গবেষণা
কেন্দ্র- মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ জানাযা
নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া
[সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ রব্বুল
আলামীনের জন্যে এবং অসংখ্য দরূদ ও সালাম আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসূল, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি। মহান আল্লাহ্ পাক-এর অশেষ রহ্মতে আমাদের
গবেষণা কেন্দ্র, “মুহম্মদিয়া
জামিয়া শরীফ”-এর
ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে,
বহুল প্রচারিত,
হক্বের অতন্দ্র প্রহরী,
বাতিলের আতঙ্ক ও আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীল
ভিত্তিক মুখপত্র “মাসিক
আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায়
যথাক্রমে টুপির ফতওয়া,
অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান, নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা, ছবি ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া, জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া,
মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া, কদমবুছী ও
তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া
মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ফরয
নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ইন্জেকশন
নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তারাবীহ্-এর
নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও
তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার
সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে
ফতওয়া, প্রচলিত
তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, আযান ও
ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর
শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, খাছ
সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া, ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও
তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া এবং শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা
ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া পেশ করার পর
২১তম ফতওয়া হিসেবে “জানাযা
নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”
পেশ করে আসতে পারায় মহান আল্লাহ্ পাক-এর দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া।] জানাযা
নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ সুন্নতের
পথিকৃত, হক্বের
অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন
ইসলামের নির্ভীক সৈনিক,
সারা জাহান থেকে কুফরী,
শিরিকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহলে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক মুখপত্র- “মাসিক আল
বাইয়্যিনাত” পত্রিকায়
যত লিখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও
অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক
আল বাইয়্যিনাতে” এমন
সব লিখাই পত্রস্থ করা হয়,
যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ করণে বিশেষ সহায়ক। তদ্রুপ
“মাসিক
আল বাইয়্যিনাতে” “জানাযা
নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক
বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার উদ্দেশ্য বা মাকছূদও ঠিক তাই। কেননা কিছু লোক “ক্বিল্লতে
ইল্ম ও ক্বিল্লতে ফাহ্ম”-
অর্থাৎ কম জ্ঞান ও কম বুঝের কারণে বলে থাকে যে, “জানাযার পর দোয়া করা বিদ্য়াত ও
নাজায়িয।” তাদের উক্ত বক্তব্য একদিক থেকে
যেরূপ ঈমান বা আক্বীদার ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ, অপর দিক থেকে আমলের ক্ষেত্রেও
ক্ষতির কারণ। প্রথমতঃ ঈমানের ক্ষেত্রে
ক্ষতির কারণ এ জন্য যে,
আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো কোন জায়িয আমলকে নাজায়িয বলা
কুফরী। অর্থাৎ ঈমান বিনষ্ট হওয়ার কারণ। অথচ বান্দার ইবাদত-বন্দিগী বা নেক আমল কবুল
হওয়ার জন্যে প্রধানতম শর্ত হচ্ছে- আক্বীদা শুদ্ধ থাকা অর্থাৎ আহ্লে সুন্নত ওয়াল
জামায়াতের আক্বীদার ন্যায় আক্বীদা পোষণ করা। কারণ বিশুদ্ধ আক্বীদা আমল কবুল হওয়ার
পূর্ব শর্ত। দ্বিতীয়তঃ আমলের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ এ জন্য যে, তাদের উক্ত
অশুদ্ধ বক্তব্যের কারণে যেরূপ ‘মাইয়্যিত’ জীবিতদের দোয়া হতে বঞ্চিত হবে তদ্রুপ বঞ্চিত হবে হাদীস
শরীফের উপর আমল করা থেকে। কারণ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, আশেকে
উম্মত, নূরে
মুজাস্সাম, ফখরে
দু’আলম, রহমতুল্লিল
আলামীন, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘মাইয়্যিতের’ জন্য অধিক
মাত্রায় এবং ইখলাছের সাথে দোয়া করতে বলেছেন বলে ছহীহ্ হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে।
শুধু তাই নয় স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
যেরূপ জানাযার নামাযে মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করেছেন অনুরূপ জানাযার বাইরেও
মাইয়্যিতের জন্য দোয়া করেছেন। সুতরাং মাইয়্যিতের জন্য জানাযার নামাযে দোয়া করা
যেরূপ সুন্নত, তদ্রুপ
জানাযার বাইরেও সুন্নত। তা জানাযার আগেই হোক বা পরে হোক। সুতরাং বলার অপেক্ষাই
রাখেনা যে, তাদের
বক্তব্যের কারণে সাধারণ লোক একটি সুন্নত পালনের ফযীলত থেকে মাহরূম হবে
নিঃসন্দেহে।
মূলকথা হলো, সকল
মুসলমান যেন “জানাযার
পর দোয়া ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়” সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা রাখতে পারে এবং সুন্নত মুতাবিক আমল
করে মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি
হাছিল করতে পারে এ মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই বহুল প্রচারিত “মাসিক আল
বাইয়্যিনাতে জানাযার পর দোয়া ও তাঁর প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” দেয়া
হলো। মহান
আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে পাকে ইরশাদ করেন,
كل نفس ذائقة الموت
অর্থাৎ “প্রত্যেক
প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ বরণ করতে হবে।” (সূরা আলে ইমরান/১৮৫)
কাজেই কোন
মুসলমান মৃত্যুবরণ করার পর জীবিতদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে যথা শীঘ্র মৃত
ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থা করা এবং দাফন কার্য্যে বিলম্ব না করা। কেননা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
اذا مات احدكم فلا تحبسوه واسرعو ابه الى قبره.
অর্থঃ- “ তোমাদের
মধ্যে যখন কেউ মৃত্যু বরণ করে তখন তাকে আবদ্ধ করে রেখে দিওনা বরং যত তাড়াতাড়ি
সম্ভব তাকে দাফন করতে কবরে নিয়ে যাও।” (তাবারানী)
অবশ্য
দাফনের পূর্বে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কাজ রয়েছে, যেমন
প্রথমতঃ মাইয়্যিতকে গোসল করানো, দ্বিতীয়তঃ কাফনের কাপড় পরিধান করানো, তৃতীয়তঃ
মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া। মূলতঃ মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া শুধু
ফযীলত লাভেরই কারণ নয় বরং মাইয়্যিতের উপর জানাযা পড়া স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক
রব্বুল আলামীন-এর নির্দেশ। যেমন তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন বলেন,
وصل عليهم ان صلا تك سكن لـهم.
