গবেষণা কেন্দ্র- মুহম্মদিয়া জামিয়া
শরীফ জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও
তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া
[সমস্ত
প্রশংসা আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের জন্যে এবং অসংখ্য দরূদ ও সালাম আল্লাহ্ পাক-এর
হাবীব, আখিরী
রসূল, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি। মহান আল্লাহ্ পাক-এর অশেষ রহ্মতে
আমাদের গবেষণা কেন্দ্র,
“মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-এর ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে, বহুল
প্রচারিত, হক্বের
অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের
আতঙ্ক ও আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীল ভিত্তিক
মুখপত্র “মাসিক
আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায়
যথাক্রমে টুপির ফতওয়া,
অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান, নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা, ছবি ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া, জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট
বিষয়ে ফতওয়া, মহিলাদের
মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া, কদমবুছী ও
তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া
মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ফরয নামাযের
পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও
তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময়
কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়
সম্পর্কে ফতওয়া, তারাবীহ্
নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, দাড়ী ও
গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, প্রচলিত
তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, আযান ও
ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর
শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, খাছ
সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও
তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া এবং শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা
ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া পেশ করার পর
২১তম ফতওয়া হিসেবে “জানাযা
নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”
পেশ করে আসতে পারায় মহান আল্লাহ্ পাক-এর দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া।] জানাযা
নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ সুন্নতের
পথিকৃত, হক্বের
অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন
ইসলামের নির্ভীক সৈনিক,
সারা জাহান থেকে কুফরী,
শিরিকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহলে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক মুখপত্র- “মাসিক আল
বাইয়্যিনাত” পত্রিকায়
যত লিখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও
অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক
আল বাইয়্যিনাতে” এমন
সব লিখাই পত্রস্থ করা হয়,
যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ করণে বিশেষ সহায়ক। তদ্রুপ
“মাসিক
আল বাইয়্যিনাতে” “জানাযা
নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার উদ্দেশ্য বা মাকছূদও ঠিক তাই। কেননা কিছু লোক “ক্বিল্লতে
ইল্ম ও ক্বিল্লতে ফাহ্ম”-
অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, “জানাযার পর দোয়া করা বিদ্য়াত ও
নাজায়িয।” তাদের উক্ত বক্তব্য একদিক থেকে
যেরূপ ঈমান বা আক্বীদার ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ, অপর দিক থেকে আমলের ক্ষেত্রেও
ক্ষতির কারণ। প্রথমতঃ ঈমানের ক্ষেত্রে
ক্ষতির কারণ এ জন্য যে,
আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো কোন জায়িয আমলকে নাজায়িয বলা
কুফরী। অর্থাৎ ঈমান বিনষ্ট হওয়ার কারণ। অথচ বান্দার ইবাদত-বন্দিগী বা নেক আমল কবুল
হওয়ার জন্যে প্রধানতম শর্ত হচ্ছে- আক্বীদা শুদ্ধ থাকা অর্থাৎ আহ্লে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের আক্বীদার ন্যায় আক্বীদা পোষণ করা। কারণ বিশুদ্ধ আক্বীদা আমল কবুল হওয়ার
পূর্ব শর্ত। দ্বিতীয়তঃ আমলের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ এ জন্য যে, তাদের উক্ত
অশুদ্ধ বক্তব্যের কারণে যেরূপ ‘মাইয়্যিত’ জীবিতদের দোয়া হতে বঞ্চিত হবে তদ্রুপ বঞ্চিত হবে হাদীস
শরীফের উপর আমল করা থেকে। কারণ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, আশেকে
উম্মত, নূরে
মুজাস্সাম, ফখরে
দু’আলম, রহমতুল্লিল
আলামীন, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘মাইয়্যিতের’ জন্য অধিক
মাত্রায় এবং ইখলাছের সাথে দোয়া করতে বলেছেন বলে ছহীহ্ হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে।
শুধু তাই নয় স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
যেরূপ জানাযার নামাযে মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করেছেন অনুরূপ জানাযার বাইরেও
মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করেছেন। সুতরাং মাইয়্যিতের জন্য জানাযার নামাযে দোয়া করা
যেরূপ সুন্নত, তদ্রুপ
জানাযার বাইরেও সুন্নত। তা জানাযার আগেই হোক বা পরে হোক। সুতরাং বলার অপেক্ষাই
রাখেনা যে, তাদের
বক্তব্যের কারণে সাধারণ লোক একটি সুন্নত পালনের ফযীলত থেকে মাহরূম হবে
নিঃসন্দেহে। মূলকথা হলো, সকল মুসলমান যেন “জানাযার পর দোয়া ও তার সংশ্লিষ্ট
বিষয়” সম্পর্কে
সঠিক আক্বীদা রাখতে পারে এবং সুন্নত মুতাবিক আমল করে মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি হাছিল করতে পারে এ মহান
উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই বহুল প্রচারিত “মাসিক আল বাইয়্যিনাতে জানাযার পর
দোয়া ও তাঁর প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” দেয়া হলো। মহান
আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেন,
كل نفس ذائقة الموت
অর্থাৎ “প্রত্যেক
প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ বরণ করতে হবে।” (সূরা আলে ইমরান/১৮৫) কাজেই
কোন মুসলমান মৃত্যুবরণ করার পর জীবিতদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে যথা শীঘ্র
মৃত ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থা করা এবং দাফন কার্য্যে বিলম্ব না করা। কেননা আখিরী
রসূল, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
اذا مات احدكم فلا تحبسوه واسرعو ابه الى قبره.
অর্থঃ- “ তোমাদের
মধ্যে যখন কেউ মৃত্যু বরণ করে তখন তাকে আবদ্ধ করে রেখে দিওনা বরং যত তাড়াতাড়ি
সম্ভব তাকে দাফন করতে কবরে নিয়ে যাও।” (তাবারানী) অবশ্য দাফনের পূর্বে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কাজ রয়েছে, যেমন
প্রথমতঃ মাইয়্যিতকে গোসল করানো, দ্বিতীয়তঃ কাফনের কাপড় পরিধান করানো, তৃতীয়তঃ
মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া। মূলতঃ মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া শুধু
ফযীলত লাভেরই কারণ নয় বরং মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক
রব্বুল আলামীন-এর নির্দেশ। যেমন তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন বলেন,
صل عليهم ان صلا تك سكن لهم.
অর্থঃ- “(হে
নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি তাদের (মু’মিনগণের)
উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার নামায তাদের জন্য শান্তির কারণ স্বরূপ।” (সূরা
তাওবা/১০৩) অত্র আয়াতে কারীমায় স্বয়ং
আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন জানাযা নামাযের গুরুত্ব, ফাযায়েল-ফযীলত বর্ণনা করেছেন। আর তা
মু’মিন-মুসলমানগণের
জন্য রহমত, বরকত
ও শান্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) জানাযা মূলতঃ “ছলাত বা
নামায” জানাযাকে শুধু দোয়া বলা অজ্ঞতা ও গোমরাহী
পূর্ববর্তী সংখ্যাগুলোর আলোচনা দ্বারা এটা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়েছে যে, “ছলাতুল
জানাযা বা জানাযার নামায”
মূলতঃ এক প্রকার নামায। যা মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-ইস্তিগ্ফারের উদ্দেশ্যে পড়া
হয়। অথচ
কেউ কেউ বলে থাকে যে,
জানাযা যেহেতু দোয়া তাই জানাযার পর দোয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। অর্থাৎ তারা
জানাযাকে নামায না বলে,
দোয়া বলতে চায়। বস্তুতঃ তাদের
উক্ত বক্তব্য শুধু অশুদ্ধই নয় বরং অজ্ঞতামূলকও বটে। কেননা, স্বয়ং মহান
আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন তাঁর পবিত্র কালামে পাকে “জানাযাকে” “ছলাত বা
নামায” বলে
উল্লেখ করেছেন। আর আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্
নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও হাদীস শরীফে “জানাযাকে” “ছলাত বা
নামায” বলে
উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয় ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণও ফিক্বাহ্র
কিতাবসমূহে “জানাযাকে” “নামায” বলেই
উল্লেখ করেছেন। এছাড়া নিম্নলিখিত কারণেও “জানাযা” “ছলাত বা
নামায” হিসেবে
প্রমাণিত হয়। যেমন,
১। জানাযা হচ্ছে ফরযে ক্বিফায়া। কিন্তু এমন কোন দোয়া আছে কি, যা ফরযে
ক্বিফায়ার হুকুম রাখে?
