. اَلسَّخِىُّ (আস সাখ¦ী)- মহাদানশীল।

৩৬. سَعْدُ الْـخَلَائِقِ (সা’দুল খলাইক্ব)- সমস্ত সৃষ্টি জগতের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ সৌভাগ্যবান। 

৩৭. اَلسَيِّدُ (আস সাইয়্যিদ)- সাইয়্যিদ, ইমাম।

৩৮. سَـيِّـدُ الْكَوْنَيْنِ (সাইয়্যিদুল কাওনাঈন)- দুই জগতের সাইয়্যিদ।

৩৯. اَلشَّافِعُ (আশ শাফি’) সর্বোত্তম সুপারিশকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ শাফায়াতকারী।

৪০. اَلصَّابِرُ (আছ ছাবির)- চরম ধৈর্য্যশীল।

৪১. اَلصَّاحِبُ (আছ ছাহিব)- মালিক, অধিকারী।

৪২. صَاحِبُ الْـخَيْرِ (ছাহিবুল খইর)- সমস্ত কল্যাণ মুবারক উনাদের মালিক।

৪৩. اَلصَّالِحُ (আছ ছালিহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ নেককার, সর্বোত্তম পরহেযগার, হক্কুল্লাহ ও হক্কুল ইবাদ যথাযথ আদায়কারী।

৪৪. اَلصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيْمُ (আছ ছিরাতুল মুস্তাক্বীম)- ছিরাতুল মুস্তাক্বীম, সরল-সঠিক পথ।

৪৫. اَلطَّاهِرُ (আত্ব ত্বাহির)- নিষ্কলুষ, পূত-পবিত্র, পূত-পবিত্রতাদানকারী।

৪৬. اَلطَّيِّبُ (আত ত্বয়্যিব) মহাপবিত্র, পবিত্রতাদানকারী।

৪৭. اَلْعَافِـىْ (আল ‘আফী)- মাফকারী, ক্ষমাকারী।

৪৮. اَلْعَلِيْمُ (আল ‘আলীম)- সর্বজ্ঞাত, মহাজ্ঞানী।

৪৯. اَلْعَبْدُ(আল ‘আবদ)- মহান আল্লাহ পাক উনার পরিপূর্ণ অনুগত, মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ মাহবূব, হাবীব। 

৫০. اَلْعَلِـىُّ (আল ‘আলী)- সুউচ্চ, মহামর্যাদাবান, মহাসম্মানিত।

৫১. اَلْغَفُوْرُ (আল গফূর)- পরম ক্ষমাশীল।

৫২. اَلْفَخْرُ (আল ফখর)- বড় মহান, গৌরব, মহান আল্লাহ পাক উনার ফখর, সুউচ্চ সম্মান মুবারক উনার অধিকারী। 

৫৩. اَلْقَاسِمُ (আল ক্বাসিম)- বণ্টনকারী।

৫৪. اَلْقَائِدُ (আল ক্বায়িদ)- সাইয়্যিদ, মহানপরিচালক, হিদায়েত উনার পথে পরিচালনাকারী।

৫৫. اَلْكَافِـىْ (আল কাফী)- যথেষ্ট। 

৫৬. اَلْمَأْمُوْنُ (আল মা’মূন)- নিরাপদ, বিপদমুক্ত, চির বিশ্বস্ত।

৫৭. اَلْمُبَارِكُ (আল মুবারিক)- বরকতদানকারী, কল্যাণদানকারী।

৫৮. اَلْمُبَارَكُ (আল মুবারক)- বরকতময়, কল্যাণময়।

৫৯. اَلْمَتِيْنُ (আল মাতীন)- মহাশক্তিমান, মহাশক্তিধর। 

৬০. اَلْمُجَاهِدُ (আল মুজাহিদ)- মুজাহিদ, জেহাদকারী।

৬১. اَلْمَحْفُوْظُ (আল মাহফূয)- সংরক্ষিত। 

৬২. اَلْمُخْتَارُ (আল মুখ¦তার)- মনোনীত, সর্বশ্রেষ্ঠ।

৬৩. اَلْـمُبَشِّرُ (আল মুবাশশির)- সুসংবাদদানকারী।

৬৪. اَلْـمُرْشِدُ (আল মুরশিদ)- পথ প্রদর্শক, হিদায়েতদানকারী।

৬৫. اَلْمَسْعُوْدُ (আল মাস‘ঊদ)- সৌভাগ্যশীল, সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান। 

৬৬. اَلْـمُطَهَّرُ (আল মুত্বহ্হার)- পূত-পবিত্র। 

৬৭. اَلْـمُطَهِّرُ (আল মুত্বহ্হির)- পূত-পবিত্রতাদানকারী। 

৬৮. اَلْـمُظَفَّرُ (আল মুয¦ফ্ফার)- চির সফল, চির বিজয়ী, সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়ী। 