অর্থঃ- “(হে নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি তাদের (মু’মিনগণের) উদ্দেশ্যে নামাযে জানাযা
পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনার নামায তাদের জন্য শান্তির কারণ স্বরূপ।” (সূরা
তাওবা/১০৩)
অত্র আয়াতে
কারীমায় স্বয়ং আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন জানাযা নামাযের গুরুত্ব, ফাযায়েল-ফযীলত
বর্ণনা করেছেন। আর তা মু’মিন-মুসলমানগণের
জন্য রহমত, বরকত
ও শান্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
(পূর্ব
প্রকাশিতের পর)
কুরআন
শরীফের আলোকে দোয়া বা মুনাজাতের অকাট্য প্রমাণ
পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফের অসংখ্য আয়াত শরীফ দ্বারা অকাট্য ভাবেই প্রমাণিত হয় যে, যেকোন সময়
যেকোন স্থানেই মহান আল্লাহ্ পাক-এর নিকট দোয়া বা মুনাজাত করা জায়িয। কেননা মহান
আল্লাহ্ পাক আমভাবেই কুরআন শরীফে দোয়া বা মুনাজাত করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিম্নে এ
ঁসম্পর্কিত কতিপয় আয়াত শরীফ উল্লেখ করা হলো- যেমন
এপ্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, [৬৫৬]
وقال ربكم ادعونى استجب لكم ان الذين يستكبرون عن عبادتى سيد خلون جهنم دخرين.
অর্থঃ- “তোমাদের রব
বলেন, তোমরা
আমাকে ডাক, আমি
তোমাদের ডাকে (দোয়ায়) সাড়া দিব। নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে, তারা অতি
সত্ত্বর লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে দাখিল (প্রবেশ) হবে।” (সূরা মু’মিন/৬০)
[৬৫৭]
هنالك دعا زكريا ربه قال رب هب لى من لدنك درية طيبة انك سميع الدعاء، فنادته الملئكة وهو فائم يصلى فى المحراب ان الله يبشرك بيحيى مصدقا بكلمة من الله وسيدا وحضورا ونبيا من الصلحين.
অর্থঃ- “(যখনই হযরত
যাকারিয়া আলাইহিস্ সালাম হযরত মারইয়াম আলাইহাস্ সালাম-এর হুজরা শরীফে আসতেন ফল-মূল
দেখতে পেতেন) সেখানেই হযরত যাকারিয়া আলাইহিস্ সালাম তাঁর পালনকর্তা (আল্লাহ্ পাক)
এর নিকট দোয়া করলেন। তিনি বললেন, হে আমার রব! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান
করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা বা দোয়া শ্রবণকারী। যখন তিনি কামরার ভিতরে নামাযে
দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন
ফিরিশ্তাগণ তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ্ পাক আপনাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস্
সালাম (যিনি আপনার পুত্র হবেন) সম্পর্কে। যিনি, আল্লাহ্ পাক-এর নির্দেশের সত্যতা
সম্পর্কে সাক্ষ্য দিবেন। যিনি সাইয়্যিদ (সরদার) হবেন এবং নারীদের সংস্পর্শে যাবেন
না। তিনি অত্যন্ত ছলিহীন (সৎকর্মশীল) নবী হবেন।” (সূরা আল ইমরান/৩৮, ৩৯) অত্র আয়াতে আল্লাহ্ পাক দোয়ার উপকারীতা বর্ণনা
করে সকলকে দোয়ার দিকে উৎসাহিত করেছেন। হযরত যাকারিয়া আলাইহিস্ সালাম সৎ সন্তানের
দোয়া করায় আল্লাহ্ পাক এমন সন্তান দান করলেন, যিনি নবী, সাইয়্যিদ
এবং ছলিহীনগণের অন্তর্ভুক্ত।
[৬৫৮]
فدعا ربه انى مغلوب فانتصر، ففتحنا ابواب السماء بماء منهمر وفجر نا الارض عيونا فالتقى الماء على امر قد قدر، وحملنه على ذات الواح ودسر، تجرى بايننا جزاء لمن كان كفر، ولقد تركنها اية فهل من مدكر.
অর্থঃ- “তিনি (হযরত
নূহ আলাইহিস্ সালাম) তাঁর রবকে ডেকে বললেন (দোয়া করলেন), আমি মাগলুব, অতএব আমাকে
সাহায্য করুন। তখন আমি আকাশের দরজা খুলে দিলাম, প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে এবং ভূমি
থেকে প্রবাহিত করলাম প্রস্রবন। অতঃপর সব পানি মিলিত হলো এক পরিকল্পিত কাজে। আমি
হযরত নূহ আলাইহিস্ সালামকে আরোহন করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত নৌযানে। যা চলত
আমার (কুদরতি) দৃষ্টির সামনে। এটা তার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে
প্রত্যাখান করা হয়েছিল। আমি একে এক নিদর্শন রূপে রেখে দিয়েছি। অতএব কোন চিন্তাশীল
আছে কি?” (সূরা
ক্বমার/ ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫) এখানে দেখা যায় যে, হযরত নূহ
আলাইহিস্ সালাম সাহায্যের দোয়া করেছেন। আল্লাহ্ পাক কবুল করে তাঁকে সাহায্য করেছেন
এবং কাফিরদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। অর্থাৎ সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায়ই আল্লাহ্ পাক-এর
কাছে দোয়া করতে হবে।
[৬৫৯]
واذا سألك عبادى عنى فانى قريب اجيب دعوة الداع اذا دعان فليستجبوا لى وليؤمنوابى لعلهم يرشدون.