২। জানাযায় চার তাকবীর দেয়া ফরয। কিন্তু এমন কোন দোয়া আছে কি, যাতে
তাকবীর দেয়া ফরয? ৩।
জানাযায় নামাযের তরতীবেই তাকবীর বলে তাহ্রীমা বাঁধতে হয়। কিন্তু এমন কোন দোয়া আছে
কি, যাতে
তাহ্রীমা বাঁধার হুকুম রয়েছে? ৪। জানাযায় অন্যান্য নামাযের ন্যায় সালাম ফিরানোর বিধান
রয়েছে। কিন্তু এমন কোন দোয়া রয়েছে কি, যাতে সালাম ফিরাতে হয়? ৫। জানাযার
জন্য কাঁতার করা জরুরী। কিন্তু দোয়ার জন্য কি কাঁতার করা শর্ত রয়েছে? ৬। জানাযায়
দোয়া রয়েছে বলেই যারা জানাযাকে শুধু দোয়া বলে, তবে তাদেরকে অন্যান্য নামাযগুলোকেও
নামায না বলে দোয়া বলতে হবে। কেননা, অন্যান্য নামাযেও দোয়া রয়েছে। যেমন, ছানা, সূরায়ে
ফাতিহা, দরূদ
শরীফ, দোয়ায়ে
মা’ছূরা
ইত্যাদি। এখন তারা অন্যান্য নামাযকে নামায না বলে দোয়া বলবে কি? স্মর্তব্য যে, উল্লিখিত বিষয়গুলো যদি আমরা
দলীলভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করি তবে দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, জানাযা
মূলতঃ দোয়া নয় বরং “ছলাত বা নামায।” তাই নিম্নে উল্লিখিত প্রতিটি
বিষয়ে পৃথক পৃথকভাবে দলীলভিত্তিক ও বিস্তারিত আলোচনা করা হলো- কুরআন শরীফে
জানাযাকে “ছলাত বা নামায” বলার
প্রমাণ মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন
স্বয়ং নিজেই তাঁর কালামে পাকে জানাযাকে “ছলাত বা নামায” বলে
আখ্যায়িত করেছেন। যেমন,
আল্লাহ্ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন, [৪০২-৪১০]
صل عيهم ان صلاتك سكن لهم.
অর্থঃ- “(হে
নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি তাঁদের (মু’মিনগণের)
উদ্দেশ্যে “ছলাত
বা নামায” (জানাযা)
পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার “ছলাত
বা নামায” তাদের
জন্য শান্তির কারণ।” (সূরা
তাওবা/১০৩, শরহে
বিকায়াহ বিহাশিয়ায়ে নদবী ১ম জিঃ ১৮১ পৃষ্ঠা, নূরুল হিদায়াহ ১ম জিঃ ১৪৩ পৃষ্ঠা, শরহুন
নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৫ পৃষ্ঠা,
আশরাফুল হিদায়াহ ২য় জিঃ ৪২২ পৃষ্ঠা, বিনায়াহ ৩য় জিঃ ২৩৯ পৃষ্ঠা, আল্
কিফায়াহ ২য় জিঃ ৮০,
৮১ পৃষ্ঠা, শরহুল্
ইনায়াহ ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা,
আল ফাতাওয়াত্ তাতারখানিয়াহ ২য় জিঃ ১৫৩ ও ১৫৪ পৃষ্ঠা) এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক অন্যত্র আরো ইরশাদ করেন, [৪১১-৪২২]
ولا تصل على احد منهم مات ابدا ولاتقم على قبره-
অর্থঃ- “হে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাদের (মুনাফিকদের) মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে
তার উপর কখনো “ছলাত
বা নামায”(জানাযা)
পড়বেন না এবং তাদের কবরের পার্শ্বে দাঁড়াবেন না।” (সূরা তাওবা/৮৪) অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি
আলাইহিমগণ তাফসীরুল্ কুরতুবী, তাফসীরুল্ মাযহারী, তাফসীরে রুহুল্ মায়ানী, তাফসীরে
রুহুল্ বয়ান, তাফসীরে
ইবনে কাছীর, তাফসীরে
খাযিন, তাফসীরে
বাগবী, তাফসীরে
মাদারিকুত্ তানযীল,
তাফসীরুত্ তাবারী,
আল্ জাউহারাতুন্ নিয়্যারাহ শরহে মুখতাছারুল্ কুদূরী ১ম জিঃ ১৩৬ পৃষ্ঠা, আল্
মাইদানী হাশিয়ায়ে জাউহারাতুন্ নিয়্যারাহ ১ম জিঃ ১৩৬ পৃষ্ঠা ইত্যাদি কিতাবসমূহে
উল্লিখিত আয়াত শরীফে বর্ণিত “ছলাত” দ্বারা “ছলাতুল জানাযাকে” বুঝিয়েছেন। শুধু তাই নয় উল্লিখিত
আয়াত শরীফদ্বয় দ্বারাই তারা জানাযাকে ফরযে ক্বিফায়া হিসেবে হুকুম সাব্যস্ত করেছেন।
কাজেই যেখানে স্বয়ং আল্লাহ্ পাক জানাযাকে “ছলাত বা নামায” বলেছেন
সেখানে নামায না বলে দোয়া বলা কুরআন শরীফের বিরোধীতা নয় কি?