৬৯. اَلْـمُفْتَخِرُ (আল মুফতাখির)- গর্বিত, গৌরবান্বিত।

৭০. مَالِكُ الْـجَنَّةِ (মালিকুল জান্নাহ)- সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মালিক। 

৭১. مَالِكُ الْكَائِنَاتِ (মালিকুল কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের মালিক।

৭২. اَلْـمُنْجِدُ (আল মুনজিদ)- সর্বশ্রেষ্ঠ ত্রাণকর্তা, উদ্ধারকারী, সাহায্যকারী। 

৭৩. اَلْـمُنْذِرُ (আল মুনযির)- ভীতিপ্রদর্শনকারী, সতর্ককারী।

৭৪. اَلْـمُنِـيْبُ (আল মুনীব)- মালিক, মনিব, সমস্ত কায়িনাত যেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার গোলাম।

৭৫. اَلْـمُغِـيْثُ (আল মুগীছ)- সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী, ত্রাণকর্তা, উদ্ধারকারী।

৭৬. اَلْـمُنِيْرُ (আল মুনীর)- আলোদানকারী, উজ্জ্বল, নূর দানকারী, হিদায়েত দানকারী, ফয়েযদানকারী, সম্মানিত রহমত মুবারক দানকারী।

৭৭. اَلْمَوْعِظَةُ (আল মাও‘য়িযহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী।

৭৮. اَلْـمَوْلـٰى (আল মাওলা)- সর্বশ্রেষ্ঠ অভিভাবক।

৭৯. اَلْمُهَذَّبُ (আল মুহায্যাব)- পূত-পবিত্র, মহাপবিত্র। 

৮০. اَلنَّاصِحُ (আন নাছিহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, উপদেশদাতা।

৮১. اَلنَّاصِرُ (আন নাছির)- সর্বশ্রেষ্ঠ সাহায্যকারী। 

৮২. اَلنَّاطِقُ بِـالْـحَقِّ (আন নাত্বিকু বিল হাক্ব)- সত্যবলার ক্ষেত্রে স্পষ্টভাষী।

৮৩. اَلنَّاهِـىْ (আন নাহী)- নিষেধকারী, বারণকারী।

৮৪. نَـجِىُّ اللهِ تَعَالـٰى (নাজীউল্লাহি তা‘য়ালা)- মহান আল্লাহ পাক উনার আখাছ্ছুল খাছ বন্ধু, মাহবূব, যেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার কাছে মহান আল্লাহ পাক তিনি গোপনীয় কথা বলে থাকেন। 

৮৫. اَلـنِّـعْـمَـةُ (আল নি’মাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক। 

৮৬. نِعْمَةُ اللهِ (নি’মাতুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক। 

৮৭. اَلنَّقِيْبُ (আন নাক্বীব)- সাইয়্যিদ। 

৮৮. اَلنُّوْرُ (আন নূর)- নূর মুবারক।

৮৯. اَلنُّوْرُ الْمُكَرَّمُ (আন নূরুল মুকাররাম)- সম্মানিত নূর মুবারক।

৯০. اَلنُّوْرُ الْمُطَهَّرُ (আন নূরুল মুত্বহ্হার)- মহাপবিত্র সম্মানিত নূর মুবারক।

৯১. نُوْرُ اللهِ (নূরুল্লাহ)- মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নূর মুবারক।

৯২. نُوْرُ الْاُمَمِ (নূরুল উমাম)- সমস্ত উম্মতের নূর মুবারক, নূরুল উমাম। 

৯৩. نُوْرُ الْكَائِنَاتِ (নূরুল কায়িনাত)- সমস্ত কায়িনাতের নূর মুবারক। 

৯৪. اَلْـهَادِىْ (আল হাদী)- সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়েতকারী।

৯৫. اَلْـهَاشِـمِـىُّ (আল হাশিমী)- হাশিমী, প্রভাবশালী, প্রতাপশালী, সম্মানিত, প্রাধান্যপ্রাপ্ত।

৯৬. اَلْـهُدٰى (আল হুদা)- সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়েতদানকারী। 

৯৭. اَلْوَاجِدُ (আল ওয়াজিদ)- যা চান তাই পান এমন সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক। 

৯৮. اَلْوَاسِعُ (আল ওয়াসি’)- সীমাহীন ইলম মুবারক উনার অধিকারী, মহাদানশীল।

৯৯. اَلْوَاعِظُ (আল ওয়া‘য়িয)- সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়ায়েজ, সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ উপদেশদাতা। 

১০০. اَلْوَافِـىْ (আল ওয়াফী)- পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণতাদানকারী। 

১০১. اَلْوَالِـىْ (আল ওয়ালী)- সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণকারী, মালিক, অভিভাবক।

১০২. اَلْوَجِيْهُ (আল ওয়াজীহ)- মহাসম্মানিত, মহামর্যাবান, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম। 

১০৩. اَلْوَسِيْلَةُ (আল ওয়াসীলাহ)- সর্বশ্রেষ্ঠ ওয়াসীলা, সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম। 

১০৪. اَلْوَهَّابُ (আল ওহ্হাব)- সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল, সীমাহীন দাতা। সুবহানাল্লাহ!

এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লম তিনি। সুবহানাল্লাহ!


বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, আত ত্বইয়্যিব, আছ ছালিহ, আস সাইয়্যিদ, আত ত্বহির, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ইলম মুবারক

 মূলত, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম-কালাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম-কালাম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক রয়েছে, 

عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَه عليْهِ السلام اَنَّهٗ كَانَ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلم فَقَالَ اَىُّ شَيْءٍ خَيْرٌ لِّلْمَرْاَةِ فَسَكَتُوْا فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ لِسَيِّدَةِ نِسَاءِ اَهْلِ الْـجَنَّةِ النُّوْرِ الرَّابِعَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةَ الزَّهْرَاءِ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَىُّ شَىْءٍ خَيْرٌ لِّلنِّسَاءِ اَوْ لِلْمَرْاَةِ قَالَتْ اَلَّا يَرَاهُنَّ الرِّجَالُ وَلَا يَرَوْنَـهُمْ فَذَكَرْتُ ذٰلِكَ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مِـمَّنْ قُلْتُ مِنْ سَيِّدَةِ نِسَاءِ اَهْلِ الْـجَنَّةِ النُّوْرِ الرَّابِعَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةَ الزَّهْرَاءِ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلنُّوْرُ الرَّابِعَةُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةُ الزَّهْرَاءِ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِضْعَةٌ مِّـنِّـىْ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। একদিন তিনি (এবং হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ আরো অনেক বিশিষ্ট ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা) নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ (সম্মানিত দরবারে নববী শরীফ-এ) বসে ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (সবাইকে উদ্দেশ্য করে) জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন- মেয়েদের জন্য কোন আমলটা সবচেয়ে উত্তম? সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকলেই চুপ থাকলেন। আমি (আস্তে করে পিছন থেকে উঠে) সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ-এ এসে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম- মেয়েদের জন্য কোন আমলটা সবচাইতে উত্তম? তিনি বললেন, মেয়েদের জন্য সবচাইতে উত্তম আমল হচ্ছে, কোনো পুরুষ সে মহিলাকে দেখবে না এবং সে মহিলা কোনো পুরুষকে দেখবে না। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি সেখান থেকে এটা শুনে সরাসরি যেয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মেয়েদের জন্য শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে তারা কোনো পুরুষকে দেখবে না এবং তাদেরকেও কোনো পুরুষ দেখবে না। (এটা শুনে) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিইয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- আপনি কার কাছ থেকে জেনে এটা বললেন? তিনি বলেন, আমি আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে জেনে এটা বলেছি। সুবহানাল্লাহ! সেটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (খুশি মুবারক প্রকাশ করলেন এবং) বললেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিস্ম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোশত মুবারক উনার একখানা সম্মানিত টুকরো মুবারক, আমার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক (সেজন্য তিনি হাক্বীক্বী বিষয়টা বলে দিয়েছেন, জানিয়ে দিয়েছেন)।” সুবহানাল্লাহ! (মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ২০৮ এবং ২০৯তম সংখ্যা)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে উনার সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন সে বিষয়টিই আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ! উক্ত মজলিস মুবারক-এ হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ আরো অনেক বিশিষ্ট হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা উপস্থিত ছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত সুওয়াল মুবারক করলেন, আর সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সবাই চুপ থাকলেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আস্তে করে পিছন থেকে উঠে সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ-এ যেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে জেনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পেশ করলেন যে, মেয়েদের জন্য শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে তারা কোনো পুরুষকে দেখবে না এবং তাদেরকেও কোনো পুরুষ দেখবে না। সুবহানাল্লাহ! এটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- আপনি কার কাছ থেকে জেনে এটা বললেন? তিনি বলেন, আমি আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে জেনে এটা বলেছি। সুবহানাল্লাহ! সেটা শুনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি মুবারক প্রকাশ করে বললেন- 

اَلنُّوْرُ الرَّابِعَةُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةُ الزَّهْرَاءِ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِضْعَةٌ مِّـنِّـىْ.

সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিস্ম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোশত মুবারক উনার একখানা সম্মানিত টুকরো মুবারক, আমার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক (সেজন্য তিনি হাক্বীক্বী বিষয়টা বলে দিয়েছেন, জানিয়ে দিয়েছেন)।” সুবহানাল্লাহ! 