অর্থঃ- “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) আমার বান্দাগণ যখন আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করে আমার ব্যাপারে, বস্তুতঃ
আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা দোয়া করে, তাঁদের দোয়া কবুল করে নেই, যখনই আমার
কাছে দোয়া করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করা তাদের
একান্ত দায়িত্ব-কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে।” (সূরা
বাক্বারা ১৮৬) [৬৬০]
امن يجيب المضطر اذا دعاه ويكشف السوء ويجعلكم خلفاء الارض ء اله مع الله قليلا ما تذكرون.
অর্থঃ- “বল তো, কে
নিঃসহায়ের ডাকে সাড়া দেন;
যখন সে ডাকে (দোয়া করে) এবং কষ্ট দূরীভূত করেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে
পূর্ববর্তীদর স্থলাভিষিক্ত করেন। সুতরাং আল্লাহ্ পাক-এর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে
কি? তোমরা
অতি সামান্যই, ফিকির
কর।” (সূরা
নমল/ ৬২)
[৬৬১]
قل ادعوا الله او ادعوا الرحمن اياما تدعوا فله الاسماء الحسنى.
অর্থঃ- “(হে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুনঃ তোমরা আল্লাহ্ বলে ডাক। অথবা রহমান
বলে, যে
নামেই আহবান কর না কেন,
সব সুন্দর সুন্দর নাম তাঁরই।” (সূরা বণী ইসরাঈল/ ১১০) [৬৬২]
ادعوا ربكم تضرعا وخفية انه لايحب المعتدين.
অর্থঃ- “তোমরা
তোমাদের রবকে কাকুতি-মিনতি সহকারে এবং সংগোপনে ডাক। তিনি সীমা অতিক্রম কারীদেরকে
পছন্দ করেন না।” (সূরা
আ’রাফ/৫৫)
[৬৬৩]
هو الذى يريكم ايته وينزل لكم من السماء رزقا وما يتذكر الا من ينيب، فادعوا الله مخلصين له اذين ولو كره الكفرون.
অর্থঃ- “তিনিই
(আল্লাহ্ পাক) তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্য আকাশ থেকে নাযিল
করেন রিযিক। যাঁরা আল্লাহ্ পাক-এর দিকে রুজু থাকেন, তাঁরাই চিন্তা-গবেষণা করেন। অতএব
তোমরা আল্লাহ্ পাককে খাঁটি বিশ্বাসের সাথে ডাক। যদিও কাফিরেরা তা অপছন্দ করে।” (সূরা মু’মিন/১৩, ১৪)
[৬৬৪]
قل امر ربى بالقسط واقيموا وجوهكم عند كل مسجد وادعوه مخلصين له الدين كما بداكم تعودون.
অর্থঃ- “(হে নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ
দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সিজদার সময় স্বীয় মুখমন্ডল সোজা রাখ এবং তাঁকে খাঁটি
আনুগত্যশীল হয়ে ডাক (দোয়াকর)। তোমাদেরকে
প্রথমে যেমন সৃষ্টি করেছেন,
পূর্ণবারও তেমনি সৃজিত হবে।” (সূরা আ’রাফ/২৯)
[৬৬৫]
ولا تفسدوا فى الارض بعد اصلاحها وادعوه خوفا وطمعا ان رحمت الله قريب من المحسنين.
অর্থঃ- “পৃথিবীকে
কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি করো না। তাঁকে ডাক (দোয়া কর) ভয় ও
আশা সহকারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক-এর রহমত সৎকর্মশীলগণের প্রতি।” (সূরা আ’রাফ/ ৫৬)
[৬৬৬]
ولله الاسماء الحسنى فادعوه بها وذروا الذين يلحدون فى اسمائه سيجزون ما كانوا يعملون.
অর্থঃ- “আর আল্লাহ্
পাক-এর রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে
বর্জন কর, যারা
তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।” (সূরা আ’রাফ/১৮০)
[৬৬৭]
هو الحى لا اله الا هو فادعوه مخلصين له الذين، الحمد لله رب العلمين.
অর্থঃ- “তিনি
চিরঞ্জীব, তিনি
ব্যতীত কোন মা’বূদ
নেই। অতএব, তাঁকে
ডাক তাঁর খাঁটি ইবাদতের মাধ্যমে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন-এর
জন্যই।” (সূরা
মু’মিন/৬৫)
[৬৬৮]
الحمد لله الذى وهب لى على الكبر اسمعيل واسحق ان ربى لسميع الدعاء.
অর্থঃ- “সমস্ত
প্রশংসা আল্লাহ্ পাক-এর জন্যই, যিনি আমাকে এই বার্ধক্যে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস্ সালাম ও হযরত
ইসহাক আলাইহিস্ সালাম দ্বয়কে দান করেছেন। নিশ্চয়ই আমার রব দোয়া শ্রবণ (কবুল) করেন।” (সূরা
ইব্রাহীম/৩৯)
[৬৬৯]
واخفض لهما جناح الذ من الرحمة وقل رب ارحمهما كما ربينى صغيرا.
অর্থঃ- “তাদের
(পিতা-মাতার) সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বল
অর্থাৎ দোয়া কর- আয় আল্লাহ্ পাক, তাঁদের উভয়ের প্রতি রহম করুন, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশব কালে
লালন-পালন করেছেন।”
(সূরা বণী ইসরাঈল/২৪) [৬৭০]
فتعلى الله الملك الحق ولا تعجل بالقران من قبل ان يقضى اليك وحيه وقل رب زدنى علما.
অর্থঃ- “সত্যিকার
মালিক আল্লাহ্ পাক মহান। আপনার প্রতি আল্লাহ্ পাক-এর ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে
আপনি কুরআন শরীফ গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুন অর্থাৎ দোয়া করুন-
আয় আমার রব, আমার
ইল্মকে বৃদ্ধি করে দিন।”
(সূরা ত্বাহা/১১৪)
[৬৭১]
وقل رب انزلنى منزلا مبركا وانت خير المنزلين.