হাদীস শরীফে জানাযাকে “ছলাত
বা নামায” বলার
প্রমাণ কুরআন শরীফের মতই হাদীস শরীফেও
জানাযাকে “ছলাত
তথা নামায” বলে
উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন,
[৪২৩-৪৩২]
قال النبى صلى الله عليه وسلم صلوا عى صاحبكم. (بخارى شريف ج 1 ص 171 فتح البارى- عمدة القارى ارشادالسارى- تيسير البارى- مسند احمدين حنبل ج 2 ص 290، 381، 399، 354،
ج 3 ص 296- حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح ج 1 ص 382- شرح وقاية بحاشية ندوى ج 1 ص 181- نور الهداية ج 1 ص 143- شرح النقاية ج 1 ص (215
অর্থঃ- “হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের সাথীগণের (মুসলমান মু’মিন
ভাইদের) উদ্দেশ্যে “ছলাত
বা নামায” (জানাযা)
পড়।” (বুখারী শরীফ ১ম জিঃ ১৭৬
পৃষ্ঠা, ফতহুল
বারী, উমদাতুল
কারী, ইরশাদুস্
সারী, তাইসীরুল
বারী, মুসনাদু
আহমদ ইবনে হাম্বাল ২য় জিঃ ২৯০, ৩৮১,
৩৯৯, ৪৫৩
পৃষ্ঠা, ৩য়
জিঃ ২৯৬ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্
ত্বহত্বাবী আলা মারাকিইল ফালাহ্ ১ম জিঃ ৩৮২ পৃষ্ঠা, শরহে বিকায়াহ বিহাশিয়ায়ে নদবী ১ম
জিঃ ১৮১ পৃষ্ঠা, নূরুল
হিদায়াহ ১ম জিঃ ১৪৩ পৃষ্ঠা,
শরহুন্ নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৫ পৃষ্ঠা) [৪৩৩-৪৩৬]
ان النبى صلى الله عليه وسلم قال: صلوا على من قال لا اله الا اله. (الكافى فى فقه الامام احمد ج 1 ص 362- اجوهرة
النيرة شرح مختصر اقدورى ج ا ص 136- ابناية
فى شرح الهداية ج 3 ص
239- الشر حالكبير لابن قدامة المقدسى ج 2 ص 344(
অর্থঃ- “নিশ্চয়ই
নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যারা لا اله الا الله অর্থাৎ-
আল্লাহ্ পাক ছাড়া অন্য কোন মা’বূদ নাই’ বলে বা
সাক্ষ্য দেয় তোমরা তাঁদের জন্য “ছলাত বা নামাযে জানাযা” পড়।” (আল্ কাফী ফী ফিকহিল্ ইমাম
আহমদ ১ম জিঃ ৩৬২ পৃষ্ঠা,
আল্ জাউহারাতুন্ নিয়্যারাহ শরহে মুখতাছারুল্ কুদরী ১ম জিঃ ১৩৬ পৃষ্ঠা, আল্
বিনায়াহ ফী শরহিল হিদায়াহ ৩য় জিঃ ২৩৯ পৃষ্ঠা, আশশরহুল কবীর লিইবনি কুদামাতিল্
মুক্বদাসী ২য় জিঃ ৩৪৪ পৃষ্ঠা)
[৪৩৭-৪৪০]
قوله عليه السام صلوا على كل بر وفاجر. (اكفاية ج 2 ص 80،
81- حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح ج 1 ص 382- اشرف اهداية ج 2 ص 422- البناية فى شرح الهداية ج 3 ص 239(
অর্থঃ- “হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা প্রত্যেক সৎকর্মশীল ও
গুণাহ্গার বা পাপী লোকদের উপর “ছলাত বা নামায” (জানাযা) পড়।” (আল
কিফায়াহ ২য় জিঃ ৮০,
৮১ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্
ত্বহত্বাবী আলা মারাকিইল্ ফালাহ্ ১ম জিঃ ৩৮২ পৃষ্ঠা, আশরাফুল্ হিদায়াহ ২য় জিঃ ৪২২ পৃষ্ঠা, আল্
বিনায়াহ ফী শরহিল্ হিদায়াহ ৩য় জিঃ ২৩৯ পৃষ্ঠা)
[৪৪১]
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: الصلوة عليه شفاعة له ودعاء. (مبسوط ج 2 ص ه(
অর্থঃ- “হযরত
রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “ছলাতুল
জানাযা বা জানাযা নামায”
তার জন্য (মৃত ব্যক্তির জন্য) সুপারিশ ও দোয়া স্বরূপ।” (মাবসূত্ব
২য় জিঃ ৫ পৃষ্ঠা)
[৪৪২-৪৫৫]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال سمعت رسول الله صلى اله عليه وسلم يقول اذا صليتم على الميت فاخلصوا له الدعاء. (ابو داؤد شريفج 2 ص 100- بذل
المجهود- عون المعبود- شرح ابى داؤد لبدر الدر الدين العينى- معالم السنن- ابن ماجة ص 109- مشكوة شريف ص 146- مرقاة- اشعة اللمعات- اللمعات- شرح الطيبى- اتعليق الصبيح- مظاهرحق- مراة المناجيح(
অর্থঃ- “হযরত
আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি যে, তিনি
বলেছেন, যখন
তোমরা মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে “ছলাত বা জানাযা নামায” পড়বে তখন তার জন্য ইখলাছের সাথে
দোয়া করবে।” (আবু
দাউদ শরীফ ২য় জিঃ ১০০ পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ, আউনুল্ মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী,
মায়ালিমুস্ সুনান,ইবনু
মাজাহ ১০৯ পৃষ্ঠা, মিশকাত শরীফ ১৪৬ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ) উল্লিখিত হাদীস শরীফসমূহে صلوا-الصلوة- ও صليتم শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। যাদ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে “ছলাতুল
জানাযা” বা
“জানাযার
নামায।” যদি
জানাযা “ছলাত
বা নামায” না
হয়ে শুধু দোয়া হতো তবে হাদীস শরীফে صلوا শব্দ ব্যবহৃত না হয়ে ادعوا শব্দ ব্যবহৃত
হতো। শুধু তাই নয় উল্লিখিত হাদীস শরীফের এক স্থানে বলা হয়েছে,
اذا صليتم على الميت فاخلصوا له الدعاء.
অর্থাৎ- “যখন মৃত
ব্যক্তির উপর “ছলাত
বা নামায” পড়বে
তখন তার জন্য ইখলাছের সাথে দোয়া করবে।” এতে
সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, জানাযা মূলতঃ “ছলাত বা নামায” যা মৃত
ব্যক্তির জন্য দোয়া-ইস্তিগ্ফারের উদ্দেশ্যে পাঠ করা হয়। যদি দোয়াই হতো তবে হাদীস
শরীফে صليتم শব্দ উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন ছিলো না।
হাদীস শরীফ, ফিক্বাহ্ ও ফতওয়ার কিতাবসমূহে
জানাযাকে “ছলাত
বা নামায” বলে
উল্লেখ করার প্রমাণ
কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে যেহেতু জানাযাকে “ছলাত বা নামায” বলে উল্লেখ
করা হয়েছে। তাই অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণও তাদের স্ব-স্ব
কিতাবে জানাযাকে “ছলাত
বা নামায” বলে
উল্লেখ করেছেন। এ সম্পর্কিত কতিপয় প্রমাণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
[৪৫৬-৪৬২]
الصلاة على الجنازة فرض كفاية.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায ফরযে কিফায়াহ।” (আল
ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ ১ম জিঃ ১৬২ পৃষ্ঠা, আত্ তাতারখানিয়াহ্, শরহু
বিকায়াহ ১ম জিঃ ১৮১ পৃষ্ঠা,
শরহুন্ নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৫ পৃষ্ঠা, আল্ মিছবাহুন্ নূরী ৫৩ পৃষ্ঠা, আল্
বিনায়াহ ফী শরহিল্ হিদায়াহ ৩য় জিঃ ২৩৯ পৃষ্ঠা, ফতহুল ক্বদীর ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা)
[৪৬৩-৪৬৬]
نماز جنازه فرض كفايه هى.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায ফরযে কিফায়াহ।” (আইনুল্
হিদায়াহ ১ম জিঃ ৮৯৩ পৃষ্ঠা,
আশরাফুল হিদায়াহ ২য় জিঃ ৪২২ পৃষ্ঠা, নূরুদ্ দিরায়াহ ১ম জিঃ ২০ পৃষ্ঠা, কাশফুল্
হাক্বাইক্ব শরহে কানযুদ দাক্বাইক্ব) ফিক্বাহ্
ও ফতওয়ার কিতাবে বর্ণিত উল্লিখিত ইবারতদ্বারা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো যে, জানাযা
মূলত “ছলাত
বা নামায। তাই ইমাম-মুজতাহিদ
রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ জানাযাকে دعاء الجنازة “দোয়াউল
জানাযা” না
বলে صلوة الجنازة “ছলাতুল
জানাযা” বলে
উল্লেখ করেছেন। শুধু
তাই নয়, মুহাদ্দিসীন-ই-কিরাম
ও ফুক্বাহা-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ তাদের কিতাবসমূহে জানাযার ব্যাপারে যে “বাব বা
পরিচ্ছেদ” রচনা
করেছেন সে সকল “বাব
বা পরিচ্ছেদমূলক” শিরোনাম
গুলোতেও জানাযাকে “ছলাত
বা নামায” বলে
উল্লেখ করেছেন। যেমন,“বুখারী
শরীফে” জানাযা
নামায সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত “বাব বা পরিচ্ছেদ” গুলো বাঁধা হয়েছে,
[৪৬৭-৪৭২]
باب سنة الصلوة عى الجنائز.
অর্থঃ- “জানাযা
নামাযের’ নিয়ম-কানুন
সম্পর্কে পরিচ্ছেদ।” (বুখারী
শরীফ ১ম জিঃ ১৭৬ পৃষ্ঠা,
ফতহুল্ বারী, উমদাতুল্
ক্বারী, ইরশাদুস্
সারী, তাইসীরুল্
বারী, শরহুল্
কিরমানী)
[৪৭৩-৪৭৭]
باب صلوة الصبيان مع الناس عى الجنائز.