কাজেই উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! আর সেই সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মাধ্যম দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশানুক্রমে বর্তমান পর্যন্ত জারী রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেই সম্মানিত অসীম ইলম মুবারকই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশানুক্রমে হাছিল মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

আর এ বিষয়টিই স্পষ্টভাবে বর্ণনা মুবারক করেছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি বলেন, “আমাদের মহাসম্মানিত পরিবার মুবারক এমন এক মহাসম্মানিত পরিবার মুবারক যে, এ মহাসম্মানিত পরিবার মুবারক উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছ থেকে সম্মানিত ইলম মুবারক উনার হাক্বীক্বত ও মা’রিফাত পরিপূর্ণরূপে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে কতো সীমাহীন ইলম মুবারক উনার অধিকারী ছিলেন তা একখানা ওয়াক্বেয়া মুবারক দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই সম্মানিত ওয়াকিয়া মুবারক উনার সাথে ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সংশ্লিতা রয়েছে। ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ মাযহাব হানাফী মাযহাব উনার মহাসম্মানিত ইমাম। উনার সম্পর্কে শাফেয়ী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,

اَلْفقهاء كلهم عيال ابى حنيفة رحمة الله عليه

 অর্থ: “সমস্ত ফক্বীহগণ ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট সন্তান তুল্য।” সুবহানাল্লাহ!

আর মালিকী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম মালিক রবহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “তিনি হচ্ছেন সেই ইমাম আ’যম আবূ হানীফা কূফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি যদি একখ- কাঠের টুকরোকে স্বর্ণ বলেন, পৃথিবীর বুকে এমন কেউ নেই যে, সে এটা কাঠের টুকরো প্রমাণ করে। আবার তিনি যদি এক টুকরো স্বর্ণকে কাঠ বলেন, পৃথিবীর বুকে এমন কেউ নেই যে, এটা স্বর্ণের টুকরো প্রমাণ করে।” সুবহানাল্লাহ! 

এতো বেমেছাল ইলম মুবারক উনার অধিকারী হচ্ছেন ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালত মুবারক উনার ত্ববক্বা থেকে সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। উনার ইজতিহাদ হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ইজতিহাদ মুবারক উনার সাথে মিলে যাবে। সুবহানাল্লাহ! তিনি এই সম্মানিত ইলম মুবারক কিভাবে হাছিল করলেন? মূলত, তিনি তা হাছিল করেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের গোলামী করার মাধ্যমে, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাক্বির আলাইহি সালাম উনার এবং ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের উভয়ের মুরীদ। তিনি উনাদের গোলামী করার মাধ্যমে, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে সেই সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকেও সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক-এ একখানা ঘটনা মুবারক উল্লেখ রয়েছে যে, একবার উনার একটি মাসয়ালা জানার প্রয়োজন হলো তাই তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার উদ্যেশ্যে রওয়ানা হলেন এবং উনার মহাসম্মানিত শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দরবার শরীফ গমন করলেন। উনার সাথে ছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। সেটাই কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-

فأتيا باب الإمام الصادق عَلَيْهِ السَّلَامُ والناس ينتظرون خروجه عَلَيْهِ السَّلَامُ وقبل خروج الإمام الصادق عَلَيْهِ السَّلَامُ خرج عليهم من الدار غلام حدث السن فقام الناس اجلالاً وهيبة له فسأله أبو حنيفة صاحبه عبد الله عن الغلام فقال هذا ابنه موسىعَلَيْهِ السَّلَامُ فأراد أبو حنيفة أن يمتحنه فتقدم إلى الإمام موسى بن جعفر عَلَيْهِ السَّلَامُ وسأله يا غلام أين يضع الرجل حاجته فرد الإمام عَلَيْهِ السَّلَامُ بما معناه يضعها في مكان بحيث يتوارى فيهِ عن الأنظار ولا يستقبل القبلة ولا يستدبرها ثم شرح له الإمام عَلَيْهِ السَّلَامُ واجبات ومستحبات ومكروهات التخلي فبهت أبو حنيفة لأن أبا حنيفة يعتقد أن الإمام موسى عَلَيْهِ السَّلَامُ سيجيبه عن معنى وضع الرجل حاجياته أي أغراضه وثيابه وكان قصد أبي حنيفة الخلاء فكيف عرف الإمام عَلَيْهِ السَّلَامُ بقصد أبي حنيفة 