অর্থঃ- “(হে হযরত
নূহ আলাইহিস্ সালাম) আপনি বলুন অর্থাৎ দোয়া করুন, আমার রব আমাকে কল্যাণের সাথে নামিয়ে
দিন। আপনি শ্রেষ্ঠ অবতারণকারী।” (সূরা মু’মিনূন/২৯)
[৬৭২]
قل رب اما ترينى ما يوعدون، رب فلا تجعلنى فى القوم الظلمين، وانا على ان نريك ما نعد هم لقدرون.
অর্থঃ- “(হে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলুন অর্থাৎ দোয়া করুন- হে আমার রব! যে বিষয়ে
তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা যদি আমাকে দেখান। হে আমার রব! আপনি আমাকে যালিম
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন না। আমি তাদেরকে যে বিষয়ের ওয়াদা দিয়েছি, তা আপনাকে
দেখাতে অবশ্যই সক্ষম।”
(সূরা মু’মিনূন/৯৩, ৯৪,
৯৫) [৬৭৩]
وقل رب اعوذبك من همز الشيطين، واعوذبك رب ان يحضرون.
অর্থঃ- “(আল্লাহ্
পাক দোয়া শিক্ষা দিয়ে বলেন) বলুন, হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে আশ্রয়
প্রার্থনা করছি। হে আমার রব! আমার নিকট তাদের (শয়তানদের) উপস্থিতি থেকে আপনার কাছে
আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”
(সূরা মু’মিনূন/৯৭, ৯৮)
[৬৭৪]
وقل رب اغفر وارحم وانت خير الرحمين.
অর্থঃ- “(হে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলুন অর্থাৎ দোয়া করুন- ক্ষমা করুন (উম্মতগণকে) ও
রহম করুন। আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।” (সূরাতুল্ মু’মিনূন/১১৮)
[৬৭৫]
قل يعبادى الذين اسرفوا على انفسهم لا تقنطوا من رحمة الله ان الله يغفر الذنوب جميعا انه هو الغفور الرحيم.
অর্থঃ- “(হে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলুন, হে আল্লাহ্র বান্দাগণ যারা নিজেদের
নফ্সের উপর যুলুম করেছ,
তোমরা আল্লাহ্ পাক-এর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। (বরং তাঁর কাছে কৃত অপরাধের
জন্য দোয়া, ইস্তিগফার
কর) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক সমস্ত গুণাহ্ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা
যুমার/ ৫৩)
[৬৭৬]
قل اعذ برب الفق، من شر ما خلق، ومن شر غاسق اذا وقب، ومن شر النفثت فى العقد، ومن شر حاسد اذا حسد.
অর্থঃ- “(হে রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুন- আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের রবের
কাছে, তিনি
যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে যখন তা
সমাগত হয়, গ্রন্থিতে
ফুঁৎকার দিয়ে জাদু কারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা
করে।”
(সূরা ফালাক্ব/১-৫)
[৬৭৭]
قل اعوذ ربرب الناس، ملك الناس، اله الناس، من شر الوسواس الخناس، الذى يوسوس فى صدور الناس، من الجنة والناس.
অর্থঃ- “বলুনঃ আমি
আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা’বূদের কাছে, তার অনিষ্ট
থেকে যে কুমন্ত্রনা দেয় ও আত্ম গোপন করে, যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের
মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।” (সূরা নাস/ ১-৬)
[৬৭৮]
استغفر لهم او لا تستغفر لهم ان تستغفر لهم سبعين مرة فلن يغفر الله لهم ذلك بانهم كفروا بالله ورسوله والله لايهدى القوم الفسقين.
অর্থঃ- “(হে আমার
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি তাদের (মুনাফিকদের) জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করুন আর না করুন,
যদি আপনি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, তবুও
আল্লাহ্ পাক তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। তা এজন্য যে, তারা আল্লাহ্ পাককে এবং তাঁর রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অস্বীকার করেছে। বস্তুতঃ আল্লাহ্ পাক
নাফরমানদেরকে পথ দেখান না।”
(সূরা তাওবা/৮০)
অত্র আয়াতে
কারীমায় মুনাফিক, কাফিরদের
জন্য দোয়া করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু মু’মিন, মুসলমান, সৎকর্মশীলগণের
জন্য দোয়া করতে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে।
[৬৭৯]
وما ارسلنا من رسول الا ليطاع باذن الله ولو انهم اذطلموا انفسهم جائوك فاستغفروا الله واستغفرلهم الرسول لوجدوا الله توابا رحيما.
অর্থঃ- “আমি
একমাত্র এ উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহ্ পাক-এর নির্দেশানুযায়ী
তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়। আর সে সব লোক যখন নিজেদের উপর যুলুম করেছিল, তখন যদি
আপনার কাছে আসত অতঃপর আল্লাহ্ পাক-এর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও যদি তাদেরকে ক্ষমা করিয়ে দিতেন। অবশ্যই তারা
আল্লাহ্ পাককে ক্ষমাকারী,
মেহেরবান রূপে পেত।”
(সূরা নিসা/৬৪)
[৬৮০]
واستغفر الله ان الله كان غفورا رحيما.
অর্থঃ- “আল্লাহ্
পাক-এর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি আল্লাহ্ পাক- ক্ষমাশীল, দয়ালু।” (সূরা
নিসা/১০৬)
[৬৮১]
فاصبر ان وعد الله حق واستغفر لذنبك وسبح بحمد ربك بالعشى والابكار.
অর্থঃ- “অতএব, আপনি ছবর
করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক-এর ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার উম্মতের গুণাহের জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসা সহ পবিত্রতা বর্ণনা
করুন।” (সূরা
মু’মিন/৫৫)
[৬৮২-৬৮৩]
واستغفروا الله ان الله غفور رحيم.
অর্থঃ- “তোমরা
আল্লাহ্ পাক-এর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক ক্ষমাকারী, করুণাময়।” (সূরা
বাক্বারা/১৯৯, সূরা
মুয্যামমিল/২০)
[৬৮৪]
وان استغفروا ربكم ثم توبوا اليه يمتعكم متاعا حسنا الى اجل مسمى وبؤت كل ذى فضل فضله وان تولوا فانى اخاف عليكم عذاب يوم كبير.