অর্থঃ- “জানাযা
নামাযে’ বয়স্ক
লোকদের সাথে বালকদেরও শরীক হওয়া প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ।”
باب الصلوة على الجنائز بامصلى وامسجد.
অর্থঃ- “মুছাল্লা
বা মসজিদে ‘জানাযা
নামায’ আদায়
করা প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ।”
باب اصلوة على النفساء اذا ماتت فى نفاسها.
অর্থঃ- “প্রসূতী
অবস্থায় মারা গেলে ‘জানাযা
নামায’ সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদ।”
باب الصلوة على الشهيد.
অর্থঃ- “শহীদ
ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ‘জানাযা
নামায’ আদায়
সম্পর্কিত বাব।” (বুখারী
শরীফ ১ম জিঃ ১৭৭, ১৭৯
পৃষ্ঠা, ফতহুল্
বারী, উমদাতুল্
ক্বারী, ইরশাদুস্
সারী, শরহুল
কিরমানী) “আবূ দাউদ শরীফে” জানাযা
নামায সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত বাব বা পরিচ্ছেদগুলো বাঁধা হয়েছে। যথা- [৪৭৮-৪৮১]
باب فضل اصلوة على الجنازة.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ আদায়
করার ফযীলত সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ।” (আবূ দাউদ শরীফ ২য় জিঃ ৯৫ পৃষ্ঠা, বযলুল্
মাজহুদ, আউনুল
মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী)
[৪৮২-৪৮৫]
باب اصوة على من قتلته الحدود.
অর্থঃ- “শরীয়তের
বিধান অনুসারে বিচারে মৃত্যুদন্ড কার্যকরকৃত ব্যক্তির ‘জানাযা
নামায’ পড়া সম্পর্কে অনুচ্ছেদ।”
باب فى الصلوة على الطفل.
অর্থঃ- “শিশুর
‘জানাযা
নামায’ পড়া
সম্পর্কে অনুচ্ছেদ।”
باب الصلوة على الجنازة فى المسجد.
অর্থঃ- “মসজিদে
‘জানাযা
নামায’ আদায়
সম্পর্কে অনুচ্ছেদ।” (আবূ
দাউদ শরীফ ২য় জিঃ ৯৮ পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ, আউনুল মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী)
[৪৮৬-৪৮৯]
باب اين يقوم الامام من الميت اذا صلى عليه.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ পড়ার
সময় ইমাম মাইয়্যিতের কোন স্থান বরাবর দাঁড়াবে সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ।” (আবূ
দাউদ শরীফ ২য় জিঃ ৯৯ পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ, আউনুল মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী)
[৪৯০-৪৯৩]
باب الصلوة على المسم يموت فى بلاد الشرك.
অর্থঃ- “মুশরিকদের
দেশে মৃত্যুপ্রাপ্ত মুসলমানের ‘জানাযা নামায’ আদায় সম্পর্কে অনুচ্ছেদ।” (আবূ
দাউদ শরীফ ২য় জিঃ ১০১ পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ, আউনুল মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী)
[৪৯৪-৪৯৭]
باب الصلوة على القبر بعد حين.
অর্থঃ- “কিছুদিন
অতিবাহিত হবার পর মৃত ব্যক্তির কবরের উপর ‘জানাযা নামায’ পড়া
প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ।” (আবূ
দাউদ শরীফ ২য় জিঃ ১০৩ পৃষ্ঠা, বযলুল মাজহুদ, আউনুল মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী) [৪৯৮-৫০২] “তিরমিযী শরীফে” জানাযা
নামায, নামায
হওয়ার ব্যাপারে নিম্ন বর্ণিত বাবগুলো লক্ষ্য করা যায়। যেমন,
باب
مايقول فى السلوة على الميت.
অর্থঃ- “জানাযা
নামাযে’ মাইয়্যিতের
উদ্দেশ্যে কি পড়বে সম্পর্কিত বাব।” (তিরমিযী শরীফ ১ম জিঃ ১২১ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল্
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান)
[৫০৩-৫০৭]
باب كيف الصلوة عى الميت والشفاعة له.
অর্থঃ- “জানাযা
নামাযের’ ধরণ
ও মাইয়্যিতের জন্য সুপারিশ সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ।”
باب ماجاء فى كراهية اصلوة على الجنازة عند طوع الشمس وعند غروبها.
অর্থঃ- “সূর্যোদয়
ও সূর্যাস্তের সময় ‘জানাযা
নামায’ পড়া
মাকরূহ সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ।”
باب فى الصوة عى الاطفال.
অর্থঃ- “শিশুদের
জন্য ‘জানাযা
নামায’ পড়া
সম্পর্কে অনুচ্ছেদ।”
باب ما جاء فى ترك الصلوة على الطفل حتى يستهل.
অর্থঃ- “ভূমিষ্ঠ
হয়ে চিৎকার না করলে সেই শিশুর ‘জানাযা নামায’ না পড়া প্রসঙ্গে অনুচ্ছেদ।” (তিরমিযী
শরীফ ১ম জিঃ ১২২ পৃষ্ঠা,
তুহফাতুল আহওয়াযী,
আরিদাতুল্ আহওয়াযী,
উরফুশ্ শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান)
[৫০৮-৫১২]
باب ماجاء فى الصلوة على الميت فى المسجد.
অর্থঃ- “মসজিদে
মাইয়্যিতের উদ্দেশ্যে ‘জানাযা
নামায’ পড়া
প্রসঙ্গে অনুচ্ছেদ।”
باب ماجاء فى ترك الصوة على الشهيد.
অর্থঃ- “শহীদ
ব্যক্তির ‘জানাযা
নামায’ না
পড়া সম্পর্কে বাব।”
باب ما جاء فى الصلوة على القبر.
অর্থঃ- “কবরের
উপর ‘জানাযা
নামায’ পড়া
সম্পর্কে অনুচ্ছেদ।”
باب ما جاء فى صلوة النبى صلى الله عليه وسلم على انجاشى.
অর্থঃ- “হযরত
নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাজ্জাশীর উদ্দেশ্যে জানাযা নামায
সম্পর্কে বাব।”’ (তিরমিযী
শরীফ ১ম জিঃ ১২২ পৃষ্ঠা,
তুহফাতুল আহওয়াযী,
আরিদাতুল্ আহওয়াযী,
উরফুশ্ শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান) “নাসাঈ
শরীফে” জানাযা
নামায, নামায
হওয়ার ব্যাপারে নিম্ন বর্ণিত বাব বা পরিচ্ছেদগুলো লক্ষ্যণীয়। যথা-
[৫১৩-৫১৫]
الامر بالصلوة على الميت.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ পড়ার
ব্যাপারে নির্দেশ।”
الصلوة عى الصبيان
অর্থঃ- “বালকদের
উদ্দেশ্যে ‘নামাযে
জানাযা।”
الصلوة على الصبيان.
অর্থঃ- “শিশুদের
উদ্দেশ্যে ‘জানাযা
নামায।”
الصلوة على الاطغال.
অর্থঃ- “শহীদগণের
‘জানাযা
নামায।”
باب ترك اصلوة على المرجوم.
অর্থঃ- “রজমকৃত
ব্যক্তির ‘জানাযা
নামায’ না
পড়া সম্পর্কে বাব।”
باب ترك الصلوة على المرجوم.
অর্থঃ- “রজমকৃত
ব্যক্তির ‘নামাযে
জানাযা।”
الصلوة عى من عليه دين.
অর্থঃ- “ঋণগ্রস্ত
ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ‘জানাযা
নামায।”
ترك الصلوة عى من قتل نفسه.
অর্থঃ- “আত্মহত্যাকারী
ব্যক্তির ‘জানাযা
নামায’ তরক্ব
করা।”
الصلوة عى المنافقين.
অর্থঃ- “মুনাফিক
ব্যক্তিদের ‘জানাযা
নামায।” (নাসাঈ শরীফ ১ম জিঃ ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮, ২৭৯, ২৮০, ২৮১ ও ২৮২
পৃষ্ঠা, আস্সুনানুল্
কুবরা লিন্ নাসায়ী,
হাশিয়াতুস্ সুয়ূত্বী লিন নাসায়ী) “ইবনে মাযাহ” শরীফে
জানাযা নামায, নামায
হওয়ার ব্যাপারে নিম্ন বর্ণিত পরিচ্ছেদগুলো লক্ষ্যণীয়। যথা-
[৫১৬]
باب ما جاء فيمن صلى عيه جماعة من المسلمين.
অর্থঃ- “মুসলমানগণের
একটি জামায়াত ‘জানাযা
নামায’ পড়ার
ব্যাপারে পরিচ্ছেদ।”
باب ماجاء فى اين يقوم الامام اذا صلى على الجنازة؟
অর্থঃ- “ইমাম ছাহেব
‘জানাযা
নামাযে’ কোথায়
দাঁড়াবেন প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ।”
باب ماجاء فى الدعاء فى الصلوة على الجنازة.
অর্থঃ- “জানাযা
নামাযের’ ভিতর
দোয়া প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ।”
باب ماجاء فى الدعاء فى الصلوة على الجنازة.
অর্থঃ-“শিশুদের
‘জানাযা
নামায’ পড়া
প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ।”
باب ماجاء فى الصلوة عى الطفل.
অর্থঃ- “শহীদগণের
‘জানাযা
নামায’ এবং
তাঁদের দাফন প্রসঙ্গে বাব।”
باب ماجاء فى الصلوة على الشهداء ودفنهم.
অর্থঃ- “মসজিদে
‘জানাযা
নামায’ পড়া
প্রসঙ্গে বাব।” (ইবনে
মাযাহ শরীফ ১০৮, ১০৯, ১১০, ১১১
পৃষ্ঠা) “মিশকাত
শরীফে” বাব
বাঁধা হয়েছে। যথা-
[৫১৭-৫২৪]
باب المشى بالجنازة والصلوة عليها.
অর্থ- “মাইয়্যিতের অনুগমন ও জানাযা নামায
প্রসঙ্গে বাব।” (মিশকাত শরীফ ১৪৪ পৃষ্ঠা, মিরকাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ) “ফিক্বাহের
কিতাবসমূহে” জানাযা
নামায সম্পর্কে বাব বা ফছল বাঁধা হয়েছে-
[৫২৫-৫২৬]
فصل السلطان احق بصلاته.
অর্থঃ- “বাদশাহ্
‘জানাযা
নামায’ পড়ার
ব্যাপারে অধিক হক্বদার প্রসঙ্গে পরিচ্ছেদ।” (আল বাহরুর রাইক্ব ও মানহাতুল্
খালিক্ব ২য় জিঃ ১৭৮ পৃষ্ঠা)
[৫২৭-৫৩১]
باب صلاة الشهيد.
অর্থঃ- “শহীদ
ব্যক্তির ‘নামাযে
জানাযা’ সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ।” (কানযুদ দাক্বাইক ২য় জিঃ ১৯৬
পৃষ্ঠা, আল্
বাহরুর রাইক্ব ২য় জিঃ ১৯৬ পৃষ্ঠা, মানহাতুল খালিক ২য় জিঃ ১৯৬ পৃষ্ঠা, কাশফুল
হাক্বাইক্ব ১ম জিঃ ৩৪৬ পৃষ্ঠা, আহসানুল মাসাইল ৬২ পৃষ্ঠা)
[৫৩২]
جنازة كى نماز كابيان.
অর্থঃ- “জানাযা
নামাযের’ আলোচনা।” (আহসানুল
মাসাইল ৫৮ পৃষ্ঠা)
[৫৩৩-৫৪২]
فصل فى الصوة على الميت.
অর্থঃ- “মাইয়্যিতের
উদ্দেশ্যে নামায অর্থাৎ ‘জানাযা
নামায’ সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ।” (আল্
হিদায়াহ মায়াদ্ দিরায়াহ ১ম জিঃ ১৮০ পৃষ্ঠা, ফতহুল্ ক্বদীর ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা, আল্
কিফায়াহ ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা,
শরহুল্ ইনায়াহ ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা, হাশিয়ায়ে চলপী ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা, আইনুল
হিদায়াহ ১ম জিঃ ৮৯৩ পৃষ্ঠা,
আল্ বিনায়াহ ৩য় জিঃ ২৪২ পৃষ্ঠা, নূরুদ্ দিরায়াহ ১ম জিঃ ২০ পৃষ্ঠা, আশরাফুল্
হিদায়াহ, আত্
তাসহীলুদ্ দ্বারুরী লিমাসাইলিল কুদূরী ১ম জিঃ ১০৮ পৃষ্ঠা)
[৫৪৩-৫৪৫]
فصل الصلاة عليه.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ।” (নূরুল্
ঈযাহ ১২৯ পৃষ্ঠা, মারাকিউল
ফালাহ ৩৮২ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্
ত্বহত্বাবী আলা মারাকিইল্ ফালাহ ৩৮২ পৃষ্ঠা)
[৫৪৬-৫৫০]
باب صلاة الجنائز.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ পর্ব।” (আদ্
দুররুল্ মুখতার ২য় জিঃ ১৮৯ পৃষ্ঠা, রদ্দুল্ মুহতার, শামী ২য়
জিঃ ১৮৯ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্
ত্বহত্বাবী আলাদ্ দুররিল্ মুখতার ১ম জিঃ ৩৬২ পৃষ্ঠা, গাইয়াতুল্ আউতার ১ম জিঃ ৩৯৭ পৃষ্ঠা)
[৫৫১]
الفصل فى الصلةة عى الجنازة.
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ।” (আল্
ফাতাওয়াত্ তাতারখানিয়াহ ২য় জিঃ ১৫৩ পৃষ্ঠা)
[৫৫২]
الفصل اخامس فى الصلاة على المتيت.
অর্থঃ- “পঞ্চম
পরিচ্ছেদ হচ্ছে ‘জানাযা
নামায’ সম্পর্কে।” (আল্
ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ্ ১ম জিঃ ১৬২ পৃষ্ঠা) অতএব, প্রমাণিত
হলো যে, জানাযা
যেহেতু “ছলাত
বা নামায” তাই
মুহাদ্দিস ও ফক্বীহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ তাদের কিতাবসমূহে জানাযাকে “ছলাত বা
নামায” বলেই
উল্লেখ করেছেন। সুতরাং জানাযাকে “ছলাত বা নামায” না বলে
দোয়া বলা মহান আল্লাহ্ পাক,
আল্লাহ্ পাক-এর রসূল,
সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ
রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মতের সম্পূর্ণই খিলাফ হওয়ার কারণে গোমরাহীর অন্তর্ভুক্ত।
জানাযা হচ্ছে ফরযে ক্বিফায়া; কিন্তু এমন কোন
দোয়া আছে কি,
যা ফরযে ক্বিফায়ার হুকুম রাখে? হুকুমগত
দিক থেকে ফরয দু’প্রকার।
(১) ফরযে আইন, (২)
ফরযে কিফায়াহ। আর ফরযে কিফায়াহ হল’ জানাযা নামায। যা সমস্ত ফিক্বাহের
কিতাবে বর্ণিত আছে। নিম্নে এটা যে ফরযে কিফায়াহ মূলক নামায, তার প্রমাণ
পেশ করা হলো-
[৫৫৩-৫৭১]
الصلاة على الجنازة فرض كفاية. (الفتاوى العالمكيرية ج اص 162-التاتار خانية- شرح وقاية ج 1 ص 181- شرح
النقاية ج 1 ص
315- المصباح النورى ص 53- البناية فى شرح الهداية ج 3 ص 239- فتح القدير ج 2 ص 80- الكفاية ج 2 ص 90،
81- شرح العناية ج 2 ص 80 تنوير الابصار ج 2 ص 207- رد
المحتار، شامى ج 2 ص 207-208. الدرالمختار ج 2 ص 207 الفقه ااسلامى وادلته ج 2 ص
481- المعونة على مذهب عالم المدينة ج 1 ص 197- فقه السنة للسيد سابق ج 1 ص 521- الفقه الميسر ص 196 الشرح الكبير لابن قدامة المقدسى ج 2 ص 344 الحاوى
للفتاوى للسيوطى ج 1 ص 74(
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ ফরযে
কিফায়াহ।” (আল
ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ ১ম জিঃ ১৬২ পৃষ্ঠা, আত্ তাতারখানিয়াহ্, শরহু
বিকায়াহ ১ম জিঃ ১৮১ পৃষ্ঠা,
শরহুন্ নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৫ পৃষ্ঠা, আল্ মিছবাহুন্ নূরী ৫৩ পৃষ্ঠা, আল্
বিনায়াহ ফী শরহিল্ হিদায়াহ ৩য় জিঃ ২৩৯ পৃষ্ঠা, ফতহুল ক্বদীর ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা, আল্
কিফায়াহ ২য় জিঃ ৮০,
৮১ পৃষ্ঠা, শরহুল্
ইনায়াহ ২য় জিঃ ৮০ পৃষ্ঠা,
তানবীরুল্ আবছার ২য় জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, রদ্দুল মুহতার, শামী ২য়
জিঃ ২০৭, ২০৮
পৃষ্ঠা, আদ্
দুররুল মুখতার ২য় জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, আল্ ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ্ ২য় জিঃ ৪৮১ পৃষ্ঠা, আল্
মাঊনাহ্ আলা মাযহাবি আলিমিল মাদীনা ১ম জিঃ ১৯৭ পৃষ্ঠা, ফিকহুস্
সুন্নাহ্ লিস্ সাইয়্যিদ সাবিক্ব ১ম জিঃ ৫২১ পৃষ্ঠা, আল্ ফিকহুল্ মুইয়াসসার ১৯৬ পৃষ্ঠা, আশ্ শরহুল
কবীর লি ইবনি কুদামাতিল্ মুক্বদাসী ২য় জিঃ ৩৪৪ পৃষ্ঠা, আল হাবী
লিল ফাতাওয়া লিস্ সুয়ূত্বী ১ম জিঃ ৮৪ পৃষ্ঠা)
[৫৭২-৫৮১]
نماز جنازه فرض كفايه هى. (عين الهداية ج 1 ص 893- اشرف
الهداية ج 2 ص
422- نور الدراية ج 1 ص 20- كشف الحقائق شرح كنز الدقائق ج 1 ص 237- غاية
الاوطار ج 1 ص
408 الفتاوى التاتار خانية ج 2 ص 154- ميزان
شعرانى ج 1 ص 514- مالابد منه ص 93- انوار محموده ص 74- تحفة العجم ص 52(
অর্থঃ- “জানাযা
নামায’ ফরযে
কিফায়াহ।” (আইনুল্
হিদায়াহ ১ম জিঃ ৮৯৩ পৃষ্ঠা,
আশরাফুল হিদায়াহ ২য় জিঃ ৪২২ পৃষ্ঠা, নূরুদ্ দিরায়াহ ১ম জিঃ ২০ পৃষ্ঠা, কাশফুল্
হাক্বাইক্ব শরহে কানযুদ দাক্বাইক্ব ১ম জিঃ ৩৩৭ পৃষ্ঠা, গাইয়াতুল
আউতার ১ম জিঃ ৪০৮ পৃষ্ঠা,
আল্ ফাতাওয়াত্ তাতারখানিয়াহ ২য় জিঃ ১৫৩, ১৫৪ পৃষ্ঠা, মীযানে শা’বানী ১ম
জিঃ ৫১৪ পৃষ্ঠা, মালাবুদ্দা
মিনহু ৯৩ পৃষ্ঠা, আনওয়ারে
মাহমূদাহ ৭৪ পৃষ্ঠা,
তুহফাতুল্ আজম ৫২ পৃষ্ঠা) উল্লিখিত
ইবারতের দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, জানাযা “ছলাত বা
নামায” হিসেবেই
ফরযে ক্বিফায়া, দোয়া
হিসেবে নয়। কেননা, ইবারতে
ঞ্জম্বব্জৈব্ধ“ছলাত” বা নামায
শব্দ স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে। কিন্তু “দোয়া” শব্দ কোথাও উল্লেখ নেই। জানাযায় চার
তাকবীর দেয়া ফরয; কিন্তু
এমন কোন দোয়া আছে কি যাতে তাকবীর দেয়া ফরয? জানাযা নামায চার তাকবীরে আদায় করা ফরয। কিন্তু
দোয়া করার জন্য তো কোন তাকবীর দেয়া ফরয করা হয়নি। কিতাবে উল্লেখ আছে-
[৫৮২-৫৮৫]
اركانها (1) التكبيرات (2) والقيام (نور الايضاح ص 129 مراقى
الفلاح ص 2 38، 383، 384- حاشية
المطحطاوى على مراقى الفلاح ص 382،
383، 384 البحرالرائق شرح كنز الدقائق ج 2 ص 183(
অর্থঃ- “জানাযা
নামাযের’ রুকন
হলোঃ (১) তাকবীরগুলো,
(২) এবং দাঁড়িয়ে নামায পড়া।” (নূরুল্ ঈযাহ্ ১২৯ পৃষ্ঠা, মারাকিউল্
ফালাহ শরহে নুরুল ঈযাহ্ ৩৮২, ৩৮৩ ও ৩৮৪ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্ ত্বহত্বাবী আলা মারাকিইল
ফালাহ্ ৩৮২, ৩৮৩
ও ৩৮৪ পৃষ্ঠা, আল্
বাহর্রু রাইক শরহে কানযুদ্ দাক্বাইক ২য় জিঃ ১৮৩ পৃষ্ঠা) অতএব প্রমাণিত হলো যে, জানাযা নামায, নামাযই।
তবে এটাকে “ছলাতুল
দোয়াও” বলা
হয় যেহেতু নামাযে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া-ইস্তিগ্ফারের উদ্দেশ্যে পড়া হয়। জানাযায়
নামাযের তরতীবেই তাকবীর বলে তাহ্রীমা
বাঁধতে হয়; কিন্তু
দোয়ায় তাকবীর বলে তাহরীমা বাঁধার হুকুম
রয়েছে কি? নামাযের জন্য তাকবীর বলা ফরয। আর
তাকবীর বলে হাত বাঁধা বা তাহরীমা বাঁধা সুন্নত। যা জানাযা নামাযে লক্ষ্যণীয়।
কিন্তু দোয়ার জন্য তাকবীর বলা ও তাহরীমা বাঁধা কোনটিই ফরয, ওয়াজিব ও
সুন্নত নয়।
[৫৮৬-৬০৫]
)وهى ان يكبر اله ويثنى) بان يحمد الله مطلقا (شرح النقاية ج 1 ص
316- نور الهداية- الدر المختار- دالمحتار شامى ج 2 ص 212- حاشية
الطحطاوى على ادر المختار ج 1 ص
373- عاية الاوطار ج 1 ص 410- الفتاوى التاتار خانية ج 2 ص
155- فتح القدير ج 2 ص 75- الكفاية- شرح العناية- اجوهرة النيرة ج 1 ص 137- الميد
انى- البناية ج 3 ص 252- نور
الدراية ج 1 ص
27- مراقى الفلاح ص 375- الفتاوى العا لمكيرية ج 1 ص 164- شرح
الجامع الصغير- قاضى خان- التسهيل الضرورى لمسائل القدورى ج ص 108(
অর্থঃ- “(আল্লাহ্
পাক-এর ‘আল্লাহু
আকবার’ তাকবীর
বলে ‘তাহরীমা
বেধে’ ছানা
পড়বে) সাধারণতঃ আল্লাহ্ পাক-এর হামদ বা প্রশংসা করবে। (শরহুন্ নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৬
পৃষ্ঠা, নূরুল
হিদায়াহ, আদ্
দুররুল মুখতার, রদ্দুল
মুহতার, শামী, ২য় জিঃ ২১২
পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্
ত্বহত্বাবী আলাদ্ দুররিল্ মুখতার ১ম জিঃ ৩৭৩ পৃষ্ঠা, গাইয়াতুল আউতার ১ম জিঃ ৪১০ পৃষ্ঠা, আল্
ফাতাওয়াত্ তাতারখানিয়াহ ২য় জিঃ ১৫৫ পৃষ্ঠা, ফতহুল্ ক্বদ ীর ২য় জিঃ ৮৫ পৃষ্ঠা, আল্
কিফায়াহ, শরহুল্
ইনায়াহ্, আল্
জাউহারাতুন্ নিয়্যারাহ ১ম জিঃ ১৩৭ পৃষ্ঠা, আল্ মাইদানী, আল্
বিনায়াহ ৩য় জিঃ ২৫২ পৃষ্ঠা,
নূরুদ্ দিরায়াহ ১ম জিঃ ২৭ পৃষ্ঠা, মারাকিউল ফালাহ ৩৮৫ পৃষ্ঠা, আল্
ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ ১ম জিঃ ১৬৪ পৃষ্ঠা, শরহে জামিউছ্ ছগীর, কাযীখান, আত্
তাসহীদুদ্ দ্বারুরী লিমাসাইলিল কুদূরী ১ম জিঃ ১০৮ পৃষ্ঠা) জানাযায় অন্যান্য
নামাযের ন্যায় সালাম ফিরানোর বিধান রয়েছে; কিন্তু
দোয়ায় সালাম ফিরাতে হয় কি?
মৃত
ব্যক্তির জন্য নামাযের ভিতর তারতীব অনুসারে দোয়া করার নামাযই হচ্ছে জানাযা নামায।
যাতে দোয়া পাঠ করার পর তাকবীর বলে ডানে-বামে সালাম ফিরাতে হয়। কিন্তু দোয়ার মধ্যে
তো এরকম কোন নিয়ম জরুরী করা হয় নাই। তাহলে কি করে বলা যেতে পারে যে, জানাযা
নামায, নামায
নয়, বরং
দোয়া? মূলতঃ
জানাযা নামায তো অবশ্যই নামায। তবে এমন নামায যাতে মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করা হয়।
[৬০৬-৬২৩]
ثم يكر الراعة ويسلم لانه صلى الله عليه وسلم كر ارعا فى اخر صلاة صلاها فنسخت ما قلها- ولو كر الامام خمسا لم يتاعه- (الهداية مع الدراية ج 1 ص
180- الجوهره النيرة ج 1 ص 138- حاشية الميدانى ج 1 ص 138- البناية فى شرح اهداية ج 3 ص 254- العناية ج 2 ص 86- عين
الهداية ج 1 ص
901- اشرف الهداية ج 2 ص 427-نور الدراية ج 1 ص 27- فتح
القدير ج 2 ص 86- مراقى الفلاح شرح نور الايضاح ص 386- شرح النقاية ج 1 ص 217- شرح
للمولوى الياس ج 1 ص 317- نور الهداية ص 144- هادية امصلين- الدر المختار- ردالمحتار- شامى ج 2 ص
214- غاية الاوطار ج 1 ص 412(
অর্থঃ- “(মাইয়্যিতের
জন্য দোয়া পড়ার পর) অতঃপর চতুর্থ তাকবীর বলবে এবং সালাম ফিরাবে। কেননা হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ জানাযা নামাযে চার তাকবীর দিয়েছেন। যাতে
পূর্বের অতিরিক্ত সমস্ত তাকবীর মানসূখ হয়ে গেছে। ইমাম যদি পঞ্চম তাকবীর দেয় তবে
তার অনুসরণ করা যাবেনা।” (আল
হিদায়াহ মায়াদ্ দিরায়াহ ১ম জিঃ ১৮০ পৃষ্ঠা, আল্ জাউহারাতুন্ নিয়্যারাহ ১ম জিঃ
১৩৮ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুল্
মাইদানী ১ম জিঃ ১৩৮ পৃষ্ঠা,
আল বিনায়াহ ফী শরহিল হিদায়াহ ৩য় জিঃ ২৫৪ পৃষ্ঠা, আল্ ইনায়াহ ২য় জিঃ ৮৬ পৃষ্ঠা, আইনুল
হিদায়াহ ১ম জিঃ ৯০১ পৃষ্ঠা,
আশরাফুল হিদায়াহ ২য় জিঃ ৪২৭ পৃষ্ঠা, নূরুদ দিরায়াহ ১ম জিঃ ২৮ পৃষ্ঠা, ফতহুল
ক্বদীর ২য় জিঃ ৮৬ পৃষ্ঠা,
মারাকিউল ফালাহ শরহে নূরুল ঈযাহ ৩৮৬ পৃষ্ঠা, শরহুন্ নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৭ পৃষ্ঠা, শরহু লিল
মাউলুবী ইলইয়াস ১ম জিঃ ৩১৭ পৃষ্ঠা, নূরুল হিদায়াহ ১৪৪ পৃষ্ঠা, হাদিয়াতুল
মুছাল্লীন, আদ্
দুররুল্ মুখতার, রদ্দুল
মুহতার, শামী
২য় জিঃ ২১৪ পৃষ্ঠা,
গাইয়াতুল্ আউতার ১ম জিঃ ৪১২ পৃষ্ঠা) উল্লিখিত
ইবারতে ‘সালাম’ ফিরানোর
কথা স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে। আর ‘সালামের’ কথা উল্লেখ থাকা এটাই প্রমাণ করে যে, জানাযা
মূলতঃ নামায। জানাযার জন্য কাঁতার করা জরুরী; কিন্তু দোয়ার জন্য কাঁতার করা কি শর্ত রয়েছে? কাঁতার করে দাঁড়িয়ে দোয়া করা শর্ত
নয়। বসে, শুয়ে, মনে-মনে, উচ্চ
আওয়াজে, দাঁড়িয়ে
অথবা কাঁতার করে যে কোন ভাবেই দোয়া করতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু জানাযা নামায
আদায় করতে হবে কাঁতার করে দাঁড়ানো অবস্থায়। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে,
[৬২৪-৬৩৯]
عن مرثد بن عبد الله اليزنى رحمة الله عليه قال كان مالك بن هبيرة اذا صلى على جنازة فتقال الناس عليها جزاهم ثلثة اجزاء ثم قال قال رسول اله صلى الله عليه وسلم من صلى عليه ثلثة صفوف فقد اوجب. (ترمذى شريف ج 1 ص 122- تحفة
الاحوذى ج 4 ص
112- 113- عارضة الاحوذى ج 4 ص 246، ابو داؤد شريف ج 2 ص 95 بذل
المجهودج 5 ص 197- عون
المعبود ج 3 ص
174، شرح ابى داؤد لبد ر الدين العينى ج 6 ص 96،
مشبكوة 147، مرقاة، شرح الطيبى- التعليق الصبيح- مظاهرحق- مراة امناجيح- ابن ماجة شريف ص 108(
অর্থঃ- “হযরত
মারছাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইয়াযানী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত মালিক
ইবনে হুবাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন জানাযা নামায পড়াতেন তখন লোকজনদের
উপস্থিতি কম হলে তিনি তাদেরকে তিন সারিতে ভাগ করতেন। অতপর তিনি বলতেন, রসূলুল্লাহ্
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন কাঁতার লোক যার জানাযা নামায
পড়েছে তার জন্য বেহেশ্ত ওয়াজিব হয়েছে।” (তিরমিযী শরীফ ১ম জিঃ ১২২
পৃষ্ঠা, তুহফাতুল
আহওয়াযী ৪র্থ জিঃ ১১২,
১১৩ পৃষ্ঠা, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী ৪র্থ জিঃ ২৪৬ পৃষ্ঠা, আবূ দাউদ শরীফ ২য় জিঃ ৯৫ পৃষ্ঠা, বযলুল
মাজহুদ ৫ম জিঃ ১৯৭ পৃষ্ঠা,
আউনুল মা’বূদ
৩য় জিঃ ১৭৪ পৃষ্ঠা,
শরহু আবী দাউদ লি বদরিদ্দীন আইনী ৬ষ্ঠ জিঃ ৯৬ পৃষ্ঠা, মিশকাত
শরীফ ১৪৭ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত
শরীফ, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, লুময়াত, আশয়াতুল
লুময়াত, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল
মানাজীহ্, ইবনে
মাজাহ্ ১০৮ পৃষ্ঠা) তাই প্রমাণিত হয়, জানাযা
নামায একটি বিশেষ নামায। এটাকে ছলাতুত্ দোয়াও বলা হয় যেহেতু এর ভিতরে মাইয়্যিতের
জন্য দোয়া আছে। জানাযা নামাযকে
নামায না বলে শুধু দোয়া বললে, অন্যান্য নামাযগুলোকেও দোয়া বলতে হবে জানাযাকে
নামায না বলে দোয়া বললে অন্যান্য সকল নামাযগুলোও দোয়ার নামায হিসেবে স্বীকৃত হয়ে
যায়। কেননা, (১)
জানাযা নামাযে তাকবীরে তাহরীমা বাঁধতে হয়, অনুরূপ অন্যান্য নামাযগুলোতেও
তাকবীরে তাহরীমা বাঁধতে হয়,
(২) জানাযা নামাযে ও অন্যান্য সকল নামাযে ছানা পড়তে হয়। (৩)
জানাযা নামাযে ও অন্যান্য সকল নামাযে দরূদ শরীফ পড়তে হয়। (৪) জানাযা নামায ও
অন্যান্য নামাযগুলোও দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। (৫) জানাযা নামাযে নির্দিষ্ট দোয়া আছে, অনুরূপ
অন্যান্য নামাযেও দোয়া পড়তে হয়। (৬) আমাদের মাযহাবে যদিও জানাযা নামাযে সূরা
ফাতিহা নাই কিন্তু অন্যান্য নামাযে তা পড়া হয়। অথচ সূরা ফাতিহা হচ্ছে সূরাতুত্
দোয়া বা দোয়ামূলক সূরা। (৭) জানাযা নামায থেকে ফারেগ হওয়ার জন্য ডানে-বামে সালাম
ফিরাতে হয়, অনুরূপ
অন্যান্য সকল নামায ডানে-বামে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতে হয়। (৮) অন্যান্য
নামাযের সাথে এখানে শুধু পার্থক্য হচ্ছে, অন্যান্য নামাযে রুকু ও সিজদা আছে, কিন্তু
জানাযা নামাযে তা নেই। কেননা, এতে রুকু সিজদা করলে সামনে শায়িত মৃত ব্যক্তিকে সিজদা করা
হয়, যা
আল্লাহ্ পাক-এর কাছে পছন্দনীয় নয়। তাই
জানাযা নামাযের ভিতর মাইয়্যিতের জন্য দোয়া থাকার কারণে যদি তা দোয়াই হয়, তবে
অন্যান্য নামাযগুলোরও তো তার স্ব-স্ব নাম পরিবর্তন করে আমভাবে সবগুলোকে দোয়া বলতে
হবে, যা
কুরআন শরীফ, হাদীস
শরীফ ও ইজ্মা-ক্বিয়াসের সম্পূর্ণ খিলাফ সুতরাং জানাযা মূলতঃ “ছলাত বা
নামায।” জানাযাকে
“ছলাত
বা নামায” না
বলে “দোয়া” বলা চরম
গোমরাহী বৈ কিছুই নয়। ইজ্মা দ্বারাও প্রমাণিত যে, জানাযা
দোয়া নয় বরং ছলাত বা নামায ইমাম-মুজতাহিদ
রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ জানাযা ফরযে কিফায়া হওয়ার ব্যাপারে যে ‘ইজমা’ করেছেন, তা মূলতঃ
জানাযা “ছলাত
বা নামায” হিসেবে
ফরযে কিফায়া হওয়ার ব্যাপারে, দোয়া হওয়ার ব্যাপারে নয়।
যেমন, এ প্রসঙ্গে
কিতাবে উল্লেখ আছে,
[৬৪০-৬৫৫]
)قوله وهى فرض كفاية) اى الصلاة عليه للاجماع على افتر اضها وكونها على اكفاية وماورد فى بعض العبارات من انها واجبة فالمراد الافتراض وصرح فى القنية والفوائد التاجية يكفر من انكر فر ضيتها انه انكر ااجماع. (البحر الرائق شرح كنز الدقائق ج 2 ص 179- القنية-
الفو ائد التاجية- منحة الخالق على البحر الرائق ج 2 ص 179- تحفة
الفقهاء لسمر قندى ج 1 ص 247 شرح
انقاية ج 1 ص 315- اشرف الهداية ج 2 ص 422- كفاية-
البناية فى شرح اهداية ج 2 ص 179- تحفة الفقهاء للسمر قندى ج 1 ص 247 شرح انقاية ج 1 ص 315- اشرف
الهداية ج 2 ص
422- كفاية- التناية فى شرح الهداية ج 3 ص 239- حاشية الطحطاوى عى مراقى الفلاح ص 382- الدر المختارج 2 ص 207- رد المحتار- شامى ج 2 ص 207- غاية الاوطارج ا ص 408 الفتاوى التاتار خانية ج 2 ص 153-154- الفقه الاسلامى وادته ج 2 ص
481(
অর্থঃ- “(কানযুদ্
দাক্বাইক্ব গ্রন্থকার বলেন, জানাযা নামায ফরযে
কিফায়াহ) অর্থাৎ জানাযার উদ্দেশ্যে “নামায ইজ্মা’ দ্বারা প্রমাণিত যা ফরযে কিফায়াহ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু
কিছু ইবারতে এটা ওয়াজিব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে ওয়াজিব দ্বারা ফরয
(কিফায়াহ) উদ্দেশ্য হবে। আল্ ক্বিনইয়াহ ও আল্ ফাওয়াইদুত্ তাজিয়াহ’ কিতাব দ্বয়ে পরিস্কারভাবে লিখিত আছে যে, জানাযার ফরযিয়াতকে অস্বীকার করা কুফরী। কেননা নিশ্চয়ই এতে
ইজ্মাকে অস্বীকার করা হয়।” (আল্ বাহরুর রাইক্ব শরহে
কানযুদ দাক্বাইক্ব ২য় জিঃ ১৭৯ পৃষ্ঠা, আল্ কিনইয়াহ, আল্ ফাওয়াইদুত্ তাজিয়াহ, মানহাতুল্ খালিক আলাল্ বাহরির রাইক্ব ২য় জিঃ ১৭৯ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল্ ফুক্বাহা লিস্ সমরক্বন্দী ১ম জিঃ ২৪৭ পৃষ্ঠা, শরহুন্ নিকায়াহ ১ম জিঃ ৩১৫ পৃষ্ঠা, আশরাফুল হিদায়াহ ২য় জিঃ ৪২২ পৃষ্ঠা, কিফায়াহ, আল্
বিনায়াহ ফী শরহিল্ হিদায়াহ ৩য় জিঃ ২৩৯ পৃষ্ঠা, হাশিয়াতুত্ ত্বহত্বাবী আলা মারাকিইল ফালাহ্ ৩৮২ পৃষ্ঠা, আদ্ দুররুল মুখতার ২য় জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, রদ্দুল মুহতার, শামী ২য় জিঃ ২০৭ পৃষ্ঠা, গাইয়াতুল আউতার ১ম জিঃ ৪০৮ পৃষ্ঠা, আল্ ফাতাওয়াত্ তাতারখানিয়াহ ২য় জিঃ ১৫৩, ১৫৪ পৃষ্ঠা, আল্ ফিকহুল্ ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ্ ২য় জিঃ ৪৮১ পৃষ্ঠা) অতএব, প্রমাণিত হলো যে, জানাযা মূলতঃ নামায। কেননা, স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক, আল্লাহ্ পাক-এর রসূল আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং
অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম তথা মুফাস্সির, মুহাদ্দিস ও ফক্বীহ্গণ তাঁদের কিতাবসমূহেও জানাযাকে “ছলাত বা নামায” বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া অন্যান্য আরো কারণ তো রয়েছেই।
এরপরও যারা জানাযাকে “ছলাত বা নামায” না বলে দোয়া বলতে চায় তারা অজ্ঞ ও গোমরাহ বৈ কিছুই নয়। য
(অসমাপ্ত) পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন সংশোধনী গত ১০৩ তম সংখ্যার ১৫ পৃষ্ঠায় ৮
লাইনে “চার রাকায়াত” বাদ দিয়ে পড়তে হবে।
0 Comments:
Post a Comment