অর্থ: ‘অত:পর হযরত ইমামে আ’যম ইমাম আবূ হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত দরবার শরীফ আসলেন। উনারা দেখতে পেলেন যে, লোকজন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখার অপেক্ষায় আছেন। দেখা গেলো যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ থেকে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখার পূর্বে দুনিয়াবী দৃষ্টিতে অল্প বয়স মুবারক উনার অধিকারী একজন মহাসম্মানিত শিশু আলাইহিস সালাম তিনি সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মান ও প্রতাপের কারণে লোকজন সকলে দাঁড়িয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! তখন ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সঙ্গী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে এই মহাসম্মানিত বালক উনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, ইনি কে? তিনি বললেন যে, ইনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! (তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৫-৬ বছর। সুবহানাল্লাহ! হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুরীদ। তিনি উনার মহাসম্মানিত শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক সম্পর্কে জানতেন। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার বিষয়টা কিরূপ সেটা জানার জন্য) ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। অত:পর ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট অগ্রসর হলেন এবং সুওয়াল করলেন, হে মহাসম্মানিত বালক আলাইহিস সালাম! মানুষ তার হাজত কোথায় রাখে? সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শাব্দিক অর্থ পরিত্যাগ করে, (হাক্বীক্বী বিষয়টা বর্ণনা করলেন যে,) মানুষ এমন জায়গায় তার হাজত রাখে তথা ইস্তেঞ্জা করে যেখানে অন্যদের দৃষ্টি থেকে নিজেকে আত্মগোপন করতে পারে অর্থাৎ নির্জন স্থানে। মহাসম্মানিত ক্বিবলা মুবারক সামনেও থাকবে না আবার পিছনেও থাকবে না। তারপর তিনি ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ইস্তেঞ্জা সংশ্লিষ্ট যত ওয়াজিব, মুস্তহাব এবং মাকরূহ মাসয়ালা-মাসায়েল রয়েছে সে সমস্ত মাসয়ালা-মাসায়েলগুলো ব্যাখ্যা করে বলে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! (যদিও দুনিয়াবী দৃষ্টিতে তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ৫-৬ বছর। সুবহানাল্লাহ!) তখন ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হতবম্ভ হয়ে গেলেন। কেননা ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ধারণা ছিলো যে, (উনার যেহেতু দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বয়স মুবারক অল্প, তাই তিনি হয়তো) উনার সুওয়ালের শাব্দিক অর্থ বলবেন যে, মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্থাৎ মানুষ তার প্রয়োজনী বস্তু এবং পোশাক-পরিচ্ছেদ কোথায় রাখেন সে বিষয়টি বলবেন। অথচ ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উদ্দেশ্য ছিলো ‘ইস্তেঞ্জা’। তাহলে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মনের ইচ্ছা সম্পর্কে কিভাবে জানলেন ?’

 আবার তিনি ইস্তেঞ্জা সংশ্লিষ্ট সমস্ত মাসয়ালা-মাসায়িলসমূহ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে বর্ণনা করে দিলেন! সুবহানাল্লাহ! তখন ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ যে সম্মানিত মাসয়ালা মুবারক জানতে এসেছিলেন, সেই সম্মানিত মাসয়ালা মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে জানতে চাইলেন। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই সম্মানিত মাসয়ালা মুবারক উনার জাওয়াব মুবারক এতো উত্তমভাবে দিলেন যে, ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এটা যথেষ্ট মনে করলেন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আর এই সম্মানিত মাসয়ালা মুবারক জানতে চাইলেন না। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কতো বেমেছাল সীমাহীন সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! 

মূলত, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থেই সমস্ত কায়িনাত সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলম মুবারকসহ সমস্ত নিয়ামত মুবারক হাছিল করেছেন, হাছিল করছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ হাছিল করতেই থাকবেন, সেই বিষয়টিই এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। উনারা কারো কাছ থেকে সম্মানিত ইলম মুবারক শিক্ষা গ্রহণ করেন না। উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশানুক্রমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক হাছিল করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের হাক্বীক্বী গোলামী করার মাধ্যমেই ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালত মুবারক উনার তাক থেকে সম্মানিত ইলম মুবারক হাছিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত অসীম ইলম মুবারক উনার ধারক-বাহক, মালিক। সুবহানাল্লাহ!

 বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, আত ত্বইয়্যিব, আছ ছালিহ, আস সাইয়্যিদ, আত ত্বহির, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল কল্পনাতীত সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক উনার অধিকারী

 একবার ইমামে আ’যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আরজী পেশ করলেন যে, ‘আমি দেখেছি আপনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত ছলাত বা নামায মুবারক আদায় করেন, তখন উনার সামনে দিয়ে লোকজন হেঁটে যায়। অথচ তিনি তাদেরকে হেঁটে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন না।’ 

তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কাছে ডেকে বললেন, “আপনার ব্যাপারে বলা হচ্ছে যে, আপনি যখন সম্মানিত ছলাত বা নামায মুবারক আদায় করেন, তখন আপনার সামনে দিয়ে লোকজন হেঁটে যায়। অথচ আপনি তাদেরকে হেঁটে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন না। প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি কী? তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম! আমার ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, তা সঠিকই বলা হয়েছে। আমি যেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ইবাদত মুবারক করি তিনি তো যারা আমার সামন দিয়ে হেঁটে যায়, তাদের থেকেও আমার অনেক নিকটে থাকেন। আমার মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার মাঝে তো কোনো পর্দা নেই। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ইরশাদ মুবারক করেছেন, 

وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيدِ

অর্থ: “আমি বান্দার শাহ রগের চেয়েও অধিক নিকটে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ক্বফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)

এই সম্মানিত জাওয়াব মুবারক শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, “আমার মহাসম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা আপনার জন্য কুরবান হোন! আপনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত গোপনীয়তা মুবারক প্রকাশ করে দিলেন, সম্মানিত হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ করে দিলেন।” সুবহানাল্লাহ!

তাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতো বেমেছাল কল্পনাতীত সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ-

 চোখের পলক ফেলার পূর্বেই ইরাকের কারাগার থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেওয়া

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের ৩ দিন পূর্বের ঘটনা মুবারক। কারারক্ষী বর্ণনা করে যে, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের ৩ দিন আগে আমাকে ডেকে বলেন, আমি আজ রাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ যাবো যাতে আমার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে মহাসম্মানিত ইমামত মুবারক উনার বিষয়টি হস্তান্তর করতে পারি। সুবহানাল্লাহ! 

আমি বললাম, এতসব প্রহরী বা কারারক্ষী, তালা ও শেকল যা দিয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেঁধে রাখা হয়েছে, তা থাকার পরেও কি আপনি আশা করেন যে এখান থেকে আপনাকে বের হওয়ার সুযোগ করে দেব? না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! 

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে কারারক্ষী! তুমি কি মনে কর আমাদের মহাসম্মানিত কুদরতী শক্তি মুবারক কম?

কারারক্ষী বললো, না, হে আমার মাওলা!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তাহলে কী?

কারারক্ষী বললো, দো‘য়া করুন যাতে আমার ঈমান আরো শক্তিশালী হয়।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আয় বারে এলাহী! তাকে দৃঢ়চিত্ত রাখুন।

কারারক্ষী বললো, অতঃপর হঠাৎ দেখলাম যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটি দোয়া মুবারক পড়ে গায়েব বা অদৃশ্য হয়ে গেলেন। সুবহানাল্লাহ! বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি হঠাৎ যাহির মুবারক হলেন এবং নিজ সম্মানিত ও পবিত্র হাত মুবারক দিয়ে কারাগারের শেকলগুলো দিয়ে উনার সম্মানিত ও পবিত্র ক্বদম মুবারকদ্বয় বাঁধলেন। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমি ৩ দিন পর দুনিয়া থেকে বিদায় নিবো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করবো।

এ কথা মুবারক শুনে কারারক্ষী কাঁদতে লাগলো। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, কেঁদো না। জেনে রাখো, আমার পর আমার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! 

সমস্ত ভাষায় কথা বলা-

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত ইলম-কালাম মুবারক উনাদের মালিক। উনারা সমস্ত ভাষাতো অবশ্যই এমনকি সমস্ত মাখলূকাতের ভাষাও জানতেন এবং বুঝতেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত ইলম-কালাম মুবারক উনাদের মালিক। তিনি সমস্ত ভাষাতো অবশ্যই এমনকি সমস্ত মাখলূকাতের ভাষাও জানতেন এবং বুঝতেন । সুবহানাল্লাহ! এটা উনার অসংখ্য-অগণিত সম্মানিত শান মুবারক উনাদের মধ্য থেকে এক বিশেষ সম্মানিত শান মুবারক। সুবহানাল্লাহ! 

একবার এক ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ইমাম উনাদেরকে চেনার উপায় কি কি?

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য মুবারক হলেন, পূর্ববর্তী মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিস সালাম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবেন। সুবহানাল্লাহ!

দ্বিতীয় আলামত মুবারক হলেন, মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিস সালাম উনাকে যে প্রশ্নই করা হোক না কেন, তিনি তার জবাব দেবেন এবং কোনো বিষয়েই তিনি বেখবর নন। সুবহানাল্লাহ!

তৃতীয় আলামত মুবারক হলেন, মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিস সালাম তিনি কখনও সত্যের প্রতীরক্ষায় নীরব থাকবেন না। তিনি ভবিষ্যৎ ঘটনাবলী সম্পর্কে খবর দেন এবং সব ভাষাতেই কথা বলেন। সুবহানাল্লাহ!

এরপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বর্ণনাকারীকে বলেন, এখন তোমাকে একটি আলামত মুবারক দেখাব যাতে তোমার দিল ইতমিনান হয় এবং নিশ্চিত হতে পারো। 

ঠিক সে সময় খোরাসান অঞ্চলের এক ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসে এবং উনার সঙ্গে আরবীতে কথা বলতে থাকে। কিন্তু সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ফার্সী ভাষায় জবাব দিতে থাকেন। লোকটি তখন বলে, আমি ভেবেছিলাম যে আপনি ফার্সী ভাষা বুঝবেন না। না‘ঊযুবিল্লাহ!

তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, যদি তোমার প্রশ্নের জবাব তোমার ভাষাতেই দিতে না পারি তাহলে তোমার চেয়ে আমার শ্রেষ্ঠত্ব থাকলো কোথায়? সুবহানাল্লাহ!

এরপর তিনি বলেন, যিনি মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিস সালাম হন উনার নিকট কোনো কিছুই গোপন নয়, তিনি সমস্ত সম্মানিত ইলম মুবারক উনাদের মালিক। সুবহানাল্লাহ! তিনি প্রত্যেক ব্যক্তি, জীব-জন্তুর এবং সমস্ত কায়িনাতের ভাষাও জানেন ও বুঝেন। সুবহানাল্লাহ!

এ সম্পর্কে আরো বর্ণিত রয়েছে, একদা এক ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে উনার সাথে পাখির ডাকের ন্যায় কথাবার্তা বলতে থাকে। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম তিনিও অনুরূপ ভাষায় তার কথার উত্তর দিতে থাকেন। লোকটি যাওয়ার পর উপস্থিত লোকেরা উনার কাছে জানতে চাইলো যে, তিনি লোকটির সাথে কোন ভাষায় কথা মুবারক বললেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এটা জিন জাতির মধ্যে একদলের ভাষা। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সমস্ত সৃষ্টি জগতের ভাষা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার হযরত আদম ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সমস্ত বিষয়ের সম্মানিত ইলম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মৃতকে জীবিত করা-

বর্ণিত রয়েছে যে, একবার সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিনায় যাচ্ছিলেন। পথে দেখলেন এক বৃদ্ধা (শায়খেফানী) এবং তার সাথে একটি ছোট বালক অনেক ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে?

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন কাঁদছো?

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ঐ বৃদ্ধা চিনতো না। সে বলল, আমার এবং এই ইয়াতিম বালকের একমাত্র পুঁজি ছিল এই গাভীটি। তার দুধ দিয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন গাভীটি মরে যাওয়ায় আমরা উপায়হীন হয়ে পড়েছি।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তোমরা কি চাও এই গাভীটিকে আমি জীবিত করি?

সে বৃদ্ধা সাথে সাথে বলে উঠলো, হ্যাঁ, অবশ্যই।

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন দুই রাকাত সম্মানিত ছলাত তথা নামায মুবরক পড়ে আকাশের দিকে সম্মানিত ও পবিত্র হাত মুবারক তুলে দোয়া মুবারক করলেন। তারপর তিনি মৃত গাভীটির কাছে এসে তার শরীরের এক পাশে আঘাত করলেন। সাথে সাথে মৃত গাভীটি জীবিত হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!

বৃদ্ধা এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে বলে উঠলো, দেখে যাও, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার রব মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম, ইনি হচ্ছেন হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিমাস সালাম! সুবহানাল্লাহ!

এটা শুনে সেখানে বহু লোক জমা হলো। তারা গাভীটি দেখতে লাগল এবং ঐ বৃদ্ধার কাছ থেকে গাভীটি জীবিত হওয়ার বর্ণনা শুনতে লাগলো। সুবহানাল্লাহ!

বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বংশধর আলাইহিমুস সালাম

 এক বর্ণনা মতে বাবুল হাওয়ায়িজ, যাইনুল মুতাহাজ্জিদীন, আল ওয়াফী, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মোট ছিলেন ৫২ জন। উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে সন্তান) আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন ২৪ জন এবং মহাসম্মানিত বানাত (মেয়ে সন্তান) আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ছিলেন ২৮ জন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে সন্তান) আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে উনার মহাসম্মানিত বংশধরগণ তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামগণ উনারা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর বিশেষ করে উনার মহাসম্মানিত আওলাদ ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আলী রেযা আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে বর্তমান পর্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সিলসিলা মুবারক জারী রয়েছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকবেন। আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পূর্বপুরুষ হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সিলসিলা মুবারকেই ১২তম ইমাম হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

এছাড়াও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর উনাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সম্মানিত চিশতীয়া ত্বরীক্বা উনার সম্মানিত ইমাম হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি, সম্মানিত নক্বশবন্দীয়া ত্বরীক্বা উনার সম্মানিত ইমাম হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্বশবন্দ বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং সম্মানিত রেফা‘য়ী ত্বরীক্বা উনার সম্মানিত ইমাম হযরত সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ উনাদের সম্মানিত নসবনামাহ মুবারক উল্লেখ করা হলো-

হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি

سيد معين الدين حسن الچشتى بن سيد غياث الدين بن كمال الدين بن خواجه احمد حسن بن نجم الدين بن عبد العزيز بن ابراهيم بن سيد ادريس بن موسى الكاظم بن جعفر الصادق بن محمد الباقر بن على الاوسط زين العابدين بن الامام حسين عليهم السلام بن فاطمة عليها السلام بنت سيد المرسلين امام المرسلين خاتم النبيين النور المجسم حبيب الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلي كرم الله وجهه عليه السلام