অর্থঃ- “তোমরা
তোমাদের রবের সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অনন্তর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর। তাহলে
তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণ দান করবেন এবং অধিক
আমলকারীকে আরো বেশী করে দিবেন। আর যদি তোমরা বিমুখ হতে থাক, তবে আমি
তোমাদের উপর এক মহা দিবসের আযাবের আশংকা করছি।” (সূরা হুদ/৩)
[৬৮৫]
يا يها انبى اذا جاءك المؤمنت يبايعنك على ان ايشر كن بالله شيئا ولا يسرقن ولا يزنين ولايقتلن اولادهن ولا ياتين ببهتان يفترينه بين ايديهن وارحهن ولا يعصينك فى معروف فبايعهن واستغفرلهن الله ان الله غفور رحيم.
অর্থঃ- “হে নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে আনুগত্যের শপথ করে যে, তারা
আল্লাহ্ পাক-এর সাথে কাউকে শরীক করবেনা, চুরি করবেনা, ব্যভিচার
করবেনা, তাদের
সন্তানদেরকে হত্যা করবেনা,
জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থেকে আপন গর্ভজাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবী করবেনা
এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবেনা, তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং
তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক-এর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক
ক্ষমাশীল, অত্যন্ত
দয়ালু।” (সূরা
মুমতাহিনা/১২)
[৬৮৬]
رب اشرح لى صدرى ويسرلى امرى واحلل عقدة من لسانى يفقهوا قولى.
অর্থঃ- “হে আমার
রব! আমার বক্ষ প্রশস্ত করেদিন, আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।” (সূরা ত্বাহা/২৫-২৮)
[৬৮৭]
ربنا اتنا فى الدنيا حسنة وفى الاخرة حسنة وقنا عذاب النار.
অর্থঃ- “আয়
পরওয়ারদিগার! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন
এবং আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন।” (সূরা বাক্বারা/২০১)
[৬৮৮]
ربنا افرغ علينا صبرا وثبت اقدا منا وانصرنا على القوم الكفرين.
অর্থঃ- “আয় আল্লাহ্
পাক! আমাদের মনে ধৈর্য্য সৃষ্টি করে দিন এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন। আর আমাদেরকে
সাহায্য করুন সে কাফির জাতির বিরুদ্ধে।” (সূরা বাক্বারা/২৫০)
[৬৮৯]
رنا لاتؤا خذنا ان نسينا او اخطأنا ربنا ولاتحمل علينا اصرا كما حملته على الذين من قبلنا ربنا ولا تحملنا مالا طاقة لنا به واعف عنا واغفرلنا وارحمنا انت مولنا فانصرنا على القوم الكفرين.
অর্থঃ- “আয় আল্লাহ্
পাক! যদি আমরা ভূলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করবেন না। হে
আমাদের রব! আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পন করবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর
অর্পিত হয়েছিল। হে আমাদের রব! আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করাবেন না, যা বহন
করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন করুন। আমাদরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের
প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের রব। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে
সাহায্য করুন।” (সূরা
বাক্বারা/২৮৬)
[৬৯০]
رببنا لا تزغ قلوبنا بعد اذ هديتنا وهب لنا من لدنك رحمة انك انن تلزفتب.
অর্থঃ- “হে আমাদের
রব! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত করবেন না এবং
আপনার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান করুন। আপনিই সব কিছুর দাতা।” (সূরা আলি
ইমরান/৮)
[৬৯১]
ربنا ظلمنا انفسنا وان لم تغفر لنا وتر حمنا لنكونن من الخسرين.
অর্থঃ- “হে আমাদের
রব! আমরা আমাদের নিজের নফ্সের প্রতি যুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন
এবং রহমত না করেন, তবে
আমরা অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।” (সূরা আ’রাফ/২৩)
হাদীস
শরীফের আলোকে দোয়া বা মুনাজাতের ফযীলত ও তা জায়িয
হওয়ার অকাট্য প্রমাণ আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন যেমন কুরআন শরীফের
অসংখ্য স্থানে দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন। তেমনি আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল
মুরসালীন, খাতামুন্
নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল
আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও হাদীস শরীফে দোয়া করার জন্য
নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং ফযীলত বর্ণনা করেছেন। নিম্নে এ সম্পর্কিত কতিপয় হাদীস
শরীফ উল্লেখ করা হলো-
[৬৯২-৭০৯]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لكل نبى دعوة مستجابة فتعجل كل نبى دعوته وانى اختبأت دعوتى شفاعة الامتى الى يوم القيمة فهى نائلة ان شاء الله من مات من امتى لايشرك با لله شيئا. مشكو شريف 194-مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح، مسلم شريف، مسلم بشرح النووى، فتح الملهم، المفهم، بخارى شريف ج 2 ص 932، فتح البارى، عمدة القارى، ارشاد السارى، شرح الكرمانى، تيسير البارى)
অর্থঃ- “হযরত আবূ
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক নবী আলাইহিমুস্ সালামকে
একটি বিশেষ দোয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে যা কবুল করা হয়। প্রত্যেক নবী শীঘ্র শীঘ্র
তাঁর দোয়া দুনিয়াতেই চেয়েছেন, আর আমি আমার দোয়া কিয়ামত পর্যন্ত মুলতবী রেখেছি। আমার
উম্মতগণের শাফায়াতের জন্য। ইনশাআল্লাহ্ এটা আমার উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি
পৌঁছবে, যে
আল্লাহ্ পাক-এর সাথে কিছুকে শরীক না করে ইন্তিকাল করেছে।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৪ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, মুসলিম
শরীফ, মুসলিম
বিশরহিন্ নববী, ফতহুল্
মুলহিম, আল্
মুফহিম, বুখারী
শরীফ ২য় জিঃ ৯৩২ পৃষ্ঠা,
ফতহুল্ বারী, উমদাতুল
ক্বারী, ইরশাদুস্
সারী, শরহুল্
কিরমানী, তাইসীরুল্
বারী)
[৭১০-৭২৭]
عن ابى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لايقولن احدكم اللهم اغفرلى ان شئت اللهم ارحمنى ان شئت ليعزم المسئلة فانه لامكرمله (بخارى شريف ج2 ص 938، فتح البارى، عمدة القارى، ارشاد السارى، شرح الكرمانى، تيسير البارى، مسلم شريف ج 2 ص 342، مسلم بشرح النووى، فتح الملهم، المفهم، المشكوة المصاببح ص 194، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح.
অর্থঃ- “হযরত আবূ
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যেন কখনো এভাবে দোয়া না করে, “আয় আল্লাহ্
পাক, যদি
আপনি চান, তবে
আমাকে মাফ করুন এবং যদি আপনি চান, তবে আমাকে রহমত করুন।” বরং ইয়াক্বীন ও মনের দৃঢ়তা নিয়ে
দোয়া করবে। কেননা আল্লাহ্ পাক-এর উপর যবরদস্তি করার কেউ নেই।” (বুখারী
শরীফ ২য় জিঃ ৯৩৮ পৃষ্ঠা,
ফতহুল বারী, উমদাতুল
ক্বারী, ইরশাদুস্
সারী, শরহুল্
কিরমানী, তাইসীরুল
বারী, মুসলিম
শরীফ ২য় জিঃ ৩৪২ পৃষ্ঠা,
মুসলিম বিশরহিন্ নববী,
ফতহুল মুলহিম, আল্
মুফহিম, আল্
মিশকাতুল মাছাবীহ ১৯৪ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল
মানাজীহ)
[৭২৮-৭৩৯]
عن صفوان وهوابن عبد الله بن صفوان وكانت تحته ام الدرداء قال قدمت الشمام فاتيت ابا الدرداء فى منزله فلم اجده ووجدت ام الدرداء فقالت اتريد الحج العام فقلت نعم قالت فادع الله لنا بخير فان النبى صلى الله عليه وسلم كان يقول دعوة المرء المسلم لاخيه بظهر الغيب مستجابة عند رأسه ملك مؤكل كلها دعا لاخيه بخير قال الملك المؤك به امين ولك بمثل قال فخرجت الى السوق فلقيت ابا الدرداء فقال لى مثل ذال يرويه عن النبى صلى الله عليه وسلم. (مسلم شريف ج 2 ص 253، مسلم بشرح النووى، فتح الملهم، المفهم، مشكوة شريف ص 194، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مراة المنا جيح.
অর্থঃ- “হযরত
ছাফওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। আর তিনি উম্মু দারদা-এর স্বামী ছাফওয়ান
ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ছাফওয়ান ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়াতে হযরত আবূ দারদা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ঘরে গেলাম। আমি তাঁকে ঘরে পেলাম না বরং সেখানে উম্মু
দারদাকে পেলাম। তিনি বললেন,
আপনি কি এ বছর হজ্ব পালন করবেন? আমি বললাম জি হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহ্
পাক-এর কাছে আমাদের কল্যাণের জন্য দোয়া করবেন। কেননা, হযরত নবী
করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, একজন মুসলমান বান্দা তার ভাইয়ের
অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে তা কবুল হয়। তাঁর মাথায় একজন ফিরিশতা নিয়োজিত
থাকেন, যখন
সে তার ভাইয়ের জন্য দোয়া করে তখন নিয়োজিত ফিরিশ্তা বলে থাকে “আমীন এবং
তোমার জন্যও অনুরূপ।”
তিনি বলেন, এরপর
আমি বাজারের দিকে বের হলাম। আর হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর দেখা
পেলাম। তখন তিনি আমাকে হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তাঁর
অনুরূপ বর্ণনা করলেন।”
(মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ ৩৫২ পৃষ্ঠা, মুসলিম
বিশরহিন্ নববী, ফতহুল্
মুলহিম, আল্
মুফহিম, মিশকাত
শরীফ ১৯৪ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ)
[৭৪০-৭৬১]
عن النعمان بن بشير رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال الدعاء هو العبادة ثم فرأ وقال ربكم ادعونى استجب لكم ان الذين يستكبرون عن عبادتى سيدخلون جهنم داخرين، (ترمذى شريف ج 2 ص 173، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف الشنن، مسند احمد بن حنبل، ابو داؤد شريف، بذل المجهود، عون المعبود، شرح ابى داؤد لبدر الدين العينى، نسائى شريف، سنن الكبرى للنسائى، حاشية السيوطى، ابن ماجة، مشكوشريف ص 194، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح.
অর্থঃ- “হযরত নু’মান ইবনে
বশীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দোয়া হলো
ইবাদত সদৃশ। অতঃপর তিনি এই আয়াত শরীফ পড়লেন, “তোমাদের রব বলেছেন, আমার নিকট
দোয়া কর, আমি
তোমাদের দোয়া কবুল করব। নিশ্চয়ই যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে, তারা অতি
সত্ত্বর লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে দাখিল হবে।” (তিরমিযী শরীফ ২য় জিঃ ১৭৩ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল্
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, মুসনাদু
আহমদ ইবনে হাম্বল, আবূ
দাউদ শরীফ, বযলুল
মাজহুদ, আউনুল
মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লি বদরিদ্দীন আইনী,
নাসায়ী শরীফ, সুনানুল
কুবরা লিন নাসায়ী, হাশিয়াতুস্
সুয়ূত্বী, ইবনু
মাজাহ, মিশকাত
শরীফ ১৯৪ পৃষ্ঠা, মিরকাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল
মানাজীহ)
[৭৬২-৭৭৫]
عن انس بن مالك رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال الدعاء مخ العبادة. (ترمذى شريف ج 2 ص 173، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن، درس ترمذى، مشكوة شريف ص 194، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المنا جيح)
অর্থঃ- “হযরত আনাস
ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া হলো
ইবাদতের মগজ বা মূল।”
(তিরমিযী শরীফ ২য় জিঃ ১৭৩ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল্
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, দরসে
তিরমিযী, মিশকাত
শরীফ ১৯৪ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্ ত্বীবী, আত্ তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিয়াতুল্
মানাজীহ্) [৭৭৬-৭৯০]
عن ابى هريرة رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ليس شيئ اكرم على الله من الدعاء. (ترمذى شريف ج 2 ص 173، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، معارف السنن، ابن ماجة شريف، مشكوة شريف ص 194 مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مرأة المناجيح، درس مشكوة)
অর্থঃ- “হযরত আবূ
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত নবী করীম ছল্লৗাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
থেকে বর্ণনা করেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্
পাক-এর নিকট দোয়া অপেক্ষা কোন জিনিষই অধিক মর্যাদাশীল, সম্মানিত
নয়।” (তিরমিযী
শরীফ ২য় জিঃ ১৭৩ পৃষ্ঠা,
তুহফাতুল আহওয়াযী,
আরিদ্বাতুল আহওয়াযী,
উরফুশ্ শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, ইবনু
মাজাহ শরীফ, মিশকাত
শরীফ ১৯৪ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, দরসে
মিশকাত)
[৭৯১-৮০৪]
عن سلمان الفارسى رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لايرد القضاء الا الدعاء ولايزيد فى العمر الا البر. (مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن، درس ترمذى)
অর্থঃ- “হযরত
সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া অপর কিছু তকদীরকে
পরিবর্তন করতে পারেনা। আর নেকী ছাড়া অপর কিছু বয়স বাড়াতে পারে না।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, দরসে
তিরমিযী)
[৮০৫-৮১৮]
عن ابن عمر رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الدعاء ينفع مما نزل ومما لم ينزل فعليكم عباد الله بالدعاء. (مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مراة المنا جيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن، مسندا حمدبن حنبل)
অর্থঃ- “হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া উপকার করে যে বিপদ নাযিল হয়েছে
সে সম্পর্কে এবং যা নাযিল হয়নি সে সম্পর্কে। সুতরাং আল্লাহ্ পাক-এর বান্দাগণ!
তোমাদের উপর দোয়া করা অপরিহার্য।” (মিশকাত শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল্
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, মুসনাদু
আহমদ ইবন হাম্বল) [৮১৯-৮৩১]
عن جارر رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مامن احد يدعو بدعاء الا اتاه الله ماسال او كف عنه من السوء مثله مالم يدع باثم او قطيعة رحم، (مشكوة شريف ج 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن)
অর্থঃ- “হযরত জাবির
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি কোন দোয়া করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা তাকে সে যা চায় তা দেন অথবা এর
অনুরূপ কোন বিপদকে তা হতে দূর করে রাখেন; যাবৎ না সে দোয়া করে কোন গুণাহের
কাজের অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার।” (মিশকাত শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক, মিরয়াতুল
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল্
আহওয়ায়ী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান)
[৮৩২-৮৪৪]
عن ابن مسعود رضى الله عنه قا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم سلوا الله من فضله فان الله يحب ان يسال وافضل العبادة انتظار الفرج. (مشوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مرأة المنا جيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السني،
অর্থঃ- “হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা আল্লাহ্ পাক-এর নিকট তাঁর
অনুগ্রহ চাও। কেননা,
তিনি ভালবাসেন তাঁর নিকট কিছু চাওয়াকে। আর বিপদ থেকে মুক্তির অপেক্ষা করা
শ্রেষ্ঠ ইবাদত।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরকাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান)
[৮৪৫-৮৫৭]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى اله عليه وسلم انه من لم يسأل الله يغضب عليه. (ترمذى شريف ج 2 ص 173، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن، مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مرأة المناجيح.)
অর্থঃ- “হযরত আবূ
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে আল্লাহ্ পাক-এর নিকট কিছু চায় না
(দোয়া করেনা) আল্লাহ্ পাক তার উপর রাগ করেন।” (তিরমিযী শরীফ ২য় জিঃ ১৭৩ পৃষ্ঠা, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মা’য়ারিফুস্
সুনান, মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরকাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ , মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ)
[৮৫৮-৮৭০]
عن ابن عمر رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من فتح له منكم باب الدعاء فتحت له ابواب الرحمة وما سئل الله شيئا يعنى احب اليه من ان يسأل العافية. (مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن)
অর্থঃ- “হযরত
আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার জন্য দোয়ার দরজা খোলা, তার জন্য
রহমতের দরজাই খোলা হয়েছে। আল্লাহ্ পাক-এর নিকট কুশল বা নিরাপত্তা অপেক্ষা প্রিয়তর
কোন জিনিসই চাওয়া হয় না।”
(মিশকাত শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতূল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান)
[৮৭১-৮৮৩]
عن ابى نريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من شره ان يستجيب الله له عند الضدائد فليكثر الدعاء فى الرخاء. (مشكوة شريف ص 190، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن)
অর্থঃ- “হযরত আবূ
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মনে করে বা ভালবাসে যে, দুঃখের সময়
আল্লাহ্ পাক তার দোয়া শুনবেন বা কবুল করবেন, সে যেন সুঃখের সময় অধিক হারে দোয়া
করে।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান) [৮৮৪-৮৯৬]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ادعوا الله وانتم موقنون بالاجابة واعلموا ان الله لا يستجيب دعاء من قلب غافل لاه. (مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن)
অর্থঃ- “হযরত আবু
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কবূল হওয়ার বিশ্বাসের সাথে
দোয়া কর। আর যেনে রাখ যে,
আল্লাহ্ পাক কবুল করেননা আমনোযোগী, অবহেলাকারী অন্তরের দোয়া।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল্
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান)
[৮৯৭-৯১৪]
عن سلمان رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان ربكم حى كريم يستحيى من عبده اذا رفع يديه ان يردهما صفرا. (مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن، ابوداؤد شريف، بذل المجهود، عون المعبود، شرح ابى داؤد لبدر الدين العينى، بيهقى فى الدعوات المكبير.
অর্থঃ- “হযরত
সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের রব লজ্জাশীল ও দাতা। তিনি
লজ্জা বোধ করেন তাঁর কোন বান্দা তাঁর নিকট দু’হাত উঠালে তা খালি ফিরিয়ে দিতে।” (মিশকাত শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল্
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, আবূ
দাউদ শরীফ, বযলুল
মাজহুদ, আউনুল
মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লি বদরিদ্দীন আইনী,
বাইহাক্বী ফীদ দা’ওয়াতিল্
কবীর)
[৯১৫-৯২৬]
عن عائشة رضى اله عنها قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يستحب الجوامع من الدعاء ويدع ويدع ماسوى ذلك.
(مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مرأة المنا جيح، ابو داؤد شريف، بذل المجهود، عون المعبود، شرح ابى داؤد لبدر الدين العينى)
অর্থঃ- “হযরত আয়েশা
ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অল্প কথায় বেশী অর্থবোধক দোয়াকে পছন্দ
করতেন এবং তা ছাড়া অপর দোয়া ছেড়ে দিতেন।” (মিশকাত শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, আবূ
দাউদ শরীফ, বযলুল
মাজহুদ, আউনুল
মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী)
[৯২৭-৯৪৩]
عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اسرع الدعاء اجابة دعوة غائب لغائب. (مشكوة شريف ص 190، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن، ابو داؤدد شريف، بذل المجهود، عون المعبود، شرح ابى داؤد لبدر الدين العينى)
অর্থঃ- “হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য অনুপস্থিত
ব্যক্তির (অর্থাৎ পরের জন্য পরের) দোয়া সত্বর কবুল হয়।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, আবূ
দাউদ শরীফ, বযলুল্
মাজহুদ, আউনুল
মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লিবদরিদ্দীন আইনী)
[৯৪৪-৯৫৬]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلثة لاترد دعوتهم الصائم حين يفطر والامام العادل ودعوة المظلوم يرفعها الله فوق الغمام وتفتح لها ابواب السماء ويقول الرب وعزتى لانصرنك ولوبعد حين.
(كشطزو شريف ص 195، كرقتو شريف، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مراة المنا جيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن)
অর্থঃ- “হযরত আবু
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া
হয়না। (১) রোযাদারের দোয়া,
যখন সে ইফতার করে,
(২) ন্যায় বিচারক ইমামের দোয়া এবং (৩) মাযলুম (অত্যাচারিতের)
ব্যক্তির দোয়া। তার দোয়াকে আল্লাহ্ পাক মেঘের উপর উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের
দরজা খুলে দেয়া হয় এবং আল্লাহ্ পাক বলেন, আমার ইজ্জত-সম্মানের কসম, আমি
নিশ্চয়ই তোমাকে সাহায্য করব, যদিও কিছু সময় পরে হয় না কেন।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত
শরীফ, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তালীকুছ্ ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মারারিফুস্
সুনান) [৯৫৭-৯৭৩]
عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلث دعوات مستجابات لا شك فيهن دعوة الوالد ودعوة المسافر ودعوة المظلوم. (مشكوة شريف ص 195، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهرحق، مرأة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن، ابو داؤد شريف، بذل المجهود، عون المعبود، شرح ابى داؤد ليدر الدين العينى، ابن ماجة شريف)
অর্থঃ- “হযরত আবূ
হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিনটি দোয়া কবুল হয়, তাতে কোন
সন্দেহ নাই। (১) পিতা-মাতার দোয়া, (২) মুসাফিরের দোয়া ও (৩) মাযলূম ব্যক্তির দোয়া।” (মিশকাত
শরীফ ১৯৫ পৃষ্ঠা, মিরকাত, আশয়াতুল
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ্
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল্
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান, আবূ
দাউদ শরীফ, বযলুল্
মাজহুদ, আউনুল
মা’বূদ, শরহু আবী
দাউদ লি বদরিদ্দীন আইনী)
[৯৭৪-৯৮৬]
عن ابى بن كعب رضى الله عنه قال كان رسول الله صلى اله عليه وسلم اذا ذكر احدا فدعاله بدأ بنغسه. (مشكوة شريف ص 196، مرقاة، اشعة اللمعات، اللمعات، شرح الطيبى، التعليق الصبيح، مظاهر حق، مراة المناجيح، ترمذى شريف، تحفة الاحوذى، عارضة الاحوذى، عرف الشاذى، معارف السنن)
অর্থঃ- “হযরত উবাই
ইবনে কা’ব
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কাউকে
উল্লেখ করে দোয়া করতেন,
প্রথমে নিজের জন্য দোয়া করতেন।” (মিশকাত শরীফ ১৯৬ পৃষ্ঠা, মিরক্বাত, আশয়াতুল্
লুময়াত, লুময়াত, শরহুত্
ত্বীবী, আত্
তা’লীকুছ
ছবীহ, মুযাহিরে
হক্ব, মিরয়াতুল্
মানাজীহ, তিরমিযী
শরীফ, তুহফাতুল্
আহওয়াযী, আরিদ্বাতুল
আহওয়াযী, উরফুশ্
শাযী, মায়ারিফুস্
সুনান) উল্লিখিত আয়াত শরীফ ও হাদীস
শরীফসমূহ দ্বারা যে বিষয়গুলো প্রমাণিত হলো তা হলো-
(১) দোয়া
বা মুনাজাত কুরআন শরীফের আয়াত শরীফ দ্বারাই অকাট্য ভাবে প্রমাণিত।
(২) দোয়া
বা মুনাজাত করতে স্বয়ং অল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই
বান্দাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
(৩) মহান
আল্লাহ্ পাক-এর নিকট দোয়া বা মুনাজাত করা শুধু জায়িযই নয় বরং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ অন্যান্য নবী-রসূল আলাইহিমুস্
সালামগণেরও সুন্নত। কেননা তাঁরা সকলেই মহান আল্লাহ্ পাক-এর নিকট দোয়া বা মুনাজাত
করেছেন বলে উক্ত আয়াত শরীফ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়। (৪) শরীয়তে নিষিদ্ধ স্থান ও সময় ব্যতীত যে কোন স্থানে ও সময়েই
দোয়া বা মুনাজাত করা জায়িয। কেননা উল্লিখিত আয়াত শরীফ ও হাদীস শরীফ সমূহে আমভাবেই
দোয়া বা মুনাজাতের কথা উল্লেখ আছে।
0 Comments:
Post a Comment