১. হযরত সাইয়্যিদ মু‘ঈনুদ্দীন হাসান চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

২. হযরত গিয়ছুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৩. হযরত কামালুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৪. হযরত খাজা আহমদ হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৫. হযরত নাজমুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৬. হযরত আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৭. হযরত ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৮. সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ ইদ্রীস আলাইহিস সালাম,

৯. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম),

১০. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর ছদিক্ব আলাইহিস সালাম),

১১. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ বাক্বির আলাইহিস সালাম),

১২. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আওসাত্ব যাইনুল ‘আবিদীন আলাইহিস সালাম),

১৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম),

১৪. সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মালিকুদ দুনয়া ওয়াল আখিরাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম বিনতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম)। সুবহানাল্লাহ! (মিরআতুল আনসাব)

হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নক্বশবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি

 سيد بهاء الدين النقشبندى البخارى بن محمد البخارى بن جلال الدين بن سيد برهان الدين بن سيد عبد الله بن زين العابدين بن سيد قاسم بن سيد شَعْبَان بن سيد برهان الدين بن سيد محمود بن سيد بُلَاق بن صوفى سيد تقى خلوتى بن فخر الدين بن سيد على الاكبر بن موسى الكاظم بن جعفر الصادق بن محمد الباقر بن على الاوسط زين العابدين بن الامام حسين عليهم السلام بن فاطمة عليها السلام بنت سيد المرسلين امام المرسلين خاتم النبيين النور المجسم حبيب الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلي كرم الله وجهه عليه السلام 

১. হযরত সাইয়্যিদ বাহাউদ্দীন নক্বশবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, 

২. হযরত মুহম্মদ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৩. হযরত জালালুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৪. হযরত সাইয়্যিদ বুরহানুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৫. হযরত সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৬. হযরত যাইনুল ‘আবিদীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৭. হযরত সাইয়্যিদ ক্বসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৮. হযরত সাইয়্যিদ শা’বান রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৯. হযরত সাইয়্যিদ বুরহানুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১০. হযরত সাইয়্যিদ মাহমূদ রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১১. হযরত সাইয়্যিদ বুলাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১২. হযরত ছূফী সাইয়্যিদ তক্বী খল্ওয়াতী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১৩. হযরত ফখরুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১৪. সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ আলী আকবর আলাইহিস সালাম,

১৫. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম),

১৬. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর ছদিক্ব আলাইহিস সালাম),

১৭. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ বাক্বির আলাইহিস সালাম),

১৮. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আওসাত্ব যাইনুল ‘আবিদীন আলাইহিস সালাম),

১৯. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম),

২০. সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মালিকুদ দুনয়া ওয়াল আখিরাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম বিনতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম)। সুবহানাল্লাহ! (মিরআতুল আনসাব)

সাইয়্যিদ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি

الشيخ الإمام ابو العباس أحمد بن علي بن يحي بن ثابت بن حازم بن أحمد بن علي بن الحسن الملقب برفاعة بن المهدي بن محمد بن الحسن بن الحسين أحمد بن موسى بن إبراهيم المرتضى بن موسى الكاظم بن جعفر الصادق بن محمد الباقر بن علي الاوسط زين العابدين بن الامام حسين عليهم السلام بن فاطمة عليها السلام بنت سيد المرسلين امام المرسلين خاتم النبيين النور المجسم حبيب الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلي كرم الله وجهه عليه السلام

১. ইমাম আবুল আব্বাস হযরত শায়েখ আহমদ কবীর রেফা‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

২.হযরত আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৩.হযরত ইয়াহিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৪.হযরত ছাবিত রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৫.হযরত হাযিম রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৬.হযরত আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৭.হযরত আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

৮. হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক হচ্ছেন রিফা‘য়াহ।

৯. হযরত মাহ্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১০. হযরত মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১১. হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১২. হযরত হুসাইন আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১৩. হযরত মূসা রহমতুল্লাহি আলাইহি,

১৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম মুরতাদ্বা আলাইহিস সালাম,

১৫. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম),

১৬. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর ছদিক্ব আলাইহিস সালাম),

১৭. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ বাক্বির আলাইহিস সালাম),

১৮. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আওসাত্ব যাইনুল ‘আবিদীন আলাইহিস সালাম),

১৯. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম),

২০. সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মালিকুদ দুনয়া ওয়াল আখিরাহ্, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম বিনতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম)। সুবহানাল্লাহ! (ক্বিলাদাতুল জাওয়াহির, ত্ববাক্বতুল আউলিয়া লিইবনে মুলক্বিন)


0 Comments: